দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে
১১ জুলাই ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৪, ১২:০৩ এএম

দেশে দুর্নীতির মচ্ছব চলছে। এ কথা শুধু সাধারণ মানুষের নয়, সরকার দলীয় জোটের এক শরীক দলের শীর্ষ নেতারও। ভয়াবহ দুর্নীতির যেসব খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা কল্পনাতীত। দুর্নীতিবাজরা সরকারি প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তা! তাদের দুর্নীতির বিষয়টি কোনো সরকারি বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ধরতে পারেনি কিংবা ধরার চেষ্টা করেনি! দুর্নীতির বিষয় প্রথম প্রকাশিত হয়েছে মিডিয়ায়। প্রায় প্রতিদিনই মিডিয়ায় দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হচ্ছে, যার অনেকগুলো বড় মাপের! বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে ক্ষমতা গ্রহণের প্রারম্ভেই। তারপরও দুর্নীতির মচ্ছব চলছে। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী মরহুম মুহিত বলেছিলেন, ‘আগে পুকুর চুরি হতো, এখন সাগর চুরি হচ্ছে! দেশের জিডিপির ৬০% কালো টাকা।’ জাতীয় সংসদেও দুর্নীতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে বহুবার। তবুও দুর্নীতি বন্ধ করার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বরং সরকারের কিছু নিয়ম-নীতি, আশ্রয়-প্রশ্রয় দুর্নীতির সহায়ক। অর্থাৎ ‘ক্ষমতা কাঠামোর সঙ্গে দুর্নীতির সম্পর্ক নিবিড় রয়েছে’ বলে প্রফেসর ড. মো. হারুন-অর-রশিদের অভিমত। তাই দুর্নীতি ক্রমান্বয়ে বাড়তে বাড়তে মচ্ছবে পরিণত হয়েছে। প্রধান বিচারপতি গত ১৩ সেপ্টেম্বর বলেছেন, ‘বিচার বিভাগসহ দেশের সব বিভাগে দুর্নীতি ক্যান্সারের মতো ছেয়ে গেছে।’ টিআইবির মতে, বাংলাদেশের দুর্নীতির পরিমাণ বছরে জিডিপির প্রায় ৫%। টিআই’র দুর্নীতির বৈশ্বিক ধারণা সূচক-২০২৩ মতে, বাংলাদেশের অবস্থান দশম (আগের বছর ছিল ১২তম)।
ইতোপূর্বে দুর্নীতিতে বাংলাদেশ কয়েকবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কতিপয় ব্যক্তি অতি দ্রুত ধনী হওয়ার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এই অতি ধনীরা শুধু রাষ্ট্রকে জিম্মিই করেনি, একই সঙ্গে নিজেরাই রাষ্ট্র হয়ে উঠেছেন বলে অভিমত খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ড. রেহমান সোবহানের। যা’হোক, দুর্নীতির কারণে দেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৩-৪% কম হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ বা সর্বনাশ হয়েছে। অপরদিকে, কিছু ব্যক্তি দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের, পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের নামে দেশ-বিদেশে পাহাড়সম সম্পদ তৈরি করেছে। আর সাধারণ মানুষের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। ফলে দেশে আয়বৈষম্য প্রায় সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছে! জবাবদিহি এবং দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না থাকায়/গ্রহণ না করায় এটা হয়েছে। অথচ, দুর্নীতিবাজরা মোটামুটি চিহ্নিত। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এক বিচারপতি সম্প্রতি বলেছেন, ‘দেশে বিদ্যমান বেতন-ভাতা দিয়ে সংসার চালানোর পর সরকারি চাকরিজীবীদের বাড়ি-গাড়ি করা সম্ভব নয়’। বর্তমান জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ মতে, সর্বোচ্চ বা গ্রেড-১ এর মাসিক মূল বেতন ৭৮ হাজার টাকা (নির্ধারিত), গ্রেড-২ এর ৬৬ হাজার টাকা এবং সর্বনি¤œ তথা গ্রেড-২০ এর ৮,২৫০ টাকা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা ও অন্যান্য ভাতা মিলে ৫০%। গ্রেড-১ প্রাপ্তরা হচ্ছেন সিনিয়র সচিব, যাদের সংখ্যা খুব কম। তাদের মাসিক মোট বেতন এক লক্ষ ১৫ হাজার টাকার মতো। আর গ্রেড-২০ এর মাসিক মোট বেতন ১৫ হাজার টাকার মতো।
সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে নিচের গ্রেডভুক্তরাই বেশি। ইতোপূর্বের জাতীয় বেতন স্কেলে মোট বেতন আরো কম ছিল (বেসরকারি খাতের জনবলেরও বেতন ও চাকুরীর নিশ্চয়তা কম)। যা’হোক, সরকারি বেতন অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের বিদ্যমান অত্যধিক ব্যয় সম্বলিত জীবনযাত্রার সংসার চালানোর পর কারো বাড়ি-গাড়ি করা মোটেও সম্ভব নয়। তবে, অফিস থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ি করার মতো সামান্য জায়গা কিনে মাথা গোঁজার মতো ঠাঁই করা যায়। কিন্তু চাকরি থেকে অবসরের পর তেমন কিছু পাওয়া যায় না। ঋণ পরিশোধেই শেষ হয়ে যায়। তাই খুব কষ্টে চলতে হয়। উপরন্তু এ ধরনের চাকরিজীবীর সংখ্যা সামান্য। তাই সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে যারা বাড়ি-গাড়ি ও দেশ-বিদেশে বিপুল সম্পদের মালিক এবং বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে, তাদের অধিকাংশই দুর্নীতিবাজ নিঃসন্দেহে। এসব প্রকাশ্য।তাই তারা চিহ্নিত। দ্বিতীয়ত: সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে যারা আয়কর দেয়, তাদের আয়কর দিতে হয় (যাদের সংখ্যা মোট জনবলের প্রায় এক তৃতীয়াংশ)।
উপরন্তু তাদের আয়কর রিটার্নও দাখিল করতে হয়। তাতে স্থায়ী ও অস্থায়ী সম্পদের বিবরণ দিতে হয়। তাই চাকরিজীবীদের অবৈধ সম্পদ খুঁজে বের করা সহজ। অপরদিকে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করা, অর্থ পাচার, অবৈধ পণ্য কেনা-বেচা, মজুদদারি, দখল এবং রশিদ ছাড়া চাঁদা নেওয়া, নিয়ম অনুযায়ী ভ্যাট ও আয়কর না দেওয়াও দুর্নীতি। দেশের স্থানীয় ও জাতীয় সংসদের নির্বাচনে প্রার্থীদের দাখিলকৃত হলফনামায় সম্পদের বিবরণ দিতে হয়। তাতে সম্পদের হিসাব কার স্বাভাবিক, কার অস্বাভাবিক তা নিয়ে বিস্তর খবর প্রকাশিত হয়। টিআইবিও সেটা প্রকাশ করে। এসব থেকে রাজনীতিকদের অবৈধ সম্পদ শনাক্ত করা সহজ। ব্যবসায়ীদের এলসির রেট দেখে আমদানি-রফতানির আন্ডার ইনভয়েস ও ওভার ইনভয়েস শনাক্ত করা সহজ। উল্লেখ্য যে, জিএফআই›র তথ্য মতে, বাংলাদেশের দুর্নীতির ৮৫% হয় ব্যবসার মাধ্যমে, যা আন্ডার ইনভয়েস ও ওভার ইনভয়েসের মাধ্যমে হয়।
দেশের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানেই জনবলের দুর্নীতি, অপচয় চিহ্নিত ও শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। প্রমাণিত অপরাধীকে লঘু দ- তথা সাময়িক বরখাস্ত, পদোন্নতি স্থগিত, বেতন কমানো, বদলী ইত্যাদি করা হয়। গত ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত সচিব সভায় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পদোন্নতি ও ভালো জায়গায় পদায়ন যেন না পায়। গত ৬ জুলাই অনুষ্ঠিত সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড সভায়ও দুর্নীতিবাজদের পদোন্নতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতির দায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এড়াতে পারে না। উপরন্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীও নয়। সর্বোপরি দেশের দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক রয়েছে। কিন্তু তার কাজকর্ম খুব কম! উপরন্তু সংস্থাটি পূর্ণ স্বাধীনও নয়। সরকারের অধীনস্থ। তাই প্রতিষ্ঠানটির যেটুকু কাজকর্ম, তার অধিকাংশই বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হয় সরকারের ইচ্ছানুযায়ী! দ্বিতীয়ত: সরকারি জনবলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার আগে অনুমতি নেওয়ার বিধান রয়েছে, যা দুর্নীতি দমনের জন্য অনুকূল নয়! তৃতীয়ত: দুদক প্রাপ্ত অভিযোগের বিরুদ্ধে কাজকর্ম সম্পন্ন করতে বহু সময় লাগে। তাই সেখানে পেন্ডিং কেসের সংখ্যা ব্যাপক। গত ২ জুলাই খবরে প্রকাশ, ‘দুদকের দায়ের করা গত মার্চ পর্যন্ত নি¤œ আদালতে ৩,৩৪৮টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তন্মধ্যে ২,৯১৯টির বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং হাইকোর্টের আদেশে ৪২৯টি মামলা বিচার কাজ স্থগিত আছে। এছাড়া, উচ্চ আদালতে ৭৩২টি রিট, ৯২৭টি ফৌজদারি বিবিধ মামলা, ১,২২৩টি ক্রিমিনাল আপিল ও ৬৮১টি ফৌজদারি রিভিশন মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।’ এছাড়া, তদন্তাধীন কেস রয়েছে অনেক। কিন্তু বহুল প্রচলিত প্রবাদ বাক্য হচ্ছে, ‘জাস্টিস ডিলেড জাষ্টিস ডিনাইড’।
