বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকারের নতুন ‘অ্যাপ’ আসছে
১১ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৫৮ পিএম | আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৩ এএম
বাজার নিয়ন্ত্রণে নতুন অ্যাপ আনছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এতে কারখানা থেকে ভোক্তার হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত কোথায় কতটুকু তেল-চিনি থাকলো, কতদিন পর হাত বদল হলো, তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য তাৎক্ষণিক জানতে পারবে সংস্থাটি। অর্থনীতিবিদদের বিশ্লেষণ বলছে, বিপণন কাঠামো সঠিক তথ্যনির্ভর হলে বাজার অস্থিরতা দূর করার পাশাপাশি দেশের কোন অঞ্চলে কী পরিমাণ পণ্য দরকার, সেই হিসাবও জানা যাবে।
সরবরাহে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কিংবা কোনো আশঙ্কায় চাহিদা বাড়িয়ে বাজার কারসাজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা হিসাবে একবার গরমিল করতে পারলেই বাজার থেকে চড়ামূল্যে পণ্য কিনতে বাধ্য হন ক্রেতারা। অথচ সহজ এ টোটকায় ভোক্তার কষ্টার্জিত টাকা ঠিক কার পকেটে ঢোকে তা থেকে যায় অধরা। এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, বাজারব্যবস্থার কোনো একটি পর্যায় যদি ব্লক করে বাজারে অস্থিরতা তৈরি করে দেয়া হয়, তাহলে সেটি কোনোভাবেই কাম্য নয়; বরং আইন বিরোধী। তাই বিপণন ব্যবস্থার চিরচেনা এ দুর্বলতাই দূর করতে চায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। বাজার নিয়ন্ত্রণের এ কাজটি করতে অ্যাপ আনার পরিকল্পনা করছে তারা। সংস্থাটি বলছে, অ্যাপ তৈরির ব্যাপারে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে চিঠিও দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
একটি কারখানায় কবে কতটুকু ভোজ্যতেল ও চিনি উৎপাদন করা হলো; এরপর কত দামে কী পরিমাণ পণ্য কার হাতে গেল, সেখান থেকে আবার কতক্ষণ বা কতোদিন পর কতটুকু পণ্য কত দামে হাতবদল হলোÑজেলা পর্যন্ত এ সরবরাহ ব্যবস্থার হালনাগাদ তথ্য থাকবে ওই অ্যাপে।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, এ অ্যাপসের মাধ্যমে আমরা জানবো যে উৎপাদনকারী কতটুকু উৎপাদন করেছে; সেখান থেকে কতটুকু সরবরাহ ব্যবস্থায় গেল; কার কাছে সেই পণ্য সরবরাহ করা হলো এবং কোন জেলায় গেল। আমরা এ জিনিসগুলো যখন ট্র্যাক করতে পারব, তখন এটির সঙ্গে আমরা আমাদের জেলা প্রশাসকদের যুক্ত করব। জেলা প্রশাসক জানতে পারবেন, তার জেলায় এত ট্রাক চিনি বা এত ট্রাক তেল আসছে; সেই সঙ্গে তিনি জানবেন সেটি কে নিয়ে আসছে; কোন বাজারে যাচ্ছে। তাহলে এই যে বিপণন ব্যবস্থার অনেক ক্ষেত্রে ব্লক তৈরি করে বাজার অস্থির করে দেয়ার বিষয়টি, সেটি আর থাকবে না। পাশাপাশি আমরা মিল থেকে পাওয়া তথ্য থেকেও বুঝতে পারবো যে, তারা আসলে কতটুকু উৎপাদন করে বা তারা কোথাও পণ্য মজুত করে বাজার অস্থির করছে কি না। আমরা এসব বিষয় এ অ্যাপ দিয়ে ধরতে পারবো।
বাজার অস্থিরতা রুখতেই এ অ্যাপ তৈরি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, একটি অ্যাপ তৈরি করতে হলে বাজার ব্যবস্থার খাত সংশ্লিষ্টদের তথ্যাদি নিতে হবে; তাদের সঙ্গে লিংক করতে হবে। সুতরাং, সেখানে যদি তাদের সহযোগিতা পাওয়া যায়, তাহলে আমার তো মনে হয় এটি সর্বোচ্চ তিন থেকে চার মাসের মধ্যে করা সম্ভব। এদিকে, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ভোক্তার হাতে পণ্য পৌঁছাতে এভাবে তথ্য সরবরাহের উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বলছে, প্রাথমিক পর্যায়ে জেলা প্রশাসন পর্যন্ত যুক্ত করা এ অ্যাপের তথ্য ভান্ডারে পরবর্তীতে কোন বাজারের কোন দোকানে কী পরিমাণ পণ্য গেল, সেই তথ্য-উপাত্তও যুক্ত করা হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
শুধু নামেই জিমনেসিয়াম
মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে কী পরিবর্তন আসছে?
অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতদ্বৈততা কাম্য নয়
সচিবালয়ে আগুন সন্দেহজনক