নাকে কানে হঠাৎ কিছু ঢুকে গেলে
২০ মার্চ ২০২৫, ১২:২৫ এএম | আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:২৫ এএম

খেলতে খেলতে হঠাৎ করে অবুঝ শিশু যদি নাকের ছিদ্রে বা কানের ফুটোর মধ্যে কিছু ঢুকিয়ে ফেলে অথবা পোকামাকড়, মশা-মাছি প্রভৃতি নাক বা কানের মধ্যে ঢুকে আটকে পড়ে, সে ক্ষেত্রে বাড়িতে নিজেরা খোঁচাখুঁচি করলে সমস্যা আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
শিশু ছাড়াও বড়দের কানের ভিতরে পোকামাকড়, মশা-মাছি অনেক সময় ঢুকে যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের শস্যদানা যেমন-ছোলা, মটর, ধান এবং অন্যান্য জিনিসের মধ্যে পুঁতি বা ছোট্ট বল, ছোট পাথরের টুকরা, শার্টের বোতাম, কাগজ, মুড়ি ইত্যাদি কানের ভিতরে ঢুকিয়ে আমাদের কাছে নিয়ে আসে। এক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে শিশুকে অথবা আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসকের কাছে নিতে না পারলে বাড়িতে প্রথমেই বুঝতে চেষ্টা করুন, কানের মধ্যে যে জিনিসটি ঢুকেছে, সেটি জীবন্ত কিছু না কি জড় পদার্থ। জড় পদার্থ ঢুকে থাকলে চিকিৎসকের কাছে যেতে সামান্য দেরি হলেও অসুবিধা নেই। কিন্তু কানে মশা-মাছি, তেলাপোকা, পিঁপড়া বা অন্য কোনো জীব ঢুকে পড়লে সেটিকে মেরে ফেলতে চেষ্টা করতে হবে, না হলে কানের ভেতরে আটকা পড়া প্রাণীটির নড়াচড়ার কারণে শিশুর কানে ব্যথা ও অস্বস্থি হতে থাকবে।
কানে মশা-মাছি, তেলাপোকা, পিঁপড়া বা অন্য কোনো জীব ঢুকে পড়লে মেরে ফেলার আগে কানে উচ্চ আলোর টর্চ লাইট ধরলে অনেক সময় জীবন্ত পোকামাকড় আলোর প্রতি সংবেদনশীল হওয়ায় বের হয়ে আসে। তাই প্রথমে টর্চ লাইটের আলোর প্রতি আকর্ষিত হয়ে পোকামাকড় বের হয়ে আসে কিনা দেখতে পারেন। নিজেরা চেষ্টা করলে অনেক সময় কানের পর্দা ছিদ্র হয়ে যায় অথবা কানের ভিতরে/বহি:কর্ণে ক্ষত হয়ে যায়। এমন সমস্যার ক্ষেত্রে হাতের কাছে পাতলা যেকোনো ধরনের তেল (অলিভ ওয়েল অথবা নারিকেল তেল) ধীরে ধীরে ফোটায় ফোটায় কানের মধ্যে দিন। বাড়িতে এর বেশি কিছু করার প্রয়োজন নেই। এরপর যত দ্রুত সম্ভব, শিশুকে হাসপাতালে অথবা নাক-কান-গলা রোগের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত।
তবে নাকের মধ্যে জড় পদার্থ বা জীব-যাই আটকে যাক না কেন, সেটিকে বের করার জন্য বাড়িতে কোনো ধরনের চেষ্টা করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ, আপনার খোঁচাখুঁচির ফলে নাকের ভেতর দিয়ে জিনিসটি শিশুর শ্বাসনালিতে চলে যেতে পারে, এতে শিশুর জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে সতর্কতা হিসেবে শিশুকে ঠান্ডা মাথায় বোঝান। তাকে আস্তে আস্তে শ্বাস গ্রহণ করতে বলুন। আর সে যেন নাক থেকে জোরে বাতাস ছাড়ে সে চেষ্টা করতে বলুন। শিশুর সামনে নিজে অস্থির হয়ে চেঁচামেচি কান্নাকাটি করবেন না, এতে সে ভয় পেয়ে যাবে।
ডা. মোঃ আব্দুল হাফিজ শাফী
নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ এবং হেড-নেক সার্জন ,
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট।
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

এভারটনের বিপক্ষে শেষ ৮ মিনিটের ঝড়ে জিতল সিটি

অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে জিতল বার্সা

প্রশাসনের কঠোরতায় গুলশানে বন্ধ হলো ব্যাটারিচালিত রিকশা

হাসান সারওয়ার্দীর এলডিপিতে যোগদান

ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের বলয় গড়ে তুলতে হবে

নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস হয়ে উঠলো এক খন্ড বাংলাদেশ

ছাত্রলীগ ও আ.লীগের ৬ কর্মী গ্রেফতার

বিচার কার্যক্রম চলবে ৪৮ বেঞ্চে আজ খুলছে উচ্চ আদালত

পুলিশ কর্মকর্তাদের ছবি ব্যবহার করে জালিয়াতি

গত ১৬ বছরে উন্নয়নের নামে চট্টগ্রামকে পানিবদ্ধতার নগরীতে পরিণত করা হয়েছে -মেয়র ডা. শাহাদাত

পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে কয়রায় গণশুনানী

কিশোরগঞ্জে ৪ খাবারের দোকানে জরিমানা

আশুলিয়ায় শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, যুবক গ্রেফতার

পরিকল্পনা উপদেষ্টার সাথে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সাক্ষাৎ

ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে আমেরিকায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল

আদমদীঘিতে কার্ডধারীদের চালের পরিবর্তে টাকা দেয়ার অভিযোগ

চাঁদপুর জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতিসহ গ্রেফতার ৩

রাউজানে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির এশায়াত মাহফিল অনুষ্ঠিত

ভোলায় গ্যাস সংযোগ দাবি, ইন্ট্রাকোর কাভার্ডভ্যান আটকে দিলো ছাত্র-জনতা

এনএমআই চট্টগ্রামের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও দন্ত সুরক্ষা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত