বিএনপি এখন কি করবে
০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৩ এএম | আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৩ এএম

সাম্প্রতিক সময়ে ‘ইউনূস সরকার পাঁচ বছর দরকার’ এমনকি কথা বা আওয়াজ ভার্চুয়াল জগতে ছড়িয়েছে। এ আওয়াজ বাস্তবেও পৌঁছেছে। অনেকের মধ্যে ভাবনার খোরাক যেমন হয়েছে, তেমনি দ্বিধারও সৃষ্টি হয়েছে। ঈদের দিন আমার এক আত্মীয়র বাসায় গিয়েছিলাম। আমার কাজিন কথায় কথায় বলল, ড. ইউনূস আরও থাকলে মনে হয় ভালো হয়, কি বলেন? জিজ্ঞেস করলাম, কেন এমন মনে হলো? উত্তরে বললেন, খারাপ তো করছে না। জিনিসপত্রের দাম কমাতে পেরেছেন। আর যে হারে চাঁদাবাজি হচ্ছে! তার কথায় সম্মতি দিয়ে বললাম, হ্যাঁ জিনিসপত্রের দাম মানুষের হাতের নাগালে রয়েছে। তারপর জিজ্ঞেস করলাম, ড. ইউনূস সরকার যদি আরও থাকে, তাহলে কি চাঁদাবাজি কমবে? এর উত্তরে তিনি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারলেন না। ঈদের পরদিন আমার এক প্রফেসর বন্ধু ফোন করেছেন। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি, নির্বাচন ও আগামীর ভবিষ্যত নিয়ে অনেক কথা বললেন। কথার এক পর্যায়ে জিজ্ঞেস করলেন, বলেন তো বিএনপি এতো নির্বাচন-নির্বাচন করছে কেন? গত কয়েকদিনে দলের নেতাদের মুখে নির্বাচন ছাড়া কোনো কথা শুনছি না। জবাবে বললাম, বিএনপি এ মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক দল মানেই ক্ষমতাকামী, সেটা যত ছোট দলই হোক না কেন। তা নাহলে, তারা রাজনীতি করবে কেন? বড় দল হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই বিএনপি চাইবে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে। তাদের সম্ভাবনাও বেশি। জবাবে তিনি বললেন, সেটা ঠিক আছে। তবে বিএনপির কি উচিৎ নয়, ক্ষমতায় যাওয়ার আগে জনগণের জন্য কি করবে, কি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে, এগুলো বেশি বেশি বলা? কই, এসব তো শুনছি না। তার এ কথার জবাবে বললাম, হয়তো তারা নির্বাচনের রোডম্যাপের অপেক্ষায় আছে। রোড ম্যাপ ঘোষণা দিলেই বলা শুরু করবে। তিনি বললেন, এখন থেকেই তো বলা উচিৎ। বললাম, তা ঠিক। বলা দরকার।
দুই.
প্রফেসর বন্ধু আরও কিছু কথা বলেছেন। তার মধ্যে ড. ইউনূস সরকারের প্রসঙ্গও রয়েছে। তিনি বললেন, ড. ইউনূস সরকার তো খারাপ করছে না। আরও থাকলে কি সমস্যা? বললাম, তা ঠিক। খারাপ করছে না। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিদায়ের পর মুক্ত পরিবেশ ও জিনিসপত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকার কারণে মানুষের কাছে এ পরিবেশই অনেক ভালো মনে হচ্ছে। কারণ, তারা বিগত সাড়ে ১৫ বছরে এই স্বস্তির জায়গাটুকু পায়নি। এজন্য তাদের কাছে ড. ইউনূসের সময়কে ভালো লাগছে। তিনি বললেন, অনেক জায়গায় তো বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলবাজির কথা শোনা যাচ্ছে। এটা তো খারাপ লক্ষণ। মানুষ বিরক্ত হচ্ছে, বিএনপির ভোট কমছে। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কথা মনে হয় শুনছে না। বললাম, এ বাস্তবতা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে শীর্ষ নেতৃবৃন্দ যেখানে এ ধরনের ঘটনায় নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ পাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে বহিস্কারসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নিচ্ছে, এমনকি কোথাও কোথাও দল থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিন থেকে চার হাজার নেতাকর্মীকে বহিস্কার করেছে। তারপরও তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত এত বড় দলের অসংখ্য নেতাকর্মীর কে কখন কি অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে, তা কোনো দলেরই শীর্ষ নেতাদের পক্ষে তাৎক্ষণিক জানা সম্ভব নয়। এটাও স্বীকার করতে হবে, যে দলের লাখ লাখ নেতাকর্মী হাসিনার দীর্ঘ দেড় দশকের বেশি সময় ধরে অকথ্য নিপীড়ন, নির্যাতন, জেল-জুলুম, হামলা-মামলা, খুন, অপহরণ, বাড়ি থাকতে না পারা, কোর্টের বারান্দায় ঘুরতে ঘুরতে পার করেছে, তাদের মনে সে ক্ষোভ সহজে মুছে যাওয়ার নয়। ষোল-সতের বছর আগে যে তরুণ দলটির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়, সে তরুণের বয়স এখন চৌত্রিশ-পয়ত্রিশ বছর। তার বিয়ে-সাদীর বয়স শেষের দিকে। অনিশ্চিত জীবনের কারণে সে সময়ও তার কাছে কোনো অভিভাবক বিয়ে দিতে রাজী হয়নি, এখন বয়স বেশি হয়ে যাওয়ার কারণে অনেকে তার কাছে মেয়ে বিয়ে দিতে রাজী হবে না। এই যে বিপুল সংখ্যক বিএনপির তরুণ নেতাকর্মী, তাদের জীবনের সোনালী সময় কেড়ে নিয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা। সঙ্গত কারণেই হাসিনার পতনের পর তার ক্ষোভ ও প্রতিশোধপরায়নতা তীব্র হয়ে তার নেতাকর্মীর ওপর পড়ার কথা। সে রকম উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা কি ঘটেছে? অন্তত পত্রপত্রিকায় তেমন ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি। বন্ধু আমার সাথে একমত হলেন। বললাম, বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশ যেখানে গণতন্ত্র এখনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেনি, সেখানে দ্বিদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থায় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সামাল দেয়া কঠিন। দীর্ঘ সময় ধরে যে রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি চলে আসছে। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের মনে ও মননে তা প্রোথিত হয়ে আছে, তা রাতারাতি পরিবর্তন করা সহজ কাজ নয়। বলতে পারেন, পরিবর্তন দরকার। এভাবে চিরকাল চলতে দেয়া যায় না। পরিবর্তীত প্রেক্ষাপটে এসে এ কথা বলাটা স্বাভাবিক। প্রশ্ন হচ্ছে, ফ্যাসিস্ট হাসিনার রেজিম পরিবর্তন হয়েছে, সুদীর্ঘকালের রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির কি পরিবর্তন হয়েছে? হয়নি। এখন হয়তো তা সুপ্ত হয়ে রয়েছে, আর সুপ্ত থাকা অবস্থায়ই পরিবর্তন হয়ে গেলে, তার চেয়ে ভালো কিছু আর হয় না। আমাদের রাজনীতির ধারাই পরিবর্তন হয়ে যাবে। অনেকে নতুন বন্দোবস্তের কথা বলেন। যারা অহরহ এ কথা বলেছে, তারা কি তা করতে পারছে? পারছে না। বরং আমরা দেখছি, তারা নতুন বন্দোবস্তের কথা বলে সেই পুরনো রাজনৈতিক অপসংস্কৃতিকেই ধারন করে চলেছেন। নির্বাচনী প্রচারণা বা শোডাউনে শত শত গাড়ির বহর দেখা যায়। তাহলে পরিবর্তনটা কতটা হবে, তা তো এ থেকেই বোঝা যায়। তবে পরিবর্তন যে জরুরি, তা নিয়ে কারো দ্বিমত নেই। এক্ষেত্রে হাসিনা যে রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে দিয়েছিল, তার গুণগত ও কল্যাণকর পরিবর্তন অবশ্যই দরকার। এ কাজটি অন্তর্বর্তী সরকারকেই করে যেতে হবে। পুরোপুরি না হোক, মৌলিক জায়গা, যেখান থেকে ফ্যাসিজমের জন্ম হয়, গণতন্ত্রের কবর রচিত হয়, সে জায়গাগুলোর পরিবর্তন অবশ্যই প্রয়োজন। এই পরিবর্তন করতে পারলে আগামীর রাজনীতিতে ইতিবাচক ধারা পরিলক্ষিত হতে পারে। আর অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে যদি এ খায়েশ থাকে, তারা দীর্ঘ মেয়াদে থাকবে, তাহলে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে সময় লাগবে না। বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো নির্ঘাত আন্দোলন করবে। সেই আন্দোলন সরকার কীভাবে সামাল দেবে। পুলিশ-প্রশাসন দিয়ে