চট্টগ্রাম আদালতের ১৯১১ মামলার নথি গায়েব
০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১২ এএম | আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৯ এএম
চট্টগ্রাম আদালতের এক হাজার ৯১১টি মামলার নথির (কেস ডকেট বা সিডি) খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। নথিগুলোর মধ্যে হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। এসব নথি বিচারিক কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
নথিগুলোর খোঁজ না পাওয়ায় গতকাল রোববার নগরের কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফিজুল হক ভুঁইয়া।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় এক হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল।
কিন্তু আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সেগুলো পাওয়া যায়নি। বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখার জন্য আবেদন করা হলো।
এ বিষয়ে সরকারি কৌঁসুলি মফিজুল হক ভুঁইয়া বলেন, কে বা কারা এক হাজার ৯১১ মামলার সিডি নিয়ে গেল বুঝতে পারছেন না। গুরুত্বপূর্ণ মামলার নথিগুলো এতদিন বারান্দায় কেন রাখা হয়েছিল, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি কিছুদিন হলো দায়িত্ব নিয়েছি। নথিগুলো রাখার জন্য কক্ষ পাওয়া যাচ্ছে না। কক্ষ চাওয়া হয়েছিল। আমার কক্ষটি নথিতে ঠাসা হয়ে আছে।’
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল করিম বলেন, মহানগর পিপির কার্যালয়ের সামনে রাখা এক হাজার ৯১১ মামলার নথি হারানোর ঘটনায় করা জিডির বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।
কোতোয়ালি মোড়ে অবস্থিত চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর পিপির কার্যালয় অবস্থিত। এটির পাশে মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস ও খাসকামরা। আশপাশে অন্য বিচারকের এজলাস। দিনভর আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের পদচারণে মুখর থাকে আদালত ভবন। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে আদালত ভবনে নিরাপত্তা জোরদার থাকার কথা। পিপির কার্যালয়ের সামনে আদালতের বারান্দা থেকে এক হাজার ৯১১ মামলার নথি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিস্মিত আইনজীবীরা। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করছেন তারা।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল করিম বলেন, মহানগর পিপির কার্যালয়ের সামনে রাখা ১ হাজার ৯১১ মামলার নথি হারানোর ঘটনায় করা জিডির বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিচারিক কাজে সিডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অভিযোগপত্রের সঙ্গে আদালতে সিডি জমা দিতে হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিডিতে মামলার ধারাবাহিক অগ্রগতির বিবরণ লিখে রাখেন। তদন্ত কর্মকর্তার পরিবর্তন হলে নতুন কর্মকর্তাও একই সিডিতে বিবরণ লেখেন। সে অনুযায়ী আদালতে সাক্ষ্য দেন। সিডি থাকলে ৫ থেকে ১০ বছর পরও সাক্ষ্য দিতে সুবিধা হয়। নইলে মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তিনি আরও বলেন, আদালতের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে মামলার নথি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ছোটখাটো বিষয় নয়। এগুলো গায়েব করার পেছনে কে বা কারা জড়িত, তা বের করতে হবে। আসামিরা মামলা থেকে সুবিধা নেওয়ার জন্য এ কাজ করতে পারেন বলে তাঁর ধারণা।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জকিগঞ্জে আসছেন পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় আলেম আল্লামা মুফতি আব্দুল মান্নান
কুয়েটে ৪ মাসে ৫২ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
বেনাপোলে বিজিবির চিরুনী অভিযান, মাদকসহ ৯ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
রমজান শেষ না হওয়া পর্যন্ত পণ্যের শুল্কে পরিবর্তন আনবে না সরকার
তারাকান্দায় শীত বস্ত্র বিতরণ ও সেনাবাহিনীর কার্যক্রম পরিদর্শন সেনাপ্রধানের
আশুলিয়ায় জুলাই ঘোষণাপত্র ও ৭ দফা দাবিতে লিফলেট বিতরণ
কটিয়াদীতে মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে মাদকাসক্ত ব্যক্তির মৃত্যু
দাউদকান্দি-মতলব সড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকা সত্বেও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যাত্রীরা
ওয়েস্টার্ন গ্রুপ এ্যামেচার গলফ চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধন
সিলেটকে ‘হ্যাটট্রিক’ উপহার দিয়ে বরিশালের টানা দ্বিতীয় জয়
এনসিসি ব্যাংক এর ১১তম বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত
শেরপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান, ১১ ইটভাটাকে ৬৫ লাখ টাকা জরিমানা
ঈশ্বরদীতে যুবদল কর্মী গুলিবিদ্ধ
হারা ম্যাচে শাস্তিও পেল পাকিস্তান
কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নরের নতুন উপদেষ্টা আহসান উল্লাহ
গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন বিএসএমএমইউ ভিসি
মুসাফির অবস্থায় সুন্নত পড়া প্রসঙ্গে?
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের একান্ত বৈঠক
শুধু সংখ্যায় নয়, গবেষণার গুণগত মান বাড়াতে হবে: বিএসএমএমইউ ভিসি
সন-টটেনহ্যাম চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি