বহেড়ার ঔষধি গুণ
২২ জুন ২০২৩, ০৯:০৪ পিএম | আপডেট: ২২ জুন ২০২৩, ১১:৩৯ পিএম
বহেড়া একটি অনন্য ঔষধি গুণের ফল। বহেড়ার আরেক নাম বিভিতকি। তবে আমাদের দেশে বহেড়া নামেই বেশি পরিচিত। ভেষজবিদদের গবেষনায় মহৌষধি হিসেবে পরিচিত ত্রিফলার মধ্যে বহেড়া অন্যতম।
বহেড়া ফলটি উপমহাদেশের প্রাচীনতম আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। বহেড়া বিশেষভাবে পরিশোধিত হয়ে এর ফল, বীজ ও বাকল মানুষের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ও চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে আদিকাল থেকে। ভেষজবিদদের বহেড়া নিয়ে দীর্ঘ গবেষণায় বিভিন্ন উপকারিতার কথা উল্লেখ করেছেন। বহুগুণে ভরা বহেড়া মানব দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে। এছাড়া বহেড়ার রয়েছে অসংখ্য ঔষধি গুণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, প্রতিদিন খালী পেটে বহেড়া ফল ভিজানো এক কাপ পানি খেলে দীর্ঘজীবী ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায়।
এবার জেনে নেয়া যাক বহেড়া ফলের ঔষধি গুণগুলো-
# শরীরের জন্য মারাত্মক অস্বস্তিকর একটি রোগ হচ্ছে শ্বেতী রোগ। সাধারণত এ রোগের তেমন কার্যকরী ওষুধ পাওয়া যায় না। এ রোগের জন্য বহেড়া বিচির শাঁসের তেল বের করে নিয়মিত শ্বেতীর উপর লাগালে শ্বেতী রোগ নিরাময়ে সহায়ক হয় এবং অল্প দিনেই গায়ের রঙ স্বাভাবিক হয়।
# রক্ত আমাশয় কষ্ট পেলে প্রতিদিন পানির সাথে বহেড়ার চূর্ণ মিশিয়ে পান করলে দ্রুত আমাশয় রোগ ভাল হয়।
# অনেকের অকালে চুল পেকে যাওয়া এটাও একটা রোগ। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য বহেড়া ফলের বিচি বাদ দিয়ে শুধু খোসা নিয়ে পানি দিয়ে ভালো ভাবে মসৃণ করে বাটুন, এবার বাটা মিশ্রণটি এক কাপ পানিতে গুলে সেই পানি ছেঁকে নিয়ে মাথার চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পাকা বন্ধ হওয়া সহ আরো অনেক উপকার পাওয়া যায়।
# কফের সমস্যায় আধা চা চামচ বহেড়া চূর্ণ ও পরিমাণ মতো ভাল ঘি এক সাথে গরম করে তার সাথে মধু মিশিয়ে খেলে দ্রুত কফের সমস্যা দূর হয়।
# মাথায় টাক পড়লে বহেড়ার বিচির শাঁস অল্প পানিতে মিহি করে বেটে মাথার টাকে নিয়মিত লাগালেও মাথার টাক ভাল হয়ে যায়।
# শরীরের কোন স্থানে ফুলে গেলে বা ব্যথা হলে বহেড়ার ছাল বেটে একটু গরম করে নিয়ে ফুলো জায়গায় প্রলেপ দিলে ব্যথা ও ফোলা কমে যায়।
বহেড়া ও গাছ চেনার উপায়
আমাদের দেশের বনাঞ্চল ও গ্রামেগঞ্জে এই গাছের দেখা মেলে। বহেড়া গাছ ১৫-২৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর বাকল ধূসর ছাই রঙের। পাতা দেখতে কাঁঠাল পাতার মতো মোটা, স্থান ভেদে ও জায়গার ধরন বুঝে এটা প্রায় ৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। এর ফুল ডিম্বাকৃতির, প্রায় ১ ইঞ্চির মতো লম্বা। কাঁচা পাকা বহেড়া ফলের রঙ সবুজ থাকে। পেকে গেলে লাল হয়। এরপর শুকিয়ে গেলে ক্রমশ এ রং বাদামি হয়ে যায়। ফলের বাইরের আবরণ মসৃণ ও শক্ত এবং ভেতরে একটি মাত্র শক্ত বীজ থাকে। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের ভেতর এ ফলটি বেশি পেকে থাকে।
কাজী এম এস এমরান কাদেরী।
সাংবাদিক, কলামিস্ট।
বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম।
ইমেইল: [email protected]
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
নটিংহ্যামকে হারিয়ে চার ম্যাচের জয়খরা কাটালো আর্সেনাল
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না
দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু
দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা