আটঘরিয়ায় খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত গাছিরা
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৫ পিএম | আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৫ পিএম
গ্রামের ঘরে ঘরে খেজুর রসের পিঠা, পায়েস, গুড়ের মুড়ি-মুড়কি ও নানা ধরনের মুখরোচক খাবার তৈরি করার ধুম পড়েছে। তাই পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় খেজুর রস থেকে সুস্বাদু গুড় তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন গাছিরা। শীতের শুরুতেই বেশ কিছুদিন ধরেই শুরু হয়েছে খেজুর রস সংগ্রহের কাজ।
প্রতি বছরের মতোই এ বছরও রস সংগ্রহের জন্য খেজুরগাছ প্রস্তুতের কাজ চলছে। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের গাছিরা এখন ব্যস্ত রস সংগ্রহে।
তবে গাছিরা বলছেন, ভোরের সূর্য ওঠার আগে গাছিরা রস ভর্তি মাটির ভাঁড় গাছ থেকে নামান। পরে মাটির হাঁড়িতে কিংবা টিনের বড় তাওয়ায় জ্বাল দিয়ে গুড়-পাটালি ও লালি তৈরি করেন। নতুন খেজুর রসের গুড় তৈরির পর তা চলে যাচ্ছে বাজারে।
রস সংগ্রহ, গুড় তৈরি ও বাজারে বিক্রি করতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন গাছিরা। গ্রামের ঘরে ঘরে খেজুর রসের পিঠা, পায়েস, গুড়ের মুড়ি-মুড়কি ও নানা ধরনের মুখরোচক খাবার তৈরি করার ধুম পড়েছে।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গাওপাড়া গ্রামের আফাজ উদ্দিন, শাহীন আলম খেজুরের গুড় তৈরির কাজে চলে এসেছেন আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামে আব্দুল হাউ এর বাড়িতে।
জানা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের মোট ১০০ থেকে ১৫০টি খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করে। তা থেকে খেজুরের গুড় ও স্থানীয় ভাষায় মধুরসা তৈরি করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রস্তুত করা প্রতিটি গাছ থেকে সপ্তাহে ৮-১০ কেজি রস সংগ্রহ করা হয়। প্রতিটি গাছ থেকে শুরুতে এক থেকে দুই কেজি করে রস সংগ্রহ হয় ও আস্তে আস্তে তা বাড়ে।
প্রথমদিকে প্রতিদিন আনুমানিক পাঁচ কেজি করে খেজুরের গুড় তৈরি হয়। পুরো মৌসুমে প্রতিদিন ৩৫ কেজি থেকে ৪০ কেজি খেজুরের গুড় ও মধুরসা তৈরি করা হয়। প্রতি কেজি খেজুরের গুড় ও মধুরসা বাজারে পাইকারদের কাছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
গাছি আফাজ উদ্দিন বলেন, বাপদাদার পৈত্রিক ব্যবসা ধরে তিনি বিভিন্ন উপজেলায় নিয়মিত আসেন খেজুর রস থেকে গুড় তৈরির কাজে। এটিই আমার মূল ব্যবসা। বাকি সময় গুলো আমার এলাকায় কৃষি কাজ করি।
খেজুর গাছ মালিকদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রস থেকে গুড় তৈরির জন্য স্থানীয়দের গাছের মালিকদের সঙ্গে চুক্তি করা আছে। প্রতিটি গাছের জন্য দুই কেজি গুড় দিতে হয়।
শাহীন আলী বলেন, খেজুরগাছ তৈরির প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর থেকেই মূলত রস নামানোর পর্ব শুরু হয়। গাছের মাথার নির্দিষ্ট স্থানে বাঁশের বানানো দুটি চোখা খুঁটি পোঁতা হয়। সঙ্গে দড়ি বা সুতা বেঁধে মাটির পাত্র ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
পাত্রের ভেতর রস পড়ার জন্য বাঁশের তৈরি নালার মতো ভিন্ন একটি খুঁটি পুঁতে দেওয়া হয় সেই গাছের সঙ্গে। এভাবেই গাছির নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় ফোটায় ফোটায় ঝরে খেজুর রস।
তিনি আরও বলেন, ৩-৫ মাস চলবর এই খেজুর রস ও গুড় তৈরি কাজ। প্রতিটি গাছ থেকে ১০-১২ কেজি গুড় তৈরি হয়। গাছ মালিকদের দিয়ে সব খরচ বাদে মৌসুমে শেষে আমাদের ভালো একটা লাভ থাকে।
সুজাপুর আব্দুল হাই বলেন, প্রতি বছর তারা রাজশাহী বাঘা উপজেলা থেকে আমার বাড়িতে ক্যাম্প করে খেজুরের রস সংগ্রহ করে পাটালি গুড় তৈরি করে। এখানে দূরদূরান্ত থেকে ব্যাপারী এবং এলাকার লোকজন গুড় নিতে আসে। তার এই গুড় খুবই ভালো। কোন রকম ভেজাল নেই। তাই চাহিদাও বেশি।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কে হবেন বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার?
বোলারদের নৈপুণ্যে অল্প টার্গেটেও স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান
৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামোর বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে: আমিনুল হক
পিরোজপুর প্রেসক্লাব নির্বাচন শামীম সভাপতি ও তানভীর সম্পাদক
বিরক্তিকর সময়কে গুডবাই বলুন! এন্টি ডোট হিসেবে সেরা অ্যাপ (পর্ব-১)
দেশের বিরাজমান সংকট উত্তরণে জাতির আস্থা তারেক রহমান : মীর হেলাল
টোল প্লাজায় দুর্ঘটনা: বাসের ব্রেকে সমস্যা ছিল, চালক নেশা করতেন
পাবনার আমিনপুরে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে আগুন, শঙ্কিত পরিবার
দেশে এলো ভিভোর নতুন ফ্ল্যাগশিপ এক্স২০০
বিএনপির দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হলে কাউকে ছাড় নয়: শাহ সুলতান খোকন
সচিবালয়ে অস্থায়ী প্রবেশ পাসের জন্য বিশেষ সেল গঠন
যুদ্ধের দামামা, তালেবানের পাল্টা হামলায় ১৯ পাকিস্তানি সেনা নিহত
ফিরে দেখা ২০২৪: ফুটবলে ঘটনাবহুল বছর
বড় চমক অ্যাপলের, জ্বর ও হার্ট অ্যাটাকের আগেই সতর্ক করবে ইয়ারবাডস
রাস্তাটি সংস্কার করুন
থার্টি ফাস্ট নাইট এবং প্রাসঙ্গিক কথা
ইসলামী শক্তির সম্ভাবনা কতটা
কিশোরগঞ্জে দুই নারীর রহস্যজনক মৃত্যু, গ্রেফতার-১
সাধারণ মানুষের স্বস্তি নিশ্চিত করা জরুরি
দেশের পরিস্থিতি ঠিক না হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা