গ্রিনল্যান্ড নিজের ভবিষ্যৎ নিজেই নির্ধারণ করবে : ট্রাম্পকে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী
১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৪ এএম
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডরিকসেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জানিয়েছেন, গ্রিনল্যান্ড নিজের ভবিষ্যৎ নিজেই নির্ধারণ করবে। ট্রাম্প গত সপ্তাহে গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহ দেখিয়ে কোপেনহেগেন ও গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুক-এ আলোড়ন তুলেছিলেন। গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল।
বুধবার ৪৫ মিনিটের এক ফোনালাপে ফ্রেডরিকসেন ট্রাম্পকে বলেন, আর্কটিক অঞ্চলের নিরাপত্তা বিষয়ে ডেনমার্ক নিজের দায়িত্ব বাড়াতে প্রস্তুত। তিনি গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুটে এগেদের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন। মুটে এগেদে সম্প্রতি বলেছেন, গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়। ট্রাম্প এ ফোনালাপের বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তবে তিনি ২০১৯ সালের একটি জরিপ তার ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন। ওই জরিপে দেখা যায়, ৬৮ শতাংশ গ্রিনল্যান্ডবাসী ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতা চান।
গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতা নিয়ে গণভোট হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডেনমার্ক জানিয়েছে, তারা যেকোনো ফলাফলকে সম্মান করবে। প্রথমবার প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তখন মেটে ফ্রেডরিকসেন এ প্রস্তাবকে ্রঅযৌক্তিকগ্ধ বলে মন্তব্য করলে ট্রাম্প হঠাৎ ডেনমার্ক সফর বাতিল করেন।
ডেনিশ সরকার জানায়, ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপে ফ্রেডরিকসেন বলেছেন, ‘ডেনমার্কের কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রে প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে অবদান রাখছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য শক্তিশালী করার অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে’। গত সপ্তাহে ট্রাম্প ডেনমার্ককে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, গ্রিনল্যান্ড না ছাড়লে দেশটির ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হবে। এ প্রস্তাব ডেনমার্কের শিল্পপ্রধানদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ডেনমার্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। উচ্চ শুল্ক আরোপ হলে ডেনমার্কের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়বে।
গ্রিনল্যান্ডের পার্লামেন্ট সদস্য আজা কেমনিজ বলেছেন, গ্রিনল্যান্ড নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রিনল্যান্ডবাসীর হওয়া উচিত- ফ্রেডরিকসেনের এই অবস্থানে তিনি সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বের ওপর আমার গভীর আস্থা রয়েছে। মুটে এগেদেকেও আমি ভরসা করি। আমি মনে করি, তাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ’।
এ সপ্তাহের শুরুতে মুটে এগেদে জানান, তার সরকার ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত। তবে বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য রাসমুস জারলোভ ফ্রেডরিকসেনের অবস্থানের সমালোচনা করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ‘এটা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার সময় ফ্রেডরিকসেন গ্রিনল্যান্ডের ওপর ডেনমার্কের অধিকার ছেড়ে দিচ্ছেন এবং সার্বভৌম ক্ষমতা শুধু গ্রিনল্যান্ডের স্বায়ত্তশাসনের হাতে তুলে দিচ্ছেন’।
ট্রাম্পের মন্তব্য ও তার ছেলের সাম্প্রতিক গ্রিনল্যান্ড সফর ডেনমার্কে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ‘ডেনমার্কের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র’ বলে যে দেশকে বারবার উল্লেখ করেছেন, সেই যুক্তরাষ্ট্রকে অসন্তুষ্ট করার আশঙ্কায় ফ্রেডরিকসেন তার কথাগুলো খুব মেপে বলেছেন। তবে, তিনি গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্তগ্রহণের অধিকারের ওপর জোর দিয়েছেন।
টিভি২-এর রাজনৈতিক সম্পাদক হান্স রেডার বলেছেন, ট্রাম্প ফ্রেডরিকসেনের সঙ্গে ৪৫ মিনিট ফোনালাপ করেছেন। এটা প্রমাণ করে, ‘গ্রিনল্যান্ড ইস্যু ট্রাম্পের মাথায় বেশ জোরালোভাবে আছে। এটি কোনো ক্ষণস্থায়ী চিন্তা নয়’। সূত্র : বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
খুশদীলের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রংপুরের আটে আট
বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক দেশের ভিসা
মেডিকেল কলেজে শিক্ষক বাড়ানোর কথা ভাবছে সরকার
ছাত্রদলের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি আজ
গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠনে ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন
অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে তাকিয়ে ইইউ
ভারতের উদ্বেগের মধ্যে হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে পাকিস্তান
সান্ত¡না খুঁজে পাচ্ছেন না, দুই দেশে কলঙ্কিত টিউলিপ
দুর্নীতির মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির কারাদণ্ড
বিদেশে টাকা পাচারের রাজনীতি মানুষ চায় না : পীর সাহেব চরমোনাই
শেখ পরিবারের রক্তের জন্যই দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন টিউলিপ -রিজভী
নামাজ মু’মিনের জন্য মেরাজস্বরূপ
ক্রেডিট কার্ডে বিদেশে বাংলাদেশিদের লেনদেন কমেছে
স্বনির্ভর অর্থনীতির পথে দেশ
বগুড়ার বিমানবন্দর দ্রুত চালুর দাবি
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশকে মানবাধিকার লংঘন বন্ধ করতে হবে : হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
হাজারীবাগের ট্যানারির গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্র দেওয়া জরুরি : নুরুল হক নুর
গণঅভ্যুত্থানের ইশতেহারে বিএনপির ভূমিকা লিখতে হবে : জয়নুল আবদিন
নির্বাচনে রাজনৈতিক নেতাদের পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতি দিতে হবে