বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতৃত্ব এবং বিএনপির মতানৈক্য এখন প্রকাশ্য
২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১২ এএম | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১২ এএম

যা আশঙ্কা করা হয়েছিল সম্ভবত তাই ঘটতে চলেছে। নিদেন পক্ষে এখন ঘটনাবলী সেই দিকেই গড়াচ্ছে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পক্ষের শক্তিদের মধ্যে অনৈক্য এখন প্রকট এবং প্রকাশ্য হয়েছে। আর এই সুযোগে পতিত স্বৈরাচার ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা করছে। ৫ আগস্টের পর ঐ বিতাড়িত সরকারের সকলেই গর্তের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এদের একটি অংশ, দুর্মুখদের মতে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই শক্তিমান প্রটেকশন সেন্টারে চলে যায়। এই অংশেরই অনেকে কয়েক দিন পর রাতের আঁধারে সীমান্ত পার হয়। ৫ আগস্টের পর পুলিশ কয়েক দিন কাজে যোগদান না করার ফলে দ্বিতীয় অংশও সীমান্ত ক্রস করে। আর তৃতীয় অংশ বাংলাদেশেই আত্মগোপনে গেছে। শেখ হাসিনা ভারতে পালানোর মাস খানিক পর থেকেই ফেসবুক, ইউটিউবের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে ইন্টারিম সরকারবিরোধী তথা বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা শুরু হয়েছে এবং সেই প্রচারণাটি চলছিল ভারতের মাটিতে বসেই। তবে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি যখন এক সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকা আসেন তখন তাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, শেখ হাসিনাকে দিল্লি আশ্রয় দিয়েছে। এটি বাংলাদেশের পছন্দ না হলেও বাংলাদেশ চায় যে, হাসিনা যেন ভারতের মাটি থেকে বাংলাদেশবিরোধী কথা না বলতে পারেন। তাকে ভারতে চুপ থাকতে হবে। তারপর শেখ হাসিনা বেশ কয়েক দিন প্রকাশ্যে কোনো তৎপরতা চালাননি।
ইত্যবসরে সময় গড়িয়ে যায়। দেশের অভ্যন্তরে বিএনপি বিপ্লবের অব্যবহিত পর থেকেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে দাবি জানিয়ে আসছিল সেই দাবি আরো জোরদার হতে থাকে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অবিলম্বে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করতে করতে ইন্টারিম সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। গত ২৩ জানুয়ারি তিনি একটি চরম উক্তি করেন। বলেন যে, ইন্টারিম সরকার নিরপেক্ষতা হারালে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হতে পারে। এই কথার তাৎপর্য সুদূরপ্রসারী। অর্থাৎ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে হয়তো সরে যেতে হতে পারে। ইংরেজি পত্রিকা ডেইলি স্টার মির্জা ফখরুলের বক্তব্য উদ্ধৃত করেছে এভাবে, A neutral government will be required to hold the polls if the current interim administration fails to remain impartial.
মির্জা ফখরুলের এই বক্তব্য, মনে হয়, ভিমরুলের চাকে ঢিল ছুঁড়েছিল। সাথে সাথে আগস্ট বিপ্লবের অন্যতম নায়ক এবং বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। একই দিন অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি নাহিদ ইসলাম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে। তিনি আরো বলেন, ১/১১ এর বন্দোবস্ত থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটেছিল। বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে সামনে আরেকটা ১/১১ সরকার, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতা এবং গুম-খুন ও জুলাই হত্যাকা-ের বিচার না হওয়ার আলামত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ৩ অগাস্ট থেকে বলে আসছি আমরা কোনো প্রকারের সেনাশাসন বা জরুরি অবস্থা মেনে নেবো না। আমাদেরকে বারবার ক্যান্টেন্টমেন্টে যেতে বলা হলেও আমরা যেতে অস্বীকার করি। শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে আলোচনা ও বার্গেনিং এর মাধ্যমে ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। আমরা চেয়েছিলাম ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ও নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে একটা জাতীয় সরকার। জাতীয় সরকার হলে ছাত্রদের হয়তো সরকারে আসার প্রয়োজন হতো না। জাতীয় সরকার অনেকদিন স্থায়ী হবে এই বিবেচনায় বিএনপি জাতীয় সরকারে রাজি হয় নাই। তিনি আরো বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করার জন্য বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি ১/১১ সরকারের প্রস্তাবনা করছে। এ ধরনের পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এবং ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই এটা মেনে নেবে না।
শুধু নাহিদ ইসলাম নন, অন্য ছাত্র নেতারাও নাহিদ ইসলামের কথার প্রতিধ্বনি করেন। এই ব্যান্ডওয়াগনে যোগ দেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, ছাত্র নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ, ছাত্রনেতা সারজিস আলম, ছাত্রনেতা আবু সোহায়েল, ছাত্রনেতা হান্নান মাসুদ, ছাত্রনেতা আব্দুল কাদের, নাগরিক কমিটির নেতা নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, আখতার হোসেন, নাগরিক কমিটির মুখপাত্র উমামা ফাতেমা প্রমুখ।
॥দুই॥
এদের সকলের বিবৃতি ও বক্তব্য আলাদাভাবে না দিয়ে সংক্ষেপে দিচ্ছি। তারা বলেন, যদি নিরপেক্ষতার প্রশ্ন ওঠে তাহলে এই সরকার সবচেয়ে বেশি কথা শুনেছে বিএনপির। ড. ইউনূস শপথ নেওয়ার আগেই বিএনপির সুপারিশ মোতাবেক ৬ আগস্ট আসাদুজ্জামানকে অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিএনপির সুপারিশ মোতাবেক ৭ আগস্ট মো. ময়নুল ইসলামকে পুলিশের আইজি নিয়োগ দেওয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহউপদেষ্টা ড. আমিনুল ইসলামকেও নিয়োগ দেওয়া হয় বিএনপির সুপারিশে। এ ব্যাপারে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, যারা আগে আন্দোলনের ডাক দিয়ে মাঠ থেকে সরে যেতো, তারাই এখন আঁতাতের রাজনীতি, ভারতনির্ভর কূটনীতির মাধ্যমে আওয়ামী পুনর্বাসন চাচ্ছে। দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় কার সাথে কে ব্যবসা করেছে, আর গ্রেফতারের পর কে কার জন্য তদবির করেছে এই খবর আমাদের কাছে আছে।
ঘটনাক্রমের ধারাবাহিকতা থেকে ড. ইউনূসের ভাষায় জুলাই অভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড বলে পরিচিত মাহফুজ আলম গত ১৯ জানুয়ারি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন। ঐ স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘ভাবাদর্শিক লড়াই নিয়ে আপনাদের সতর্ক করেছিলাম। পাঁচ মাস পরে তা সত্য হয়ে উঠছে। শাপলা-শাহবাগ ফেরত আনার চেষ্টা হচ্ছে। মুজিববাদী পেরাডাইম আর ইতিহাসতত্ত্ব আবার সক্রিয় হচ্ছে।’
বিএনপি এবং ছাত্র নেতৃবৃন্দের মধ্যে যে বাক যুদ্ধ চলছে সেখানে বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা এমন সব অপরিপক্ক কথা বলছেন, যার ফলে বিএনপিকে আওয়ামী ঘেঁষা বলে চিহ্নিত করার সুযোগ রয়েছে। একটি ছোট্ট উদাহরণ দিচ্ছি। ড. ইউনূসের সরকার ‘জয় বাংলাকে’ অফিসিয়াল স্লোগান হিসেবে বাদ দিয়েছে। এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেছেন, ‘জয় বাংলা আওয়ামী লীগের পৈত্রিক সম্পত্তি না, এটি মুক্তিযোদ্ধাদের স্লোগান। এই স্লোগান যে কেউ দিতে পারে। সংকটকালে যে কেউ জয় বাংলা স্লোগান দিতে পারে। ভুল করে কেউ জয় বাংলাকে আওয়ামী লীগের এক তরফা সম্পত্তিতে পরিণত করবেন না।’ মির্জা আব্বাস বলেন, ’৭২ এর সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের রক্ত দিয়ে লেখা। তাহলে জেনারেল জিয়া পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ৭২ এর সংবিধানের আমুল পরিবর্তন করেছিলেন কেন?
॥তিন॥
জয় বাংলা যদি সকলের স্লোগানই হয় তাহলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ‘জয় বাংলা’র পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’কে জাতীয় স্লোগান করেছিলেন কেন? কেনই বা জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে বেগম জিয়া এবং বিএনপির সমস্ত নেতা ও তৃণমূল সর্ব পর্যায়ে সমস্বরে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ স্লোগান দেন কেন? কেন তারা জয় বাংলাকে বর্জন করেছিলেন? তাই বলছি, বিএনপির টপ টু বটমে আদর্শের ব্যাপারে কোনো সমন্বয় নাই।
দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে ভাবতে হবে ৫ আগস্টের বিপ্লবের পরেও সিলেটে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী পন্থী পেশাজীবীরা এমন বিরাট জয়লাভ করে কীভাবে? জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় দুই জন আওয়ামী লীগ নেতার সথে সাক্ষাৎ করেন কীভাবে? আওয়ামী লীগকে যদি নিষিদ্ধ করা হতো তাহলে এসব ঘটনা ঘটতো না।