যদি সামাল দিতে যায়, তাহলে তো সেই হাসিনার দমন-পীড়নেরই পুনরাবৃত্তি হবে। সরকার যদি তা না চায়, তাহলে তাকে দ্রুত নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, নির্বাচনের মাধ্যমে যে রাজনৈতিক সরকার আসবে, সে কতটা সফল হবে? আপাত দৃষ্টিতে যদি ধরে নেয়া হয়, বিএনপি আসবে। যদি আসে, বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠছে, তা কি বন্ধ করতে পারবে? সুশাসন, আইনের শাসন, অর্থনীতির উন্নয়ন, মানুষের জীবনযাপনের উন্নয়ন ইত্যাদি কি করতে পারবে? এ প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়, বিএনপিকে পারতে হবে। এক্ষেত্রে দলটির সদিচ্ছাই যথেষ্ট। দলটির সরকার পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, একান্নবইয়ের বিএনপি সরকার অত্যন্ত সফল ছিল। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে তেমন কোনো অভিযোগ ছিল না। মানুষ এখনো বিএনপির সেই সাফল্যের কথা বলে। এমনকি, বিরোধীদলের কেউ বলতে পারবে না, সে সময় বিএনপি খারাপ করেছিল। বিএনপি সফলভাবে পাঁচ বছর কাটিয়ে ’৯৬ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিদায় নেয়। ২০০১ সালে দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসে বিএনপি যেন কিছুটা খেই হারায়। সে সময় দুর্নীতির অভিযোগসহ অপকর্মে নেতাকর্মীদের জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ছিল, যা রাজনৈতিক শাসনামলে যেকোনো ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধেই উঠে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ দুই তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে কী করেছে, তা তো চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পালিয়ে যাওয়া থেকেই বোঝা যায়।
তিন.
ঈদের পর দিন প্রেসক্লাবে বিএনপির মিডিয়া সেলের এক সদস্যর সাথে আলাপ হচ্ছিল। জিজ্ঞেস করলাম বিএনপির মিডিয়া সেলের দায়িত্ব কি? বলল, বিএনপির নীতি-আদর্শ ও বিভিন্ন কর্মকা- তুলে ধরা। জিজ্ঞেস করলাম, বিএনপি যে স্বাধীনতার ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দল, এ তথ্য এবং তার যুগান্তকারী পদক্ষেপগুলো তুলে ধরার কি কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে বা নিচ্ছে? এ ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। তাকে বললাম, দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে জিয়াউর রহমানের অসংখ্য কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কাজও যদি তুলে ধরা যায়, তাহলে মানুষ বিএনপির প্রতি আরও অনুরক্ত হবে। যেমনÑ বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতির মূল দুই স্তম্ভ গার্মেন্ট ও রেমিট্যান্স, এ দুটোরই উদ্যোক্তা ও প্রবর্তক ছিলেন জিয়াউর রহমান। ১৯৭৭ সালে তিনি বিশ্ব বাজারে গার্মেন্ট রপ্তানির দুয়ার খুলে দেন। দেশের এক নম্বর রফতানির (প্রায় ৮৩ শতাংশ) ভিত্তি গড়ে দেন। এ খাতে ৪০ লাখেরও মানুষ এখন কাজ করছে। বিশাল কর্মসংস্থানের খাত হয়ে আছে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় হচ্ছে। তার আগে ১৯৭৬ সালে তিনি সউদী আরব, আরব আমিরাত, কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের ৭টি দেশে জনশক্তি রপ্তানির (প্রায় ৬ হাজার ৭৮ জন) সুযোগ করে দেন। এই জনশক্তিই এখন বাংলাদেশের দ্বিতীয় রপ্তানি খাত। মনে আছে, সে সময় গ্রামে-গঞ্জে তরুণ শ্রেণীর মধ্যে একটা আবদার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। সেটি হচ্ছে, ‘দুবাই যামু, টাকা দাও’। সেই যে জনশক্তি রপ্তানি ভিত্তি লাভ করল, তা এখন মধ্যপ্রাচ্যেই প্রায় ৭০ লাখে দাঁড়িয়েছে। সারাবিশ্বে প্রায় এক কোটির উপরে মানুষ কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। রেমিট্যান্স বাড়িয়ে চলেছে। অর্থনীতির এই মূল দুই স্তম্ভের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনিই প্রথম এই উপমহাদেশে ১৯৮০ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিটিভিকে রঙিন চ্যানেলে পরিণত করেন। তখন ভারতেও রঙিন টেলিভিশন চ্যানেল দেখা যেত না। এই টেলিভিশনের মাধ্যমে ওই বছরই প্রতিভা খুঁজে বের করার জন্য উপমহাদেশে প্রথম রিয়েলিটি শো ‘নতুন কুঁড়ি’ চালু করেন। এই রিয়েলিটি শো’র মাধ্যমে অনেক শিল্পী প্রতিষ্ঠিত হয়। আঞ্চলিক সহযোগিতার জোট ‘সার্ক’-এর প্রবক্তাও তিনি। সউদী আরবে হজের সময় যে নিমগাছের সারি দেখা যায় এবং যার ছায়ায় মানুষ আশ্রয় নেয়, সেই নিমগাছ জিয়াউর রহমানই সেই সময় সউদী বাদশাহকে উপহার দিয়েছিলেন। এটা জিয়াউর রহমানের অবদান। এমন আরও দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গণে জিয়াউর রহমানের অনেক অবদান রয়েছে। প্রযুক্তির এ যুগে ভার্চুয়াল জগতে যদি এগুলোর ছোট ছোট ক্লিপ তৈরি করে ছড়িয়ে দেয়া যায়, তাহলে এ প্রজন্ম যেমন দেশের প্রতি জিয়াউর রহমানের অবদান সম্পর্কে জানতে পারত, তেমনি আগের প্রজন্মের মানুষও স্মরণ করতে পারত। বিএনপির মিডিয়া সেল কি এ কাজগুলো করছে? করছে না। তারা কিছু দলীয় বক্তব্য ও প্রেস রিলিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। এতে বিএনপি যে অভিযোগ করে সে মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হচ্ছে, এ কারণেই হচ্ছে। মিডিয়া প্রপাগান্ডার জবাব সে তার প্রতিষ্ঠাতার কীর্তিগুলো তুলে ধরার মধ্য দিয়ে দিতে পারত।
চার.
নিবন্ধের ড. ইউনূস সরকারের পাঁচ বছর থাকার যে আওয়াজের কথা বলছিলাম, তার কারণ কি? কারা চাচ্ছে? এসব প্রশ্নের উত্তর বোধকরি কমবেশি সবারই জানা। একটি রাজনৈতিক ইসলামী দল ও নতুন বন্দোবস্তের কথা বলে যে রাজনৈতিক দলের যাত্রা শুরু হয়েছে, তারা এবং তাদের সমর্থক কিছু অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মূলত এ কথা বলছে। তারা কেন বলছে? উত্তর সহজ। তারা এ সময়ের মধ্যে গুছিয়ে উঠতে চায়। পাশাপাশি যতই সময় যাবে, বিএনপির জন্য তা ততই খারাপ হয়ে উঠবে। সহজ কলে বললে, এর পেছনে বিএনপিকে আওয়ামী লীগের সাথে তুলনা করে একটি মন্দ দল হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবে। ইতোমধ্যে বিএনপির একশ্রেণীর নেতাকর্মীর চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের কারণে বলা শুরু করেছে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। দুই দল একই। এই প্রপাগান্ডা শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ইউনূস সরকারের মেয়াদ দীর্ঘ করার বিষয়টি জড়িয়ে। বিষয়টি এমন ইউনূস সরকার তবু ভাল চালাচ্ছে, বিএনপি এলে এর চেয়ে আরও খারাপ হবে। অর্থাৎ বিএনপিকে ঠেকানো কিংবা আরও বড় করে বললে, তাকে মাইনাস করার এক ধরনের প্রক্রিয়া এখন চলছে। বিএনপি নিশ্চয়ই এ বিষয়টি ভালভাবেই জানে। জানে বলেই সে, দ্রুত নির্বাচন চাচ্ছে। সে চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। যদি দ্রুত নির্বাচন না হয়, দেশও নানা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে পড়ে অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। পতিত আওয়ামী লীগের ফেরার পথও প্রশস্ত হবে। তখন তা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সামাল দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। ফলে দ্রুত নির্বাচন হওয়া এখন সময়ের দাবি।
darpan.journalist@gmail.com
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধে গেছে শত বাংলাদেশি

ইন্দুরকানীতে ডায়রিয়া রোগীর প্রকোপ হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন সংকট

গাজায় মানবিক বিপর্যয় নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ, অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান

এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে ১৪৪ ধারা, কোচিং-ফটোকপি বন্ধসহ একগুচ্ছ নির্দেশনা

এশিয়ার শেয়ারবাজারে বড় ধস, তেলের দামেও পতন

গাজা ইস্যুতে সিসি ও ম্যাখোঁর সঙ্গে জর্দানের রাজার বৈঠক আজ

ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ ফের শুরু আজ

সকালে ব্রিদিং এক্সারসাইজের উপকারিতা

মতলব দক্ষিণ থানার এসআই জীবন চৌধুরীর বেতন বন্ধের নির্দেশ

সাবেক এমপি কেরামত আলী গ্রেফতার

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে মেশিন বিস্ফোরণে ২জন শ্রমিক দগ্ধ

ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করতে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটলেন নেতানিয়াহু

বিক্ষোভে উত্তাল মণিপুর, নেতার বাড়িতে আগুন দিলো জনতা

ঢাকায় ৪ দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন আজ শুরু

ইয়েমেনে সর্বশেষ মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৪

মধ্যপ্রাচ্যের ৬ দেশকে হুমকি ইরানের, যুদ্ধের শঙ্কা

রাজধানীর বংশালে আগুন, নিহত ১, আহত ৭

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে আজ ধর্মঘট

দুর্ঘটনার কবলে জামায়াত নেতাকর্মীদের বহনকারী বাস, নিহত ৩

ঈদকে কেন্দ্র করে কৃষি নির্ভর বরিশাল অঞ্চলের অর্থনীতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার