ট্রাম্পের আহ্বানের পর পুতিনের সিদ্ধান্ত, ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণের ডাক
১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৪ এএম | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৬ এএম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নতুন মোড় নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অনুরোধ করেছেন, যেন তিনি ‘হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনার’ জীবন বাঁচানোর জন্য ব্যবস্থা নেন। ট্রাম্পের এই আহ্বানের পরই শুক্রবার পুতিন রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে অবস্থানরত ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান।
টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন বলেন, যারা অস্ত্র ফেলে আত্মসমর্পণ করবেন, তাদের জীবন রক্ষা করা হবে এবং মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিবৃতি পর্যালোচনা করেছি। আমরা তার আহ্বানের প্রতি সহানুভূতিশীল। যারা আত্মসমর্পণ করবেন, তাদের জীবন সুরক্ষিত থাকবে।” একই সঙ্গে তিনি ইউক্রেনের সরকারকেও সেনাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিতে বলেন।
এই পরিস্থিতির সূত্রপাত সউদী আরবে চলা আলোচনার সময়। সেখানে কিয়েভ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দেয়। এরপরই ট্রাম্প পুতিনের কাছে ইউক্রেনীয় সেনাদের জীবন রক্ষার অনুরোধ জানান। যদিও রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে চূড়ান্ত মত দেয়নি, তবে পুতিন এই প্রস্তাবের প্রতি নীতিগতভাবে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে তিনি কুরস্কে থাকা ইউক্রেনীয় সেনাদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও স্বীকার করেছেন যে, কুরস্কে তাদের সেনারা চাপের মধ্যে রয়েছে। গত বছরের আগস্টে কিয়েভ কুরস্ক সীমান্ত অতিক্রম করে বড় ধরনের অভিযান চালায়। এটি ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ায় কোনো বিদেশি বাহিনীর সবচেয়ে বড় অভিযান। মস্কোও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং সেই যুদ্ধ এখনো চলছে।
বর্তমানে কুরস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার পাল্টা আক্রমণের ফলে ইউক্রেন বেশির ভাগ এলাকা হারিয়েছে। পুতিনের সেনারা অধিকৃত অঞ্চল পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এতে মস্কোর ওপর কিয়েভের কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করার সম্ভাবনা কমে গেছে এবং শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে।
এই যুদ্ধের ভবিষ্যৎ কোন দিকে গড়াবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ এবং পুতিনের সাম্প্রতিক বার্তা যুদ্ধের গতিপথে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। ইউক্রেনীয় সেনারা আত্মসমর্পণ করবে নাকি প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে, তা এখন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

জুলাই আন্দোলনে হামলার ঘটনায় জাবির ২৮৯ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বহিষ্কার

লামায় জাল সনদ দিয়ে চাকুরী করছে প্রাথমিকের ৫ শিক্ষক, সরকারি টাকা আত্মসাৎ

সঙ্গে থাকা বাচ্চা মেরে কুকুরটি কামড়ালো বৃদ্ধ, শিশুসহ ছয়জনকে

তাহাজ্জুদ নামাজের পর বেতের পড়তে গিয়ে তাহাজ্জুদ বেতের দু’টোই মিস হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে।

গুলিস্তানে মার্কেট দখল করতে গিয়ে গ্রেফতার

জামানত ছাড়াই ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা

ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ঘনিয়ে আসছে রাশিয়ার কুর্স্ক আক্রমণে ভরাডুবি কিয়েভের

ঢাকায় মার্কিন সিনেটর চার্লস পিটার্স

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগের স্থায়িত্ব নির্ভর করে বিচার বিভাগের ওপর

ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ আজ?

ড. ইউনূস এর মতো সরকার প্রধান পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার :জামায়াত নেতা ড. ইকবাল

ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের কমিটি কেনো অবৈধ ঘোষণা করা হবে না

কৃষি জমির মাটি কেটে নেওয়ার অপরাধে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ২ লাখ ৫০ টাকা জরিমানা

প্রেষনে বিমান বাহিনী থেকে লোকবল নিয়োগ বাতিল সহ ৪ দফা দাবীতে সিলেটে বেবিচক কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিক্ষোভ

নিষিদ্ধ সময়ে মেঘনায় অবাধে মাছ শিকার, নিয়ন্ত্রণে কমলনগরের দুই নেতা!

ছাগলনাইয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু-পক্ষের সংঘর্ষে ৫ জন আহত, পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে চারটি মোটরসাইকেল

বিএনপিকে আবার মিডিয়া ট্রায়ালে ফেলা হচ্ছে: তারেক রহমান

পাঠদান পদ্ধতির আধুনিকায়ন জরুরি

পিলখানা ম্যাসাকার তদন্ত কমিশন : রিপোর্টের জন্য জনগণের রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা

অর্থনীতি ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গতিশীল করতে হবে