ছুটির দিন। সময়টিকে যথাযথ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে পরিবার, বন্ধুদের সঙ্গে কিংবা একাই বেরিয়ে পড়লেন অবসর উপভোগের জন্য। অবসর সময় অতিবাহিত করার উপযুক্ত স্থান হলো কোনো পার্ক বা প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়, এমন কোনো জায়গা। সময় ভালই যাচ্ছিল, হঠাৎ পেছন থেকে এসে তৃতীয় লিঙ্গের তিন-চার জন লোক ঘিরে ধরল এবং টাকা দাবি করল! আপনি সম্মানের খাতিরে নোট বের করে দিয়েও দিলেন, কিন্তু নোটের মান ছোট হওয়ায় নিচ্ছে না; বড় নোট দাবি করছে। প্রতিবাদ করতে গেলে বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পরিশেষে তাদের যন্ত্রণায় হার মেনে তাদের দাবি পূরণ করতে হয়। এমন ঘটনা দেশের প্রাণকেন্দ্র ঢাকার একটি নিত্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। সকলেই যেন এই ঘটনার সঙ্গে পরিচিত এবং অভ্যস্ত। শুধু অবসর সময় নয়, তৃতীয় লিঙ্গের উৎপাত দেখা দেয় কর্মব্যস্ততার মাঝেও। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চলাচলকারি পাবলিক বাসসমূহে উঠে তৃতীয় লিঙ্গের লোকজন দিন দুপুরে চাঁদাবাজি করছে। হয়রানির শিকার হচ্ছে জনগণ, অনেক সময় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাও ঘটে। অথচ প্রশাসন সেদিকে বেখেয়াল। নাগরিকদের আর্থিক ও দৈহিক সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তৃতীয় লিঙ্গের এই সমস্ত চাঁদাবাজি রুখতে হবে। পরিবর্তে তাদের উত্তম কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রশাসনের সহযোগিতা কাম্য। প্রশাসনের উচিত এদিকে দৃষ্টি দেয়া এবং নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

শিক্ষার্থী, শহীদ বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহাবিদ্যালয়, হাজারীবাগ, ঢাকা।