বিএনপি বলে যে, আওয়ামী লীগকে তারা নিষিদ্ধ করবে না। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন জনগণ। জনগণ কীভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন? জার্মানিতে নাৎসিবাদ ৭৬ বছর হলো নিষিদ্ধ রয়েছে। ইতালিতে ফ্যাসিবাদ ৭৬ বছর হলো নিষিদ্ধ রয়েছে। এটি আদর্শে দ্বন্দ্ব। ফ্যাসিবাদ বা নাৎসিবাদ বা স্বৈরতন্ত্র গণতন্ত্রের জানী দুশমন।
মির্জা ফখরুল সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আসলেই কি সরকার নিরপেক্ষ? নাকি সরকার বিএনপিকে ফেভার করে? তা না হলে যেখানে ছাত্রনেতারা প্রেসিডেন্ট চুপ্পুর বিদায় চাইলেন সেখানে বিএনপির দাবিতে প্রেসিডেন্ট চুপ্পু থেকে যান কীভাবে? যেখানে ছাত্ররা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল সেখানে বিএনপির দাবিতে আওয়ামী লীগ অক্ষত থেকে যায় কীভাবে? সরকার তো চেয়েছিল জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন। সেখানে বিএনপির দাবিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন পিছিয়ে গেল কেন? বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু কীভাবে বলেন যে, আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপির কোনো বিরোধ নাই। তারা যদি নির্বাচন করে তবে একটি প্রতিদ্বন্দ্বী দল হিসেবে নির্বাচন করবে (দৈনিক ইনকিলাব, ২৫ জানুয়ারি)।
ফ্যাসিবাদ বিতাড়নে যেসব রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল তাদের কোনো দলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলো না। শুধুমাত্র বিএনপির বিরুদ্ধে দখলবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে কীভাবে? মির্জা ফখরুলও দাবি করেছেন যে, রাজনৈতিক দল করতে চাইলে ছাত্রনেতারা উপদেষ্টা থাকতে পারবেন না। একথা তো ৩ ছাত্র উপদেষ্টা অসংখ্যবার বলেছেন যে, তারা যদি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান করেন অথবা নির্বাচন করেন তাহলে অনেক অগেই তারা উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেবেন।
প্রফেসর ইউনূস শুরু থেকে আজ পর্যন্ত অবিরাম বলে যাচ্ছেন যে, তিনি নির্বাচনও করবেন না, রাজনীতিও করবেন না। ক্ষমতায় থেকেও যারা ইলেকশন করেন না তাদের আমলেই নির্বাচন সবচেয়ে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়। জেনারেল ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে যত অভিযোগই থাকুক না কেন, একটি বিষয় কেউ বিতর্কিত করতে পারবেন না, সেটি হলো, তার আমলেই পাকিস্তানের নির্বাচন সবচেয়ে উত্তম ছিল। একারণেই ঐ ইলেকশনে পূর্ব পাকিস্তানের ভাগে বরাদ্দ ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনই আওয়ামী লীগ পেয়েছিল। যেহেতু ড. ইউনূস ইলেকশন করবেন না তাই ধরে ধরে নেওয়া যায় যে, তার আমলেই নির্বাচন সবচেয়ে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে।
একথা অন্য সকলের মতো বিএনপিও জানে যে, ছাত্রনেতারা তো নিজেরা উপদেষ্টার পদ চায়নি। ড. ইউনূসই তো মনে করেন যে, এখন দেশ শাসনে তরুণ রক্ত আসা প্রয়োজন। তাই তিনিই এই ৩ জন তরুণকে উপদেষ্টা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতৃবৃন্দ এবং বিএনপির বিরোধ শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। কিন্তু একটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে, এই ছাত্রনেতারা এবং নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দসহ তরুণ নেতা, দেখা যাচ্ছে, র্যাডিক্যাল পলিটিক্সে বিশ^াস করেন। ভারতের বিরুদ্ধে তাদের বজ্রকণ্ঠ আওয়াজ, ‘দিল্লি না ঢাকা/ ঢাকা ঢাকা’। তারাই তো আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী ঘরানাকে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিকভাবে পুনর্বাসিত করার বিরুদ্ধে স্বশব্দে আওয়াজ তুলছেন। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রাজনীতির ফোকাল পয়েন্ট হলো দুইটি। একটি ভারতীয় প্রভূত্ব বিনাশ করা। আরেকটি হলো, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী স্বৈরতন্ত্র যাতে নিপাত যায় তার জন্য জীবন বাজি রেখে সংগ্রাম করা। ছাত্ররা তথা আসন্ন নতুন রাজনৈতিক দল এই দুটি স্লোগান তুলছে বজ্রনির্ঘোষে। সেখানে বিএনপির পলিটিক্স কী? আদর্শ কী? শুধুমাত্র গণতন্ত্র একটি দলের রাজনৈতিক আদর্শ হতে পারে না।
Email: journalist15@gmail.com
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য সেবায় ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

চাঁদপুরে ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, গ্রেপ্তার ২

করিডোরের আড়ালে পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে আলাদা খ্রিস্টান রাষ্ট্রে স্বপ্ন দেখছে, বিভিন্ন ইসলামী দলের তীব্র প্রতিবাদ

জনপ্রশাসন বিষয়ক কোন ‘কালো আইন’ মেনে নেয়া হবে না

এনআরবি লাইফ-প্রতিভা প্রকাশ সাহিত্য পুরস্কার ও লেখক সম্মিলন অনুষ্ঠিত

শেরপুরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ মিছিল

যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ছে মহামারি! আতঙ্কে ট্রাম্প প্রশাসন

গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে পূর্ব শক্রতার জেরে বসতঘরে হামলা-ভাঙচুর, আহত ৪

হজযাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে থার্ড ক্যারিয়ার চালু করতে হবে হজ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় নেতৃবৃন্দ

খেলোয়াড় গন দেশ ও জাতি গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে- স্থানীয় সরকার সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদী

মোদির 'ফলস ফ্লাগ নাটক' সুপার ফ্লপ: ব্যর্থ বৈশ্বিক সমর্থন আদায়ে

চীনের সঙ্গে লড়বে ভারত! দাপুটে সেনার ভূমিকায় সালমান!

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী গণজাগরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে কাল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ

বেনাপোল সীমান্তে পিস্তল-গুলি উদ্ধার

ভারতীয় মদসহ সিলেটে এক ব্যক্তিকে আটক করলো জৈন্তাপুর থানা পুলিশ

ছোট ভাইয়ের খুনি বড় ভাইকে ধরলো পুলিশ !

মতলবে দুটি পৃথক মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী মৃত্যু

শেরপুরে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবীতে এনসিপির বিক্ষোভ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ডেভিল হান্ট অপারেশনে ইউপি সদস্যসহ ৭ জন গ্রেপ্তার