বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি কতটা যৌক্তিক

Daily Inqilab এম আদুল্লাহ

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৯ এএম | আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৯ এএম

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম আরেক দফা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এবারে মূল্যবৃদ্ধির হারও উচ্চ হবে বলে আভাস দেয়া হয়েছে। মার্চের মধ্যে বর্ধিত মূল্য কার্যকর হবে বলে জ¦ালানি প্রতিমন্ত্রী বলেছেন।

আইন সংশোধন করার কারণে বিদ্যুৎ বা জ¦ালানির মূল্য বৃদ্ধির জন্যে এখন আর এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসির) অনুমোদন প্রয়োজন নেই। নির্বাহী আদেশে বাড়ানোর ক্ষমতা নিয়েছে সরকার। বিইআরসিতে শুনানীর মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা যেসব যুক্তিতর্ক নিয়ে হাজির হতেন, তা আর শোনা যাবে না। মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতা করে বিদ্যুৎ খাতের অনিয়ম, দুর্নীতি ও ভুলনীতি থেকে বেরিয়ে আসার ওপর তারা যে জোর দিয়ে আসছিলেন তা আর শুনতে চাইছে না সরকার।

গত ১৫ বছরে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হয়েছে ১৪ দফা। গত বছরই তিন দফায় ১৫ শতাংশ বাড়ানো হয় অনেকটা নীরবে। আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদে পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ১৪১ শতাংশ বেড়েছে। সর্বশেষ গত বছরের ১২ ও ৩১ জানুয়ারি এবং ২৮ ফেব্রæয়ারি নির্বাহী আদেশে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। তার আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পাইকারি পর্যায়ে বাড়ে। প্রতি ৫ বছর মেয়াদ বিবেচনায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়েছে বর্তমান সরকার। তিন মেয়াদে গড়ে ৪৭ শতাংশ হারে বেড়েছে, যা স্বাধীনতা পরবর্তী অন্য কোন সরকারের আমলে হয়নি।

অবশ্য ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ৯ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু বস্তুনিষ্ঠ তথ্য তাঁর এ বক্তব্য সমর্থন করে না। অতীতে মূল্যবৃদ্ধির তথ্য-পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিএনপি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ মেয়াদে তিন দফায় ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ দাম বাড়িয়েছে। তখন ভোক্তা পর্যায়ে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত প্রতি ইউনিটের দাম ১ টাকা ৬৫ পয়সা থেকে ১০ পয়সা বাড়িয়ে ১ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়েছিল। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম আমলে ৭ দফায় মোট ২২ দশমিক ৮৫ শতাংশ মূল্য বাড়ানো হয়েছিল। তাতে আবাসিক গ্রাহকদের ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত ১ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বেড়ে ২ টাকা ১৫ পয়সায় উন্নীত হয়েছিল। ২০০১ থেকে ২০০৬ মেয়াদে বিএনপি সরকার তিন দফায় বিদ্যুতের দাম মোট ৩৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ বৃদ্ধি করে। সে সময় ২ টাকা ১৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছিল ৩ টাকা (৪০০ ইউনিট পর্যন্ত)। অর্থাৎ পুরো মেয়াদে বিএনপি ইউনিটপ্রতি ৮৫ পয়সা বাড়িয়েছিল। এরপর সেনা সমর্থিত মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকারের সময়ে এক দফায় বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়। ইউনিট মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ৩ টাকা ১৫ পয়সা।

বিদ্যুতের মূল্য ফের বাড়ানোর প্রশ্নে সরকার যে অনমনীয়, তা স্পষ্ট হয়েছে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কয়েকটি বক্তব্যে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক বছর আগেই আইন সংশোধন করে বিদ্যুৎসহ সব ধরনের জ¦ালানির মূল্যবৃদ্ধির বা কথিত সমন্বয়ের ক্ষমতা সরকারের এখতিয়ারে নেওয়ার মধ্য দিয়েও যখন-তখন যথেচ্ছ হারে দাম বৃদ্ধির বেপরোয়া মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

দেশের উন্নয়ন তথা জিডিপি প্রবৃদ্ধির একটি বিশেষ উপাদান হিসেবে বিদ্যুৎ খাতকে বিবেচনা করা হয়। অস্বীকার করার সুযোগ নেই, বর্তমান সরকারের সময়ে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। লোডশেডিং কমেছে। চলতি বছর উৎপাদন ক্ষমতা ৩১ হাজার মেগাওয়াটে দাঁড়াবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে আগস্ট মাসে ১৩ হাজার ১২৩ মেগাওয়াট। এরই মধ্যে গত সপ্তাহে সংবাদপত্রে শিরোনাম হয়েছে, ‘শীত না কাটতেই লোডশেডিং শুরু’। তাহলে, আকাশছোঁয়া সক্ষমতার মধ্যে লোডশেডিং কেন?

উৎপাদন সক্ষমতা যেমন ব্যাপকভাবে বেড়েছে, একই সঙ্গে দেশকে প্রথমবারের মত বিদ্যুৎ আমদানিকারক দেশে পরিনত করা হয়েছে, সেটাও ভুলে গেলে চলবে না। প্রতিবেশী দেশ থেকে প্রায় ৪ হাজার ৩শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি রয়েছে। এর মধ্যে ভারতের ঝাড়খÐে স্থাপিত আদানি গ্রæপের বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১ হাজার ৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেওয়ার চুক্তি গত বছর কার্যকর হয়েছে। সর্বশেষ এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিগত ২০২৩ সালের জুন থেকে চলতি ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত আদানী গ্রæপকে বিল ও ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকার সমপরিমান ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে।

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পক্ষে যেসব যুক্তি দেখানো হচ্ছে তার অন্যতম, ভর্তুকি কমানো। আইএমএফ’র ঋণের কিস্তি পাওয়ার শর্ত হিসেবে জ¦ালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমানোর কথা বলা হয়েছে। সরকার বলছে, এ শর্ত পূরণের চাপ রয়েছে তাদের ওপর। বিদ্যুতে ভর্তুকির অর্থ পরিশোধে এরই মধ্যে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার ট্রেজারি বÐ ইস্যু করতে হয়েছে সরকারকে। কিন্তু ভর্তুকির প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি। আর বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকৃত ব্যয় বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বিদ্যুৎ না পেয়েও কাড়িকাড়ি অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে পিডিবিকে, যার প্রভাব পড়ছে উৎপাদন মূল্যে। সর্বশেষ হিসাবে, বিদ্যুতের উৎপাদনে জ¦ালানি খাতে ব্যয় ইউনিটপ্রতি ৫টাকা ৪৫ পয়সা। তার সঙ্গে যোগ হচ্ছে, প্রতি ইউনিটে ক্যাপাসিটি চার্জ ৬ টাকা ১১ পয়সা। অর্থাৎ উৎপাদন করতে গিয়ে জ¦লানি বাবদ যা ব্যয় হয়, তার চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় হচ্ছে, বিদ্যুৎ না পেয়ে বেসরকারি কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ খাতে।

বর্তমান সরকার দেড় দশক আগে যখন ক্ষমতায় আসে তখন বিদ্যুতের গড় উৎপাদন খরচ ছিল ইউনিটপ্রতি দুই টাকারও কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে এসে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় জ¦ালানি ব্যয় দাঁড়িয়েছে ইউনিটপ্রতি ৩ টাকা ১৬ পয়সা। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে তা আরও বেড়ে ৫ টাকা ৭২ পয়সায় উন্নীত হয়েছে। গ্যাস সরবরাহে সংকট, উচ্চমূল্যে এলএনজি আমদানি, অদক্ষতা ও দুর্নীতির কারণে এভাবে উৎপাদন খরচ যেমন বাড়ছে, তেমনি বেসরকারি ও বিদেশী কোম্পানী থেকে বিদ্যুৎ না নিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ হাজার হাজার কোটি টাকা পরিশোধের প্রভাব পড়ছে বিদ্যুতের সরবরাহ মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে।

বিদ্যুতের হোলসেলার বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-বিপিডিবি। সংস্থাটি দায়দেনায় দেউলিয়াত্বের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে। রাষ্ট্রীয় এ সংস্থার কাছে ৩০ হাজার কোটি টাকা পাবে উৎপাদন খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের আইপিপিগুলোর বিল বকেয়া পড়েছে ২৩ হাজার কোটি টাকা। গত বছর এপ্রিল থেকে বিল পরিশোধের সামর্থ্য হারিয়েছে পিডিবি।