হাইকোর্ট গত ২ জুলাই বলেছেন, ‘১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার ১৩ বিধিটি কঠোরভাবে মানতে নির্দেশ দেওয়া হলো।’ উক্ত বিধিমালার সারমর্ম হচ্ছে: ‘প্রত্যেক সরকারি কর্মচারী চাকরিতে প্রবেশের সময় যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের কাছে তার বা পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন বা দখলে থাকা শেয়ার, সার্টিফিকেট, সিকিউরিটি, বিমা পলিসি ও মোট ৫০ হাজার টাকা বা ততোধিক মূল্যের অলংকারসহ স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির ঘোষণা করবেন। প্রত্যেক সরকারি কর্মচারী প্রতি পাঁচ বছর অন্তর প্রদর্শিত সম্পত্তির হ্রাস-বৃদ্ধির হিসাব বিবরণী যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের কাছে দাখিল করবেন।’ এই বিধিমালা সংশোধন করা হচ্ছে। তাতেও সম্পত্তির ঘোষণা দেওয়ার বিষয়টি থাকছে বলে জানা গেছে।এটা বাস্তবায়িত হলে দুর্নীতি অনেক কমে যাবে। অপরদিকে, প্রাক্তন পররাষ্টমন্ত্রী ড.মোমেন সম্প্রতি বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতির শাস্তি বদলী, পদোন্নতি বন্ধ ইত্যাদি হতে পারে না। দুর্নীতিকৃত সম্পদ জব্দ করতে হবে। তাহলে দুর্নীতি কমে যাবে। অন্যদিকে, সৎ ও দক্ষ লোকদের পুরস্কৃত করা হলে এ ক্ষেএে সরকারি জনবল উৎসাহিত হবে।
দেশের সার্বিক উন্নতি ত্বরান্বিত, আয়বৈষম্য হ্রাস এবং প্রশাসনের উপর মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা ইত্যাদির জন্য দুর্নীতি বন্ধ করা আবশ্যক। কিন্তু কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া তা সম্ভব নয়। তাই সব দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যার অন্যতম হচ্ছে, প্রমাণিত দুর্নীতিকৃত সব সম্পদ জব্দসহ কমপক্ষে ৫ বছর সশ্রম কারাদ-ের বিধান করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। দুর্নীতির মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য বিশেষ ট্রাবুনাল গঠন এবং দুদকের জনবল বৃদ্ধি ও প্রতিষ্ঠানটিকে পূর্ণ স্বাধীন করতে হবে। সর্বোপরি সরকারি কোন চাকরিজীবীর দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার সাথে সাথে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্তসহ সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। এছাড়া, ‘ডিসমিসাল অন কনভিকশন অধ্যাদেশ’ পুনরায় চালু করতে হবে। এসব হলে সরকারি অফিসের দুর্নীতি কমে যাবে। তার প্রভাব সমাজের প্রায় সর্বত্রই প্রতিফলিত হবে। কারণ, সরকারের জনবলের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া দুর্নীতি করা কঠিন। দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কোট ও ঘৃণা করতে হবে। উপরন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে ধর্মীয় গুরুদের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে। সর্বোপরি দুর্নীতি-অনিয়ম বন্ধের জন্য বিদ্যমান সব আইন ও সরকারি নির্দেশ ভালভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। যেমন: চালের বস্তায় ধানের জাত, মূল্য ও তারিখ লেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি এখনো! অথচ এটা বাস্তবায়িত হলে চাল ব্যবসায়ীদের দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যেত। কারণ, বাজারের বেশিরভাগ চাল বিক্রি হয় নাজিরসাইল, মিনিকেট ইত্যাদি নামে এবং তা অত্যধিক দামে। অথচ দেশে নাজিরসাইল ও মিনিকেট নামে কোন ধান নেই বলে কৃষিবিদরা বলেছেন বহুবার। মোটা চালকে মেশিনে কেটে চিকন করে ঐসব নামে বেশি মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে বলে প-িতদের অভিমত। তাই চালের সব বস্তায় ধানের জাত লেখার নির্দেশ বাস্তবায়িত হলেই উক্ত দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে। উক্ত নির্দেশ বাস্তবায়ন করা খুব সহজ। বাজারের বেশিরভাগ চাল কুষ্টিয়া এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ থেকে আসে, যা ট্রাকে করে পদ্মা ও যমুনা সেতু দিয়ে আসে। এই দুই সেতুর সন্নিকটে চেক পোস্ট বসিয়ে যাচাই করা হলেই এবং নিয়মিত বাজার মনিটর করা হলেই চালের উক্ত নির্দেশ লঙ্ঘনের বিষয়টি শনাক্ত এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের দুর্নীতির অপরাধে বিচার করা যাবে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে নকল, ভেজাল ও অধিক মূনাফাখোরদের দুর্নীতির অভিযোগে শাস্তি দিতে হবে। তাহলেই খাদ্য পণ্য নকল ও ভেজালমুক্ত হবে এবং মূল্য অনেক কমে যাবে। তাতে দেশের মূল্যস্ফীতির হারও অনেক হ্রাস পাবে। এভাবে সরকারি সব আইন ও নির্দেশ পালিত হলেই দুর্নীতি নামক ক্যান্সার হতে জাতি মুক্তি পাবে। দেশের সার্বিক উন্নতি ত্বরান্বিত হবে। দ্বিতীয়ত: কাজকর্মে প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়বে দুর্নীতি-হয়রানি তত হ্রাস পাবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

রমজান উপলক্ষে বিএনপিকে সউদী বাদশাহর খেজুর উপহার

দৌলতপুর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গ্রেফতার

বান্ধবীকে বিয়ে করলেন সঙ্গীত তারকা অনুভ জেইন

পোপ ফ্রান্সিসের উভয় ফুসফুসে নিউমোনিয়া

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন জরুরি: আসিফ আকবর

গাজা রাজনৈতিক দর-কষাকষির উপকরণ নয়: চীন

দীপু মনির ভাইয়ের বিরুদ্ধে জমি দখলের প্রমাণ পেয়েছে দুদক

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজতজয়ন্তীতে প্যারিস মাতাবেন বাংলাদেশি শিল্পীরা

কারওয়ান বাজারে রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ড, ম্যানেজার আটক

চরম স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে বাস করছে রাজধানীর মানুষ

আমাদের লড়াই শেষ হয়ে যায়নি : হাসনাত আব্দুল্লাহ

গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভয়ে ২ ইসরায়েলি সৈন্য নেদারল্যান্ডস থেকে পালিয়েছে

ধারালো অস্ত্র হাতে সেই যুবদল নেতা মাহবুবকে বহিষ্কার

ব্রাহ্মনপাড়ায় ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রেপ্তার

গাজা সংকটে আরব লীগের সম্মেলন স্থগিত, নতুন তারিখ ৪ মার্চ

সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদা পেলেন শফিকুল আলম

কুয়েটে সংঘর্ষে জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয়ে ছাড় দেওয়া চলবে না

রাশিয়া-মার্কিন বৈঠক নিয়ে ক্ষোভ, জেলেনস্কির সউদী সফর বাতিল

গণ-অভ্যুত্থানের সকল শক্তির ঐক্যই আমাদের গন্তব্য : মাহফুজ আলম

রাজধানীতে মির্জা আজমকে ধরতে অভিযান