মাদরাসার ইবতেদায়ি স্তরকে রক্ষা করতে হবে
১১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ এএম
আল্লাহ তায়ালা নবী-রাসূলগণকে ৪টি দায়িত্ব দিয়ে মানবজাতির নেতৃত্ব দানের জন্য প্রেরণ করেছেন। যথা: (১) তিলাওয়াতে আয়াত, (২) তাযকিয়া বা পরিশুদ্ধকরণ, (৩) তা’লীমে কিতাব বা কুরআন মজীদের শিক্ষাকে জানা ও বুঝা, (৪) তা’লীমে হিকমাত তথা কুরআনকে ব্যক্তি পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনৈতিক জীবনে এবং আন্তর্জাতিক পরিম-লে বাস্তবায়নের কলাকৌশল ও উপায় উপকরণ সম্পর্কে জানা ও প্রয়োগ করার জ্ঞান। এ জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। জাগতিক প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন গরজ বা প্রয়োজন।
আলকুরআনের ঘোষণা মোতাবেক, প্রিয় নবী (সা.) মক্কা-মোয়াজ্জমায় দারুল আরকামে আল্লাহর কালামের বিশুদ্ধ তিলাওয়াত, আল্লাহ তায়ালার নিদর্শন অনুধাবন, আকিদা ও চারিত্রিক ক্ষেত্রে বিদ্যমান কলুষতা দূর করার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। সেখান থেকে শুরু হয় ইসলামি শিক্ষার ধারাবাহিক প্রচেষ্টা। দীর্ঘ ১৪শ’ বছর মুসলমানগণ আল্লাহর কালামের তিলাওয়াত, অনুধাবন, বাস্তব জীবনে বাস্তবায়ন ও চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধনের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন মকতব, ফোরকানিয়াসহ বিভিন্ন নামে। এ দীর্ঘ সময় মুসলমানদের শিক্ষা ব্যবস্থা একটাই ছিল, তা হলোÑ মাদরাসা শিক্ষা।
আগে মুসলিম সন্তানেরা ৬ বছরের ফোরকানিয়া কোর্সে জ্ঞানের প্রাথমিক ভিত্তি মজবুত না করে অন্য কোনো শিক্ষার কল্পনাই করত না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বৃটিশ বেনিয়া গোষ্ঠী এ দেশ জবর দখলের পর নানা কলা কৌশলে এ শিক্ষা ধারাকে বিলুপ্ত করার অপচেষ্টা চালায়। বহুলাংশে তারা সফলও হয়। কিন্তু উপমহাদেশের পীর-মাশায়েখ তাদের খানকা, ওলীগণের মাযার কেন্দ্রিক এ ধারার মাদরাসাকে ধরে রাখেন, মসজিদ কেন্দ্রিক এ শিক্ষা অব্যাহত থাকে। পাকিস্তান আমলে যারাই সরকারে এসেছেন মাদরাসা শিক্ষাকে কাক্সিক্ষত মানে গুরুত্ব দেননি, যার ফলে বৃটিশদের দেয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী শিক্ষাধারা দু’ভাগে চলতে থাকে। সাধারণ শিক্ষা ও মাদরাসা শিক্ষা, কিন্তু বাস্তবতা হলো, সাধারণ শিক্ষা নামের শিক্ষা ব্যবস্থা সকল সুযোগ-সুবিধা লাভ করলেও অসাধারণ মাদরাসা শিক্ষা সব সময় বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার হয়েই আসছে।
সাদা চামড়ার বৃটিশরা চলে গেলেও তাদের পুরো আদর্শ নিয়ে কালো চামড়ার তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন ক্ষমতার মসনদে। বাংলাদেশ আমলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মকতব শিক্ষা পুনরায় চলতে থাকে। বেসরকারি মাদরাসা ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে কামিল পর্যন্ত চলমান থাকে। কিন্তু ফিডার ক্লাশ ইবতেদায়ি না থাকায় শিক্ষার্থী সংখ্যা বাঞ্চিত মানে না হওয়ায় প্রয়োজন দেখা দেয় ইবতেদায়ি স্তরকে সংযোজন করা। সরকার কর্তৃক প্রাইমারি শিক্ষাকে সরকারি ও অবৈতনিক ঘোষণা দিয়ে জাতীয় শিক্ষার বুনিয়াদ স্থাপন করা হয়। মাদরাসা শিক্ষাকে টিকিয়ে রাখার জন্য ১৯৮৪ সালে এমপিওভুক্ত দাখিল মাদরাসায় ইবতেদায়ি সংযোজন করা হয়। পাশাপাশি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তৎকালীন সরকার উদ্যোগ নেয়। জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের তৎকালীন সভাপতি মাওলানা এম. এ মান্নান (রহ.) এর প্রচেষ্টায় মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার ইবতেদায়ি মাদরাসাকে মঞ্জুরী প্রদান করে। কিন্তু পরবর্তীতে নীতিমালা না করায়, সরকারি অনুদান ও সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত হয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ১২,৪৪৪টি মঞ্জুরি প্রাপ্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়। ৮,৯৫৬টি মাদরাসার অস্তিত্ব সরকারি অনুদান ও সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত হয়েও টিকে থাকে। বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের ১৩টি সম্মেলন ও জমিয়ত সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দিনের নেতৃত্বে মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজীর সঞ্চালনায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক মহাসম্মেলনে উত্থাপিত দাবি ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা উন্নয়নে গঠিত বিভিন্ন সংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে বিগত সরকার প্রধান ২০১৯ সালের ৮ মে ইবতেদায়ি নীতিমালা স্বাক্ষর প্রদান করলেও বিগত ৫ বছরে এ নীতিমালা আলোর মুখ দেখেনি। ফলে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা পরিচালনা, শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ, অধিভুক্তির নবায়ন, একাডেমিক স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি কোনটাই সম্ভব হয়নি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর নতুন আঙ্গিকে ইবতেদায়ি নীতিমালা ২০২৪ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা প্রশংসার দাবিদার ও আশাব্যাঞ্জক।
বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রী, দু’জন শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিব স্বাক্ষরিত পরিপত্র মোতাবেক ৪৩১২টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার এমপিওভুক্তির পরিপত্র থাকলেও কোনো অদৃশ্য কারণে দীর্ঘ ৫ বছরে এ পরিপত্র কার্যকর হয়নি, তা আমাদের জানা নেই। ফলে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা বৈষম্যের শিকার হয়ে দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের আন্দোলনের ফলে মাত্র ১,৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় ৪ জন করে শিক্ষকের মাদরাসা প্রধানগণ ২৫০০ টাকা এবং সহকারীগণ ২৩০০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। বাকি মাদরাসাসমূহ বিনা বেতন ও সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত অবস্থায়ও পাঠদান অব্যাহত রেখেছে। অপরদিকে সংযুক্ত ৯২৭৮টি ইবতেদায়ি শাখার জন্য নেই বৃত্তি, উপবৃত্তি, নেই প্রাইমারির মতো সুযোগ-সুবিধা। এতে বেশিরভাগ দরিদ্র মানুষ সুযোগ-সুবিধা লাভের জন্য সন্তানাদিদের স্কুলে ভর্তি করাচ্ছে। ইবতেদায়ি স্তর চরম শিক্ষার্থী সংকটে দিন দিন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
আমাদের জানা আছে, বিগত সরকার এক নোটিশে ২৬ হাজার ১৫৯টি রেজিস্টার্ড প্রাইমারি স্কুলকে জাতীয়করণের আওতায় নিয়ে ১ লক্ষ ৪২ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকাকে সরকারি চাকরি দেয়। কিন্তু সরকারি সর্বশেষ হিসেবে ৪৩১২টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার একটিও কি জাতীয়করণের যোগ্য ছিল না? বৈষম্যেরও তো একটা সীমা আছে। দেশে সরকারি-বেসরকারি প্রাইমারি স্কুলের সংখ্যা বর্তমানে ১,২৯,২৫৪ এর অধিক। এছাড়া এনজিও পরিচালিত হাজার হাজার স্কুল উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি নিয়ে স্বনামে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ ও বিনামূল্যে বই পাচ্ছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থী সংকট সেখানে হয় না। অথচ, সরকারি ও বেসরকারি দাখিল মাদরাসা প্রায় দশ হাজার। ইবতেদায়ি মাদরাসা মঞ্জুরী, এমপিও ভুক্ত ও সুযোগ-সুবিধা না থাকায় শিক্ষার্থী সংকট দিনের পর দিন আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসাসমূহের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী সংকটে অনায়াসেই বন্ধ হয়ে যাবে।
আরেকটি দুঃখজনক ও জুলুম মাদরাসা অঙ্গনে চলছে, যা কোনো যুক্তিতেই মেনে নেয়া যায় না। তা হলো, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাসমূহে ভাতা দেয়া হবে এই যুক্তি দেখিয়ে গত ২০০৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা শা: ১৪/ বিবিধ ২২/৯৮/৬০৮ (৮) স্মারকমূলে নতুন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা মঞ্জুরী বন্ধ করে দেয়া হয়। মন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালকগণের কাছে বিগত ১৬ বছর বারবার অনুরোধ, অনুনয় এবং ইসলামি শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশের ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবে ৪টি জাতীয় সেমিনারে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরার পরও কোনো অদৃশ্য শক্তির ইঙ্গিতে নতুন ইবতেদায়ি মাদরাসা অধিভুক্তি বা মঞ্জুরির বদ্ধ দ্বার খোলা হয়নি। মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয়গণ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না পাওয়ায় সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এর রুদ্ধদ্বার খুলতে পারেননি।
এদিকে ২০২২ ও ২০২৩ সালে স্কুলের বৃত্তি পরীক্ষা চালু থাকলেও মাদরাসাকে সম্পূর্ণ বাদ দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রাইমারির জন্য অর্ধশতাধিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (পিটিআই) থাকলেও সংযুক্ত ও স্বতন্ত্র মিলে ১৫ হাজারের অধিক মাদরাসার শিক্ষকগণের জন্য প্রশিক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। বিগত প্রায় ৪০ বছরেও একজন শিক্ষকের প্রশিক্ষণের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। প্রাইমারি উন্নয়নকল্পে প্রাক প্রাথমিক স্তর রয়েছে। সেখানে শিক্ষক বরাদ্দ ও সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে ৩৭ হাজার ৬৭২ জন শিক্ষক নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে পাঠদান করে যাচ্ছেন। কিন্তু মাদরাসার জন্য এই স্তরটি নেই। সংযুক্ত ইবতেদায়ি প্রধানগণ বেশিরভাগ কামিল তথা মাস্টার্স ডিগ্রি পাস হলেও তারা বেতন পাচ্ছেন একজন অফিস সহায়কের সমান। যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন কাঠামো না পেয়ে যুগের পর যুগ তারা বৈষম্য ও জুলমের শিকার হয়ে আছেন। এ দেশে ডিগ্রি ও মাস্টার্স ডিগ্রি পাশ প্রাইমারি প্রধান শিক্ষকগণ যে শিক্ষাক্রম ও সিলেবাস অনুসরণ করে পাঠদান করছেন, ইবতেদায়ি শিক্ষকগণ একই শিক্ষাক্রম ও সিলেবাসে পাঠদান করে যাচ্ছেন। উপরন্তু মাদরাসার স্বকীয় ৪টি মৌলিক বিষয় পাঠদান করে যাচ্ছেন। প্রাইমারি স্কুলের অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু ইবতেদায়ি স্তরে এর কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রাইমারি স্তরের ব্যবস্থাপনা ও মানোন্নয়নের জন্য মনিটরিংয়ের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার রয়েছে। ইবতেদায়ি স্তর মনিটরিংয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই।
ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে এমন উদাসীনতা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় অতীতের বিলুপ্ত ১,৭০৫টি নিউ স্কিমের কথা, যেগুলো সবই মাদরাসা ছিল। আজকে একটিও মাদরাসা নেই। সবগুলো স্কুলে পরিণত হয়েছে। তাই এ অবহেলিত ও বিলুপ্তপ্রায় ইবতেদায়ি স্তরকে বাঁচাতে হলে প্রয়োজন :
১) মাদরাসার ইবতেদায়ি স্তরকে জাতীয়করণের আওতায় নেয়া। তাতে বিলম্ব হলেও এমপিওভুক্ত করা।
২) ইবতেদায়ি নীতিমালা ২০২৪ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা।
৩) নতুন ইবতেদায়ি মাদরাসা প্রতিষ্ঠার জন্য মঞ্জুরীর স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডকে মঞ্জুরী প্রদান, নবায়নের সুযোগ করে দেয়া।
৪) দেশের ৯২% ভাগ মুসলিম ও বিভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী তথা বেশিরভাগ মানুষের ঈমান, আকিদা ও দেশপ্রেমের মানসিকতা গড়ে তোলা এবং আচরণ বিদ্যা বাস্তবে রপ্ত করার জন্য ইবতেদায়ি শিক্ষাক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যবই তৈরির ব্যবস্থা করা।
৫) স্বতন্ত্র ও সংযুক্ত ইবতেদায়ি মাদরাসাসমূহকে প্রাইমারির মতো উপবৃত্তিসহ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা।
৬) ইবতেদায়ি স্তরের শিক্ষকগণের প্রশিক্ষণের জন্য পি.টিকে.আই এর আদলে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা।
৭) ইবতেদায়ি শিক্ষকগণদের জন্য প্রাইমারি স্কুলের মতো বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা।
৮) মঞ্জুরীপ্রাপ্ত বিলুপ্ত ১৬ হাজারের অধিক স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা সহজ শর্তে পুনর্জ্জীবিত করা।
(৯) বেসরকারি প্রাইমারি ও এনজিও স্কুলের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাসমূহকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোড নম্বর দিয়ে স্বনামে পরীক্ষা দানের সুযোগ ও বিনামূল্যে বই সরবরাহ করা।
১০) প্রাইমারি স্কুলের প্রাক প্রাথমিকের মতো ইবতেদায়ি মাদরাসায় প্রাক ইবতেদায়ি শ্রেণি চালু করা।
(১১) প্রাইমারি স্কুলের মতো ইবতেদায়ি স্তরের জন্য অবকাঠামো ও শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করা।
(১২) প্রাইমারির মতো ইবতেদায়ি স্তরে বৃত্তি পরীক্ষা দানের সুযোগ দেয়া।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গফরগাঁওয়ে ভিজিডির ৫১ বস্তা চুরি
গোলাপগঞ্জে মাদক সেবনের অপরাধে দুই জনকে জরিমানা ও কারাদণ্ড
ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়ন থেকে রাজনৈতিক দলগুলো শিক্ষা নেয়নি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ঢাকাকে উড়িয়ে আসর শুরু রংপুরের
নিজ জমিতে যাওয়া হলো না সিলেটে এক ব্যবসায়ীর : হামলা করলো যূবদলনামধারী ভূমিখেকো চক্র
প্রতারণার দায়ে অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে সমন জারি
রেকর্ড পুনরুদ্ধার করে শাহিদির ২৪৬, রেকর্ড গড়ল আফগানিস্তানও
‘ইসলাম প্রচার প্রসারে সউদী সরকার ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে’
টেলিটকের দুটি স্পেশাল ডাটা প্যাকেজের উদ্বোধন করলেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি করবে সরকার: প্রেস সচিব
এসিআই লিমিটেড ২০ শতাংশ নগদ এবং ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে
এবার ছাত্রদল সভাপতির পাশে দাঁড়ালেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কোয়ালিফাইয়ারের বাধা টপকাতে চায় রংপুর
খুশদিলের শেষের ঝড়ে রংপুরের বড় সংগ্রহ
চোখের চিকিৎসায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও ইস্পাহানী চক্ষু হাসপাতালের যৌথ উদ্যোগ
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সব তথ্য প্রকাশ করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা
১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ট দেয়ার ঘোষণা বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের
এনআরবিসি ব্যাংকের বামেলকো কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
১৭ দিন মৃত সন্তানকে বহন করেছিল, ফের মা হল সেই ওরকা তিমি
দীর্ঘ ১৪ দিন পর চালু হলো পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন