ঢাকা   শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৬ পৌষ ১৪৩১

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলা বাতিল কতদিনে?

Daily Inqilab প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম

২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরেুদ্ধে শ্রম আদালতের ৫টি এবং মানহানির অভিযোগে আনা একটি মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় প্রকাশিত হয়েছে ২১ নভেম্বর। (বাসস, ২১ নভেম্বর ২০২৪) উল্লেখ্য, ড. মুহাম্মদ ইউনূস গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন ৮ আগস্ট। এর পরপরই দেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা একটি দুর্নীতি মামলায় খালাস পান তিনি। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার একদিন আগে, তাকে শ্রম আদালতের মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়। সে মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। মানবাধিকার আইনজীবীরা উভয় মামলাকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বর্ণনা করেছেন। ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর টাইম ম্যাগাজিন political administrator হিসেবে ড. ইউনূস কতটুকু দক্ষতা দেখাতে পারবেন সে সম্পর্কে সন্দেহ করে লিখেছিল, A microfinance pioneer, Yunus is untested as a political administrator, adding to the uncertainty on how he will go about rebuilding a country of over 170 million people. (Nobel Laureate Yunus Cleared in Graft Case After Becoming Bangladesh Leader, Time Magazine, 12/8/2024). welqwU Zvi gvgjv Lvjv‡mi cÖm‡½I cÖvmw½K| 2023. বিষয়টি তার মামলা খালাসের প্রসঙ্গেও প্রাসঙ্গিক। ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট প্রকাশিত একটি টিভি চ্যানেলের অনলাইন সূত্র অনুসারে, তার বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা: গ্রামীণ টেলিকমের ৬৪টি, গ্রামীণ কল্যাণের ৬৯টি, গ্রামীণ কমিউনিকেশনের ২৫টি, গ্রামীণ ফিসারিজের ৮টি, ইনকাম ট্যাক্সের ৮টি ও ফৌজদারি ২টিসহ মোট ১৬৮টি। মামলা থেকে তার খালাস পাওয়া সম্পর্কে বলা হয়েছে: ‘বিশ্ববরেণ্য নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিলেন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। হাসিনার আজ্ঞাবহ সংস্থার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কে দিয়ে তিনি এ মামলা করান। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসহ গ্রামীণ টেলিকম সংশ্লিষ্ট ১৪ জনের মামলা প্রত্যাহার হয়। ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল আলম গত ১১ আগস্ট মামলাটি প্রত্যাহার করেন। এ মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন।’ (দৈনিক ইনকিলাব, ২৯/৯/২০২৪)।
ড. ইউনূসের মামলা প্রত্যাহারের আইনের এমন সহজ বিহিত থাকা সত্ত্বেও সরকারের ১০০ দিনেও প্রত্যাহার হচ্ছে না সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিহিংসামূলক মিথ্যা মামলাগুলো। সামরিক তত্ত্বাবধায়ক ও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়ের হওয়া মামলার মধ্যে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৭টি এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৮০টি মামলা রয়েছে। বিএনপিপন্থি আইনজীবী ও জনগণের অভিমত হলো: রাজনৈতিকভাবে এসব মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে জড়ানো হয়েছে। এছাড়া খুনি হাসিনা সরকারের আমলে প্রায় ৪ লাখ মামলা হয়েছে বিএনপির প্রায় ৬০ লাখ নেতাকর্মীর নামে। তারেক রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ আমলে সারাদেশে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছে সেগুলো বিলম্ব না করে অন্তর্বর্তী সরকার যেন প্রত্যাহার করে নেয়। তারেক রহমান আগেই জানিয়েছেন, তার মামলাসমূহের আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন ব্যতীত তিনি দেশে ফিরবেন না। অবশ্য বিএনপির নীতিনির্ধারক মহলের সদস্যরা অব্যাহত তাগিদ দিচ্ছেন ড. ইউনূস সরকারকে। তারা প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার আগে ড. ইউনূসের মামলা প্রত্যাহারের ত্বরিত গতির দৃষ্টান্ত টেনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে হওয়া সকল মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াকে দ্রুত করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। ২২ অক্টোবর (২০২৪) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম জড়াতে পারেনি। এই মামলা ছিল শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা। তারপরও তার বিরুদ্ধে মামলা এখনো প্রত্যাহার হচ্ছে না কেন? এটার কারণ দেশবাসী জানতে চায়?’
২.
প্রণব মুখার্জি লিখিত ‘দ্য কোয়ালিশন ইয়ারস ১৯৯৬-২০১২’ থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ১/১১-এর সামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। একইসঙ্গে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অতি দ্রুত তার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, যার মেরিট ছিল না। ১৩টি মামলা হয়েছে ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে। বাকিগুলো হাসিনা আমলে। একইভাবে হাসিনার নামেও মামলা হয়। অথচ, তার মামলাগুলো সত্য ছিল, যার মেরিট ছিল। আশ্চর্যজনক হলো, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসীন হয়েই তার বিরুদ্ধের সকল মামলা থেকে খালাস পান। নির্দোষী হিসেবে চিহ্নিত হন। ‘স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ক্ষমতার মসনদে আরোহণের পরপর নিজের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১৫টি মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করেন। এর ৯টি মামলা ছিলো দুর্নীতি সংক্রান্ত। ৬টি মামলা চাঁদাবাজির। সেসময় শেখ হাসিনাসহ আ’লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া হাজার হাজার মামলা প্রত্যাহার হয়। এর মধ্যে অনেক পেশাদার অপরাধীও অব্যাহতি পেয়েছিলো মর্মে অভিযোগ রয়েছে।’ (দৈনিক ইনকিলাব, ২৯/৯/২০২৪)। পক্ষান্তরে খালেদা জিয়ার মামলাগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হতে না দেওয়ায় কারাদণ্ড হয় দেশনেত্রীর। এরই মধ্যে নাশকতা ও মানহানির ২৩টি মামলা খারিজ হয়েছে। (বিবিসি নিউজ, ১১/১১/২০২৪)। তবে ৫টি দুর্নীতি মামলা (একটি থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন), ৪টি মানহানির মামলা ও একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা, এছাড়া হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার মিথ্যা অভিযোগে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে হাসিনা আমলে। জনগণ খালেদার মামলা ও দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়টিকে বিশ^াসযোগ্য মনে করেনি। অন্যায় না করেও তিনি সাজা পেয়েছেন। গত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকার তন্ন তন্ন করে (মোকদ্দমা চালিয়েও) কোনো ব্যক্তিগত সম্পদ বা অবৈধ উপার্জন খুঁজে পায়নি। আসলে হয়রানিমূলক মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে প্রায় মৃত্যুর সীমানায় পৌঁছে দিয়েছিল শেখ হাসিনা। নিজের মামলা প্রত্যাহার করা হলেও বয়স্ক ও অসুস্থ খালেদা জিয়ার মামলা ও সাজা স্থগিত না করে বরং বলা হয়েছে, ‘রোজই শুনি এই মরে মরে, এই যায় যায় কিন্তু মরে তো না।’ (দৈনিক ইনকিলাব, ৪/১০/২০২৩)। মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে ব্যঙ্গ করার অমানবিক আচরণ খুনি হাসিনার পক্ষেই সম্ভব ছিল। এজন্য নতুন বাংলাদেশে জনগণের দাবি, রাজনৈতিক মামলাকে একদিনও ঝুলে থাকতে দেওয়া উচিত হবে না। ফ্যাসিবাদী হাসিনা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে নিজের বীভৎস মুখচ্ছবি উন্মোচিত করেছে। তার আমলের মামলা একদিনও থাকা অনুচিত। এ বিষয়ে ড. ইউনূসের হস্তক্ষেপ অতি অনিবার্য। ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’ অথবা ন্যায়-অন্যায় দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে প্রত্যাহার করতে হবে। বর্তমান সরকার যেহেতু জনগণের সেন্টিমেন্টের উপর গঠিত হয়েছে। তেমনি হাসিনা ফ্যাসিবাদীÑ এই সেন্টিমেন্টের আলোকে ১/১১ এর ফ্যাসিবাদী ধারার মামলাকে প্রত্যাহার করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নির্দোষ ঘোষণার হাইটাইম এটি। সাধারণ মানুষ মনে করছে, রহস্যজনকভাবে মাইনাস-২ ফরমুলার প্রভাবে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি মন্থর গতিতে চলছে। কারণ, ড. ইউনূস সরকারে ১/১১-এর মাইনাস-২ ফরমুলার কুশিলব আলী ইমাম মজুমদার গংরা আছেন। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী, মিথ্যা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করা যে মুহূর্তের বিষয়Ñ এটি প্রমাণিত হয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে।
২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। হাইকোর্ট পরে খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। এ মামলায় বেগম খালেদা জিয়া দুই বছর কারাভোগ করেন। ২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। হাসিনা সরকার পতনের পর রাষ্ট্রপতির আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। এ মামলায় তারেক রহমানকে ২০০৮ সালের ৭ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার্থে লন্ডন চলে যান তিনি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে গুলশান থানায় তিনটি ও ধানমন্ডি থানায় করা একটি মামলাসহ চার মামলার কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। ১/১১ সময় তার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলার মধ্যে অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা এবং সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় সাজা হয়েছে। এছাড়া কর ফাঁকি, চাঁদাবাজির বাকি ১৫টি মামলা স্থগিত রয়েছে। মোট ৫টি মামলায় তার সাজা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৭০টির বেশি মানহানির মামলা আছে। (দেখুন, বিবিসি নিউজ, ১৬/১০/২০২৪)।
বলাবাহুল্য, The diplomat পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান নিজের পরিবার এবং খালেদা জিয়াসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর মামলা-হামলা, জেল-জুলুমের চিত্র তুলে ধরেছেন এভাবে: The Hasina regime not only implicated me in false charges and curtailed my freedom of expression, but also launched fictitious cases against my wife, who has no political involvement. Sheikh Hasina seized our properties in Bangladesh, and forcefully evicted my mother, Begum Khaleda Zia, former prime minister and the BNP chairperson, from our family home of over three decades. It is distressing to witness her being deprived of adequate medical care at this stage of life and health. My family and I continue to sacrifice for democracy, but we draw inspiration from the sufferings of millions of families in Bangladesh. (https://thediplomat.com/tarique-rahman-on-why-the-bnp-is-boycotting-the-bangladesh-elections/18/12/2023).
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের সময় বিচারবিভাগ পরাধীন ছিল। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে জোরপূর্বক পদত্যাগ ও দেশ ছাড়া করার দৃষ্টান্ত ছাড়াও আদালতের রায় নিজের ইচ্ছায় প্রদান করার দৃষ্টান্ত রয়েছে। আরেকটি ঘটনা উল্লেখযোগ্য, খুনি হাসিনার চাপ সত্ত্বেও মিথ্যা মামলায় তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস করে অবিশ্বাস্য সাহসিকতার পরিচয় দেওয়া বিচারক মো. মোতাহার হোসেনকে হুমকি দেওয়ায় জীবন রক্ষায় তাকে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে বিদেশে আশ্রয় নিতে হয়। বিচারিক অবিচারের প্ররোচনাকারী হাসিনার প্রিয় ব্যক্তি ছিলেন আবদুল কাহার আকন্দ, যিনি তার নির্দেশ অনুসারে বেশ কয়েকটি মিথ্যা-ভিত্তিহীন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। হাসিনা হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় তিনি তারেক রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করেন। ঘটনার সাত বছর পরে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অভিযোগপত্রে তারেকের নাম যুক্ত করে নির্দোষীকে অপরাধী চিহ্নিত করেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি ডামি নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ আসনে আ’লীগের প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হন। আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে আ’লীগের রাজনীতিতে সরকারি কর্মকর্তাদের এই সম্পৃক্ততা সত্যিই অন্যায়।

৩.
হাসিনা সরকার শুধু তারেক রহমানকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেয়নি, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করেছে, তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও দায়ের করে, যার কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। হাসিনা বাংলাদেশে তারেক রহমানের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে এবং তার মা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে পারিবারিক বাড়ি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে। যে গৃহে সপরিবারে খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন বসবাস করেছেন সেখান থেকে জোর করে বের করানোর সেই মর্মান্তিক ঘটনা দেশবাসী দেখে অশ্রুসজল হয়েছে। অশ্রুময়ী মুখে সমুদ্রসমান কষ্টের দেশনেত্রীর সেই ছবি এখনো মানুষকে ক্ষুদ্ধ করে তোলে। যে বাড়িকে কেন্দ্র করে অজস্র স্মৃতি জমেছিল, যে আনন্দ-বেদনার স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পেতেন তা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে জনপ্রিয় নেত্রীকে। জীবন ও স্বাস্থ্যের এই পর্যায়ে তার পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়াটা দুঃখজনক। প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেললেও ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’কে অভয় দিয়ে তার পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে সারা দেশবাসী। তারেক রহমান এবং তার পরিবার গণতন্ত্রের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে যাচ্ছেন। একইভাবে বাংলাদেশের লাখ লাখ পরিবারের কষ্ট দেখে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন মা ও সন্তান।

প্রবাসে থেকেও তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে এবং জনগণের সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত। তার জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য সময় দেশব্যাপী ফোন কল এবং অনলাইন মিটিংয়ে উৎসর্গ করে চলেছেন। প্রতিদিন তিনি দেখেছেন, তার দলের নেতাকর্মীরা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে নির্ভীক ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে উঠছেন। গণতান্ত্রিক আদর্শের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা পরের দিন পথসভা বা জনসভায় যোগ দিচ্ছেন। তিনি এই সাহস এবং উদ্দীপনা দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং গণতন্ত্রপন্থী জনগণের আপসহীন অবস্থানের প্রশংসা করেছেন। তিনি দেশ-বিদেশের সমর্থকদের একত্রিত করতে, তৃণমূলকে সংঘবদ্ধ রাখতে এবং তাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন। গণতন্ত্র অর্জনের জন্য সকল দুর্ভোগ এবং প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে রাজনৈতিক অগ্রযাত্রাকে ভোরের কুয়াশা ভেদ করে আলোকিত পথে পৌঁছানোর সাধনায় নিবেদিত তারেক রহমান।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর বিএনপির মতো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীকে মনে রাখতে হবে, হাজারো মানুষের ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদীর কবল থেকে মুক্ত হয়ে গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। এই ত্যাগের পেছনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র-জনতার রক্তের সঙ্গে সঙ্গে বিএনপিরও দীর্ঘ সংগ্রাম, জেল-জুলুমের অবদান রয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, লাখো মামলায় জেল খেটেছেন। কর্তৃত্ববাদী ও গণতন্ত্রহীন শাসনব্যবস্থার পথ অতিক্রম করে তারেক রহমানের দেখানো পথে বিএনপি এখন পরিচালিত হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো অচিরেই প্রত্যাহৃত হওয়া দরকার। মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগকৃত আওয়ামী দলকানা বিচারক, সরকারি আইনজীবী, পুলিশ, দুদক কর্মকর্তাগণই মামলাগুলো ‘প্রত্যাহারযোগ্য’ নয় মর্মে বয়ান প্রচারে সচেষ্ট রয়েছেন। আইনি মারপ্যাঁচে ফেলে তারা মামলা প্রত্যাহার প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলছেন।

সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজনৈতিক কারণে হওয়া ‘হয়রানিমূলক মামলা’ প্রত্যাহারের লক্ষ্যে গত সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে দুটি কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। এর মধ্যে একটি জেলা পর্যায়ের কমিটি এবং অন্যটি মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি। এ নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক এবং বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের আইনজীবী বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত এসব মামলা প্রত্যাহারের কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না।’ কারণ (কলামিস্টরাও লিখেছেন)- নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে তারেক রহমানের অবদান রয়েছে। বিশেষ করে, জুলাই অভ্যুত্থান ও ৫ আগস্টপরবর্তী অস্থির সময়ে তারেক রহমান বেশ কিছু সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার বক্তব্য ও বিবৃতিতে রাজনৈতিক প্রজ্ঞার ছাপ স্পষ্ট। বিশেষ করে, বহুত্ববাদ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি বারবার তার বক্তব্যে এসেছে। বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে প্রচারিত একটি বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘বাঙালি-অবাঙালি, বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী কিংবা সংস্কারবাদী প্রত্যেক নাগরিকের একমাত্র পরিচয়- আমরা বাংলাদেশি।’

৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বেশ কিছু জায়গায় আওয়ামী লীগের সমর্থক ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়। এর পেছনে বেশির ভাগ কারণই ছিল রাজনৈতিক। এক্ষেত্রে তারেক রহমানের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। তিনি বেশ দ্রুততার সঙ্গে সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দেন। তারেক রহমানের নির্দেশে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত-নিহত ব্যক্তিদের সাহায্য-সহযোগিতা ও শক্তভাবে তাদের পাশে দাঁড়ানোর খবর প্রায় প্রতিদিনই সংবাদপত্রে প্রকাশিত হচ্ছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি কার্টুনিস্টের প্রশংসা করেন এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। হাসিনার শাসনে এই ‘অপরাধে’ কার্টুনিস্টদের জেল দেওয়া হয়েছে, কারাগারে মৃত্যুও হয়েছে। তার দৃষ্টিভঙ্গির এই পার্থক্য চোখে পড়ার মতো। ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার তথাকথিত উন্নয়নের রাজনীতির ভিত্তি ছিল দুর্নীতি, দুঃশাসন ও দুর্বৃত্তায়ন। সেখানে বিচারের নামে প্রহসন ছিল সর্বজনবিদিত।

৪.
২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রায় ৮০টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মামলা, অর্থ পাচারের একটি মামলা, লন্ডনে এক সমাবেশে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘রাজাকার’ ও ‘পাকবন্ধু’ বলায় মানহানির মামলা, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা করা হয়। ১৩টি মামলা হয়েছে ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে জরুরি অবস্থার সময়ে অর্থাৎ ১/১১ পরবর্তী প্রেক্ষাপটে। বাকিগুলো দায়ের করা হয় পরবর্তী ফ্যাসিবাদী আমলে। মামলাগুলোর মধ্যে পাঁচটি দুর্নীতি মামলা, চারটি মানহানির মামলা ও একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা রয়েছে। বাকি মামলাগুলো হয়েছে হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার অভিযোগে। এর মধ্যে ৫টির বিচার শেষে সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সাজানো রায়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কিছু মামলা স্থগিত অবস্থায় রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে গত ১৬ বছরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী কর্তৃক আনীত সকল রাজনৈতিক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক গায়েবি মামলা অতিসত্ত্বর বাতিল ঘোষণা করা উচিত।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সুশীল সমাজের একটি অংশ তারেক রহমান ও বিএনপির বিরুদ্ধে ‘জঙ্গি পৃষ্ঠপোষকতা ও দুর্নীতি’র অভিযোগ তোলে। কিন্তু বিচার বিভাগের অসীম দলীয়করণ ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর পরও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রমাণিত হয়নি। বরং তার বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আওয়ামী লীগের নেতায় পরিণত হওয়া এবং সংসদ সদস্যের মনোনয়ন পাওয়া, তাকে খালাস দেওয়া বিচারকের হয়রানি মামলাগুলোর অসারতা তুলে ধরে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদেরও হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি, টাকা পাচার, ব্যাংক লুট, মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতির সামনে বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা ও দুর্বল দুর্নীতির অভিযোগ ঠুনকো।

এজন্য তারেক রহমান জনগণকে আশার বাণী শুনিয়েছেন। গত ১৫ নভেম্বর তার বক্তব্যে উঠে এসেছে, বিচার-বহির্ভূত হত্যা, গুম, অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা ও বিচার, পরোয়ানা ছাড়াই গণগ্রেপ্তার এবং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে যে ভয়ের সংস্কৃতি গত ১৬ বছরে গড়ে উঠেছিল, জনগণের ভোটে নির্বাচিত বিএনপি সরকারের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে সেটি নির্মূল করার। জাতিসংঘ প্রণীত মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র অনুসারে নিশ্চিতের চেষ্টা করা হবে প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা। ক্ষমতার পরিবর্তন মানে কেবল একটি দল থেকে অন্য দলের কাছে রাষ্ট্রের ক্ষমতা হস্তান্তর নয়। বরং ক্ষমতার পালাবদলে এমন এক রাজনৈতিক সংস্কৃতির সূচনা হওয়া উচিত, যেখানে সমাজের পরিবর্তিত অবস্থা ও জনগণের আকাক্সক্ষার প্রতিফলন দেখা যায়। (দৈনিক ইনকিলাব, ১৫/১১/২০২৪)।

৫.
বিশ^খ্যাত ব্যক্তিত্ব হলেও ড. ইউনূস রাজনীতিবিদ নন, গত তিন মাসে সরকার পরিচালনার ত্রুটি-বিচ্যুতি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে অনেক কিছু। ভিত্তিহীন মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সকল মামলায় আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি প্রদান করে তার রাজনীতি ও রাষ্ট্রপরিচালনার অভিজ্ঞতাকে জনগণের কাজে লাগানো বর্তমান সময়ের ‘বার্নিং ডিমান্ড’। অন্যদিকে তারেক রহমানের মতো জননন্দিত নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অতি জরুরি। তারেক রহমান তারুণ্যের প্রতীক। গণঅভ্যুত্থানের প্রতিভূ জনপ্রিয় নেতা। মামলাগুলো প্রত্যাহার হলে তিনি নির্দোষ হিসেবে তৃণমূল মানুষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারবেন। পলিসি মেকিং আর স্টেট রিফরমেশন যথার্থই আলোর মুখ দেখবে। বাংলাদেশের জনগণ তারেক রহমানের মাঝে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি দেখতে পেয়েছে। সাংগঠনিক শক্তি, রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় তিনি এখন ‘লিডার অব দ্য নেশন’। এজন্য ফ্যাসিস্ট সরকারের দেওয়া মামলাগুলো থেকে মুক্ত করা হলে তার দেশে ফেরা সহজতর হবে।

লেখক: সাবেক চেয়ারম্যান এবং অধ্যাপক, থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে চীনে সহিংস বিক্ষোভ

ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে চীনে সহিংস বিক্ষোভ

বাংলাদেশ ও জাইকা’র মধ্যে রেকর্ড অব ডিসকাশন স্বাক্ষর

বাংলাদেশ ও জাইকা’র মধ্যে রেকর্ড অব ডিসকাশন স্বাক্ষর

বিরলে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল, শীত বস্ত্র বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বিরলে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল, শীত বস্ত্র বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

লক্ষ্মীপুরে সমন্বয়ককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

লক্ষ্মীপুরে সমন্বয়ককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা ইসলামী ছাত্র মজলিসের সমাবেশ

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা ইসলামী ছাত্র মজলিসের সমাবেশ

জিয়ার আদর্শ মানুষের মনে প্রবল উদ্দীপনা  জাগিয়ে তোলে: সিলেটে খন্দকার মুক্তাদির

জিয়ার আদর্শ মানুষের মনে প্রবল উদ্দীপনা  জাগিয়ে তোলে: সিলেটে খন্দকার মুক্তাদির

শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য নিউজিল্যান্ডের

শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য নিউজিল্যান্ডের

গফরগাঁওয়ে তাবলীগ জামায়াতের সাদপন্থীদের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল

গফরগাঁওয়ে তাবলীগ জামায়াতের সাদপন্থীদের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল

শ্রীমঙ্গলে ট্যুরিজম বোর্ডের ৩ দিনব্যাপী হারমোনি ফেস্টিভ্যাল মেলার উদ্বোধন

শ্রীমঙ্গলে ট্যুরিজম বোর্ডের ৩ দিনব্যাপী হারমোনি ফেস্টিভ্যাল মেলার উদ্বোধন

লক্ষ্মীপুরে ৫০০ ছিন্নমূল মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ

লক্ষ্মীপুরে ৫০০ ছিন্নমূল মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ

ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবলীগ নেতা নিহত, আহত ৪

ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবলীগ নেতা নিহত, আহত ৪

ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রশিবিরের সভাপতি সুফিয়ান, সেক্রেটারি রাকিব

ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রশিবিরের সভাপতি সুফিয়ান, সেক্রেটারি রাকিব

মনিরামপুরে পলিথিনের বিকল্প পাট জাতীয় পণ্য প্রশিক্ষনে ঝুকছেন নারীরা

মনিরামপুরে পলিথিনের বিকল্প পাট জাতীয় পণ্য প্রশিক্ষনে ঝুকছেন নারীরা

‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে আলেমদের অবদান উল্লেখ থাকতে হবে’

‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে আলেমদের অবদান উল্লেখ থাকতে হবে’

কালীগঞ্জে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার অপরাধে জরিমানা

কালীগঞ্জে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার অপরাধে জরিমানা

৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একটি কল্যাণমূখী রাষ্ট্র গড়ে তোলা হবে: সাইদ সোহরাব

৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একটি কল্যাণমূখী রাষ্ট্র গড়ে তোলা হবে: সাইদ সোহরাব

এবার শেরপুর সীমান্তে সোয়া দুই কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

এবার শেরপুর সীমান্তে সোয়া দুই কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

ইবি’র প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ২৫তম ফ্যামিলি ডে উদযাপন

ইবি’র প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ২৫তম ফ্যামিলি ডে উদযাপন

মাদারীপুরে শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

মাদারীপুরে শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

বগুড়ায় বিএনপি নেতা সাজুর ওপর হামলার প্রতিবাদে সভা

বগুড়ায় বিএনপি নেতা সাজুর ওপর হামলার প্রতিবাদে সভা