বাবার কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত চিত্রনায়ক ফারুক
১৭ মে ২০২৩, ১০:৫৪ এএম | আপডেট: ১৭ মে ২০২৩, ১০:৫৪ এএম
ঢাকাই সিনেমার অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের সোম টিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে এশার নামাজ শেষে তার সবশেষ জানাজা হয়। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে বাবা আজগর হোসেন পাঠানের কবরের পাশে দাফন করা হয় তাকে।
এ সময় প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে জানাজায় কয়েকশ মানুষ অংশ নেয়। তাকে একনজর দেখার জন্য মানুষের ঢল নামে। জানাজার আগে চিত্রনায়ক ফারুককে গার্ড অব অনার প্রদান করেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আস-সাদিক জামান। এ সময় সঙ্গে ছিলেন কালীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ ফয়েজুর রহমান। এ সময় মরদেহ সামনে নিয়ে জানাজায় উপস্থিত সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন চিত্রনায়ক ফারুকের ছেলে রওশন হোসেন। পরে ফারুকের নামাজে জানাজা পড়ান সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবু সাঈদ।
জানাজায় ডাকসুর সাবেক ভিপি ও সাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান, সাবেক সংসদ সদস্য একেএম ফজলুল হক মিলন, কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এসএম রবিন হোসেন, গাজীপুর জেলা পরিষদের সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু বক্কর মিয়া বাক্কু, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, চিত্রনায়ক ফারুকের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
চিত্রনায়ক ফারুক সোমবার (১৫ মে) সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম পাঠান, ছেলে রওশন হোসেন শরৎ পাঠান, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী রেখে গেছেন।
ফারুকের প্রকৃত নাম আকবর হোসেন পাঠান দুলু। ১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওরে তার জন্ম। চলচ্চিত্রে এসেছিলেন ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ সিনেমার মাধ্যমে। অভিনয় করেছেন শতাধিক চলচ্চিত্রে। উল্লেখযোগ্য সিনেমা ‘লাঠিয়াল’, ‘সুজন সখী’, ‘নয়নমনি’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘আলোর মিছিল’, ‘মিয়া ভাই’।
এর মধ্যে ‘লাঠিয়াল’ সিনেমাটিতে অভিনয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন ফারুক। ২০১৬ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আসরে তাকে দেওয়া হয় আজীবন সম্মাননা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তিনি সবচেয়ে সফল ও সেরা নায়কদের একজন হিসেবে স্বীকৃত।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফারুক। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ক্ষমতাসীন এই দলটির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ১৯৬৬ সালে ছাত্রনেতা হিসেবে যোগ দেন ছয় দফা আন্দোলনে। সে সময় তার নামে ৩৭টি মামলা হয়। এরপর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন ফারুক।
বিভাগ : বিনোদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত
অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে
দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১
নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে
অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন
ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি
রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের
আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী
সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির
রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার