ক্যানসারের টিকাও সম্ভব করতে পারে আধুনিক প্রযুক্তি
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২১ এএম | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২১ এএম
কোভিড মহামারির মোকাবিলা করতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে বায়োনটেকের মতো কোম্পানির টিকা। সেই প্রযুক্তির আরো উন্নতি ঘটিয়ে নানা ধরনের ক্যানসার নিরাময়ের চেষ্টা চলছে।
কোভিড-১৯ ভাইরাস প্রতিরোধ করতে প্রথমবার মেসেঞ্জার আরএনএ টিকা অনুমোদন পেয়েছিল। গোটা বিশ্বে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার পর এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে করোনার টিকা আবিষ্কার করা হয়েছিল। আসলে সেই অণু নিয়ে বেশ কয়েক দশকের কাজের দৌলতেই সেটা সম্ভব হয়েছিল। তবে সেই গবেষণার ক্ষেত্র ছিল ক্যানসার নিরাময়। কোভিডের দৌলতে এমআরএনএ প্রযুক্তি লোকচক্ষুর আড়াল থেকে জনসমক্ষে এসেছে।
এমআরএনএ-কে প্রায়ই মেডিকাল সফটওয়্যার হিসেবে বর্ণনা করা হয়। কারণ, সেটি সরাসরি শরীরের উপর কোনো প্রভাব ফেলে না। বরং এমন নির্দেশ বহন করে, যা পালন করলে তবেই সেই প্রভাব দেখা যায়।
এমআরএনএ টিকা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে আগেভাগেই প্রশিক্ষণ দেয়। সেগুলির মধ্যে সুনির্দিষ্ট জেনেটিক তথ্যের স্ট্যান্ডের অনেক কপি থাকে, যা হলো মেসেঞ্জার আরএনএ। সেগুলি এমনভাবে প্রোগ্রাম করা থাকে, যার মাধ্যমে কোষগুলিকে সুনির্দিষ্ট প্রোটিন সৃষ্টি করতে উৎসাহ দেওয়া হয়। যেমন টিউমার সেলে পাওয়া অস্বাভাবিক প্রোটিন, যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমের চোখ এড়িয়ে গেছে। জার্মান ক্যানসার গবেষণা কেন্দ্রের নিল্স হালামা বলেন, ‘‘এই নজরদারির প্রণালী ভিতরে থেকেই আমাদের সুরক্ষা দেয়। কিন্তু কিছু ত্রুটি থাকে এবং নির্দিষ্ট পরিবেশে প্রদাহ দেখা দিতে পারে। যেমন ক্রনিক ইনফ্লেমাশন শরীরের কাঠামোয় পরিবর্তন আনতে পারে এবং তখন টিউমার ইমিউন সিস্টেমের নজর এড়িয়ে যেতে পারে।''
এমন ‘অদৃশ্য' ক্যানসারের কোষ ধ্বংস করতে হলে ইমিউন সিস্টেমকে সবার আগে সেটি দেখার ক্ষমতা আয়ত্ত করতে হবে। মেসেঞ্জার আরএনএ সেই কোষ দৃশ্যমান করে তোলে।
কিন্তু সমস্যা হলো, সব রোগীর ক্যানসারের ধরন ভিন্ন। ফলে সবার জন্য একই এমআরএনএ থেরাপির কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু ইনফরমেশন মলিকিউল নতুন করে লেখা সম্ভব, যাতে প্রয়োজনীয় প্রোটিন উৎপাদন করা যায়। বড় আকারে এমন ব্যক্তিগত চিকিৎসার যুগ ধীরে ধীরে বাস্তব হয়ে উঠছে। নিল্স হালামা বলেন, ‘‘আগামী ১২, ২৪ বা ৩৬ মাসের মধ্যেই এমন ক্যানসার চিকিৎসা অনুমোদন পাবে বলে আমাদের প্রত্যাশা রয়েছে। কিন্তু বড় আকারে এমন চিকিৎসা প্রয়োগ করতে অনেক সময় লাগবে। এমন অণু উৎপাদনের ক্ষমতা এবং তার মূল্যের উপরেও বিষয়টি অবশ্যই নির্ভর করবে।''
এখনো পর্যন্ত সামান্য কয়েকটি ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অনুমোদন পেলেও গোটা বিশ্ব জুড়ে নানা ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য বেশ কিছু এমআরএনএ প্রযুক্তি-ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা চলছে।
চিকিৎসার ধারাবাহিক উন্নতি ঘটে চলেছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সূত্র অনুযায়ী কোনো না কোনো ধরনের ক্যানসার বছরে প্রায় এক কোটি মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে রয়েছে। মহামারির সময় খ্যাতি অর্জন করা প্রযু্ক্তি এবার ক্যানসারের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও প্রয়োগের প্রস্তুতি চলছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
নটিংহ্যামকে হারিয়ে চার ম্যাচের জয়খরা কাটালো আর্সেনাল
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না
দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু
দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা