ষড়যন্ত্রের মধ্যেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এগিয়ে যেতে হচ্ছে
২০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
বলা হয় একটা, শুনি আরেকটা, বুঝি আরেকটা। আরেকজনকে জানাই আরেকটা। এই রোগে অপরাধী করে ফেলা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও। ‘রিসেট বাটন’ চাপার মাধ্যমে তিনি দিয়েছেন, দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি থেকে বের হয়ে নতুনভাবে শুরুর কথা। অথচ, কিছু লোক সেটাকে প্রচার করছে, তিনি বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেছেন।
এবিষয়ে অবশ্য প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ড. ইউনূস ‘রিসেট বাটন’ চাপার কথাটি উল্লেখ করে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি, যা বাংলাদেশের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে এবং কোটি মানুষের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার হরণ করেছে, সেটি থেকে বের হয়ে এসে নতুনভাবে শুরু করার কথা বুঝিয়েছেন। তিনি কখনোই বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেননি।
সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘রিসেট বাটন’ শব্দটিকে ঘঁষেমেজে তুলাধুনা করে ছাড়া হয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নিতে ঢাকায় আসার পর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে জনগণ নেতৃত্ব দিয়েছে। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। প্রথম স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে দেশের গৌরবময় স্বাধীনতা যুদ্ধ। কেউ যখন কোনো ডিভাইসে রিসেট বোতাম চাপেন, তখন তিনি নতুন করে ডিভাইসটি চালু করতে সফটওয়্যার সেট করেন। এতে হার্ডওয়্যার পরিবর্তন হয় না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ সিটিজেনস কমিটি গঠন করেন এবং বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে মার্কিন সরকারকে রাজি করাতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচারণা শুরু করেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করতে ড. ইউনূস বাংলাদেশ নিউজলেটার প্রকাশ করেছিলেন।
ড. ইউনূসকে ব্যর্থ করার চেষ্টা এখন আর ষড়যন্ত্রের পর্যায়ে নয়। এটা পুরোপুরি রাজনীতি। তাকে অসম্মানিত করা, ব্যর্থ করার এ রাজনীতির বিস্তার বাড়ছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে ৫ আগস্টের সাফল্য মেনে নিতে না পারা মানুষের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। তারা প্রকাশ্যে নয়। অন্তরাল থেকে যা করার সবই করছে। গোটা বিশ্ব ড. ইউনূসকে একনামে চেনা তাদের জন্য বড় কষ্টের। জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশনে দেখা গেছে, একক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিশ্বদরবারে ড. ইউনূসের অবস্থান কত উঁচুতে। তার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতার দুই মাসের মধ্যে তাদের তৎপরতা দিনদিন বাড়বাড়ন্ত। ৮ আগস্ট ক্ষমতা নিয়েই তিনি নতুন দেশ গড়ার কাজে হাত দেন। দুই যুগ আগে, ২০০১ সালে বিচারপতি লতিফুর রহমান প্রধান উপদেষ্টার শপথ নিয়েই ২৪ ঘণ্টার ‘হাসিনার সাজানো বাগান প্রশাসন’ তছনছ করে দিয়েছিলেন। এবার দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের অ্যাকশনে এখনো সে রকমের নমুনা নেই।
শেখ হাসিনাসহ তার সহযোগীরা তাদের প্রাণশক্তি ভারতে বেশ মোজমাস্তিতে আছেন। সেই মাস্তির কিছু দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। অথচ, প্রশাসন নির্বিকার। প্রশাসনের একটি অংশের কাছে এটি খোশখবর। তিনি যে কোনো সময় চট করে চলে আসার বার্তা দিয়ে তাদের মনোবল চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছেন। চক্রটি ভারতের সহায়তায় ফিরে এসে সুদেআসলে প্রতিশোধের হুঙ্কার দিচ্ছে। বাংলাদেশ জোয়ার-ভাটার দেশ। প্রকৃতির মতো কিছু কিছু মানুষের মন-মননও তাই। তারা কখন কী করেন আন্দাজ করা কঠিন।
১৫-১৬ বছর ধরে গড়ে তোলা হাসিনার অনুসারীরা প্রশাসনের পরতে পরতে সক্রিয় রয়েছেন আর ভারতে বসে তিনি একের পর এক ষড়যন্ত্রের কার্ড ছুড়ছেন। হুমকি দিচ্ছেন, ড. ইউনূস এক মাসও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। প্রশাসনে এখনো শেখ হাসিনার অনুগত আমলারা জেঁকে বসে আছে। পুলিশসহ অন্যান্য সেক্টরেও তাই। প্রশাসনে বদলি, পদায়ন, নিয়োগ, ইত্যাদির নামে যা হচ্ছে তার সবই প্রায় হাসিনা অনুগতদের হাতেই যাচ্ছে; আর চটকদার নিউজ খবরে প্রকাশ পাচ্ছে। ওয়ান-ইলেভেনের খলনায়কদের অন্তর্বর্তী সরকারে পদায়ন হচ্ছে। ভারতের তাঁবেদার ওয়ান-ইলেভেনের ওই আমলা-কামলারাই যেন ড. ইউনূসের সরকারকে সফল করবে! সর্ষের ভেতরেই ভূত রেখে সেই সর্ষে দিয়ে ভূত তাড়ানোর চেষ্টা! ওয়ান-ইলেভেনের মতোই এখন প্রশাসনে মেকানিজম হচ্ছে। সব কিছু যেন ভারতের মাস্টারমাইন্ড ‘বিএনপি ঠেকাও’ চেতনা। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করলেও কারা নির্বাচিত হবেন আগেই তা চূড়ান্ত করেছিল একটি মহল। ফলে জনগণ ভোট দিলেও ওই নির্বাচনে জনগণের ভোটের প্রতিফলন ঘটেনি। ২০১৪ সালে প্রার্থী ও ভোটারবিহীন নির্বাচন, ২০১৮ সালে রাতের নির্বাচন ও ২০২৪ সালের ডামি প্রার্থীর নির্বাচনের নামে সার্কাস হয়েছিল। এখন ড. ইউনূসকে কাজ করতে না দেয়ার সঙ্ঘবদ্ধ গ্রুপটি বেশ ক্রিয়াশীল। হাসিনা পালানোর পর প্রবাসীরা দুহাত ভরে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভ বেড়ে যাচ্ছে। ব্যাংকিং সেক্টরে গতি ফিরে এসেছে। গার্মেন্ট নিয়ে এখনো ভারতের ষড়যন্ত্র চললেও অন্যান্য সেক্টরে ব্যবসায় গতি এসেছে। তা বানচালের মহাআয়োজন চলছে।
তাদের অন্যতম অবলম্বন এখন সোশ্যাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইবার যুদ্ধের নামে বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে পরাভূত করতে হাসিনার অলিগার্করা রাষ্ট্রের শত শত কেটি টাকা খরচ করেছে। শেখ হাসিনার ছেলে ও আইটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের হাজার হাজার নেটিজেন-ইউটিউবার ছাত্র-জনতার আন্দোলন ব্যর্থ করার চেষ্টা করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধ করে। ওই যুদ্ধে না জিতলেও তাদের টুল ও মেশিনারিজ রয়ে গেছে। এছাড়া, নির্বাচন কমিশনের তথ্যভা-ার থেকে ব্যক্তিগত তথ্য বেহাতের ঝুঁকিতে দেশের ১১ কোটি মানুষ। তাই তথ্য চুরির শঙ্কায় অনেকে। তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ফলে বাড়তে পারে ভুয়া নামে মোবাইল সিম রেজিস্ট্রেশন বা বেনামি ঋণের মতো প্রতারণা। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য ফাঁস দেশকে অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিকভাবে বিপদেও ফেলতে পারে। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়কে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা নিয়োগ দেন শেখ হাসিনা। সেই থেকে দেশের নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য দেখভালের দায়িত্বে তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগ। কিন্তু, সজীব ওয়াজেদ তথ্য সুরক্ষার বদলে হাজার হাজার কোটি টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন জনগণের তথ্য। এরই মধ্যে বেহাত হওয়া ১১ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে ২০ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগও মিলেছে। তথ্য চুরির অভিযোগে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। ফাঁস হওয়া তথ্য ডার্ক ওয়েবে বিক্রির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে তথ্য ফাঁসের শিকাররা দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা হুমকিতে। এতে আর্থিক, সামাজিক ও আইনিভাবে মারাত্মক ঝুঁকিতে ১১ কোটি মানুষ। তাই, ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের।
সজীব ওয়াজেদ জয় এবং জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলায় এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহকে। তবে, ডিজিকন গ্লোবালের দাবি, পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে তাদের। পুলিশ বলছে, তথ্যফাঁসের ঘটনায় জয়-পলক- বরকতউল্লাহ সিন্ডিকেট জড়িত। ১১ কোটি নাগরিকের ফাঁস হওয়া তথ্য ব্যবহার করে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার ও গুগলসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোতে তৈরি করা কোটি কোটি ফেইক আইডি নিয়ন্ত্রণ কঠিন। এ ছাড়া, শেখ হাসিনার অলিগার্ক আমলাদের প্রশাসনের রেখে অন্তর্বর্তী সরকার হেসেখেলে প্রশাসন চালালেও হাসিনা ড. ইউনূসের সরকারকে উল্টাতে প্রতিদিন ফন্দিফিকির করছেন। প্রবাদে রয়েছে, টাকা হলে বাঘের চোখে মেলে। কেউ কেউ আরেকটু বাড়িয়ে বলেন, ‘মানি ইস সেকেন্ড গড’। বাংলাদেশকে সব সম্ভবের দেশও বলা হয়। মাফিয়া অর্থনীতির বাংলাদেশে সবই সম্ভব। সজীব ওয়াজেদ জয় সেনাপ্রধানের ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগের ভোটে অংশগ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ইউনূসের সরকার এক মাসও টিকবে না। কাছেই রয়েছি চট করে দেশে ঢুকবো জানিয়ে বলেছেন, তিনি কাউকে ছাড়বেন না। আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল পেইজে দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে বলা হয়েছে, ‘প্রয়োজনে আরেকটি যুদ্ধ করব।’ আওয়ামী লীগের এই যুদ্ধে হুঙ্কার কার বিরুদ্ধে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এ প্রসঙ্গে কেউ কেউ ফিলিপাইনের উদাহরণ টানেন। মার্কোসের মতোই হাসিনার অনুগত আমলারা এখনো প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। প্রশাসনের অন্যান্য বাহিনীতেও রয়েছে হাসিনা অনুগতরা। আর বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের নেতা বা মন্ত্রী-এমপিদের বেচাকেনার নজির আগেও ছিল। বাংলাদেশের গত ৫ আগস্টে হাসিনার দিল্লিতে পালানোর মতোই ১৯৮৬ সালে আন্দোলনের মুখে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস হাওয়াই দ্বীপে পালিয়েছিলেন ফাস্টলেডি ইমেলডা মার্কোসকে নিয়ে। সন্তানদের পাঠিয়ে দেয়া হয় আগেই। সময়ের ব্যবধানে সেই মার্কোসের ছেলে বংবং মার্কোস এখন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট। এর নেপথ্য কারণ হলো লুম্পেন অর্থনীতির লুটের টাকা আর অনুগত আমলা। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে মার্কোস পরিবার সে দেশের রাজনীতিতে ফিরতে। এছাড়া আমলাতন্ত্র ও সামরিক বাহিনীতে তার রেখে যাওয়া দুর্নীতিবাজদের টাকা দিয়ে পুনর্গঠন করেছে। আবার ক্ষমতাসীন দলের নেতা-মন্ত্রীদের মর্কোস পরিবার ঘুষ ও উৎকোচ দিয়ে কিনে নেয়। হাসিনা পালিয়েছেন বোন রেহানাকে নিয়ে। পুত্রকন্যা বিদেশেই ছিলেন। হাসিনা ও তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের রয়েছে প্রচুর টাকা। প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। জয় ইতোমধ্যেই ‘স্ট্রিক গ্লোবাল ডেপ্লোম্যাসি’ নামের সিঙ্গাপুরভিক্তিক একটি লবিস্ট ফার্মকে মাসে দুই লাখ ডলার চুক্তিতে নিয়োগ দিয়েছে। ওই লবিস্ট ফার্ম মার্কিন নেতাদের আওয়ামী লীগের পক্ষে আনার লক্ষ্যে কাজ করবে বলে জোর প্রচারণা। সেইসাথে আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত বন্ধু ভারত তো আছেই।
দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, মেয়াদের দুই মাস হয়ে গেলেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়া উপদেষ্টাদের কারো কারো জন্য অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবী সরকার হয়ে উঠতে পারেননি। এটা গণবিপ্লবের শহীদ এবং পঙ্গু-অন্ধ হওয়া হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। বাস্তবতা হচ্ছে, চরম অসহযোগিতা ও ষড়যন্ত্রের মধ্যেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একাই এগিয়ে যেতে হচ্ছে। তবে মহীরুহ হয়ে ওঠা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, তাতে কোনো কাজ হবে না। কারণ, তিনি সঠিক পথে রয়েছেন। তাঁর উদ্যোগ এবং কর্মপ্রক্রিয়া জনগণ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বিপুলভাবে সমর্থিত ও সমাদৃত।
আমরা আশা করব, যেসব উপদেষ্টা ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও ভারতের প্রতি মনে মনে দরদ পুঁষে রেখেছেন, তারা সতর্ক হয়ে যাবেন। গণবিপ্লবকে ধারণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতকে শক্তিশালী করে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপ্লবী সরকারে পরিণত করবেন। বিএনপি, জামায়াতসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সফল হতে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করা।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
জাবি শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন, ফটকে তালা, মশাল মিছিল
মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
"নতুন সিনেমা নিয়ে ফিরছেন গ্লোবাল তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি"
ড. ইউনূসকে নিয়ে খালেদা জিয়ার পুরোনো যে বক্তব্য ভাইরাল
নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইসলামী আন্দোলনের শুভ কামনা
আলোচনায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার ‘টুস করে ফেলে দেয়ার’ হুমকি
দীর্ঘ ১৫ বছর সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে পারেনি: খোকন
'ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে অভিনেতা তারিক আনাম খানের নাটক'
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
দেশের বাজারে ফের বাড়ল সোনার দাম
সবচেয়ে কম মূল্যে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিচ্ছে নেপাল: নেপাল রাষ্ট্রদূত
আগামী নির্বাচন নিয়ে দিল্লি ভয়ংকর পরিকল্পনা করছে: যুক্তরাষ্ট্র জাগপা
উত্তরায় মা ও শিশুর গায়ে এসিড ছুড়ে স্বর্ণালংকার লুট