দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩১ এএম | আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩১ এএম

 

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন দেশটির একটি আদালত। গতকাল আদালত এই পরোয়ানা অনুমোদন করেন। দেশটির সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন। কিন্তু জনগণের তীব্র প্রতিবাদের মুখে ছয় ঘণ্টার মাথায় তা প্রত্যাহারে বাধ্য হন তিনি। এর জেরে তিনি ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে অভিশংসিত হন। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দেশটির সাংবিধানিক আদালত যদি ইউনের অভিশংসন বহাল রাখেন, তাহলেই তাকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অপসারণ করা যাবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তদন্ত কার্যালয় (সিআইও) নিশ্চিত করেছে, সিউল ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট আদালত আজ ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে তদন্তকারীদের আবেদন অনুমোদন করেছেন। তদন্তকারীরাই ইউনের সামরিক আইন জারির বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এই প্রথম কোনো বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলো। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে আদালত কী যুক্তি দেখিয়েছেন, সে সম্পর্কে সিআইও কোনো মন্তব্য করেনি। এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে আদালতও কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ইউনের বিরুদ্ধে জারি করা এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কখন বা কীভাবে তামিল হবে, তা স্পষ্ট নয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুযায়ী এই পরোয়ানাকে বিবেচনা করবে। সিআইও জানিয়েছে, ইউনের বাসভবনে তল্লাশির পরোয়ানাও অনুমোদন করেছেন আদালত। তদন্তের অংশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ আগে প্রেসিডেন্টের অফিসে অভিযান চালানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থার বাধায় তা করতে ব্যর্থ হয়। সম্ভাব্য রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের একটি ফৌজদারি তদন্তের মুখোমুখি ইউন। রাষ্ট্রদ্রোহ-সংক্রান্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কোনো দায়মুক্তি নেই। দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টির ভারপ্রাপ্ত নেতা কেওন সিওং-ডং আজ বলেছেন, একজন বর্তমান প্রেসিডেন্টকে আটক করার চেষ্টা ঠিক নয়। সূত্র : রয়টার্স।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

সিলেট সীমান্তে ১ বছরে ৭ বাংলাদেশিকে হত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হল হাফ ম্যারাথন
শীতে স্থবির কুমিল্লার জনজীবন, ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে ঠান্ডা বাতাস
বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া বাসীর ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাবো: ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল-মামুন
শিবচরে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকের ধর্ষন: পরে বিয়ে না করে প্রতারনা করায় প্রেমিকার আত্বহত্যা
আরও

আরও পড়ুন

হাসিনাকে নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন সোহেল তাজ

হাসিনাকে নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন সোহেল তাজ

সংস্কার এবং নির্বাচন নিয়ে ঝগড়া বন্ধ করুন: মজিবুর রহমান মঞ্জু

সংস্কার এবং নির্বাচন নিয়ে ঝগড়া বন্ধ করুন: মজিবুর রহমান মঞ্জু

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে

পাঠ্যবইয়ে হান্নান-সেজানের সাহসিকতার গল্প

পাঠ্যবইয়ে হান্নান-সেজানের সাহসিকতার গল্প

সিলেট সীমান্তে ১ বছরে ৭ বাংলাদেশিকে হত্যা

সিলেট সীমান্তে ১ বছরে ৭ বাংলাদেশিকে হত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হল হাফ ম্যারাথন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হল হাফ ম্যারাথন

নড়াইলে নারী ইউপি মেম্বারকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যায় দুজন গ্রেফতার

নড়াইলে নারী ইউপি মেম্বারকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যায় দুজন গ্রেফতার

পাকিস্তানের আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন ড. ইউনূস

পাকিস্তানের আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন ড. ইউনূস

ফের সন্তানহারা ওরকা তিমি, পানির মধ্য দিয়ে ঠেলে নিয়ে চলেছে মৃত শাবককে

ফের সন্তানহারা ওরকা তিমি, পানির মধ্য দিয়ে ঠেলে নিয়ে চলেছে মৃত শাবককে

শাপলার ‘গণহত্যা’ তদন্ত কমিশন সময়ের দাবি

শাপলার ‘গণহত্যা’ তদন্ত কমিশন সময়ের দাবি

শীতে স্থবির কুমিল্লার জনজীবন, ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে ঠান্ডা বাতাস

শীতে স্থবির কুমিল্লার জনজীবন, ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে ঠান্ডা বাতাস

বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া বাসীর ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাবো: ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল-মামুন

বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া বাসীর ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাবো: ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল-মামুন

ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা চলবে আদানির বিরুদ্ধে

ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা চলবে আদানির বিরুদ্ধে

ছাত্র সংসদ এখন সময়ের দাবি

ছাত্র সংসদ এখন সময়ের দাবি

চ্যালেঞ্জের মুখে অর্থনীতি

চ্যালেঞ্জের মুখে অর্থনীতি

সকলের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে

সকলের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে

শিবচরে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকের ধর্ষন: পরে বিয়ে না করে প্রতারনা করায় প্রেমিকার আত্বহত্যা

শিবচরে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকের ধর্ষন: পরে বিয়ে না করে প্রতারনা করায় প্রেমিকার আত্বহত্যা

তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে

তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে

শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে

শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে

শার্শায় হারিয়ে যেতে বসেছে খেজুর রসের ঐতিহ্য

শার্শায় হারিয়ে যেতে বসেছে খেজুর রসের ঐতিহ্য