মাগুরার শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ-হত্যা মামলায় ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৯ এএম | আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩১ এএম

ঘটনার এক মাস পর মাগুরার শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চার আসামির বিরুদ্ধে মাগুরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। রোববার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার পরে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছে , ধর্ষণের ঘটনাটি সকালে ঘটেছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে মৃত শিশুর বোনের শ্বশুর হিটু শেখকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/২ ধারায় ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর অপরাধে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আর হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা বেগমের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন ও অপরাধের আলামত নষ্টের অভিযোগ আনা হয়েছে। শিশুটির বোনের স্বামী সজীব শেখ ও তার ভাই রাতুল শেখের বিরুদ্ধে ভয় ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আসামির জবানবন্দির সঙ্গে মামলার বাদী শিশুটির মায়ের এজাহারের অমিল রয়েছে।
এর আগে ডিএনএ প্রতিবেদনে শিশু ধর্ষণের মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের (বোনের শ্বশুর) সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে বলে ৭ এপ্রিল গণমাধ্যমকে জানান পুলিশের খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. রেজাউল হক। এর আগে ১৫ মার্চ মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায় মামলার প্রধান আসামি শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখের ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি রেকর্ড করেন। তিনি একাই শিশুটিকে ধর্ষণ করেছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। জবানবন্দিতে তিনি জানান ৬ মার্চ সকালে তার ছোট ছেলের (বোনের স্বামী) কক্ষে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা চালান তিনি।
প্রসঙ্গত, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রাম থেকে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের ওই শিশুটি। এ সময় তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।
সেদিন সন্ধ্যায় শিশুটির লাশ হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় নেওয়া হয়। মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা ও পরে শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডী গোরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হওয়া শিশুটির মা গত ৮ মার্চ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়। বর্তমানে আসামিরা সবাই কারাগারে আছেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

বেরোবিতে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

ইবিতে গুচ্ছভুক্ত সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠিত

সমন্বয়ক রুবাইয়া ইয়াসমিনের দাবীতে প্রচার হওয়া ভিডিও‘র আসল তথ্য ফাঁস!

জর্ডানে নিষিদ্ধ হলো মুসলিম ব্রাদারহুড, নিরাপত্তা শঙ্কায় কঠোর পদক্ষেপ

জেরুজালেমের পাশে নিয়ন্ত্রণে আসলেও বাকি আগুন এখনো জ্বলছে ইসরাইল জুড়ে

ইবিতে আসা ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সহায়তার হাত বাড়ালো বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন

গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার বিচার এই বাংলার মাটিতে হতে হবে, মৃত্যুদন্ড দাবী- এম নাসের রহমান

কুলাউড়া আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুলকে আটক করেছে পুলিশ

সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে? ভারত নাকি পাকিস্তান!

উপদেষ্টা পরিচয়ে সানির অভিষেক

বিএসএফের এক জওয়ানকে আটক করেছে পাকিস্তান রেঞ্জার্স

ইয়েমেনের মারিব ও আমরান প্রদেশে মার্কিন বিমান হামলা

৮০০ কর্মী-স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে ধানমন্ডিতে মশক নিধন অভিযান

আবুধাবি মাতাবেন জেনিফার লোপেজ

ইসরাইলের সঙ্গে অস্ত্রচুক্তি বাতিল করল স্পেন

শর্ত সাপেক্ষে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চান জোলানি

ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সোহেল রানার আইডিতে শিক্ষা উপদেষ্টা ও ডিসিকে নিয়ে স্ট্যাটাস

দুবাই থেকে আসা যাত্রীর পরিধেয় কাপড়ে মিলল গলানো স্বর্ণ

৩৮তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার এসোসিয়েশনের সভাপতি জিসান, সম্পাদক নিলয়

তবে কী যুদ্ধের দামামা বাজছে ভারত-পাকিস্তানে?