অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১২ এএম | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১২ এএম

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে শাহজাহান কবির (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি ২০২৫) দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল রোববার আনুমানিক বেলা ৩ টার দিকে ময়মনসিংহ ব্রিজে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়েন তিনি। পরে ময়মনসিংহের উত্তরবঙ্গ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. অলি উল্লাহ সরকার। নিহতের শাহজাহানের বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের রাজিবপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের ইয়াকুব আলী মাস্টারের ছেলে। এ ঘটনায় পরিবার ও এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।

স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শাহজাহান কবির ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের মধুপুর বাজারে একটি ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যের শোরুমের ব্যবসা করতেন। রোববার দুপুরে মধুপুর বাজারের তার বাসা থেকে ব্যবসায়িক কাজে বের হয়েছিলেন শাহজাহান। সাথে ছিল ব্যবসায়িক কাজে এক লোককে দেওয়ার জন্য ১ লাখ টাকা। পথে ময়মনসিংহ ব্রিজে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়েন তিনি। শাহজাহানের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা খোয়া গেছে বলে জানা গেছে।

নিহতের ভাতিজা মো. এনামুল হক জানান,' আমার চাচা খুব সাদা মনের মানুষ ছিলেন। ব্যবসায়িক কাজে বাসা বের হয়ে তিনি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। আমার চাচার মতো যাতে এভাবে আর কেউ অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে প্রাণ না হারায়, এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষ যেন অজ্ঞান পার্টি নির্মূলে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সবাই আমার চাচার জন্য দোয়া করবেন,আল্লাহ যেন উনাকে বেহেশত নসিব করেন।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আলী ফকির বলেন,' শুনেছি এক লোক টাকা পেত শাহজাহানের কাছে। টাকা নিয়ে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে অচেতন হয়ে যায় শাহজাহান। পরে ঘটনাস্থল এলাকার লোকজন শাহজাহানের সাথে থাকা মোবাইল থেকে নম্বর নিয়ে তার পরিবারের লোকজনকে জানায়। আজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। যেহেতু ঘটনাস্থল ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানাধীন, সেহেতু তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন। এক্ষেত্রে যদি নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকে এবং তারা যদি বিনা-ময়নাতদন্তের আবেদন করে তাহলে সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ আমাদের সহযোগিতা চাইবে। তখন নিহতের পরিবারের খোঁজ-খবর নিয়ে আমরা বিনা-ময়নাতদন্তের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিবেদন পাঠাবো।

এ প্রসঙ্গে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম খান বলেন, খোঁজ-খবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।

বিভাগ : বাংলাদেশ