বাণিজ্যযুদ্ধে কেউ জেতে না: প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সতর্ক বার্তা
১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৬ পিএম | আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম

বিশ্ববাজারে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সতর্ক করে বলেছেন, “বাণিজ্যযুদ্ধে কোনও বিজয়ী নেই।” আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ ও বাণিজ্য বাধা তৈরির ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে তিনি এই বক্তব্য দেন। নিজের প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে তিনি এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ সফর করছেন। এই সফরে শান্তিপূর্ণ বাণিজ্য, বহুপক্ষীয় সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা জোরদারের বার্তা দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এবং বার্তাসংস্থা এএফপি ও এপি জানায়, শি জিনপিং ভিয়েতনাম সফর শুরুর দিনই বলেন—“প্রোটেকশনিজম কোনও পথ দেখায় না” এবং “বাণিজ্য যুদ্ধের কোনও বিজয়ী নেই।” চলতি বছরের শুরুতেই এই তিন দেশ সফরের উদ্দেশ্য হলো মার্কিন শুল্কনীতির ফলে চীনের রপ্তানিতে যে চাপ তৈরি হয়েছে, তা মোকাবিলা করা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গভীর করা। সফরের অংশ হিসেবে শি জিনপিং ভিয়েতনাম ছাড়াও মালয়েশিয়া ও কম্বোডিয়া সফর করবেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে গোটা অঞ্চলের জন্য "গুরুত্বপূর্ণ" বলে অভিহিত করেছে। ভিয়েতনামের সরকারি পত্রিকা ন্যান দান-এ প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে শি জিনপিং বলেছেন, চীন ও ভিয়েতনাম মিলে বহুপক্ষীয় বাণিজ্যব্যবস্থা, বৈশ্বিক শিল্প ও সরবরাহ শৃঙ্খলার স্থিতিশীলতা এবং উন্মুক্ত ও সহযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক পরিবেশ রক্ষায় একসঙ্গে কাজ করতে পারে। চীনের বার্তাসংস্থা সিনহুয়া জানায়, প্রবন্ধে শি জোর দিয়ে বলেন—“শুল্কযুদ্ধ কারো জন্যই লাভজনক নয়, আর প্রোটেকশনিজম সম্পূর্ণ অর্থহীন।” চীন বিশ্বব্যাপী উন্মুক্ত বাণিজ্যের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে বলে তিনি জানান।
২০২৪ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে চীনা পণ্যের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ছিল ভিয়েতনাম, যারা কিনেছিল ১৬১.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য। মালয়েশিয়া ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে—১০১.৫ বিলিয়ন ডলার পণ্য আমদানির মাধ্যমে। চীনের ধারণা, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে এই অর্থনৈতিক সম্পর্ক মজবুত হলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার সংকোচনের নেতিবাচক প্রভাব কিছুটা প্রশমিত হবে। তবে ভিয়েতনামের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হলেও দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের ভূমিকা নিয়ে দেশটির উদ্বেগ রয়েছে। হ্যানয়ের মতো যুক্তরাষ্ট্রও চীনের দখলদার মনোভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। তবে শি জিনপিং তার প্রবন্ধে লেখেন, “আমরা মতপার্থক্যগুলো যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে পারি এবং আমাদের অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে পারি।”
আঞ্চলিক অর্থনীতির সুরক্ষা এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার এই উদ্যোগে চীনের নেতৃত্ব বার্তা দিচ্ছে—শান্তিপূর্ণ বাণিজ্য ও সমঝোতা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের এই সফর কেবল কূটনৈতিক সফর নয়, বরং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার এক কৌশলগত প্রচেষ্টাও। মালয়েশিয়ায় তার সফর শুরু হবে মঙ্গলবার থেকে এবং চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। বিশ্ব আজ যখন প্রভাব বিস্তারের নামে অর্থনৈতিক যুদ্ধের পথে হাঁটছে, তখন আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের এই বার্তা নতুন আশার দ্বার খুলে দেয়। তথ্যসূত্র : এএফপি, এপি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

পাবনায় চররে জমি দখল নিয়ে সংর্ঘষে গুলবিদ্ধি ৫

আইএমএফের ঋণের কিস্তি নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ

মার্কিন উচ্চশিক্ষার চরম পতন

পরিশুদ্ধ-পরিবর্তিত বিএনপিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে-সাহাদাত হোসেন সেলিম

গাজায় ইহুদী হামলায় ৬০ ফিলিস্তিনি শহীদ

জাতিসংঘের দুটি আঞ্চলিক সংস্থায় নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ

রাজনৈতিক দল গঠন এখন ছেলেখেলা!

সাভারে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

নর্থ সাউথে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

কোরআনবিরোধী নারী সংস্কার প্রস্তাবনা দেশের জন্য হুমকি স্বরূপ

পাকিস্তান-ভারতকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ দেখাতে বলল জাতিসংঘ

‘সর্বাত্মক যুদ্ধের’ হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

নারী কমিশনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে

তারেক রহমান ‘নিয়তির সন্তান’

অতিদারিদ্র্য বৃদ্ধির শঙ্কা

২৪ ঘন্টায় গ্রেফতার ১০৭২ আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতা গ্রেফতার

পারভেজ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মেহেরাজ রিমান্ডে

আ.লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সন্তোষ কুমার রিমান্ডে

চট্টগ্রামে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ মহিলার মৃত্যু

রাজধানীর প্রধান সড়কে ব্যাটারি রিকশা বন্ধের দাবি মোটরসাইকেল চালকদের