গণঅভ্যুত্থানের সাবলিমিটি : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন
১১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ পিএম
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
বলাবাহুল্য, ২০২৪ সালের ছাত্র বিক্ষোভই স্বৈরাচারী সরকারের দমননীতিকে পরাভূত করে পতনের দিকে নিয়ে যায়। তবে শেখ হাসিনার নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সূচনা ২০০৯ সাল থেকে। বিশেষত পিলখানায় বিডিআর হত্যাকা- দমনে ব্যর্থতা এবং বিপুল সংখ্যক সেনা অফিসারকে হত্যা করা হলে জনগণের ভেতর ক্ষোভের জন্ম হয়। সেসময় প্রধান বিরোধী দল বিএনপি-এর নেতা-কর্মীর বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে প্রতিবাদকে নিস্তব্ধ করে দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে শুরু হওয়া বিএনপি’র প্রতিবাদের ধারাবাহিকতায় জন-আকাক্সক্ষা মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠল ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। এটি ছিল দেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ল্যান্ডস্কেপ। যেখানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে গভীর অনুভূতি এবং প্রকৃত পরিবর্তনের আকাক্সক্ষা ছিল দীপ্যমান। আর ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারের জন্য একটি শক্তিশালী শক্তিতে পরিণত হয়েছিল।
আন্দোলনের একটি বিষয় যা খুবই অনন্য ছিল তা হলো, আন্দোলন রাজধানী ঢাকা দিয়ে শুরু ও শেষ হয়নি। রাজধানীর বাইরে জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়সহ অন্যান্য পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্ররা একত্রিত হয়েছিল এবং সমগ্র দেশকে সংগঠিত করতে সাহায্য করেছিল। এছাড়া নর্থ-সাউথ, ব্র্যাক, ইস্ট-ওয়েস্টসহ ঢাকার সকল প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয়, ঢাকা ও তিতুমীরের মতো বড় বড় কলেজের ছাত্ররা একটি গণ-সমর্থিত আন্দোলন তৈরি করেছিল। ৪ঠা আগস্ট ছাত্ররা ঢাকায় মিছিলের ডাক দেয় এবং সবাইকে তাদের সাথে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানায়। বিশেষভাবে শ্রমিকদের তাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলÑ যা ছিল আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক। এমনকি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তার প্রিয় সন্তানকে রাজপথে নামার সাহস দিতে সঙ্গে থেকেছেন। বাসা থেকে পানি ও খাবার সরবরাহ করেছেন। রোদ, বৃষ্টি, ঝড় উপেক্ষা করে যে সন্তানরা অঙ্গীকারে অটল ছিল তাদের মা-বাবা জানিয়েছেন ‘উন্নত মম শির’ Ñমাথা উঁচু করে নীতি নিয়ে বাঁচো। আসলে বিভিন্ন সামাজিক শ্রেণি-ছাত্র-অভিভাবক, শ্রমিক এবং শেষ পর্যন্ত সাধারণ সৈনিককে একত্রিত করে আন্দোলনটি হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে একটি বিস্তৃত প্রতিবাদী জোট গড়ে তোলে।
সেদিন অর্থনৈতিক অসন্তোষ এবং ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর লড়াইয়ের মাধ্যমে জনগণ একত্রিত হয়েছিল, বিশেষ করে বিক্ষোভকারীদের দমানোর জন্য ক্রমবর্ধমান তীব্র এবং সহিংস রাষ্ট্রীয় পীড়ন দেখে। ৪ ঠা আগস্টে ঘোষিত ‘মার্চ টু ঢাকা’ জনগণকে জাগিয়ে তুলেছিল বিশেষত যারা রাজনীতির বাইরে ছিলেন যেমন গৃহিণী এবং পিতামাতারা, যারা রাস্তায় নেমে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘কেন আপনারা আমাদের বাচ্চাদের উপর গুলি করছেন?’ একই প্রশ্ন ছিল পুলিশে চাকরিরত কর্মকর্তারÑ‘একজনকে মারতে কতগুলো গুলি লাগে, স্যার?’Ñ রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের উপপরিদর্শক ময়নাল হোসেনের ১৭ বছরের ছেলে ইমাম হোসেন তাঈমের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে খুঁজে পাওয়ার পর এই আর্তনাদ ছিল মর্মভেদী।
৪.
