প্রশাসনিক সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ এএম | আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ এএম
ঊনিশ শতাব্দী নাগাদ ইউরোপীয় দেশগুলোর রাষ্ট্র পরিচালনায় আমলাতন্ত্র বড় ভূমিকা নিতে শুরু করে। আমলাতন্ত্র বস্তুত আধুনিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অঙ্গ। রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের স্থায়ী বা অরাজনৈতিক অংশই আমলাতন্ত্র বা সিভিল সার্ভিস নামে পরিচিত। গণতন্ত্রে নীতিনির্ধারণ করেন রাজনৈতিক নেুৃবৃন্দ এবং সেই নীতি বাস্তবায়ন করেন আমলারা বা প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। বিগণ কয়েক দশক ধরেই সিভিল সার্ভিসের সংস্কার বিশ্বব্যাপী আলোচনার একটা গুরুত্বর্পূণ বিষয়বস্তু হয়ে আসছে। কোনো কোনো দেশের প্রশাসনিক সংস্কার দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের জনপ্রশাসন ব্যবস্থায় গুরুতপূর্ণ প্রভাবও সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। বিগণ শতাব্দীতে আমলাতন্ত্রের পরিসরও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে পুরাতন আমলাতান্ত্রিক দেশ বৃটেনে সরকারি কর্র্মকর্তা-কর্মচারী সংখ্যা প্রায় ৭.৫ লাখে উন্নীত হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তিনটি পর্যায়ে ১৮০৮ সালে মোট কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১২৬ জন, ১৯৭০ সালে তা ১২ লাখে উন্নীত হয়। ভারতে ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সালে সরকারি কর্মচারীদরে সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৩৯.৪৫ লাখ ও ৪০.১২ লাখ। ভারতের আমলাতন্ত্র সম্পর্কে মিশ্র ধারণা বিদ্যমান রয়েছে। কেউ কেউ এর মধ্যে সমাধানের তুলনায় সমস্যাই বেশি দেখতে পান। একদিকে তাদের সংখ্যা অনেক বেশি, অন্যদিকে তারা বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাবদ ট্যাক্সদাতাদের কাছ থেকে যে অর্থ গ্রহণ করেন প্রতিদানে তার সমপরিমাণ সেবা প্রদান করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের কাজের পদ্ধতি জটিল, তারা অদক্ষ; তাদের দুর্নীতি এতই ব্যাপক যে, তা সার্বজনিনুা প্রতিষ্ঠার হুমকি সৃষ্টি করেছে। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত ভারতের পঞ্চম বেতন কমিশনের রিপোর্টে এই অভিযোগগুলো করা হয়েছে। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, একটি বেতন কমিশনের কাজ শুধু সরকারি কর্মচারীদের জন্য বেতন স্কেল প্রদানের সুপারিশ প্রদান করাই নয়, প্রশাসনিক সংস্কারের ব্যাপারে গুরুত্বর্পূণ সুপারশিও পেশ করা। আমলাতন্ত্ররে অবয়ব হ্রাস করা ভারতীয় বেতন কমিশনের অন্যতম সুপারিশ ছিল। ভারত, পাকিস্তান কিংবা বৃটিশ কলোনিভুক্ত সাবেক দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে আমলাতন্ত্র বা সিভিল সার্ভিসের প্রসার ও ব্যাপ্তি দ্রুত ও ব্যাপক। তাদের সেবার মানও অনেক নিচু। ট্রান্সপারন্সি ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট অনুযায়ী, আমাদের আমলাতন্ত্রের ভিত্তি হিসেবে পরিচিত ১ম শ্রেণীর কর্মকর্তারাই হচ্ছেন সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত। দেশের মানুষ তাদের কাছ থেকে সেবার পরিবর্তে শোষণের শিকারই হন বেশি।
১৯৭২ সালে, স্বাধীনতার অব্যবহিত পর আমাদের আমলাতন্ত্রের আকার ছিল ৪৫ হাজার ৪৪৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে গঠিত। ১৯৮২ সালে তা ৭ লাখ ৭৯ হাজার, ১৯৯২ সালে ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭৪৯ এবং ১৯৯৮ সালে ১০ লাখ ৪৫ হাজার ৪৪৭ জনে উন্নীত হয়। বর্তমানে আমাদের আমলাতন্ত্ররে সদস্য সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১২ লাখ। সরকারি, আধাসরকারি ও কর্পোরেশেনগুলো ধরলে এ সংখ্যা প্রায় ১৮ লাখ হবে। আমাদের মোট, জাতীয় বাজেটের প্রায় ১৫% এদের পেছনে ব্যয় হয়। এরা কী কাজ করেন জনগণ তার অধিকাংশ সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না। তবে তাদের অধিকাংশ যে ঘুষ ছাড়া কাজ করেন না এবং ট্যাক্সদাতাদের ওপর জুলুম করেন এটা সর্বজনবিদিত। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আমলাতন্ত্রের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক এবং একে সেবামুখী ও অধিকতর কার্যকর ও ব্যয়সাশ্রয়ী করার জন্য সম্ভবত পাকিস্তান আমল থেকেই (যেমন কর্নেলিয়াস রিপোর্ট) প্রচেষ্টা চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন কিছু কাজ করেছে এবং জনবল যৌক্তিকীকরণের জন্য সুপারশিও পেশ করেছে। এই সুপারিশসমূহের অংশবিশেষ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এই সুপারিশ সবগুলো যে মেনে নেয়ার মতো, তা নয়। তবে জনগণের দুর্দশা লাঘব এবং সরকারি সেবা তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছিয়ে দেয়ার ব্যবস্থাকে সহজ ও ত্বরান্বিত করার পদক্ষেপ হিসেবে আমলাতন্ত্রের কাঠামো পুনর্গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ-পদোন্নতি দিয়ে এমন অবস্থায় সৃষ্টি করা হয়েছে যে, এখন কর্মকর্তাদের বসার স্থানও নেই। পদোন্নতি দেয়ার জন্য কাজ ছাড়া অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাদের সন্তুষ্ট রেখে সরকার বার বার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য শুধু প্রমোশন নয়, তাদের বেতন-ভাতাও পাঁচ গুণের বেশি বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আমলারা মানুষের সেবক নয়, সরকারের সেবাদাসে পরণিত হয়েছে। এই অবস্থার আমূল সংস্কার প্রয়োজন।
প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশন সংস্কার একে অন্যের পরিপূরক। যেহেতু পাবলিক সার্ভিস কমিশন একটি প্রতিষ্ঠিত সাংবিধানিক কাঠামোগত কমিশন বিধায় প্রশাসনিক সংস্কার কমিশনকে এই পরিকাঠামোর আওতায় অঙ্গীভূত করে একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের রূপরেখা দিয়ে দাঁড় করানো যেতে পারে অথবা রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক কাউন্সিল গঠন করে এই কাউনসিলের আওতায় প্রশাসনিক ও প্রশিক্ষণ সংস্কার কমিশন নামে একটি আলাদা কমিশন গঠন করা যেতে পারে। অধিকন্তু প্রশিক্ষণ প্রশাসনের আওতায় প্রশাসন কমিশনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের সংস্কার কাজ চলমান রাখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ঐ কাউন্সিলের নাম হতে পারে জাতীয় প্রশাসনিক ও প্রশিক্ষণ কাউন্সিল। যদিও আমাদের রাষ্ট্রে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিল নামের একটি সাইনবোর্ড সর্বস্ব কাউন্সিল আছে, কিন্তু এ কাউন্সিলের কোনো কার্যকারিতা নেই। যাইহোক, প্রশাসনিক এই কমিশনকে কাজ করতে হবে। মোটামুটিভাবে পাবলিক সার্ভিস কমিশন, শিক্ষা কমিশন, নির্বাচন কমিশন বিগত দিনে সংস্কারের যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে কমিশনগুলো কোনো কৃতিত্বের স্মারক প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে বলে মনে হয় না। কমিশনের ভালো-মন্দ দিকগুলোকে বিবেচনায় আনতে হবে। নতুন করে কোন ট্রায়াল-অ্যারর ম্যাথড বা প্রজেক্ট দিয়ে শুধুমাত্র সময়ক্ষেপণ হবে। তবে বিগত দিনের কর্মকৌশল বর্তমান ও একবিংশ শতাব্দির সামনের দিনগুলোর জন্য সময় উপযোগী প্রশাসনিক সংস্কারের একটি রূপরেখা তৈরি হতে পারে। নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের চাকরি-পূর্ব প্রশিক্ষণের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। প্রশিক্ষণ শেষে চাকরিতে প্রবেশ করলে নতুন চাকরিপ্রাপ্তদের প্রবেশন পিরিয়ড দীর্ঘ করতে হবে। এ সময় তাদের যোগ্যতা ও সততা গোপনভাবে পরীক্ষা করা যেতে পারে। এ কাজে প্রয়োজনে স্টিং অপারেশনের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। প্রশাসক জনগণকে সেবা প্রদানের কাজে গুরুত্ব কমিয়ে নিজের উন্নয়নে যাতে কাজ না করতে পারেন, তার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে।
পাবলিক সার্ভিস কমিশন ও বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতিপরায়ন হয়ে পড়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও সংস্কারের ধারে কাছেও ছিল না। একজন স্বৈরাশাসকের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে ক্ষমতা বা পদে আসীন থাকতেই তারা বিভোর ছিলেন। পাবলিক সার্ভিস কমিশন প্রচলিত কোটাকে খেয়ালখুশিমত অপব্যবহার করে মেধার কোটাকে নষ্ট করেছে। বিগত স্বৈরাশাসকের আমলে ছাত্রলীগ নামক অলিখিত কোটার প্রবর্তন করে এ বর্ণিত কমিশন অনেক অনিয়ম করেছে। বিগত সরকারের আমলে একটি মাফিয়া চক্র প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো অনৈতিক কাজে জড়িত থেকে লক্ষ কোটি টাকার বাণিজ্য করেছে এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে শুধু বিসিএস পরীক্ষার আনুষ্ঠানিকতার ও পরিচালনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেই চলে না, এ কমিশনকে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক একটি বার্ষিক পদোন্নতি ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে যথাযথ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা এবং বিগত সময়ের বার্ষিক কর্মকা-ের রিপোর্টের ভিত্তিতে মেধাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের উচ্চতর পদে নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দরকার ছিল। কমিশন এক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আমলাতন্ত্রকে সেবামুখী ও জনবান্ধব করা একটি দীর্ঘ ও সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। এজন্য সর্বপ্রথমে আমলাদের যোগ্যতা সুনিশ্চিত করার জন্য শিক্ষাব্যবস্থায় হাত দিতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে সুযোগ্য শিক্ষার্থীরা আমলাতন্ত্রে প্রবেশ করতে পারবেন। তারপর শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে তাদের নিয়োগ পদ্ধতিতে। মুখস্থ বিদ্যানির্ভর এমসিকিউ পদ্ধতির প্রচলন বন্ধ করতে হবে।
আমাদের দেশে রাজনৈতিক নেতৃত্বের দুর্বলতার সুযোগে আমলাতন্ত্র তার নখদন্ত প্রবলভাবে প্রকাশ করতে শুরু করে বিগত সব সরকারের আমলে। আমলাতন্ত্রের দৌরাত্ম্য দেখে অনেকে একে ‘আমলাশাহী’ও বলে থাকেন। মিশেলসের তত্ত্ব অনুযায়ী দুর্বল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আমলাতন্ত্র পরিণত হয় গোষ্ঠীতন্ত্রে এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বকে কুক্ষিগত করে ফেলে। আমাদের দেশে আমলাদের তেমন রূপই আমরা দেখেছি। আমরা জানি, অগণতান্ত্রিক সরকার আমলানির্ভর হয়। ফলে, সুষ্ঠু গণতন্ত্রের স্বার্থেই প্রয়োজন দক্ষ আমলাতন্ত্র। সেই আমলাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রজাতন্ত্রের সেবক হিসেবে নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন, এমনটাই প্রত্যাশা। অন্যথায়, প্রশাসন ভেঙে পড়তে পারে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। জাতীয় সেবা ও স্বার্থ পরিপন্থি আমলা তোষণ নীতিকে আমাদের কোনো অবস্থাতেই আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া ঠিক হবে না।
বর্তমান প্রশাসনিক কমিশনের প্রধান মো. মুঈদ চৌধুরী একজন সৎ, নিষ্ঠাবান, দক্ষ ও কর্মতৎপর মানুষ। তার কমিশনের সদস্যগণ প্রায় সকলেই হচ্ছেন প্রশাসন ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তা। প্রশাসনিক সংস্কার কি শুধু প্রশাসন ক্যাডারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে? প্রশাসনের ক্ষেত্র ব্যাপক ও বিস্তৃত। চিকিৎসা প্রশাসন, প্রকৌশল প্রশাসন, প্রযুক্তি প্রশাসন, খাদ্য প্রশাসন, ব্যবসা প্রশাসন ইত্যাদি সকল জায়গাতেই প্রশাসনের সরব উপস্থিতি লক্ষ করা য়ায়। সেজন্য প্রশাসনিক এ সংস্কার কমিটিতে শুধু প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের অধিকারী তা ভাবার সুযোগ নেই। তাদের সকল ক্ষেত্রেই দৃষ্টি রেখে ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনের সকল স্তরে সৎ, যোগ্য ও মেধাবী আমলাদের যথোপযুক্ত স্থানে বসিয়ে পেশাদারিত্ব ও কর্তব্যনিষ্ঠাকে প্রাধান্য দিয়ে একটি জনবান্ধব ও স্বচ্ছ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তী সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার বিকল্প নেই। তাহলেই ঘুষ, দুর্নীতি যেমন কমে যাবে, তেমনি সরকারের পক্ষেও জনগণের প্রত্যাশা পূরণ সম্ভব হতে পারে। উপনিবেশিক প্রশাসন ও আমলাতন্ত্র সামাজিক বৈষম্যের জন্য দায়ীÑ একথা নির্জলা সত্য। তবে প্রশাসনিক সংস্কার ও পুনর্গঠন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হলেও এ সরকার প্রশাসনিক সংস্কারে সামাজিক বৈষম্যের অবসান ঘটাতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়। পরিশেষে স্থানীয় প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা মাথায় রেখে দুটি অ্যাপ্রোচ যথাক্রমে নিউ প্যাবলিক ম্যানেজমেন্ট (এনপিএম) ও নিউ প্যাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনপিএ) এর সমন্বয়ে দেশে ব্যবসা-অনুকূল ও সবান্ধব একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়া তোলার এখনই সময়। এক্ষেত্রে পেশাজীবীদের অঙ্গীকারের অভাব থাকলেও এ সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতায় মৌলিক সংস্কার অনেকটাই সম্ভব।
লেখক: সাবেক উপ-মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
তালবাহানা চলবে না মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে: শহিদুল ইসলাম বাবুল
সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে ৫২৬ কোটি টাকা লুটপাট, কেয়া গ্রুপের বিরুদ্ধে ২ মামলা
এসএমপির সেই শাদিদ এখন যাচ্ছেন রংপুরে, কোন বাধাই ঘুষে বিরত রাখেনি তাকে
ইজতেমা ময়দানে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার
লামায় স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ ৩ দিন পর উদ্ধার
জবি ছাত্রদলের পদবঞ্চিতদের উগ্রতায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
ফুলপুরে মার্কেটে হামলাসহ অস্ত্র প্রদর্শন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন
রাবিতে অচলাবস্থা: শিক্ষার্থীদের ‘শাটডাউন’ ঘোষণা, অফিসারদের কর্মবিরতির হুমকি
ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিল না করলে রোববার থেকে রাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’
মির্জাপুরে গভীর রাতে দিনমুজুরদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিলেন ইউএনও এসিল্যান্ড
ভারতীয় নার্সের মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে ইয়েমেনের সঙ্গে আলোচনায় ইরান
আচমকাই নিজের নাম পাল্টে ফেললেন ইলন মাস্ক, কিন্তু কেন?
শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান: খেলাফত মজলিস
কুষ্টিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন
এবার নিউইয়র্কের নৈশ ক্লাবে বন্দুকধারীর হামলা
কুলাউড়ায় লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের ২৫ বছর পূর্তিতে রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী উপলক্ষে মতবিনিময়
দোয়ারাবাজারে সমাজসেবা দিবস পালিত
গাজায় ইসরাইলের হত্যার শিকার ২ বছরের কম বয়সি ১১০০ শিশু
বগুড়ায় জুলাই আন্দোলনের শহীদ রনি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
মনোহরগঞ্জে যুবদলের সাংগঠনিক সভায় ২ গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