গাজায় যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর কমপক্ষে ৩২২ শিশু নিহত: ইউনিসেফ
০২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৯ এএম | আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৩ এএম

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এমনকি পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময়ও ফিলিস্তিনি এই উপত্যকায় কমেনি ইসরায়েলি বর্বরতা। জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার সংক্রান্ত সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, গত মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ইসরায়েলি হামলা পুনরায় শুরু হওয়ার পর গাজায় কমপক্ষে ৩২২ শিশু নিহত হয়েছে এবং আরও ৬০৯ জন আহত হয়েছে। যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর এই ঘটনা ঘটেছে, যা গাজার শিশুদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১০ দিনের মধ্যে নিহত শিশুদের মধ্যে অধিকাংশই বাস্তুচ্যুত ছিল এবং তারা অস্থায়ী শিবির বা ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল জানিয়েছেন, "যুদ্ধবিরতি গাজার শিশুদের জন্য একটি জীবনদায়ী সুযোগ ছিল, তবে এখন তারা আবারও সহিংসতা ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছে।" তিনি শিশুদের সুরক্ষার জন্য সকল পক্ষকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মানতে অনুরোধ করেছেন।
এছাড়া, ইউনিসেফ উল্লেখ করেছে যে, গাজায় বর্তমানে খাদ্য, পানির সরবরাহ, আশ্রয় ও চিকিৎসা সেবা দুর্লভ হয়ে পড়েছে। ২ মার্চ থেকে গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলার পুনরায় শুরু হওয়া এবং সাহায্য সরবরাহে বাধা দেওয়ার কারণে গাজার ১০ লাখ শিশু মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই সংকটটি গাজার মানুষের জন্য সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের অবরোধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় ১ হাজার ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আরও ২ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এই হামলাটি জানুয়ারিতে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির চরম লঙ্ঘন বলে মনে করা হচ্ছে। ইউনিসেফের মতে, শিশুদের মৃত্যু সংখ্যা আরও বাড়তে পারে যদি অবস্থা এমনই চলতে থাকে।
এদিকে, ইউনিসেফ বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে একটি জরুরি আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে যে, গাজায় হামলা বন্ধ করে যুদ্ধবিরতি পুনঃস্থাপন করতে হবে এবং মানবিক সহায়তা ও বাণিজ্যিক পণ্যের প্রবাহ অবিলম্বে শুরু করতে হবে। বিশ্বকে চুপ থাকার কোন অধিকার নেই, আর শিশুদের হত্যা বা তাদের দুর্ভোগ চলতে দেওয়া উচিত নয়।
ইউনিসেফ আশা প্রকাশ করেছে যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এবং এই ভয়াবহ সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে গাজার মানুষের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনবে। বিশ্বকে এই সংকটের প্রতি আরও দায়িত্বশীল হতে হবে এবং শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক আইন মানতে হবে। তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

শুল্ক আরোপ নিয়ে ট্রাম্পের নিজ দলেই বিভক্তি বাড়ছে

ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি আবু শহীদ ও সম্পাদক ডিফেন্স

তিন ধাপ এগিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সম্পর্ক: বিশেষ দূত

প্রশাসনের সহযোগিতায় অটোরিক্সায় শৃঙ্খলা ফিরেছে

শেখ হাসিনা ভারতের সহায়তায় বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট ভূমিকা অবতীর্ণ করেছে : এ্যানি

রাজবাড়ীতে সেনাবাহিনীর অভিযানে পরিত্যক্ত অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

নোয়াখালীর কবিরহাটে জমজ দুই শিশু ধর্ষণ, পরিবারের পাশে তারেক রহমান

যথেষ্ট খাদ্যশস্য সরকারের কাছে মজুত রয়েছে: খাদ্য উপদেষ্টা

দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনাইয়ের স্বর্ণপদক অর্জন করলেন রাজবাড়ীর রুমি

জুলাইয়ের গণহত্যায় সরাসরি ভারতের মদত ছিল: এ্যানি

সমালোচনা সইতে না পেরে সমর্থকদের দিকে তেড়ে গেলেন পাক ক্রিকেটার

হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে মোদির প্রতিক্রিয়া নেতিবাচক ছিল না: প্রেস সচিব

‘ময়লার ভাগাড়সহ কোনো স্থানেই ময়লা পোড়ানো যাবে না’

ভারতে মুসলিম স্বার্থবিরোধী ওয়াকফ বিল পাসের প্রতিবাদ জামায়াতের

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জসিম, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খোকন ও সদস্য সচিব আমির

চা শিল্পে সংকট, শৃঙ্খলা ভাঙলে ব্যবস্থার নেয়ার ঘোষণা

কানাডায় ভারতীয় নাগরিক ছুরিকাঘাতে নিহত, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

মরণ বাঁধ ফারাক্কার প্রভাবে পদ্মা নদীতে পানির বড় আকাল

ঈশ্বরগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমীস্নান