সরকার তিন মেয়াদে রেকর্ড হারে জ¦ালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি জীবনযাত্রার সকল পর্যায়ে ব্যয় বেড়েছে কল্পনাতীতভাবে। মানুষ খাদ্য থেকে শুরু করে জীবনযাপনের প্রতিটি পর্যায়ে কাটছাট করে কোনমতে বেঁচে থাকার লড়াই করছে। সঞ্চয় ভেঙ্গে জীবনের চাকা সচল রাখার প্রাণান্তকর চেষ্টার খবর আসছে সংবাদমাধ্যমে। কোলের সন্তান বিক্রি করে সংসার চালানোর মতো হৃদয়বিদারক একাধিক ঘটনা সংবাদপত্রে শিরোনাম হয়েছে। এমন একটি পর্যায়ে বিদ্যুতের মতো জীবনের অপরিহার্য একটি উপাদানে আরেক দফা ব্যয়-উল্লম্ফন ঘটলে তা যে জনজীবনে কত বড় অভিঘাত হয়ে দেখা দেবে, তা অনুধাবনের জন্যে বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

বিতরণ কোম্পানীগুলোর প্রস্তাবিত হারে বিদ্যুতের দাম বাড়লে ৪ সদস্যের একটি নি¤œমধ্যবিত্ত পরিবারের এ খাতে মাসিক খরচ কম করে হলেও ৩০০ টাকা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্যয়বৃদ্ধি এখানেই থেমে থাকবে না। বিদ্যুতের খরচ বৃদ্ধির প্রভাবে পণ্য উৎপাদন খরচ বাড়বে। অনিবার্যভাবে সকল পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। ব্যবসায়ীরা গ্রাহকের কাছ থেকেই বিদ্যুতের বাড়তি ব্যয় আদায় করবেন। হিমায়িত খাদ্যপণ্যের দামে এর প্রভাব অনিবার্য। বিদ্যুতের দামবৃদ্ধির ফলে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ অবধারিতভাবে চাপে পড়বে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বড়ো চ্যালেঞ্জে পড়বে শিল্পকারখানা। বর্ধিত বিদ্যুৎ বিলের ভার বহনের সক্ষমতা দেশের নি¤œবিত্ত, নি¤œ মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের যেমন নেই, তেমনি সাধ্য নেই শিল্প খাতেরও। ভুল নীতি ও পরিকল্পনা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে জোর না দিয়ে দামবৃদ্ধির প্রতি মনোযোগ দিয়ে সরকার কার্যত দেশের মানুষের সাধ্য-সামর্থ্যের যে তোয়াক্কা করছে না তাই জানান দিচ্ছে। এক শ্রেণীর লুটেরা ও অর্থপাচারকারিদের সুযোগ করে দিতে জনগণের উপর বাড়তি খরচের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পক্ষে যুক্তি দিয়ে সরকার বলেছে, বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ দিতেই হবে। সংগতভাবে প্রশ্ন ওঠে উৎপাদন খরচ কত? রাষ্ট্রয়ত্ত সবক’টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিতো ২০২০-২১ অর্থবছরে মুনাফা করেছে। গত বছরের ২১ আগস্ট প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকের রিপোর্ট অনুযায়ী, পিডিবি ২৬৯ কোটি টাকা, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানী ৪৩০ কোটি টাকা, ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানী ৯৯ কোটি টাকা এবং নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী ১১৮০ কোটি টাকা মুনাফা গুনেছে এক বছরে। তাহলে, উৎপাদন খরচ উঠানোর নামে দাম বৃদ্ধির অজুহাতের ভিত্তি কি? আরও কয়েকটি প্রশ্নে উত্তর চাইতে পারে ভোক্তারা। বিদ্যুতের নতুন মেগা প্রকল্পগুলোর ব্যয় কি আন্তর্জাতিক মানদÐে উত্তীর্ণ? আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ব্যয় মেগাওয়াট প্রতি কত? সংবাদপত্রে শিরোনাম হয়েছে, ‘বিদ্যুৎ না নিয়েই ৫ বছরে শোধ ৩১ হাজার কোটি টাকা’। এই ৩১ হাজার কোটি টাকাতো উৎপাদিত বিদ্যুতের মূল্যে যুক্ত হয়েছে। এই টাকা গ্রাহকরা কোন যুক্তিতে দেবে? ভুলনীতির দায় ভোক্তাদের ওপর চাপানো নৈতিকতার মাপকাঠিতে কতটা গ্রহণযোগ্য?

বসে থাকা ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় চুক্তি নবায়ন, ৪১ হাজার কোটি টাকা ঘাটতির মুখে পড়ে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিল পরিশোধে পিডিবির অপারগতা, জ¦ালানির কথা না ভেবেই বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানানো, নির্মাণাধীন রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন খরচ ভারতের চেয়ে ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি, বেসরকারি খাত থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় ৫ বছরের ব্যবধানে ৮ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হওয়ার মত ইস্যুগুলোকে পাশ কাটানোর সুযোগ নেই।

নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়া ও ভোটারদের কাছে জবাবদিহির দিনগুলো অতীত হওয়ায় এখন নিরীহ-নিরূপায় ভোক্তাদের কাছে সরকারের দায়বদ্ধতা নেই বললেই চলে। বিরোধীশক্তিও ক্ষয়িষ্ণু। ফলে জনভোগান্তি থাকছে উপেক্ষিত। তবুও জনগণের কষ্ট অনুধাবনের দাবিদার সরকারের উচিৎ হবে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দাম বাড়ানোর চিন্তা থেকে সরে আসা। বিদ্যুৎ খাতে বিরাজমান দায়দেনাজনিত সংকটের মূল কারণগুলো আমলে নিয়ে তা নিরসনে বিকল্প পন্থাগুলো অনুসরণ করা।

লেখক : জেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইউনাইটেডের আরও এক লজ্জার রাত

ইউনাইটেডের আরও এক লজ্জার রাত

গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সিরিজ নিশ্চিতের অভিযানে শান্ত-হৃদয়রা

সিরিজ নিশ্চিতের অভিযানে শান্ত-হৃদয়রা

খুলনায় কাটলো তাপদাহ, নামলো বৃষ্টি

খুলনায় কাটলো তাপদাহ, নামলো বৃষ্টি

কুষ্টিয়ায় বিয়ের গাড়ি আটকে ভাঙচুর , আটক ৪

কুষ্টিয়ায় বিয়ের গাড়ি আটকে ভাঙচুর , আটক ৪

কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড মীরসরাই

কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড মীরসরাই

শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা

শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা

নিজ কক্ষে মিললো আওয়ামী লীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ

নিজ কক্ষে মিললো আওয়ামী লীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ

বজ্রপাতে তিন জেলায় ৪ জনের মৃত্যু

বজ্রপাতে তিন জেলায় ৪ জনের মৃত্যু

মধুখালি ডুমাইনের পঞ্চপল্লীতে দুই সহোদর হাফেজ খুন,স্বজনরা উল্টো আতঙ্কে কেটে গেল ১৮ প্রহর

মধুখালি ডুমাইনের পঞ্চপল্লীতে দুই সহোদর হাফেজ খুন,স্বজনরা উল্টো আতঙ্কে কেটে গেল ১৮ প্রহর

প্রশ্ন : প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ঋণ নিয়ে হজ্জ করা প্রসঙ্গে।

প্রশ্ন : প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ঋণ নিয়ে হজ্জ করা প্রসঙ্গে।

আমেরিকা ও ইউরোপের বহিষ্কৃত ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে ইরান

আমেরিকা ও ইউরোপের বহিষ্কৃত ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে ইরান

একটানা ৩৭ দিন তাপপ্রবাহে অতিষ্ট চুয়াডাঙ্গাবাসীর ভাগ্যে অবশেষে মিললো স্বস্তির শিলা বৃষ্টি

একটানা ৩৭ দিন তাপপ্রবাহে অতিষ্ট চুয়াডাঙ্গাবাসীর ভাগ্যে অবশেষে মিললো স্বস্তির শিলা বৃষ্টি

বজ্রপাতে মাদারীপুরে পৃথক স্থানে দুই জন নিহত

বজ্রপাতে মাদারীপুরে পৃথক স্থানে দুই জন নিহত

শম্ভুগঞ্জ ইউসি উচ বিদ্যালয়র সভাপতি মোক্তার হোসেনর বিরুদ্ধ দূর্নীতির অভিযাগ: ছয় সদস্যের পদত্যাগ

শম্ভুগঞ্জ ইউসি উচ বিদ্যালয়র সভাপতি মোক্তার হোসেনর বিরুদ্ধ দূর্নীতির অভিযাগ: ছয় সদস্যের পদত্যাগ

সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি : বাড়ছে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের পরিমান

সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি : বাড়ছে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের পরিমান

অপহরণের ১৩ ঘণ্টা পর চুয়েট স্কুলছাত্র উদ্ধার

অপহরণের ১৩ ঘণ্টা পর চুয়েট স্কুলছাত্র উদ্ধার

বরগুনায় গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধে কর্মশালা

বরগুনায় গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধে কর্মশালা

গৌরনদীতে লোডশেডিং ও তীব্র গরমে কদর বেড়েছে হাতপাখার

গৌরনদীতে লোডশেডিং ও তীব্র গরমে কদর বেড়েছে হাতপাখার

নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে টাকা বিতরণ করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে টাকা বিতরণ করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা