ট্রাম্পের শুল্কে ছাড়, বাঁচল মোবাইল ও কম্পিউটার
১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৮ এএম | আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৯ এএম

বিশ্বব্যাপী উত্তেজনা ছড়ানো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির নতুন রূপরেখায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে প্রযুক্তি খাত। যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পণ্যের ওপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করা হলেও মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারকে তার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তে স্বস্তি পেয়েছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো, বিশেষ করে অ্যাপল, যার প্রায় পুরো উৎপাদনই চীনে হয়। শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশি সময় সন্ধ্যায় আমেরিকার শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তরের নতুন গাইডলাইনে এই তথ্য জানানো হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ার কথা ছিল প্রযুক্তি পণ্যের ওপর, বিশেষ করে অ্যাপলের মতো সংস্থার যেসব পণ্য চীনে উৎপাদিত হয়ে আমেরিকায় প্রবেশ করে। এই শুল্ক কার্যকর হলে আইফোন, আইপ্যাডসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের দাম বৃদ্ধি পেত, যার বিরূপ প্রভাব পড়ত মার্কিন বাজারে। সেই কারণেই ট্রাম্প প্রশাসন মোবাইল, কম্পিউটার এবং আরও কিছু প্রযুক্তি পণ্যের ওপর শুল্ক ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিএনবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যাপলের ৮০ শতাংশেরও বেশি পণ্য, যেমন আইফোন, আইপ্যাড, এবং ম্যাকবুক—সব চীনে তৈরি হয়। অ্যাপলের তৈরি কম্পিউটারগুলোর অর্ধেকেরও বেশি উৎপাদিত হয় চীনের বিভিন্ন কারখানায়। এর পাশাপাশি, সৌর ব্যাটারি, টিভির ডিসপ্লে, মেমোরি কার্ড, সেমিকন্ডাক্টরের মতো বেশ কিছু বৈদ্যুতিক পণ্যকেও শুল্ক ছাড়ের তালিকায় রাখা হয়েছে, যেগুলোর উৎপাদন কেন্দ্র আমেরিকায় খুব সীমিত।
হোয়াইট হাউসের প্রেসসচিব ক্যারোলিন লেভিট জানিয়ে ছিলেন, অ্যাপল আগামী দিনে আমেরিকার মাটিতে ৫০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে এবং নিজেদের উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করবে। এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প প্রশাসনের ইচ্ছা ছিল অ্যাপলসহ অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো যেন আমেরিকাতেই তাদের পণ্য উৎপাদন করে। তবে নতুন গাইডলাইনের সিদ্ধান্ত দেখে ধারণা করা হচ্ছে, প্রশাসন হয়তো কিছুটা নমনীয় অবস্থানে এসেছে।
শুল্ক ছাড়ের এই সিদ্ধান্ত প্রযুক্তি খাতের জন্য এক বড় স্বস্তির খবর। এতে করে বাজারে পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে এবং সাধারণ ভোক্তাদের ওপর বাড়তি বোঝা পড়বে না। একই সঙ্গে এটা আমেরিকা-চীন বাণিজ্য সম্পর্কেও একটি ভারসাম্যপূর্ণ বার্তা দিতে পারে, যেখানে কৌশলগত স্বার্থ এবং বাজার বাস্তবতাকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই নীতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে প্রযুক্তি খাত আরও উদ্দীপ্ত হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

মসজিদে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আশুলিয়ায় সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন

২৭ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

র্যাবের মামলার আসামি পুলিশের শুভাকাঙ্খি হয়ে ধরা ছোঁয়ার বাইরে : ফজলু

মার্চ ফর ইন্ডিয়ান মুসলিম’ আয়োজনের আহ্বান ভারতে মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ বাড়ছে বাংলাদেশে
৬৪ দলের বিশ্বকাপ চান না কনকাকাফ প্রধান

ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে বর্ণিল আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন

জকিগঞ্জে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন স্ত্রী, স্বামীর আত্মহত্যা

আনোয়ারায় ৪ বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ গ্রাম-পুলিশের বিরুদ্ধে

তারেক রহমান: নতুন প্রজন্মের জাতীয়তাবাদী নেতৃত্বের প্রতীক - ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. একেএম শামছুল ইসলাম, পিএসসি, জি (অব.)

বিশ্বনাথে বাক প্রতিবন্ধি কৃষকের ৪টি গরু চুরি

‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ স্বীকৃতির জন্য নতুন অনুমোদন লাগবে: ইউনেস্কো

সরবরাহ কমে যাওয়ায় হিলিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা

বাংলাদেশে মানবিক সহায়তা বাড়িয়েছে সুইডেন

নাঙ্গলকোটে পরীক্ষায় নকল সরবরাহের দায়ে এক যুবকের ৬ মাসের কারাদন্ড, ১৫ পরীক্ষার্থী বহিস্কার

আদালত অবমাননার অভিযোগ, ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে তদন্তের হুমকি বিচারকের

ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন দেখছে ইন্টার

১১ তলা থেকে পড়ে ফুটবলারের মৃত্যু

জনতা ব্যাংকের নতুন ডিএমডি মো. নজরুল ইসলাম

চাকরি হারানোর ভয় পাচ্ছেন না আনচেলত্তি

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক চেয়ারম্যান’স অ্যাওয়ার্ড প্রদান