লিভারের ক্রিমি হাইডাটিড সিস্ট
১০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৩ এএম

হাইডাটিড সিস্ট হচ্ছে যকৃতের ভিতরে এক ধরনের ফিতা ক্রিমির বাসা। সারা পৃথিবীতেই রোগটি হয়। আমাদের দেশেও দেখা যায়। তবে অষ্ট্রেলিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যে রোগটি বেশি হয়। অসুখটি জটিল এবং চিকিৎসা না হলে জটিলতা বাড়তে পারে।
এক ধরনের পরজীবী দিয়ে হাইডাটিড সিস্ট হয়। নাম তার একাইনোকক্কাস গ্রানুলোসাস। বিদঘুটে নাম। হাইডাটিড সিস্ট শুধু যে লিভারেই হয় তা নয়। বিভিন্ন অঙ্গে হতে পারে এ সিস্ট। তবে যকৃত বা লিভারেই এটি বেশী হয়।
যেমন:
১। ফুসফুস
২। কিডনী
৩। মাথার মগজ বা ব্রেইন
৪। অস্থি
৫। স্পিøন বা প্লীহা
৬। মাংশপেশী ইত্যাদি
তবে এখানে শুধু লিভারে হাইডাটিড সিস্ট নিয়েই আলোচনা করা হবে।
সাধারনত আক্রান্ত কুকুরের মল থেকে রোগটি ছড়ায়। কুকুরের মল শাকসবজী এবং অন্য প্রাণীর গায়ে লেগে যায়। তারপর খাবার, পানি ও মাটি থেকে তা সুস্থ মানুষকে আক্রান্ত করে। পরজীবিটির ডিম মুখ দিয়ে মানুষের দেহে সংক্রমিত হলে তবেই রোগটি দেখা দেয়।
লিভারে যে হাইডাটিড সিস্ট থাকে তা একই সাথে একটি অথবা একাধিক হতে পারে। দীর্ঘদিন সিস্ট থাকলে সেখানে ক্রিমিটি মারা গিয়ে ক্যালসিয়াম জমা হয়। তবে লিভারে ছোট আকারের হাইডাটিড সিস্ট থাকলে তেমন কোন উপসর্গ নাও থাকতে পারে। তবে যেসব উপসর্গ নিয়ে রুগীরা সচরাচর চিকিৎসকের শ্মরনাপন্ন হন তার মধ্যে আছে-
১। পেট ব্যথা
২। অস্বস্তি
৩। ক্লান্তি
৪। রক্তাল্পতা
৫। ওজন কমে যাওয়া
৬। জন্ডিস
৭। অপুষ্টি
৮। অনেক সময় সিস্ট ফেটে গিয়ে আরও নানা ধরনের বিপত্তি তৈরি করে।
লিভার হাইডাটিড সিস্ট ডায়াগনসিসের জন্য ভালভাবে ইতিহাস নিতে হবে। শারীরিক পরীক্ষা করলে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। শতভাগ নিশ্চিত হবার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। রক্ত পরীক্ষা করলে দেখা যায় ইয়োসিনোফিল কাউন্ট বেড়ে গেছে। এক্সরে করলে ক্যালসিয়াম জমা হলে বোঝা যায়। আলট্রাসনোগ্রাম, সিটি স্ক্যান এবং এমআরআই করে অনেকটা নিশ্চিতভাবে ডায়াগননিন করা যায়। এলিসা করেও ডায়াগনসিস করা যায়।
নির্দিষ্ট চিকিৎসার পূর্বে সব রোগীকেই মেবেনডাজল এবং এলবেনডাজল দিয়ে চিকিৎসা করা উচিৎ। যদি সিস্টের বিলিয়ারি ট্রির সাথে যোগাযোগ না থাকে তবে সুঁই দিয়ে সিস্টের ভেতরের উপাদান বের করা হয়। তারপর সেখানে ১০০% ইথানল দেয়া হয়। এরপর আবার সিস্ট থেকে সবকিছু বের করে ফেলা হয়। একে পেয়ার থেরাপী বলে। আর যদি বিলিয়ারী ট্রির সাথে সিস্টের যোগাযোগ থাকে তবে অপারেশন করা হয়।
হাসপাতালে এই সিস্ট প্রায়ই দেখা যায়। যদিও আগের তুলনায় প্রকোপ অনেক কমে এসছে। নিয়মিত কৃমিনাশক ওষুধ খেলে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে অনেকটাই এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
ডা. মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

মাদকের সঙ্গে কোনো আপোষ নেই আটঘরিয়ায় পুলিশের ওপেন হাউজ ডে-রেজানুর

যে যাই বলুক, জুনের পরে নির্বাচন যাবে না: আইন উপদেষ্টা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাঙালিয়ানা সাজ

২০২৮ অলিম্পিকের ক্রিকেট ভেন্যু চূড়ান্ত

ওয়ানখেড়েতে রোহিতের নামে স্ট্যান্ড

গুগলের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিল জাপান

নেতা-কর্মীদের বিপদে ফেলে ওবায়দুল কাদেরের আয়েশি জীবন

ঈশ্বরগঞ্জে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা নিরসনের দাবীতে মানববন্ধন

জুনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের দাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের

অগ্নিকান্ডের ঘটনা উৎঘাটনে পুলিশ ও সিআইডি কাজ শুরু করেছে- জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন

নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ জানাননি বলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় অসন্তুষ্ট বিএনপি

প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের ডেডলাইন দেননি : বিএনপি

সদরপুরে পুকুরে ডুবে ভাই বোনের সলিল সমাধি

যে কারনে সড়কে ব্যারিকেট দিলো সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সেই গাড়িচালক আবদুল মালেকের ৫ ও স্ত্রীর ৩ বছরের কারাদণ্ড

স্বরাষ্ট্র সচিবের আকস্মিক থানা পরিদর্শনের পরই রামুতে ইয়াবা সহ পুলিশ সদস্য আটক

পুঠিয়ায় যাবত জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী আটক

বরিশালে ‘শেখ কামাল ও জয়’এর নামে গড়ে তোলা ‘স্মার্ট সার্ভিস এন্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার’টি চালু হবে কবে ?

আশুলিয়ায় ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

খুলনায় চলন্ত ট্রেন আটকে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