সামাজিক অগ্রগতিতে জেন জি কতটা ভূমিকা পালন করবে?

Daily Inqilab ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ

২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৪ এএম

জেনারেশন জেড বা জেন জি বিষয়ে একটি পর্যালোচনা লেখার আগ্রহ বেশ কিছুদিন ধরেই কাজ করছে। নাগরিক সমাজও এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবানা করছে বলে মনে হচ্ছে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব কি হবে, কেমন হবে, কারা সে দায়িত্ব গ্রহন করবে- ইত্যাকার বিষয়গুলো ভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে যে প্রজন্মের কথা চলে আসে, তারা হচ্ছে জেন জি। এক কথায়, জেন জি হচ্ছে জাতির ভবিষ্যৎ পূনর্গঠণকারী, নিয়ন্ত্রক ও পরিচালক। তাদের সঠিক পরিচালনাতেই দেশ জাতি তার নির্দিষ্ট গ-ি ও গতিপপ তৈরি করতে পারে। দেশে জেন জেড কারা, এদের বৈশিষ্ট্য কি, তারা কি আশা ও আকাক্সক্ষা পোষণ করে, তারা কেমন জীবন চায়, তাদের দৈনন্দিন কর্ম রুটিন কি হবে, কি তাদের কর্ম পরিকল্পনা, তাদের শক্তির উৎস্য কি, দুর্বল ও সক্ষমতার দিক কি ইত্যাকার তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ পূনর্গঠণে তাদের ভূমিকা কি হবে, তা তুলে ধরতে প্রয়াসী হয়েছি। বাংলাদেশে জেন জেড একটি বৈচিত্র্যময় প্রজন্ম, যা বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যে সংজ্ঞায়িত। তারাই প্রথম প্রজন্ম যারা ইন্টারনেটকে জীবনের অপরিহার্য অংশ হিসেবে গ্রহণ করে বেড়ে উঠেছে, যা তাদেরকে প্রযুক্তি-সচেতন এবং বৈশ্বিকভাবে সংযুক্ত করেছে। একই সঙ্গে সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক ঐতিহ্যের সাথে তাদের গভীরভাবে সংযুক্তি আধুনিকতা এবং ঐতিহ্যের একটি অনন্য মিশ্রণ সৃষ্টি করেছে। এই দ্বৈত পরিচয় তাদেরকে দেশের সমাজের প্রথাগত প্রত্যাশা এবং বর্তমান বৈশ্বিক ও ডিজিটাল বিশ্বের সঙ্গে সমন্বয় হতে সক্ষম করে।

বাংলাদেশে জেন জেড একটি শক্তিশালী লক্ষ্যবোধ এবং অর্থবহ পরিবর্তন দেখার আকাক্সক্ষা দ্বারা চিহ্নিত। তারা বর্তমান অবস্থায় সন্তুষ্ট নয়, বরং বাংলাদেশকে কোন অবস্থানে উন্নীত করা যেতে পারে, তার একটি ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা চালিত। এই প্রজন্ম সত্যনিষ্ঠ এবং স্বচ্ছতাকে মূল্য দেয় এবং তারা দ্রুতই কপটতা ও অবিচারকে চ্যালেঞ্জ করে। তাদের এই লক্ষ্যবোধ ২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের কার্যক্রমে স্পষ্ট, যেখানে দেশের হাজার হাজার ছাত্র রাস্তায় নেমে এসে জবাবদিহিতা ও বিচার দাবি করে। এটি সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ তরুণ নেতৃত্বাধীন আন্দোলন ছিল এবং জেন জেড-এর শক্তি ও সংগঠনকে প্রদর্শন করেছে। তারা অত্যন্ত স্থিতিশীলও। বৈশ্বিক ও স্থানীয় দ্রুত পরিবর্তনের যুগে বেড়ে ওঠা তাদেরকে অভিযোজ্য এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ করে তুলেছে। তাদের সক্রিয়তায় এই স্থিতিশীলতা স্পষ্ট, যেখানে তারা শক্তিশালী পদক্ষেপগুলোর সাথে মুখোমুখি হয়ে তাদের লক্ষ্য অর্জন করে। অন্তর্ভুক্তি এই প্রজন্মের আরেকটি বৈশিষ্ট্য। জেন জেড সব ধরনের বৈচিত্র্যকে স্বীকার করে এবং গ্রহণ করে। তারা লিঙ্গ সমতা, অধিকার এবং ধর্মীয় ও জাতিগত সম্প্রীতির মতো বিষয়গুলোর পক্ষে জোরালোভাবে অবস্থান নেয়। তারা এমন একটি বাংলাদেশ কল্পনা করে, যেখানে সকল নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার ও সমতা নিশ্চিত হবে।

বাংলাদেশে জেন জেড-এর আকাক্সক্ষার কেন্দ্রে রয়েছে একটি ন্যায়সংগত সমাজ প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা। তারা একটি সরকার চায় যা জবাবদিহিতামূলক, স্বচ্ছ এবং জনগণের চাহিদার প্রতি ক্রিয়াশীল। দেশের বিপদ হিসেবে পরিচিত দুর্নীতি নির্মূল করতে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তারা এমন নেতাদের চায়, যারা কেবল ব্যক্তিগত লাভের জন্য ক্ষমতায় নয়, বরং সত্যিকারের জনগণের জীবন উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিক্ষা জেন জেড-এর আরেকটি মূল অগ্রাধিকার। তারা জ্ঞানের শক্তি বোঝে এবং একটি আধুনিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক তথা সবার জন্য সমান অধিকার বাস্তবায়নমূলক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়। তারা চায়, শিক্ষা শুধু চাকরির জন্য নয়, বরং জীবনের জন্য উপযোগী- যা তাদেরকে পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে মানিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সক্ষমতা প্রদান করবে। অর্থনৈতিক সুযোগও তাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে। বাংলাদেশের জেন জেড এমন একটি দেশ চায়, যেখানে সবাই সফল হওয়ার সুযোগ পাবে, যেখানে উদ্যোক্তা কার্যক্রম উৎসাহিত হবে এবং কঠোর পরিশ্রম ও উদ্ভাবন পুরস্কৃত হবে। তারা স্বজনপ্রীতি এবং পক্ষপাতিত্বের অবসান চায়, যা অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও উদ্ভাবনকে প্রতিনিয়ত বাধাগ্রস্ত করে চলেছে। এর বিপরীতে তারা একটি মেধাভিত্তিক সিস্টেমের জন্য আহ্বান জানায়। এছাড়াও, এই প্রজন্ম পরিবেশ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। একটি দৈনিক সংবাদের জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৮০%-এরও বেশি জেন জেড উত্তরদাতা জলবায়ু পরিবর্তনকে শীর্ষ উদ্বেগ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তারা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করতে এবং এমন টেকসই উন্নয়ন চায়, যা অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও পরিবেশ সংরক্ষণের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করবে।

বাংলাদেশে জেন জেড তাদের ধারণাগুলোকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হওয়ার জন্য পরিচিত। তারা যখন কিছু অর্জন করতে চায়, তখন তারা পদ্ধতিগত ও কৌশলগত হয়। তাদের পরিকল্পনাগুলো প্রায়ই ডিজিটাল টুল ও সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকে অন্তর্ভুক্ত করে- যা তাদের বার্তা বাড়াতে এবং বৃহত্তর শ্রোতাদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, যখন তারা একটি প্রতিবাদ সংগঠিত করে বা কোনোকিছুতে সমর্থন জানায়, তখন জেন জেড সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। তারা ডিজিটাল ক্যাম্পেইন তৈরি করে, হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে বার্তা ছড়িয়ে দেয়- এমনকি প্রভাবশালীদের সাথেও যুক্ত হয়। এই পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে; যেখানে বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে তারা প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। তারা সহযোগিতাকে মূল্য দেয়। জেন জেড দলবদ্ধভাবে কাজ করতে বা সমমনা ব্যক্তি ও সংগঠনের সাথে জোট গঠনে আগ্রহী। তারা যৌথ প্রচেষ্টার শক্তি বোঝে এবং প্রায়ই তাদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সম্পদ সংগ্রহ, ধারণা ভাগাভাগি এবং একে অপরের উদ্যোগকে সমর্থন করে। তাদের কার্যনির্বাহী শৈলীর আরেকটি দিক হলো- ঝুঁকি নেওয়ার ইচ্ছা। জেন জেড নতুন কিছু চেষ্টা করতে বা প্রচলিত নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করতে ভয় পায় না। এই উদ্ভাবনী মনোভাব এবং ডিজিটাল দক্ষতার সমন্বয় তাদের লক্ষ্য অর্জনে অত্যন্ত কার্যকরী করে তুলেছে। বিশ্বের সাথে সংযুক্ত থাকায় তারা অন্যান্য দেশের সাফল্য ও ব্যর্থতা থেকে শিখতে পারছে এবং সেই শিক্ষা নিজস্ব প্রেক্ষাপটে প্রয়োগ করছে। এই বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি তাদেরকে আরও সহানুভূতিশীল এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের আন্তঃসংযোগ সম্পর্কে সচেতন করে তুলছে। জেন জেড উদ্ভাবকদের প্রজন্ম। সমস্যা সমাধানে তাদের উদ্ভাবনী মনোভাব স্পষ্ট; যেখানে তারা সর্বদা নতুন ও উন্নততর পদ্ধতি খোঁজে।

তবে যেকোনো প্রজন্মের মতো, বাংলাদেশের জেন জেড-এরও কিছু দুর্বলতা রয়েছে। তাদের একটি চ্যালেঞ্জ হলো হতাশ হওয়ার আশঙ্কা। তাদের উচ্চ প্রত্যাশা ও পরিবর্তনের প্রতি অস্থিরতা কখনো কখনো হতাশায় পরিণত হতে পারে- যখন অগ্রগতি তাদের প্রত্যাশার চেয়ে ধীর হয়। এই হতাশা তাদের প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো মেরুকরণের ঝুঁকি। তাদের সক্রিয়তা একটি শক্তি হলেও, এটি সমাজের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে যখন তাদের মতামত আরও রক্ষণশীল উপাদানের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া আশঙ্কা থাকে। এই বিভাজনগুলো নেভিগেট করে একটি সংহত আন্দোলন বজায় রাখা এই প্রজন্মের জন্য একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে। যদিও জেন জেড অত্যন্ত শিক্ষিত ও তথ্যসমৃদ্ধ, তারা যেসব বিষয় সমাধান করতে চায় সেগুলোর জটিলতা তারা সহজেই অবমূল্যায়নও করতে পারে। আদর্শবাদ ও বাস্তবতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গঠনে বড়ো ভূমিকা নেবে আগামীতে। তাদের উদ্যম ও চালনা প্রশংসনীয়, তবে নিঃসন্দেহে পরিবর্তনের জন্য ধৈর্য ও বাস্তববাদ বজায় রাখা প্রয়োজন।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলো কেবল শুরু হয়েছে। জেন জেড দেখিয়েছে, তারা বাস্তব পরিবর্তন আনার সক্ষমতা রাখে এবং ভবিষ্যতে তারা আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার ক্ষেত্রে আশাবাদী। এই প্রজন্মের ক্ষমতা রয়েছে, এমন একটি বাংলাদেশ তৈরি করার, যেখানে ন্যায়, সমতা এবং অগ্রগতি নিশ্চিত হবে। তবে, তাদের সাফল্য নির্ভর করবে তাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার ক্ষমতা, গতি বজায় রাখা এবং তাদের সাফল্য ও ব্যর্থতা থেকে নিরন্তর শিখে-চলার উপর। মনে করা হচ্ছে, তারা সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হবে, তা মোকাবিলায় তারা শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসবে; বিশ্ব তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং তাদের কর্মসূচি আগামী প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। বাংলাদেশে জেন জেড কেবল একটি প্রজন্ম নয়, তারা একটি আন্দোলন, একটি পরিবর্তনের শক্তি- যা ইতোমধ্যে এই জাতিকে পুনর্গঠন করতে শুরু করেছে। তাদের গল্প এখনো লেখা হচ্ছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি আকর্ষণীয় অধ্যায় সৃষ্টি হওয়ার অভিপ্রায়কে ব্যক্ত করবে। আগের জেনারেশনগুলোতে সামাজিকতা এবং অর্থ-সম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব পেত নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর পরিম-ল। এমনকি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা বেড়াজালে আবদ্ধ থাকত মিশ্র সংস্কৃতি বা সংস্কৃতির সহযোগ। সেন্টিনিয়ালরা সেখানে প্রতিটি পর্যায়কে দেখে স্কুলের ক্লাস ঘরের মতো। প্রাথমিক পাঠদানের সহশিক্ষার সাধারণ পরিবেশে শ্রেণী, ধর্ম, পেশা নির্বিশেষে সকলের সন্তান পাশাপাশি বসে ক্লাস করতে পারে। এখানে আসে না কোনও সার্বভৌমত্ব বা পারস্পরিক চুক্তির বিষয়। উন্নত শিক্ষা, অর্থনীতি, এবং শিল্প ক্ষেত্রে জেড প্রজন্মের চিন্তাধারাও ঠিক একই রকম। অবশ্য সময়ের সঙ্গে বিশ্ব অর্থনীতিতে যথেষ্ট পরিবর্তন এবং নানা স্থানে যুদ্ধের ফলে ব্যবসায়িক অবনতির এখানে প্রভাব রেখেছে। ওয়াই জেনারেশন যেখানে স্বর্ণ সঞ্চয় ও বাড়ি কেনাতে অর্থ বিনিয়োগে ব্যস্ত, সেখানে জেন জি অভ্যস্ত হয়েছে ক্রিপ্টো-কারেন্সিতে। এখানে কখনও মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়নি ভিন্ন দেশীয় প্রযুক্তি উপেক্ষা করার ব্যাপারটি। উচ্চশিক্ষা লাভে ঘন ঘন অভিবাসনের কারণে বেড়েছে দুই বা ততোধিক সংস্কৃতির প্রতিনিধিদের একই ছাদের নিচে বসবাসের সুযোগ। জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরতে দেশের ভেতরেও প্রতিষ্ঠা পেয়েছে কো-লিভিং এবং কো-ওয়ার্কিং স্পেস। এই বিবর্তন একটি কর্মদক্ষ ও বাজেটবান্ধব ব্যবস্থা তৈরি করলেও বিলুপ্তির মুখে পড়েছে সমাজের ঐতিহ্যবাহী রীতি-নীতিগুলো।

এতক্ষণের এ লেখায় নিশ্চয়ই কোন পাঠকের মনে এ প্রশ্নের উদ্রেক হবে না যে, বাংলাদেশের জেন জি পিচিয়ে আছে। জেন জি আনেকটাই এগিয়ে। তবে জেন জি’র শক্তি সামজিক ভারসম্য রক্ষায় কতটা সক্ষমতার অধিকারী হবে- সে প্রশ্ন ও উত্তরের মধ্যে কোন ডিবেট থাকতেও পারে। তবে জেন জি নিঃসন্দেহে আগামী প্রজন্মের জন্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য নাগরিক অধিকার, সাম্য, সমতা ও নায্যতার প্রতিনিধিত্বের কথাই বলবে। জেনারেশন জেড- জাগরণ ও পরিবর্তনের ধারা ও আকাক্সক্ষার পথিকৃৎ। বাস্তবতার বিষয়ে জেন জি পদ্ধতিগত কৌশলগত ধারনার অনুসারী। অধিকন্ত তারা উদ্ভাবনী ও মেধার প্রতিনিধিত্ব করে দেশকে এগিয়ে নেবে। জেন জির শক্তি সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা করতে সক্ষমতার অধিকারী হবে। সর্বোপরি জেন জির বাস্তববাদ সামাজিক অগ্রগতির নির্ণায়কের ভুমিকা পালনে সফল হবে। তারা সংকীর্ণ নয়, তারা বহু মিশ্র সংস্কৃতির প্রতি উদার। বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার তাদের বাসনা প্রবল ও অপ্রতিরোধ্য।

লেখক: সাবেক উপ-মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি এবং রোটারি লার্নিং ফেসিলিটেটর,
রোটারি ক্লাব, ঢাকা এলিট।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

গ্রামে আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা সম্প্রসারণ জরুরি
বিস্কুটের উপর ভ্যাট বৃদ্ধি কেন?
বিএনপি বনাম নতুন রাজনৈতিক দল
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে বিভ্রান্তি কাম্য নয়
ভূমি ও নদী দখল
আরও

আরও পড়ুন

ভিআইপি মর্যাদায় সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রীর রিমান্ড শুনানি!

ভিআইপি মর্যাদায় সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রীর রিমান্ড শুনানি!

খুনিদের গ্রেফতারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

খুনিদের গ্রেফতারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

পেশাব করে টিস্যু ব্যবহারের অনেকক্ষন পরেও পেশাবের রাস্তা ভেজা থাকলে করণীয় প্রসঙ্গে।

পেশাব করে টিস্যু ব্যবহারের অনেকক্ষন পরেও পেশাবের রাস্তা ভেজা থাকলে করণীয় প্রসঙ্গে।

সৈয়দপুরে বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে ফল ব্যবসায়ীদের মানববন্দন

সৈয়দপুরে বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে ফল ব্যবসায়ীদের মানববন্দন

সিলেটে ওবায়দুল কাদেরসহ ৭২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সিলেটে ওবায়দুল কাদেরসহ ৭২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

যাত্রাবাড়ীতে বাকপ্রতিবন্ধীসহ আপন দুই বোনকে ধর্ষণ, আটক ১

যাত্রাবাড়ীতে বাকপ্রতিবন্ধীসহ আপন দুই বোনকে ধর্ষণ, আটক ১

তিন বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ করবে ইসি

তিন বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ করবে ইসি

আশুলিয়ায় ৬টি ইটভাটাকে ৩৬ লাখ টাকা অর্থদন্ড

আশুলিয়ায় ৬টি ইটভাটাকে ৩৬ লাখ টাকা অর্থদন্ড

গ্রামে আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা সম্প্রসারণ জরুরি

গ্রামে আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা সম্প্রসারণ জরুরি

অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণে টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন হস্তান্তর

অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণে টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন হস্তান্তর

বিস্কুটের উপর ভ্যাট বৃদ্ধি কেন?

বিস্কুটের উপর ভ্যাট বৃদ্ধি কেন?

বিএনপি বনাম নতুন রাজনৈতিক দল

বিএনপি বনাম নতুন রাজনৈতিক দল

সন্ত্রাসী হামলায় ধলাপাড়া রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা ও বন প্রহরীসহ মারাত্মকভাবে আহত ৯

সন্ত্রাসী হামলায় ধলাপাড়া রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা ও বন প্রহরীসহ মারাত্মকভাবে আহত ৯

জামালপুরে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ৫ যাত্রীর মৃত্যু

জামালপুরে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ৫ যাত্রীর মৃত্যু

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে বিভ্রান্তি কাম্য নয়

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে বিভ্রান্তি কাম্য নয়

জামায়াতে ইসলামী মানবিক ও দূর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চায়: ডা. শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামী মানবিক ও দূর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চায়: ডা. শফিকুর রহমান

‘রক্ত দিয়ে ছাত্ররা যা অর্জন করেছে, তা তাদেরই রক্ষা করতে হবে’

‘রক্ত দিয়ে ছাত্ররা যা অর্জন করেছে, তা তাদেরই রক্ষা করতে হবে’

পালিয়ে যাওয়া হাসিনা দেশের মাটিতে আসতে পারবে না :  খায়ের ভূঁইয়া

পালিয়ে যাওয়া হাসিনা দেশের মাটিতে আসতে পারবে না : খায়ের ভূঁইয়া

সামরিক শক্তিতে মিয়ানমার-ইরাকের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

সামরিক শক্তিতে মিয়ানমার-ইরাকের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

সরব হওয়ার দিন

সরব হওয়ার দিন