আপনি আরেকটা হাসিনা হয়ে উঠার প্রক্রিয়ায় আছেন: ফারুকী

Daily Inqilab বিনোদন ডেস্ক

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম | আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম

নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে তাদের উৎসাহ দিয়ে এসেছেন। আন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পরেও তিনি চুপ নেই। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দেশ সংস্কারের কথা বলছেন। চলমান নানা ইস্যু নিয়ে নিয়মিত নিজের মতামত ও পরামর্শ দিচ্ছেন। এবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কারা ‘মনস্টার’ বা ‘দৈত্য’ হয়ে উঠতে সাহায্য করেছেন সে বিষয়ে কথা বলেছেন এই নির্মাতা।

 

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক একটি পোস্টে দিয়েছেন ফারুকী। পোস্টে ফারুকী লিখেছেন, ‘‘শেখ হাসিনাকে আমরা কীভাবে মনস্টার হয়ে উঠতে সাহায্য করলাম? কারা তাকে মনস্টার বানালো? বাংলাদেশের সো কলড নাগরিক সমাজ। “বিএনপি ঠেকাও” (যদিও তারা মুখে বলতো বিএনপি-জামাত, কিন্তু ভেতরে ভেতরে তারা জানতো ভোটে জেতার সক্ষমতা বিএনপির বেশী, তাই বিটুইন দ্য লাইন ছিল বিএনপিই) মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ নাগরিক সমাজ হাসিনাকে যা ইচ্ছা তা করার লাইসেন্স দিয়েছে।’’

 

দেশের রাজনীতি প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘এই আত্মসমালোচনাটা বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ যদি না করে তাহলে ভবিষ্যতেও আমরা এইরকম মনস্টার জন্ম দিতেই থাকবো। আমরা মুখে গণতন্ত্র বলি, কিন্তু আমাদের বগল মে “ঠেকাঠেকি”! দেখেন যে কেউ যে কাউকে ঠেকাতে চাইতেই পারে। এটা তার গণতান্ত্রিক অধিকার। এর জন্য সে প্রচার চালাতে পারে, জনমত গঠন করতে পারে। কিন্তু গোলমাল দেখা দেয় যখন এই ঠেকাঠেকিটা করা হয় ভোট ডাকাতি বা ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ার মাধ্যমে।’’

 

এরপর লিখেছেন, ‘‘আমাদের আদি পাপ এখানে। এই ঠেকাঠেকি অধিদপ্তর থেকেই গুম-খুন-ব্যাংক লুট-লক্ষ কোটি টাকা পাচার-রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করার লাইসেন্স বা সম্মতি দেয়া হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। সময় আসছে বোঝার বাংলাদেশের মানুষ জানে কখন কাকে ঠেকাতে হবে। ৯৬তে সে বিএনপিকে ঠেকায় নাই? ২০০১য়ে আওয়ামী লীগকে ঠেকায় নাই? ২০০৮য়ে আবার বিএনপিকে ঠেকায় নাই? তারপরতো আর জনগণকে সুযোগই দেয়া হয় নাই। ফলে সময় এসেছে ঠেকাঠেকির দায়িত্ব জনগণের হাতে তুলে দিয়ে এই আদিপাপ থেকে বের হয়ে আসার।’’

 

ফারুকীর ভাষ্য, প্রশ্ন আসতে পারে, ‘‘জনগণ যদি ভুল লোককে নির্বাচিত করে? ভুল শক্তি সরকারে আসে? গরিষ্ঠের শাসন মানলে আপনাকে এটা মেনে নিতেই হবে। মেনে নিয়ে আপনি ভুল লোকের ভুল কাজের তীব্র সমালোচনা করবেন, প্রতিবাদ করবেন, আদালতে যাবেন! তাকে লাইনে রাখার জন্য যা যা করা দরকার সবই করবেন। এবং পরের ভোটে ঠেকিয়ে দিবেন। এটার নামই গণতন্ত্র।’’

 

শেষে বলেন, ‘‘আর তা না করে আপনি যদি মনে করেন আমরা আর আমার কতিপয় অনুসারীই দেশের ভালো কিসে হবে সেটা সবচেয়ে ভালো বুঝি, তাহলে আপনি আরেকটা হাসিনা হয়ে উঠার প্রক্রিয়ায় আছেন। কানে বাজে এখনো তার কথা, “আমার চেয়ে এই দেশের ভালো কে বেশি বোঝে”’’


বিভাগ : বিনোদন


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

সেদিন প্রাণ নিয়ে ফিরেছিলাম, নয়তো আজ শহিদের তালিকায় থাকতাম
মেঘনা আলমকে ‘নিরাপত্তা হেফাজতে’ নেওয়া হলো কেন, জানালো ডিএমপি
সিডি জোনের বিরুদ্ধে মালিকানা জালিয়াতির অভিযোগ তুললেন সোহাগ
বিশেষ ক্ষমতা আইনে কারাগারে অভিনেত্রী মেঘনা আলম
'মঙ্গল শোভাযাত্রা' নাম পাল্টে নতুন নাম 'বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা'
আরও
X

আরও পড়ুন

লবণের মূল্য কমে যাওয়ায় চাষিরা হতাশ -মাঠেই গর্তে ফেলে রাখছে লবণ

লবণের মূল্য কমে যাওয়ায় চাষিরা হতাশ -মাঠেই গর্তে ফেলে রাখছে লবণ

চাঁদার জন্য বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগে যুবদল নেতা গ্রেফতার

চাঁদার জন্য বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগে যুবদল নেতা গ্রেফতার

ফিলিস্তিনে বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ সফল করুন : খেলাফত আন্দোলন

ফিলিস্তিনে বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ সফল করুন : খেলাফত আন্দোলন

গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ নিয়ে জরুরি নির্দেশনা

গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ নিয়ে জরুরি নির্দেশনা

উৎসবের নামে মুসলিমদের শিরকের পথে ঠেলে দিচ্ছে সরকার

উৎসবের নামে মুসলিমদের শিরকের পথে ঠেলে দিচ্ছে সরকার

ভারি বৃষ্টিপাতে ভারত ও নেপালে শতাধিক মৃত্যু

ভারি বৃষ্টিপাতে ভারত ও নেপালে শতাধিক মৃত্যু

দেখা মিললো ওবায়দুল কাদেরের

দেখা মিললো ওবায়দুল কাদেরের

৪ হাজার টাকার ইনজেকশন, ৩৪ হাজারে বিক্রি

৪ হাজার টাকার ইনজেকশন, ৩৪ হাজারে বিক্রি

ফিলিস্তিনিদের স্বার্থের সকল কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকবো : জিএম কাদের

ফিলিস্তিনিদের স্বার্থের সকল কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকবো : জিএম কাদের

বাণিজ্য যুদ্ধ তীব্র হওয়ার সাথে সাথে মার্কিন শেয়ারের দাম কমেছে

বাণিজ্য যুদ্ধ তীব্র হওয়ার সাথে সাথে মার্কিন শেয়ারের দাম কমেছে

কারা হেফাজতে মৃত্যুর শিকার ছাত্রদল নেতা মিলনের পরিবারের খোঁজ নিলেন তারেক রহমান

কারা হেফাজতে মৃত্যুর শিকার ছাত্রদল নেতা মিলনের পরিবারের খোঁজ নিলেন তারেক রহমান

ফিলিস্তিনে গণহত্যায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জে বিক্ষোভ - মিছিল সমাবেশ

ফিলিস্তিনে গণহত্যায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জে বিক্ষোভ - মিছিল সমাবেশ

ঢাবি ক্যাম্পাসজুড়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন ছাত্র শিবিরের

ঢাবি ক্যাম্পাসজুড়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন ছাত্র শিবিরের

রাবিতে ভর্তি পরীক্ষার দামামা, ‘বি’ ইউনিটে প্রতি আসনে লড়বে ৭৬ জন!

রাবিতে ভর্তি পরীক্ষার দামামা, ‘বি’ ইউনিটে প্রতি আসনে লড়বে ৭৬ জন!

রাউজানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীর ওপর হামলা, ছাত্রলীগ কর্মী আটক

রাউজানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীর ওপর হামলা, ছাত্রলীগ কর্মী আটক

রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার সমসাময়িক প্রসঙ্গে ফার্মাসিস্টদের মতবিনিময় সভা

রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার সমসাময়িক প্রসঙ্গে ফার্মাসিস্টদের মতবিনিময় সভা

রামগতিতে স্কুলের জায়গায় দোকান নির্মাণ করে ভাড়া তুলছেন আ.লীগ নেতা

রামগতিতে স্কুলের জায়গায় দোকান নির্মাণ করে ভাড়া তুলছেন আ.লীগ নেতা

বড়লেখায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

বড়লেখায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

কালিয়াকৈরে বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে যুবক আটক

কালিয়াকৈরে বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে যুবক আটক

ফিলিস্তিনে আগ্রাসন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী গড়ে তুলুন প্রতিরোধ আন্দোলন

ফিলিস্তিনে আগ্রাসন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী গড়ে তুলুন প্রতিরোধ আন্দোলন