প্রশ্ন : আমাদের গ্রামের মসজিদের তহবিলে বেশ কিছু টাকা জমা হয়ে আছে। প্রয়োজনীয় ব্যয়ের পরও এ টাকা থেকেই যায়। এখন এ তহবিল থেকে কোন জনহিতকর কাজে ঋণ প্রদান করা যাবে কি না, জানাবেন।
২৫ মে ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৫ মে ২০২৪, ১২:০৪ এএম
উত্তর : মসজিদের টাকা অন্য কোন কাজেই লাগানো যাবে না। কর্জও দেয়া চলবে না। মসজিদের উন্নয়ন বা স্থায়ী আয়ের জন্যে এ টাকা ব্যয় করা যেতে পারে। মসজিদভিত্তিক কোরআন শিক্ষার প্রসার বা দ্বীনি শিক্ষাখাতে মসজিদের উদ্বৃত্ত টাকা ব্যয় করা যায়। তবে এটি মসজিদ পরিচালনা কমিটি কর্তৃক বিজ্ঞ মুফতী সাহেবগণের পরামর্শে করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে কেউ এটা করবেন না।
প্রশ্ন : মরণোত্তর চক্ষুদান বা অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান কি শরীয়ত সমর্থন করে?
উত্তর : শরীয়তে মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মালিক সে নিজে নয়। এর মালিক আল্লাহ তায়ালা। সে জন্য কারো জন্যই নিজের রক্ত বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রয় করা জায়েজ নয়। রক্তদান করা যায়। বিক্রয় করা হারাম। চক্ষু বা অন্যান্য অঙ্গ দান সাধারণত জায়েজ নয়। কারণ ইসলামের দৃষ্টিতে মৃত্যুই মানুষের শেষ নয়। এরপরও তার পুনরুত্থান ও পরকালীন জীবন আছে। তাছাড়া মৃত ব্যক্তির প্রচ্ছন্ন একটি অনুভূতি শক্তিও থাকে। সে আশপাশের লোকজনকে বুঝতে পারে। শরীয়তবিরোধী কাজ, বেপর্দা, সীমাতিরিক্ত বিলাপ, কান্নাকাটি তাকে কষ্ট দেয়। জোরে নড়াচড়া, অধিক ঠা-া বা অধিক গরম পানি ব্যবহারে তার কষ্ট হয়। জানাজা নিয়ে বেশি ছোটাছুটি, ঝাঁকুনি ও আঘাত সে অনুভব করে। কবর থেকে লোকজন চলে যাওয়ার সময় সে পায়ের আওয়াজ পর্যন্ত শুনতে পায়। এমন একজন মৃত ব্যক্তির সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যদি সে দান করে যায় আর মৃত্যুর পরই ছয় ঘণ্টার মধ্যে ডাক্তার এসে তার চোখ খুলে নেয়, হার্ট খুলে নেয়, লিভার খুলে নেয়। উন্নত বিশ্বে এখন শরীরের ভেতর বাইরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই ব্যবহারযোগ্য। এমতাবস্থায় শরীরের সব অঙ্গ খুলে নিয়ে গেলে দাফন করা হবে কাকে? এ অবস্থাটি মৃত ব্যক্তির জন্য কী পরিমাণ কষ্টের হবে? আর তার স্ত্রী-পুত্র-কন্যা ও সকল আত্মীয়ের জন্য কতটুকু বেদনার হবে তা ভেবে দেখা দরকার। এ জন্যই শরীয়ত এসব দান সমর্থন করে না। একান্ত ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো মাসআলা যদি সামনে আসে তাহলে সবদিক বিবেচনা করে মুফতিগণ সুনির্দিষ্ট ফতোয়া দিতে পারেন।
প্রশ্ন : এক ব্যক্তি নামায-কালাম ঠিকমত করে তবে তার স্ত্রীকে পর্দায় রাখে না। এমন স্ত্রীর জন্য তার নামায-বন্দেগীর কোনো ক্ষতি হবে কি না, জানাবেন।
উত্তর : একজন স্বামীর পক্ষে তার স্ত্রীকে পর্দায় রাখা কর্তব্য। কর্তব্যে অবহেলার জন্য স্বামী গোনাহগার হবে। এ জন্যে তার নামায-বন্দেগী বরবাদ হবে না। স্ত্রীর শরীয়ত বিরোধী আচরণ যদি স্বামী নিয়ন্ত্রণ না করে তাহলে এ স্বামীর কঠোর শাস্তির কথা হাদীসে পাওয়া যায়। এক হাদীসে আছে যে, এমন পুরুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তবে সর্বাত্মক চেষ্টার পর ব্যর্থ হলে সেটিও আল্লাহ দেখবেন।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র বৈঠক, হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে আলোচনা থাকবে
রামু সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত
এক সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার
প্রবাসীদের যে জন্য সুখবর দিলো মালয়েশিয়া
জাবি শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন, ফটকে তালা, মশাল মিছিল
মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
"নতুন সিনেমা নিয়ে ফিরছেন গ্লোবাল তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি"
ড. ইউনূসকে নিয়ে খালেদা জিয়ার পুরোনো যে বক্তব্য ভাইরাল
নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইসলামী আন্দোলনের শুভ কামনা
আলোচনায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার ‘টুস করে ফেলে দেয়ার’ হুমকি
দীর্ঘ ১৫ বছর সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে পারেনি: খোকন
'ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে অভিনেতা তারিক আনাম খানের নাটক'
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