ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১
আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস ২০২৪

প্রতিবন্ধীদের বিশেষ সুরক্ষা প্রয়োজন

Daily Inqilab ইনকিলাব

০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ এএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ এএম

প্রতিবছর ৩ ডিসেম্বরকে ‘আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ২০২৪। হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৯২ সাল থেকে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।  বিশ্ব জুড়ে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধিতার শিকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও সুরক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে উদযাপন হল ৩৩ তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস। বাংলাদেশ এবছর ২৬ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন হয়েছে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য– ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে বিকশিত নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে প্রতিবন্ধী জনগণ’। সমাজসেবা অধিদপ্তরের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী নারী, পুরুষ ও হিজড়াসহ বাংলাদেশে সরকারের নিবন্ধিত প্রতিবন্ধী অর্থাৎ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তির সংখ্যা ৩০ লাখ। বর্তমানে তাদের মধ্যে ২৩ লাখ ৮৫০ টাকা করে ভাতা পান।  নতুন বাজেটে ভাতা বাড়ানো হয়নি। তবে উপকারভোগী বাড়িয়ে ২৯ লাখকে ভাতা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। তবে “সংক্ষুব্ধ প্রতিবন্ধী নাগরিক সমাজের” সদস্য সচিব ইফতেখার মাহমুদ বলেন,” একটি দেশের শতকরা ১০ ভাগ মানুষ প্রতিবন্ধী। এটা আন্তর্জাতিক হিসাব। বাস্তবে দেশে প্রতিবন্ধী সরকারি হিসাবের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। ” 
প্রতিবন্ধী শব্দটি যেন এক বৈষম্যের প্রতিধ্বনি। শব্দের অন্তগত অর্থ সেই শব্দের নাম নির্দেশ করে থাকে। নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বৈষম্যের উৎপত্তি এবং বৈষম্য থেকে জনবিচ্ছিন্নকরণ। প্রতিবন্ধী নাগরিকগণ যেন সমাজে অন্য সব নাগরিকের মত সমান অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে বসবাস করতে পারেন সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রতিবছর আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হয়। আর শারীরিকভাবে অসম্পূর্ণ মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রদর্শন ও তাদের কর্মকান্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যেই দিবসটির সূচনা হয়। আর সকল প্রকার শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা মানব বৈচিত্রেরই অংশ। তাই, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে তাদের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করা খুবই জরুরি। সমাজের অবিচ্ছেদ্য এ অংশকে সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তবেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।
প্রতিবন্ধী মানুষের রয়েছে নানা রকম প্রকারভেদ। শারীরিক প্রতিবন্ধী, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, শ্রবণ প্রতিবন্ধী, বাক প্রতিবন্ধী, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। এই মানুষ গুলো নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে জীবন যুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধা হিসেবে জীবনকে পরিচালনা করছে। দিকে দিকে যে বিচিত্র কর্মধারা নিত্যপ্রবাহিত, সেখানে যোগদানের ক্ষেত্রেও  তারা প্রতিনিয়ত অবহেলিত ও নানা প্রকার প্রতিবন্ধকতার শিকার। 
বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতার তিনটি লক্ষণ :-
প্রথমত, এদের বুদ্ধি তাৎপর্যপূর্ণ মাত্রায় কম থাকে। ওয়েক্সলার ইন্টেলিজেন্স স্কেল অনুযায়ী এদের আইকিউ ৭০ বা তার কম থাকে।
দ্বিতীয়ত, জীবনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার দক্ষতার ক্ষেত্রে এ শিশুদের যথেষ্ট ঘাটতি থাকে।
তৃতীয়ত, ব্যক্তির মানসিক প্রতিবন্ধিতার বিষয়টি তার ১৮ বছর বয়সের আগেই দৃশ্যমান হয়। বেশির ভাগ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুকে প্রথম দর্শনে বোঝা যায় না যে, তাদের কোনো সমস্যা আছে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুদের বিকাশ একটু দেরিতে হয়। তারা দেরিতে কথা বলতে শিখে, তাদের স্মৃতিশক্তি কম থাকে, মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা ও ধৈর্য কম থাকে, কোনো কিছু শিখার ক্ষমতাও কম থাকে। যেমন অন্য বাচ্চারা হয়তো দিব্যি টয়লেট করে পরিচ্ছন্ন হয়ে বের হচ্ছে।
সাধারণ মানুষের আইকিউ গড়ে ৯০-১০০ এর মধ্যে থাকে। প্রতিবন্ধীদের পরিমাপক মাত্রা বেশ কম থাকে। মৃদু মাত্রার বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের বুদ্ধির একক বা আইকিউ স্কোর থাকে ৫০ থেকে ৬৯ এর মধ্যে। এরা সপ্তম বা অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়তে পারে। তবে তারা পরীক্ষায় সচরাচর খারাপ করে। মধ্যম মাত্রার বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের বুদ্ধাঙ্ক বা আইকিউ ৩৫-৪৯ এর মধ্যে থাকে। এই স্তরের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুদের অনেক অল্প বয়সেই বোঝা যায়। তাদের ভাষার বিকাশ দেরিতে হয়, এদের শিক্ষার ক্ষেত্রে ও সমাজে চলার জন্য প্রচুর সহযোগিতা দরকার হয়। তাদের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলে স্পেশাল এডুকেশন টিচারদের তত্ত্বাবধানে শিখালে ভালো ফল পাওয়া যায়। আর ২০০১ সালে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন ২০০১ প্রণয়ন করা হয়। পরবর্তীতে এ আইনটি বাতিল করে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩’ প্রবর্তন করা হয়। তাছাড়াও, বাংলাদেশ সংবিধানের ১৫, ১৭, ২০ এবং ২৯ অনুচ্ছেদে অন্যান্য নাগরিকদের সাথে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমসুযোগ ও অধিকার প্রদান করা হয়েছে। আর বাংলাদেশের সংবিধানের ১৯ (১) নম্বর অনুচ্ছেদে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ এদেশের সকল নাগরিকের সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা হয়েছে। তাই, দেশের প্রতিবন্ধী জনগণের সর্বিক উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের জনগণ, সংশ্লিষ্ট সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। 
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষের মধ্যে প্রতিবন্ধিতা বেশি। প্রতিবন্ধীর ২ দশমিক ৯২ শতাংশ গ্রাম বসবাস করে, ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ থাকে শহরে। প্রতিবন্ধীদের মধ্যে শারীরিক প্রতিবন্ধীর হার সর্বোচ্চ বলে জরিপে দেখা গেছে। ২ দশমিক ৮০ শতাংশের মধ্যে শারীরিক প্রতিবন্ধীর হার ১ দশমিক ১৯ শতাংশ। অন্য ধরনের প্রতিবন্ধীর মধ্যে মানসিক প্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ, বাকপ্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ১৪ এবং শ্রবণপ্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ।
প্রতিবেদনে প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, মাত্র ২৭ দশমিক ২১ শতাংশ কাজে নিযুক্ত আছেন।
প্রতিবেদনে প্রতিবন্ধী শিশুদের লেখাপড়ার চিত্র তুলে ধরে বলা হয়েছে, এদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্তও পড়ালেখা করে না। আর উচ্চমাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত যায় না ৭৫ শতাংশের বেশি। আর ধরন অনুযায়ী মানুষের মধ্যে প্রায় ১২ ধরনের প্রতিবন্ধিতা শনাক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো, অটিজম বা অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারস, শারীরিক, মানসিক অসুস্থতাজনিত, দৃষ্টি, বাক প্রতিবন্ধীতা, বুদ্ধি, এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধিতা, সেরিব্রাল পালসি, ডাউন সিনড্রোম, বহুমাত্রিক এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধিতা।
> কারণ : এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতার কারণ জানা যায় না। বিভিন্ন রোগের প্রভাবে বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা হতে পারে। ডাউন্স সিন্ড্রোম, ভেলোকেরিওফেসিয়াল সিন্ড্রোম এবং ফেটাল অ্যালকোহল সিন্ড্রোম জন্মগত বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। কখনও কখনও পিতা-মাতা থেকে প্রাপ্ত অস্বাভাবিক জিন বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতার কারণ হিসেবে কাজ করে।
গর্ভাবস্থার সমস্যার জন্য বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা হতে পারে। আবার জন্মকালীন সমস্যার কারণেও বুদ্ধি প্রতবন্ধিতা হতে পারে। কিছু রোগ ও বিষাক্ততার প্রভাবে বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা হতে পারে। যেমনথ হুপিং কাশি, মিজলস, মেনিনজাইটিস রোগের সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা হতে পারে। সিসা বা লেড, মারকারি ইত্যাদি বিষাক্ততার শিকার হয়েও বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা হতে পারে। আয়োডিনের ঘাটতির কারণে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হতে পারে। অপুষ্টির কারণেও এটি হতে পারে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতার জন্য যেসব রোগ ও সংক্রমণ দায়ী সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা বিশেষভাবে দরকার। 
> প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহের নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত :
* সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন করা;* শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা;* প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রযুক্তিগত বিশেষ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা, যাতে করে তারা আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারে;* প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্ম সংস্থান এর জন্য আলাদা শিল্প কারখানা স্থাপন করা উচিত। এর জন্য তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া যেতে পারে;* প্রতিবন্ধীদের মননশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের খেলাধুলার ব্যবস্থা করা উচিত। * প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে সমাজ কর্মীদের ভূমিকা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সমাজকর্মের কৌশল প্রয়োগ করা যেতে পারে।
 যেমন-(ক) সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি কৌশল (খ) জনগণকে উদ্বৃদ্ধ করণ কৌশল (গ) গণসংযোগ ও সম্পৃক্তকরণ কৌশল (ঘ) সমস্যা চিহ্নিত করণ ও বিশ্লেষণ কৌশল (ঙ) সম্পদ আহরণ ও সদ্ব্যবহার কৌশল (চ) সক্ষমতা ও অভিযোজন ক্ষমতা অর্জন কৌশল (ছ) মানব সম্পদ উন্নয়ন কৌশল প্রভৃতি;* চাকরী ও অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীর কোটা বৃদ্ধি করা উচিত।* প্রতিবন্ধী বিষয়ক গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হবে;> পরামর্শ:-শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে উঠায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে নাকি তা খেয়াল করা বাবা-মায়ের দায়িত্ব। যে সকল শিশুর প্রতিবন্ধী হয়ে গড়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে তা আগে থেকেই বোঝা গেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। সাধারণত অভিভাবকেরা এ ধরনের সমস্যা বুঝতে অনেক বেশি সময় নিয়ে ফেলেন। 
১. শিশুর বেড়ে ওঠার প্রতিটি মুহূর্ত মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করতে হবে। স্বাভাবিক বিকাশের ধীর গতি প্রতিবন্ধী শিশুর সবচেয়ে বড় লক্ষণ। তাই শিশুর আবেগ, সামাজিক এবং অন্যান্য সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক কার্যকলাপ বোঝার চেষ্টা করুন। বয়স অনুযায়ী তার মানসিক বিকাশ হচ্ছে না বলে মনে হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 
২. অনেকেই শিশুর মধ্যে ধীর মানসিক বিকাশ লক্ষ্য করার পরও ভাবেন হয়তো ঠিক হয়ে যাবে। আরো কিছু দিন অপেক্ষার পক্ষপাতী তারা। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত বড় ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। এমন লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নিলে শিশুকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তাই প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রাথমিক অবস্থাতেই চিকিৎসকের কাছে নেওয়া উচিত। 
৩. প্রত্যেক শিশুর সামান্যতম সমস্যা হলে তার বাবা-মা সবার আগে বুঝতে পারেন।তাই শিশুর আচরণ ও মানসিক বিকাশ নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। 
পরিশেষে বলতে চাই, আমাদের সমাজে নারীরা এমনিতেই বৈষম্যের শিকার। প্রতিবন্ধী নারীগণ সেক্ষেত্রে আরও বেশী বৈষম্যে আক্রান্ত। এছাড়াও শারীরিক, মানসিক, যৌন নির্যাতন ও অবহেলার ঝুঁকিও তাদের বেশী। প্রতিবন্ধী শিশু, মহিলা ও বৃদ্ধদের সেক্ষেত্রে বিশেষ সুরক্ষা প্রয়োজন। সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি আমাদের আন্তরিক হতে হবে। প্রতিবন্ধীদের যাতে কেউ সমাজের বোঝা হিসেবে ভাবতে না পারে সেজন্য তাদেরকে কোনো একটি বিশেষ কাজে দক্ষ করে তুলতে হবে এবং কর্মমুখী পেশার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। উন্নয়নের মূলস্রোতে এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করা গেলে তারা জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন।

 
মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ চিকিৎসক,

কলাম লেখক ও গবেষক প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান  জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি অলংকার শপিং কমপ্লেক্স চট্টগ্রাম। 

ইমেইল: [email protected]


বিভাগ : স্বাস্থ্য


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

শীতকালে মানসিক রোগ বাড়েশীতকালে মানসিক রোগ বাড়ে
ই-সিগারেট নিষিদ্ধ: সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ
লিউকোপ্লাকিয়া এবং মুখের ছত্রাক সংক্রমণ
ভুলে যাওয়া
ঘরের ধূলো থেকে এলার্জি
আরও

আরও পড়ুন

গোয়েন্দা সংস্থা একটি রাজনৈতিক দল গঠনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে : রিজভী

গোয়েন্দা সংস্থা একটি রাজনৈতিক দল গঠনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে : রিজভী

ফুলপুরে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন

ফুলপুরে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন

সচিবালয়ের ৮ তলায় মিলল কুকুরের দগ্ধ মরদেহ, চাঞ্চল্যের সৃষ্টি

সচিবালয়ের ৮ তলায় মিলল কুকুরের দগ্ধ মরদেহ, চাঞ্চল্যের সৃষ্টি

সুন্দরবন সংলগ্ন গাবুরা পল্লীতে ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হলো হরিণের মাংস

সুন্দরবন সংলগ্ন গাবুরা পল্লীতে ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হলো হরিণের মাংস

ফায়ার ফাইটার নয়নের জানাজা সম্পন্ন

ফায়ার ফাইটার নয়নের জানাজা সম্পন্ন

প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজে রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন

প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজে রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন

‘সচিবালয়ে আগুনের পেছনে আওয়ামী দোসরদের ষড়যন্ত্র রয়েছে’

‘সচিবালয়ে আগুনের পেছনে আওয়ামী দোসরদের ষড়যন্ত্র রয়েছে’

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড : প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি ফখরুলের

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড : প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি ফখরুলের

আটঘরিয়া-চাঁদভা হাড়লপাড়া সড়কের ব্রিজ ভেঙ্গে দুর্ভোগে পথচারীরা

আটঘরিয়া-চাঁদভা হাড়লপাড়া সড়কের ব্রিজ ভেঙ্গে দুর্ভোগে পথচারীরা

পুড়ে যাওয়া ২ মন্ত্রণালয় দেখে আসিফ মাহমুদ: ‘আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে’

পুড়ে যাওয়া ২ মন্ত্রণালয় দেখে আসিফ মাহমুদ: ‘আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে’

দেশে ফিরলেন মিজানুর রহমান আজহারী, অংশ নেবেন মাহফিলে

দেশে ফিরলেন মিজানুর রহমান আজহারী, অংশ নেবেন মাহফিলে

আরেকটি বিধ্বংসী দ্বিশতক হাঁকালেন রিজভি

আরেকটি বিধ্বংসী দ্বিশতক হাঁকালেন রিজভি

অবৈধ শিসা তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর

অবৈধ শিসা তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর

সচিবালয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন , বন্ধ দাপ্তরিক কাজ

সচিবালয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন , বন্ধ দাপ্তরিক কাজ

স্থানীয় প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তারা আজ স্বাবলম্বি

স্থানীয় প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তারা আজ স্বাবলম্বি

মনোহরগঞ্জে দারুল উলূম বান্দুয়াইন মাদরাসার বার্ষিক মাহফিললে-আল্লামা মামুনুল হক

মনোহরগঞ্জে দারুল উলূম বান্দুয়াইন মাদরাসার বার্ষিক মাহফিললে-আল্লামা মামুনুল হক

ঈশ্বরগঞ্জে আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের মানববন্ধন

ঈশ্বরগঞ্জে আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের মানববন্ধন

আ'লীগ দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে- মির্জাগঞ্জে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আ'লীগ দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে- মির্জাগঞ্জে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বুমরাহকে অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড উপহার দেওয়া কনস্টাসের দিন

বুমরাহকে অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড উপহার দেওয়া কনস্টাসের দিন

সাভারে বন্ধ থাকা টিএমআর কারখানা চালু করার নির্দেশনা উপদেষ্টার

সাভারে বন্ধ থাকা টিএমআর কারখানা চালু করার নির্দেশনা উপদেষ্টার