শীতকাল আল্লাহ তায়ালার নিয়ামত
২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ঋতুর এই বৈচিত্র্য মানুষের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার এক বিশেষ নিয়ামত। বিশেষত শীতকাল মুমিনদের জন্য আল্লাহর নৈকট্য লাভের শ্রেষ্ঠ সময়। হযরত ওমর (রা.) বলেন, ‘শীতকাল হলো ইবাদতকারীদের জন্য গণিমতস্বরূপ।’ শীত তো এমন গণিমত (যুদ্ধলব্ধ সম্পদ), যা কোনো রক্তপাত কিংবা চেষ্টা ও কষ্ট ছাড়াই অর্জিত হয়। সবাই কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই এ গণিমত স্বতস্ফূর্তভাবে লাভ করে এবং কোনো প্রচেষ্টা বা পরিশ্রম ব্যতিরেকে তা ভোগ করে।
শীতকালে এবাদতের রয়েছে বিশেষ পুরষ্কার। প্রচন্ড ঠান্ডায় যাতে কেউ অযু করতে অবহেলা না করে এজন্য বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) অযু এবং নামাজের প্রতি যতœবান হতে বড় পুরষ্কার ও ফজিলতের কথা বলেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন কাজের কথা বলব না! যা দ্বারা গুনাহ মাফ হয় এবং মর্যাদা বৃদ্ধি হয়? সাহাবিরা বললেন, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসুল! তিনি বললেন, মন না চাইলেও অজু করা, অধিক পদক্ষেপে মসজিদে যাওয়া এবং এক নামাজের পর আরেক নামাজের জন্য অপেক্ষা করা।’ (মুসলিম)।
শীতকালে সঠিকভাবে অজু করা, অজুর অঙ্গ ধোয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ আমল। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তিনটি আমল পাপ মোচন করে-অভাবের দান, গ্রীষ্মের রোজা ও শীতের অজু।’ (আদ দোয়া লিত-তাবরানি: ১৪১৪)। শীতকালে দিন ছোট হয় এবং রাত দীর্ঘ হয়। এজন্য একজন মানুষ চাইলে শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ এবং জিকির আজকারের মাধ্যমে কাটিয়ে দিতে পারে। কেননা, শেষরাতের দোয়া অনেক কার্যকরী আমল। যেমন, আল্লাহ তায়ালা সূরা যারিয়াতে জান্নাতবাসীদের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন, ‘আর তারা রাত্রির শেষ প্রহরে ক্ষমা প্রার্থনা করত।’
আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিপালক প্রতি রাতের যখন রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকে তখন পৃথিবীর আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন, আমার কাছে যে দোয়া করবে, আমি তার দোয়া গ্রহণ করব। আমার কাছে যে চাইবে, আমি তাকে দান করব। আমার কাছে যে মাগফিরাত প্রার্থনা করবে তাকে আমি মাফ করে দেব।’ এছাড়াও শীতকালে রয়েছে রোজা পালনের সুবর্ণ সুযোগ। কারণ, শীতকালে দিন ছোট হয়। এজন্য শীতকালে বেশি বেশি নফল রোজা রাখা উচিত। এছাড়া কাজা রোজা বাকি থাকলেও শীতকালে তা আদায় করা অধিক উপযোগী।
আমির ইবনে মাসউদ (রাহ.) হতে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শীতকালের রোজা হচ্ছে বিনা পরিশ্রমে যুদ্ধলব্ধ মালের অনুরূপ।’ শীতকালে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভের অন্যতম সুযোগ হলো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছে যাদের শীতবস্ত্র ক্রয় করার সামর্থ্য নেই। আমাদের মধ্যে যাদের সামর্থ্য আছে তাদের উচিত এসব মানবেতর জীবনযাপন কারী মানুষদেরকে সাহায্য করা। আমাদের এ সামান্য সাহায্য তাদের জীবনে সুখের কারণ হতে পারে।
মোটকথা, শীতকাল আমাদের জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে সত্যিই এক বিশাল নিয়ামত। এ নিয়ামতকে কাজে লাগিয়ে আমরা যেন আল্লাহর নৈকট্য ও সান্নিধ্য লাভ করতে পারি। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে তার নৈকট্য লাভ করার তাওফিক দান করুন আমিন।
বিভাগ : ইসলামী জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বিবর্ণ সিটির এবার চোটের ধাক্কা
ফুটবলারদের ইউরোপে খেলার সুযোগ করে দিতে চান হামজা
তারেক রহমান প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না - ডা.মাজহার
হাসান আরিফের প্রথম জানাজায় ড. ইউনূসসহ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা
খুনিদের বিচার ও সাদ পন্থীদের কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে
গোয়ালন্দে ৫ জানুয়ারির জনসভা সফল করতে বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক দল হলে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা কমবে: রিজভী
সাংবাদিক নির্যাতনে ডিএমসিআরসির উদ্বেগ
বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের উপর হামলার প্রতিবাদে ফুলপুরে বিক্ষোভ
বেক্সিমকোসহ বিভিন্ন গার্মেন্টস বন্ধে কর্মহীন হাজারো মানুষ, রেমিট্যান্স হারাচ্ছে দেশ
ভ্রমণকারীদের সচেতন হতে হবে
হাসান আরিফের মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতির শোক
নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে নানা কথা
বিশ্ব ইজতেমার ভবিষ্যৎ কী?
তাবলিগ একটিই থাকবে : সাদকে নিষিদ্ধ করতে হবে
ঈশ্বরদীতে বিএনপির কর্মীকে কুপিয়ে জখম : ৩৫ ঘরবাড়িতে আগুন
ঝিকরগাছায় অভিনব কায়দায় ৩ লাখ টাকা ছিনতাই, আটক ১
আশাশুনিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দখল
লক্ষ্মীপুরে সাজাপ্রাপ্ত বৃদ্ধ কয়েদির মৃত্যু
পানির-ভারসাম্যতত্ত্ব, আসলনকল নির্ধারণী যন্ত্রের আবিষ্কারক মুসলিম মনীষী