ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

টক দই খাই

Daily Inqilab ইনকিলাব

২৭ জুলাই ২০২৩, ০৮:৪৩ পিএম | আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৩, ১২:০২ এএম

দই খেতে হবে টক অবস্থায়। এতে অনেক অপকারী উপাদান মিশানো থাকে না। টক দইয়ের মধ্যে আলাদা করে চিনি মিশিয়ে দইকে মিষ্টি করা হয়। সুগার মানেই অতিরিক্ত ক্যালোরি। সেখান থেকে ওজন বৃদ্ধি। তা ছাড়া মিষ্টি দইয়ে চিনি ছাড়াও থাকে ঘি। সেটা বরং কারও কারও স্বাস্থ্যের পক্ষে আরও বেশি ক্ষতিকারক। অবশ্য রক্তে টাইগ্রিসারাইডস, শর্করার পরিমাণ ঠিক থাকলে একজন ব্যক্তির মাঝেমধ্যে মিষ্টি খেতে বাধা নেই।

সব ভিটামিন, খনিজ কোনও একটি খাদ্য প্রস্তুতে থাকে না। দইয়েও নেই। ফলে শুধু দই খেয়ে কোনও ব্যক্তি জীবনধারণ করতে পারেন না। কীভাবে দই খাবেন ? মূল খাদ্যের সঙ্গে দই রেখে খাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ লাঞ্চ ও ডিনারের শেষে দই খেতে পারেন। এভাবে দৈনিক গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিগ্রাম দই খাওয়া যায়। দই খাদ্য হজমে সাহায্য করে।

ঘরে পাতা দই সব সময়ই নিরাপদ। তবে পাতা দই নিয়ে কয়েকটা কথা বলে রাখা ভালো। মোটামুটিভাবে রাতে দই পাতাবেন, তার পরের দিন বিকালের মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। মনে রাখবেন, ২৪ ঘন্টা পেরুতে শুরু করলেই দই-এর পুষ্টিগুণ কমতে থাকে।

কোনও কোনও সংস্থা আজকাল প্যাকেটজাত দইয়ে শরীরের পক্ষে জরুরি কিছু মিনারেল মিশিয়ে দিচ্ছে। যেগুলো ঘরে পাতা দইয়ে পাওয়া যায় না। তা সত্ত্বেও বলা যায়, ঘরে পাতা দই খাওয়াই শ্রেয়। তবে ঘরে দই পাতলে, ডাবল টোনাড দুধের পাতা ভালো। কারণ ডাবল টোনড দুধে ফ্যাট অনেক কম থাকে। অযথা ওজন বৃদ্ধি রোধ হয়।

কাদের দই খাওয়া একেবারেই উচিত নয় ? ক্রনিক কিডনি ডিজিজ এবং ডায়াবেটিসের রোগীরা দই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না। কারণ দইয়ে ক্যালশিয়াম এবং ফসফরাস থাকে। কিডনি ডিজিজের রোগীর পক্ষে অতিরিক্ত ফসফরাস ক্ষতিকারক। অন্যদিকে, সুগারের রোগীকে ক্যালোরি মেপে খেতে হয়। তাই ইচ্ছেমতো অতিরিক্ত দই খাওয়া যাবে না। আরও একটা কথা বলা উচিত তা হল, দইয়ে যে প্রোটিন থাকে, সেই প্রোটিনের প্রতি কারও কারও অ্যালার্জি থাকে। এমন মানুষের দই না- খাওয়াই উচিত।
আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট।


বিভাগ : স্বাস্থ্য


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান