কিডনির যত্ন নিন
১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৩ এএম
কিডনি আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। যদিও স্বাভাবিকভাবে সবার কিডনি থাকে দুইটা, ডানে একটা আর বামে একটা। তাই বলা যায় কিডনি ছাড়া বাঁচা অসম্ভব। আজকাল অনেক কারণে কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে দেখা যায়। একটু সচেতন হলেই কিডনি নষ্ট হওয়া প্রতিরোধ করা যায়।
কিডনি বিকল দুই ধরণের। আকস্মিক কিডনি বিকল আর ধীরগতির কিডনি বিকল। ডায়রিয়া, বমি, আঘাত, প্রদাহ, সংক্রমন, অপারেশন পরবর্তী জটিলতা, মুত্রপথে বাধা ইত্যাদি কারনে আকস্মিক কিডনি বিকল হয়। আর ধীরগতির কিডনি বিকলের প্রধান কারণ অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, নেফ্রাইটিস, বংশগত, কিডনির রক্তনালীর সঙ্কোচন প্রভৃতি। এছাড়া অজানা কোন কারণেও কিডনি বিকল হতে পারে।
কিডনি রোগ একবার হয়ে গেলে খুব বিপদ। পরিবারের সবার কষ্টের সীমা থাকেনা। তাই প্রতিরোধের দিকে নজর দিতে হবে। কিডনি রোগ প্রতিরোধের জন্য নিম্নোক্ত বিষয় মেনে চলা প্রয়োজন ;
১। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। তবে কিডনিতে রোগ হয়ে গেলে তখন পানি কম খেতে হবে। এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত ।
২। অতিরিক্ত লবন খাওয়া যাবে না। লবণ পানি ধরে রাখে আর উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই সতর্ক হতে হবে।
৩। প্রস্রাব আটকে রাখা ঠিক নয়। আমাদের দেশের মেয়েদের এ সমস্যা বেশি। এদিকে সচেতন হতে হবে।
৪। ব্যথার ওষুধ চিকিতসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া ঠিক নয়। এর ফলে কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৫। যেকোনো সংক্রমণের দ্রুত চিকিৎসা করতে হবে। বিশেষ করে কিডনিতে সংক্রমণ হলে তো কথাই নেই। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৬। গোস্ত বেশি খাওয়া ঠিক নয়। বিশেষ করে লাল গোস্ত, ফলে বিভিন্ন অসুখ হয় যার সাথে কিডনি রোগের সম্পর্ক আছে। রেডমিট যত কম খাওয়া যায় তত ভাল ।
৭। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিয়মিত খেতে হবে। অবশ্যই এটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বাদ দেয়া যাবেনা।
৮। প্রস্রাব করতে সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। নাহলে ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে।
৯। ওষুধ সেবনে অনিয়ম করা যাবেনা। কোন ওষুধই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করা যাবেনা ।
১০। মদ , ধূমপান একেবারেই নিষেধ । এর ফলে কিডনি সহ বিভিন্ন অঙ্গে জটিল সমস্যা হয়।
১১। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের ফলেও কিডনিতে সমস্যা হতে পারে।
১২। ডায়রিয়া ও অতিরিক্ত বমি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ভাল। তাতে জটিলতা কমে যায় ।
১৩। দক্ষ সার্জনের হাতে অপারেশন করা উচিত। অপারেশন পরবর্তী জটিলতায় কিডনি বিকল হতে পারে।
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় দুই কোটি লোক কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রাথমিক পর্যায় থেকে এসব রোগের চিকিৎসায় সতর্ক হতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কিডনি রোগ সম্বন্ধে সবার জানা উচিত। একইসাথে অন্যকেও জানাতে হবে। সবারই নিজের কিডনির সুস্থতার জন্য সতর্ক থাকতে হবে। কারণ সর্তক হওয়াটা চিকিৎসার চেয়ে অনেক ভালো।
ডা. মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত