ঢাকা   সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১ আশ্বিন ১৪৩১

শিক্ষার সংস্কার ও আধুনিকতা জরুরি

Daily Inqilab সরদার সিরাজ

০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম

শিক্ষা হচ্ছে জাতির মেরুদণ্ড। তাই শিক্ষার উন্নতিতে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয় বিশ্বের প্রায় সব দেশ। এ ক্ষেত্রে যারা যত বেশি সফল হচ্ছে, তারা তত বেশি উন্নতি করছে। সেই শিক্ষাও প্রতিনিয়তই আমূল পরিবর্তন হয়ে সময়োপযোগী হচ্ছে। বর্তমানে চলছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। বর্তমানে ব্যবহৃত প্রযুক্তির অন্যতম হচ্ছে অটোমেশন, রোবটিক্স, ব্লক চেইন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বলে খ্যাত। প-িতদের মতে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে মানবিক সমাজকে যুক্ত করে বিশ্ব এখন পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের পথে ধাবিত হচ্ছে। তাই বেশিরভাগ দেশ আধুনিক শিক্ষা তথা ঝঞঊগ তথা সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যাথম্যাটিকস শিক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। উপরন্তু ইংরেজি হচ্ছে বৈশ্বিক ভাষা। এ ভাষায় দক্ষ হলে অসুবিধা হয় না বিশ্বের কোথাও। কারিগরি তথা কর্মমুখী শিক্ষাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর চাহিদা রয়েছে বিশ্বব্যাপী। কারিগরি শিক্ষার উপর ভিত্তি করে জাপান ও জার্মান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ধ্বংস হয়ে যাওয়া অবস্থা থেকে বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় ও পঞ্চম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। কারিগরি শিক্ষার হার জাপানে ৭১% ও জার্মানিতে ৭৩%। বাংলাদেশে মাত্র ৮%। আইটির শিক্ষাও তথৈবচ। যা’হোক, শিক্ষাকে সময়োপযোগী করা হচ্ছে প্রায় সব দেশেই। মহাকাশেও শিক্ষার কার্যক্রম চালু করেছে অনেক দেশ। শিক্ষার এই সর্বদা পরিবর্তনের সাথে যারা তাল মিলিয়ে চলছে, তারা উন্নতি করছে। আর যারা পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না, তারা পিছিয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ রয়েছে পিছিয়ে পড়ার কাতারে! কারণ, বাংলাদেশের শিক্ষার বেশিরভাগ সেকেলেই রয়েছে। তারও বিভাজনের অন্ত নেই। যেমন: ইংরেজি ভার্সন, আরবি ভার্সন, সাধারণ শিক্ষা এবং ধর্ম ভিত্তিক শিক্ষা ইত্যাদি। বইয়ের ভারে ও চাপে শিশুরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। উপরন্তু সব শিক্ষার মান খুব নি¤œ! ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘নাগরিক কর্তৃক মূল্যায়ন-২০২২’ মতে, পাঁচ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থীর ১৬% ইংরেজি বর্ণ চেনে না। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কিছু শিক্ষার্থী বর্ণমালা পর্যন্ত ভুলে গেছে। শিক্ষার এই নি¤œ মানের প্রভাব পড়ে উচ্চ পর্যায়ে। সর্বোপরি শিক্ষার হার আশাব্যাঞ্জক নয়। বিবিএস’র আর্থসামাজিক ও জনমিতিক জরিপ-২০২৩ মতে, দেশে পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সের নাগরিকদের মধ্যে ৭৭.৭৩% লিখতে ও পড়তে পারেন। স্বাক্ষরযুক্ততার মানও চরম খারাপ। তাই একদিকে দেশে ব্যাপক দক্ষতার ঘাটতি চলছে, যা বিপুল ব্যয়ে পূরণ করা হচ্ছে বিদেশি দক্ষ লোক দিয়ে। অপরদিকে, বেকারের সংকট ভয়াবহ হয়েছে এবং তা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে! সর্বোপরি দক্ষতার ঘাটতির কারণে দেশের প্রবাসীদের আয় অনেক কম অন্যান্য দেশের তুলনায়! তেমনি অবস্থা ফ্রিল্যান্সিংয়েও। এ ক্ষেত্রে বৈশ্বিকভাবে জনবল সংশ্লিষ্টতায় দ্বিতীয় আর আয়ে অষ্টম! অদক্ষতার কারণে দেশেরও উৎপাদনশীলতার হার খুব কম! উদ্ভাবনেরও হার কম! ডাব্লিউআইপিও’র ‘বিশ্ব উদ্ভাবন সূচক-২০২৩’ মতে, ১৩২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০৫তম, স্কোর ২০.২। এ তালিকায় ভারত ৪০তম, পাকিস্তান ৮৮তম। দেশের শিক্ষার আর একটি বড় সমস্যা হচ্ছে, যখন যে সরকারে আসে, তখন সে শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করে। এভাবে শিক্ষা নিয়ে তুঘলকি কা- চলছে বহুদিন যাবত, যার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা! এতে শিক্ষার ক্ষতি হচ্ছে অনেক! অন্যদিকে শিক্ষা আইন নেই দীর্ঘদিন যাবত! ১৪ বছর যাবত চেষ্টা করার পরও তা চূড়ান্ত হয়নি! অন্যদিকে, দেশের শিক্ষা খাতে সরকারি বরাদ্দ খুব কম। জিডিপির দুই শতাংশের মতো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের অবস্থা খারাপ। তাই শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগ ব্যয়বহুল কোচিং-প্রাইভেট নির্ভর হয়ে পড়েছে! শিক্ষা উপকরণের মূল্য অত্যধিক। সব মিলে শিক্ষা ব্যয় ব্যাপক, যার সিংহভাগ বহন করতে হয় শিক্ষার্থীদের। ইউনেসকোর গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং রিপোর্ট-২০২২ মতে, বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে মোট খরচের ৭১% বহন করে শিক্ষার্থীরা, যা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ। গত দশকে বাংলাদেশ সরকার মোট জিডিপির ২.৫% কম খরচ করেছে, যা জাতিসংঘের সুপারিশ করা ৪% সীমার অনেক নিচে। অত্যধিক শিক্ষা ব্যয় বহন করতে না পেরে গরিব শিক্ষার্থীদের বিরাট অংশ ঝরে পড়ছে প্রতিবছরই। বাল্য বিবাহের হার অত্যধিক এবং দারিদ্রের কারণে শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বার্ষিক প্রাথমিক বিদ্যালয়শুমারি-২০২৩ মতে, ২০২৩ সালে দেশে প্রাথমিকে মোট শিক্ষার্থী তার আগের বছরের চেয়ে ৮ লাখ ৩২ হাজারের বেশি কমে গেছে। অথচ, এই সময়ে মানুষ বেড়েছে। শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার হার উপরের পর্যায়ে ক্রমান্বয়ে আরো বেশি! শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে সর্বাধিক! বিএসএস’র আর্থসামাজিক ও জনমিতি জরিপ-২০২৩ মতে, শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার ছয়টি মূল কারণ হচ্ছে: বিয়ে করা (মেয়ে ৭১% ও ছেলে ৩%), কর্মে যুক্ত হওয়া, আর্থিক অস্বচ্ছলতা, পড়ালেখায় অনীহা, কাজ খোঁজা, করোনা মহামারির পর আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না ফেরা। অপরদিকে, শিক্ষা ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে বাংলাদেশের শিক্ষা ধনীক শ্রেণির হয়ে পড়েছে! জেনারেল লাইনে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের প্রবণতা সর্বাধিক, যা জীবিকার কাজে তেমন লাগে না। ধনীদের সন্তানের অধিকাংশই বিদেশে শিক্ষা গ্রহণ করে, যার অধিকাংশই দেশে আসে না। বিদেশেই স্থায়ী হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একাংশ ভাঙ্গাচুরা, প্রয়োজনীয় বাথরুম, সুপেয় পানি, খেলার মাঠ, ছাত্রীদের পৃথক টয়লেট, বিনোদন কেন্দ্র, প্রার্থনালয় ইত্যাদি নেই। এ অবস্থা প্রাথমিক স্কুলেই বেশি। মাধ্যমিক, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা ভালো নয়। বিশেষ করে বেসরকারি পর্যায়ের। সম্প্রতি বেসরকারি পর্যায়ে ব্যাঙের ছাতার মতো বিশ্ববিদ্যালয প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যার অধিকাংশের নিজস্ব ক্যাম্পাস নেই। একটি বিল্ডিংয়ের ২/৩টি ফ্লাট ভাড়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম পরিচালনা করা হচ্ছে, যার অধিকাংশেরই শিক্ষার মান খুব খারাপ। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সার্টিফিকেট সর্বস্ব বলে খ্যাত হয়েছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েরও মান ভালো নয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশ্বিক সূচকসমূহে দেশের বিশ্ববিদালয়গুলোর অবস্থান তলানিতে! ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংস ২০২৫: টপ গ্লোবাল ইউনিভার্সিটিজ’ শীর্ষক তালিকায় ১,৫০৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ভারতের ৩৪টি ও পাকিস্তানের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেলেও বাংলাদেশের মাত্র ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে (সরকারি দুটি ও বেসরকারি একটি)। স্কুল-কলেজের র‌্যাঙ্কিং করা হলে অনুরূপই ফল হবে! শিক্ষার্থী, শিক্ষক, রাজনৈতিক, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে মাঝে মাঝেই। এতে শিক্ষার ব্যাপক ক্ষতি হয়। এছাড়া, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের পদ বহুদিন যাবত শূন্য রয়েছে অর্ধেকের বেশি (কর্মচারীর অবস্থাও তাই)। ব্যানবেইসের ২০২৩ সালের তথ্য মতে, দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি ও গণিত শিক্ষকদের প্রায় ৮৫ শতাংশেরই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেই। উপরন্তু বেশিরভাগ শিক্ষকের কোনো প্রশিক্ষণ নেই। অন্যদিকে, বাংলাদেশের শিক্ষকদের বেতন অনেক কম অন্য দেশের তুলনায়। এমনকি সার্কভুক্ত দেশগুলোরও মধ্যে। গত ২২ জুন খবরে প্রকাশ, ‘মাধ্যমিকে বাংলাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রারম্ভিক বেতন ১৭,৫০০ টাকা, ভারতে ৪০ হাজার টাকা, পাকিস্তানে ৩০ হাজার টাকা, শ্রীলঙ্কায় ৩২ হাজার টাকা, নেপালে ৩৫ হাজার টাকা, ভুটানে ৩৯ হাজার টাকা ও মালদ্বীপে ৯০ হাজার টাকা।’ শিক্ষকদের বেতনের এই অবস্থা শিক্ষার সব পর্যায়েই। বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরি, যন্ত্রপাতি, ইন্সট্রাকটর, কর্মচারী, শিক্ষক নেই। লাইব্রেরিও নেই। যেখানে লাইব্রেরি আছে, সেখানে পর্যাপ্ত বই নেই। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকগুলোর শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতন পরিশোধ হয় না নিয়মিত। অবসরোত্তর কোনো সুবিধাদিও পায় না তারা। শিক্ষার পরিবেশও অনুকূল নয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাংগঠনিক হানাহানি ব্যাপক। তাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে অনেক দিন। এছাড়া, পরিচালনা কমিটির মান নিয়ে যেমন প্রশ্ন রয়েছে, তেমনি কমিটির মধ্যে দ্বন্দ্ব ব্যাপক। শিক্ষা খাতে দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি, নকল, প্রশ্নপত্র ফাঁস ইত্যাদি ব্যাপক।
অর্থাৎ দেশের শিক্ষা খাতের অবস্থা চরম খারাপ! ফলে দেশের কাক্সিক্ষত ও সার্বিক উন্নতি হচ্ছে না। এই অবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার, বিশেষ করে এআই ভিত্তিক প্রযুক্তির ব্যবহার হুহু করে বাড়ছে বিশ্বব্যাপীই। চ্যাটজিপিটি প্রায় সব ক্ষেত্রেই বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনছে। সুনির্দিষ্ট কণ্ঠের রেকর্ডিং করতেও (ভয়েস ক্লোনিং) এআই পারদর্শী। ফলে এআই মানুষের প্রতিদ্বন্ধী হয়ে উঠার আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। তাই জনবহুল দেশে বেকারত্ব বেড়ে মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থা সর্বাধিক হবে নিঃসন্দেহে। কারণ, প্রযুক্তি ব্যবহার না করলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা এবং এলডিসি উত্তরণের সংকট মোকাবেলা করা কঠিন। বিবিএস’র সাম্প্রতিক তথ্য মতে, বাংলাদেশে বছরে ২০-২২ লাখ তরুণ কর্মবাজারে যুক্ত হয়। এর মধ্যে দেশীয় বাজারে ১২-১৩ লাখের কর্মসংস্থান হয়, যার প্রায় ৮৫% কর্মসংস্থান হয় অনানুষ্ঠানিক খাতে স্বল্প বেতনে, বাকিরা শোভন চাকরিতে যায়। আর ৮-৯ লাখ মানুষ প্রবাসে যায়। বাকিদের কাজের কোনো সুযোগ নেই।

দেশের সার্বিক ও টেকসই উন্নতির জন্য সময়োপযোগী তথা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষা অপরিহার্য। উপরন্তু এসবের সার্বক্ষণিক হালনাগাদ উদ্ভাবন শিক্ষার সাথে যুক্ত করতে হবে। অন্যদিকে, ইংরেজি ভাষা আন্তর্জাতিক ভাষা। এর গুরুত্ব বিশ্বব্যাপীই। তাই এই ভাষাকে দেশের শিক্ষার সাথে যুক্ত করা দরকার। মূল্যবোধ জাগ্রত করার জন্য ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এটিও শিক্ষার সাথে যুক্ত করতে হবে। বেকারত্ব ঘুচানোর জন্য কারিগরি শিক্ষাও আবশক। ছাত্রীদের ন্যায় ছাত্রদেরও উপবৃত্তি দেওয়া হলে কারিগরি শিক্ষার প্রতি মানুষ ঝুঁকে পড়বে। দ্বিতীয়ত: প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সারা দেশে প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে নিয়মমাফিক ও আধুনিকভাবে। উপরন্তু সার্বক্ষণিক সব শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ এবং উপবৃত্তি ও বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদান বহাল রাখতে হবে। তৃতীয়ত: শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হবে। এ জন্য শিক্ষক ও কর্মচারীর সব শূন্য পদ পূরণ করা জরুরি। দ্বিতীয়ত: শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য মেধাবী শিক্ষক দরকার। শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা সর্বাধিক এবং নিয়োগে স্বচ্ছতা আনলে দেশের মেধাবীরা শিক্ষকতায় নিয়োজিত হবে। শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব হলে শিক্ষার পরিবেশ, হার ও মানের উন্নতি হবে। তাতে দেশের সার্বিক ও টেকসই উন্নতি ত্বরান্বিত হবে।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

কসবায় মুসল্লিদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

কসবায় মুসল্লিদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

এবার সোনারগাঁয়ে শেখ হাসিনা-রেহানা-অরুণা ও রোকেয়া প্রাচীসহ ১৭৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

এবার সোনারগাঁয়ে শেখ হাসিনা-রেহানা-অরুণা ও রোকেয়া প্রাচীসহ ১৭৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

দেবহাটায় বজ্রপাতে এক ঘের ব্যবসায়ি নিহত

দেবহাটায় বজ্রপাতে এক ঘের ব্যবসায়ি নিহত

শ্রমিকদল ও সন্মিলিত শ্রমিক পরিষদভুক্ত ২১টি শ্রমিক সংগঠনের জরুরী যৌথসভা অনুষ্ঠিত

শ্রমিকদল ও সন্মিলিত শ্রমিক পরিষদভুক্ত ২১টি শ্রমিক সংগঠনের জরুরী যৌথসভা অনুষ্ঠিত

আসাদুজ্জামান নূর-মাহবুব আলীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ আদালতের

আসাদুজ্জামান নূর-মাহবুব আলীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ আদালতের

নাতে রাসুল গাইলেন হিন্দু শিক্ষিকা, নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছেন

নাতে রাসুল গাইলেন হিন্দু শিক্ষিকা, নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছেন

ভোলায় যৌথবাহিনীর অভিযানে কল্লাকাটা মিজানসহ ৭ সন্ত্রাসী আটক

ভোলায় যৌথবাহিনীর অভিযানে কল্লাকাটা মিজানসহ ৭ সন্ত্রাসী আটক

সিলেটের দুর্বৃত্তের হামলায় আহত কাউন্সিলর আফতাবের ভাতিজাসহ ২ জন

সিলেটের দুর্বৃত্তের হামলায় আহত কাউন্সিলর আফতাবের ভাতিজাসহ ২ জন

গুরুদাসপুরে যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ আওয়ামীলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে

গুরুদাসপুরে যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ আওয়ামীলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে

বিরলে ট্রেনে কাটা পড়ে এক মহিলার মৃত্যু

বিরলে ট্রেনে কাটা পড়ে এক মহিলার মৃত্যু

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের বঞ্চনা নিরসনে কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের বঞ্চনা নিরসনে কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার

আইসিসির অগাস্টের সেরা হলেন দুই লঙ্কান

আইসিসির অগাস্টের সেরা হলেন দুই লঙ্কান

বগুড়ায় রিজভীর সতর্কবার্তা, পতিত স্বৈরাচার যেন মাথাচাড়া না দেয়

বগুড়ায় রিজভীর সতর্কবার্তা, পতিত স্বৈরাচার যেন মাথাচাড়া না দেয়

বিরল সীমান্তে অবৈধ পথে ভারতে পালানোর সময় বিজিবি'র হাতে নারী শিশুসহ ১৬ ব্যক্তিকে আটক

বিরল সীমান্তে অবৈধ পথে ভারতে পালানোর সময় বিজিবি'র হাতে নারী শিশুসহ ১৬ ব্যক্তিকে আটক

সাবেক মন্ত্রী নূর ও প্রতিমন্ত্রী মাহবুবকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন

সাবেক মন্ত্রী নূর ও প্রতিমন্ত্রী মাহবুবকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা দলে ওশাদা

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা দলে ওশাদা

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে জাবিতে নানা আয়োজন

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে জাবিতে নানা আয়োজন

চাঁদপুরে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয় নবাগত জেলা প্রশাসকের

চাঁদপুরে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয় নবাগত জেলা প্রশাসকের

ভারত সিরিজে যেসব মাইলফলক হাতছানি দিচ্ছে মুশফিক-মিরাজদের

ভারত সিরিজে যেসব মাইলফলক হাতছানি দিচ্ছে মুশফিক-মিরাজদের

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ৪৬ ঘণ্টা পর লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ৪৬ ঘণ্টা পর লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক