ধ্বংসস্তূপের বাস্তবতা দেখাতে ট্রাম্পকে ইউক্রেন সফরের আহ্বান জেলেনস্কির
১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৭ পিএম | আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৯ পিএম

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের তৃতীয় বছর চলছে, এবং প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে প্রাণহানি, ধ্বংসযজ্ঞ আর মানবিক সংকট। ঠিক এই সময়েই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরেজমিনে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন সফরের আহ্বান জানালেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার মতে, যুদ্ধ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বা আলোচনায় বসার আগে ইউক্রেনের বাস্তবতা চোখে দেখা দরকার।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘সিক্সটি মিনিটস’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আপনি আসুন, আমাদের জনগণকে, বেসামরিক নাগরিকদের, যোদ্ধাদের, হাসপাতাল, গির্জা, ধ্বংসপ্রাপ্ত স্কুল বা নিহত শিশুদের দেখে যান। এরপর আপনি বুঝবেন, ভ্লাদিমির পুতিন আসলে কী করেছেন এবং কাদের সঙ্গে আপনি আলোচনায় বসতে চাইছেন।” এই আহ্বান শুধু কূটনৈতিক বার্তা নয়, বরং যুদ্ধের ভয়াবহতা সরাসরি উপলব্ধির এক আহ্বান হিসেবেই এসেছে।
এই মন্তব্যের পেছনে রয়েছে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এক উত্তপ্ত বৈঠক, যেখানে জেলেনস্কি, ট্রাম্প এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স মুখোমুখি হন। সেখানে ভ্যান্স অভিযোগ করেছিলেন, ইউক্রেন যেন বিদেশি নেতাদের ‘প্রচারণামূলক সফরের মঞ্চ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অভিযোগের জবাবে জেলেনস্কি সাফ জানিয়ে দেন, ট্রাম্প ইউক্রেন সফরে গেলে কোনো নাটক বা বিশেষ আয়োজন হবে না। তিনি বলেন, “আপনি চাইলে যেকোনো আক্রান্ত শহরে যেতে পারবেন—নাটক নয়, বাস্তবতা দেখুন।”
ট্রাম্প বর্তমানে যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার আহ্বান জানিয়ে আসছেন, এমনকি রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাও বিবেচনায় রয়েছে। তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আগে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত একতরফা যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিয়েছিল, কিন্তু রাশিয়া সেটি প্রত্যাখ্যান করে। জেলেনস্কির দাবি, পুতিন কখনও সত্যিকারের শান্তি চাননি। তার ভাষায়, “পুতিন আমাদের স্বাধীনতা নয়, আমাদের ধ্বংস চেয়েছেন।”
নিজ শহর ক্রিভি রিহ থেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, “পুতিনের প্রতি আমার ঘৃণা শতভাগ। কেউ যদি আমাদের শিশুদের হত্যা করে, আপনি কীভাবে ভিন্ন কিছু ভাববেন?” তবে তিনি স্পষ্ট করেন যে, এই ঘৃণাবোধ কখনোই যুদ্ধ থামানোর চেষ্টাকে বাধা দিতে পারে না। তার মতে, ন্যায্য শান্তির মানে হলো—সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখা এবং রাশিয়ার দখলে থাকা সব ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা যা হারাইনি, রাশিয়ানরাই তা ছিনিয়ে নিয়েছে—আমরা আমাদের সব কিছু পুনরুদ্ধার করবই।”
এই আবেগঘন বার্তা কেবল ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির নয়, বরং একটি নিপীড়িত জাতির সম্মিলিত কণ্ঠ। যুদ্ধের ভয়াবহ বাস্তবতা দেখে তবেই হোক যে কোনো আলোচনার সূচনা—এই আহ্বান এখন কেবল ট্রাম্প নয়, গোটা বিশ্বের বিবেকের প্রতি। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

পাবনায় চররে জমি দখল নিয়ে সংর্ঘষে গুলবিদ্ধি ৫

আইএমএফের ঋণের কিস্তি নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ

মার্কিন উচ্চশিক্ষার চরম পতন

পরিশুদ্ধ-পরিবর্তিত বিএনপিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে-সাহাদাত হোসেন সেলিম

গাজায় ইহুদী হামলায় ৬০ ফিলিস্তিনি শহীদ

জাতিসংঘের দুটি আঞ্চলিক সংস্থায় নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ

রাজনৈতিক দল গঠন এখন ছেলেখেলা!

সাভারে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

নর্থ সাউথে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

কোরআনবিরোধী নারী সংস্কার প্রস্তাবনা দেশের জন্য হুমকি স্বরূপ

পাকিস্তান-ভারতকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ দেখাতে বলল জাতিসংঘ

‘সর্বাত্মক যুদ্ধের’ হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

নারী কমিশনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে

তারেক রহমান ‘নিয়তির সন্তান’

অতিদারিদ্র্য বৃদ্ধির শঙ্কা

২৪ ঘন্টায় গ্রেফতার ১০৭২ আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতা গ্রেফতার

পারভেজ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মেহেরাজ রিমান্ডে

আ.লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সন্তোষ কুমার রিমান্ডে

চট্টগ্রামে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ মহিলার মৃত্যু

রাজধানীর প্রধান সড়কে ব্যাটারি রিকশা বন্ধের দাবি মোটরসাইকেল চালকদের