গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, নিহত ১৩১ জনের বেশি

ইনকিলাব ডেস্ক

১৮ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৪ এএম | আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৮ এএম

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আবারও ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলা শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ১৩১ জনে। নিহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। বহু মানুষ আহত হয়েছেন, যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি শেষ করে গাজার ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। ১৯ জানুয়ারি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর থেকে এটিই সবচেয়ে বড় সামরিক হামলা। ইসরায়েল দাবি করেছে, এই হামলায় তারা হামাসের শীর্ষ কমান্ডার ও রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। তবে বাস্তবে সাধারণ ফিলিস্তিনিরাই প্রাণ হারাচ্ছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে।

আল জাজিরার সরাসরি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে একের পর এক বিস্ফোরণে পুরো এলাকা কেঁপে উঠছে। ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কান-এর তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, হামাস তাদের বাহিনীকে নতুন করে সংগঠিত করে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তাই এই আক্রমণ চালানো হয়েছে। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এসব হামলায় বেসামরিক মানুষই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পরই ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি দীর্ঘায়িত করার প্রস্তাব দিলেও হামাস তা প্রত্যাখ্যান করেছে বলে ইসরায়েল দাবি করছে। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলই নতুন আলোচনায় যেতে চায়নি এবং বরং সামরিক অভিযান চালিয়ে গাজাকে আরও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

গাজার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে, খাবার ও চিকিৎসা সংকট তীব্র হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার সংঘর্ষ বন্ধের আহ্বান জানালেও যুদ্ধ বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। মানবিক সংকট দিন দিন আরও গভীর হচ্ছে, যা বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

বিভাগ : আন্তর্জাতিক