১ জুলাই (২০২৪) থেকে ক্রমান্বয়ে যখন অস্থিরতা শুরু হয় তখন ছাত্র এবং তরুণসমাজের সামনে বিগত সরকারের দুর্নীতি এবং ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনী জালিয়াতির মতো বড় সমস্যাগুলো সামনে আসে। মন্ত্রী-আমলারা কীভাবে দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে জড়িত ছিল তার বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ পেতে থাকে এবং ব্যাপক অভিযোগ মিডিয়াতে আসায় সকলে বুঝতে পারে যে নির্দিষ্ট কিছু দলকে(ফ্যাসিবাদের সমর্থিত) সুবিধা দেওয়ার জন্য নির্বাচনে কারচুপি করা হয়েছিল। যুবসমাজের ভোটাধিকার এভাবে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে দেখে ক্ষোভ ক্রমাগত অগ্নিস্ফুলিঙ্গে পরিণত হয়।
আন্দোলনে বিক্ষোভের অন্যতম দিক ছিল অহিংসার প্রতি শিক্ষার্থীদের অঙ্গীকার। নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ এবং তাদের আন্দোলনকে দমন করার প্রচেষ্টা সহ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও, তারা শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া বজায় রেখেছিল। এই অহিংস অবস্থান শুধুমাত্র আন্দোলনের গতিকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করেনি বরং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সহানুভূতি ও সমর্থনও অর্জন করেছে।
শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের প্রতিক্রিয়া লক্ষণীয় হয়ে উঠেÑ বিশেষত মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এবং তাদের সংস্কারের আহ্বান তুলে ধরা হয়। এই বৈশ্বিক মনোযোগ বাংলাদেশ সরকারকে বিক্ষোভকারীদের দাবি আরও গুরুত্ব সহকারে মোকাবেলার জন্য চাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৬০ এর দশকের মার্কিন নাগরিক অধিকার আন্দোলনে যে মিছিল দেখা গিয়েছিল ঠিক তার মতো বিপুল জনতার ঢেউ ২০২৪ এর আগস্টে আমরা দেখলাম। ৫ আগস্ট (২০২৪) গণ অভ্যুত্থানের বিজয় সম্পন্ন হয়। এই বিজয় তরুণদের দিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যত গঠনে অনুপ্রাণিত করেছে। তারা তুলে ধরে কিভাবে সম্মিলিত পদক্ষেপ এবং অধ্যবসায় একটি দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক ল্যান্ডস্কেপে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা যায়। ছাত্রদের দৃঢ় সংকল্প এবং অঙ্গীকার শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধানই করেনি বরং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিশালী করেছে, আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকারের পথ প্রশস্ত করেছে।
আন্দোলনের সময় ১৫ জুলাই(২০২৪) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যখন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে প্ল্যাকার্ড এবং পতাকা নিয়ে বসেছিল তখন হঠাৎ, রড, লাঠি এবং রিভলবার নিয়ে ছাত্রলীগ তাদের আক্রমণ করে। ছাত্র বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের হামলা সারাদেশের বিক্ষোভকারীদের মুহূর্তের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ করে তোলে। ১৬ জুলাই বিকেল নাগাদ, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে। সেখানে বিক্ষোভরত সমন্বয়কারী আবু সাঈদের নেতৃত্বে ছাত্ররা জড়ো হয়েছিল। দু’হাত তুলে দাঁড়িয়ে থাকা নিরস্ত্র আবু সাঈদকে পুলিশ সরাসরি এবং ইচ্ছাকৃত বুকে গুলি চালায়। এই নিষ্ঠুর, নির্মম বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের ভিডিও অনলাইনে শেয়ার করা হলে দাবানলের মতো জ¦লে উঠে। ফলে সারা দেশে শত শত শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে আসে। শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, অভিভাবক, রিকশাচালকসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আবু সাঈদের মৃত্যুতে ক্ষোভ ও শোকে সংহতি প্রকাশ করেন।
বিক্ষোভ দমনে পুলিশের নির্বিচার গুলি চালানো সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের প্রতিবাদে সোচ্চার করে তোলে। আন্দোলনের গতিবেগে নতুন মোড় সূচিত হয়। আবু সাঈদ পুলিশের কাছে দৃশ্যত কোনো হামলা বা হুমকির কারণ ছিল না। সাঈদের নৃশংস হত্যাকা-ের ভিডিওটি ক্ষোভের জন্ম দেয় এবং ১৫ জুলাই থেকে বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীদের উপর পরিচালিত নির্মমতার প্রতীক হয়ে ওঠে। খুনি হাসিনা বিক্ষোভকারীদের উপর আক্রমণ অব্যাহত রাখায় ১৮ই জুলাইয়ের মধ্যে ৩২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে ১৯ জুলাই, ৭৫ জন। এসময় সরকারের তরফ থেকে আলোচনার প্রস্তাব বিক্ষোভকারীরা মৃত্যুর মিছিলের সামনে দাঁড়িয়ে প্রত্যাখ্যান করে।
এহেন পরিস্থিতিতে সমগ্র দেশে ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীকে সারা দেশে মোতায়েন করা হয়। কারফিউ জারি করে ‘দেখা মাত্র গুলি করা’র নির্দেশ দেওয়া হয়। জুলাই মাসেই ১০ দিনেরও কম সময়ে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং আরও হাজার হাজার আহত হন। গত ৫০ বছরে বিশ^ব্যাপী আন্দোলনের গণ জোয়ারে এত অল্প সময়ের মধ্যে এত বীভৎস মৃত্যুর সংখ্যা খুব কম দেশই দেখেছে। গুলিবিদ্ধ ছাত্র-জনতাকে জীবন্ত অবস্থায় জড় পদার্থের মতো পুলিশ পিক-আপ ভ্যানে একের পর এক ফেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মর্মান্তিক দৃশ্য বিশ^বিবেককে হতবাক করেছে। সপ্তাহব্যাপি যারা নিহত, আহত এবং গ্রেফতার হয়েছেন তাদের বিচার ও জবাবদিহির দাবিতে বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গর্জন বিদেশের মাটিতেও সন্বীপিত হয়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন শিল্পী, গীতিকার, সুরকার এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা। যারা কষ্টের রেমিটেন্স পাঠান। ছাত্র-জনতা হত্যার প্রতিবাদে একমাস রেমিটেন্স পাঠানো বন্ধ রেখেছিলেন তারা। ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলংকা, আরব আমিরাত ও কলকাতায় ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে ছাত্রদের অভয় দিয়েছিলেন বিদেশি নাগরিকরা। ১৮ জুলাই নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের টাইমস স্কয়ারে লক্ষ মানুষের সামনে, বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি একাগ্রতা প্রকাশ এবং গুলিতে সহিংস কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। Save Bangladeshi Students এই সমাবেশের মূল স্লোগানে উচ্চকণ্ঠ ছিল টাইমস স্কয়ার।
৫.
আন্দোলন ও প্রতিবাদের ঢেউ দেশের আপামর জন সাধারণকে সরকারের প্রতি বিতৃষ্ণ করে তোলে। বিশেষত ১৮ জুলাই থেকে ২২ জুলাই অবধি ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় সরকারের অন্যায় চাপা দেবার কৌশল হিসেবে চিহ্নিত হয়। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং মানবাধিকারের রাষ্ট্রীয় দমনের চেহারা বীভৎস হয়ে উঠে। অন্যদিকে ‘বাংলা ব্লকেড’, ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ অস্থিতিশীলতা এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করে, উপরন্তু জনগণের নিরাপত্তা এবং জীবিকাকে প্রভাবিত করে ফলে হাসিনার উপর জনতার আস্থা নিঃশেষ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা জানত যে বিপুল সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণ ছাড়া তারা সফল হতে পারবে না। আন্দোলন এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তারা রাজনৈতিক দল এবং শ্রমিক ইউনিয়নগুলির সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এই ঐক্যই আন্দোলনকে সফল করেছে, কারণ এটি সমাজের একটি বিস্তৃত অংশের কাছে আবেদন নিয়ে হাজির হয়েছিল। ফলে হত্যাকা-, জখম, গুলি, হামলা, ভাঙচুর, সন্ত্রাসের ঘটনা দেখতে দেখতে একসময় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও ছাত্রদের পক্ষে দাঁড়িয়ে যান। ৪ আগস্ট রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীকে ছাত্র-জনতার মুখোমুখি দাঁড় না করানোর আহ্বান জানান সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসাররা।
প্রাণঘাতী অস্ত্রের বেআইনি ব্যবহার যার ফলে জীবন এবং নির্যাতন থেকে মুক্তির অধিকার লঙ্ঘন এবং শাস্তির অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বিক্ষোভকারীরা বিশ^বাসীর সহানুভূতি কেড়ে নেয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে বেগবান করতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে নারী শিক্ষার্থীরা৷ আন্দোলনে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। ‘‘মেয়েদের হলগেট ১০টায় বন্ধ হয়ে যায়। সে কী দৃশ্য! বিক্ষোভের একপর্যায়ে হলগেটের তালা ভেঙে বেরিয়ে আসে মেয়েরা। হাঁড়ি, পাতিল, চামচসহ যে যা পেয়েছে তা নিয়ে যোগ দেয় মিছিলে। প্রথমে রাজুতে অবস্থান করলেও পরবর্তীতে ভিসির বাসভবনের সামনে এবং রাজুতে হাজার হাজার ছেলেমেয়ে। স্লোগান ছিল ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’।’’(ডেইলি স্টার, ১৩/১০/২০২৪) জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পুরো সময় নারী শিক্ষার্থীরা মিছিলের অগ্রভাগে অবস্থান করে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিবাদকে গতিবেগ দান করেছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছে। পুলিশ আর আর্মির সামনে নির্ভীকভাবে দাঁড়িয়েছে। (চলবে)
লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান এবং অধ্যাপক, থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
লেবাননে যুদ্ধবিরতি কার্যকর,বাসিন্দাদের বাড়ি না ফেরার নির্দেশ
যেসব এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
প্রথম আলো-ডেইলি স্টারের সামনে বিক্ষোভের কারণ কী? যা জানা যাচ্ছে
হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে অবশেষে সম্মত হলো ইসরায়েল
নিহত আইনজীবীকে নিয়ে অপপ্রচার করছে ভারতীয় গণমাধ্যম
চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা: যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক ২০
আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
রাশিয়া গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ব্রিটিশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করল
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল যবিপ্রবি
ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল পবিপ্রবি
ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ
চিন্ময়ের মুক্তি দাবিতে মিছিল থেকে আ.লীগের ৬ নেতাকর্মী আটক
এক ইসরায়েলি সহ গাজায় নিহত ১৪ ফিলিস্তিনি
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল সারা দেশ
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে দেয়া আইনজীবী সাইফুলের সেই স্ট্যাটাসটি ভাইরাল
হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতিতে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র
দেশে সম্প্রীতি নষ্ট করার পরিকল্পনা নিয়ে চিন্ময় কাজ করছিল: উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় সম্পর্কে দিল্লির বক্তব্যকে বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছে ঢাকা
দুর্বল ব্যাংকে তারল্য সহায়তা দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল ইবি