তুরস্কের নির্বাচনে এরদোগানের প্রতিদ্বন্দ্বী কে এই কিলিকদারুগ্লু?
০৮ মার্চ ২০২৩, ১০:৩৭ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:৫৫ পিএম
তুরস্কের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগানের চ্যালেঞ্জার হিসেবে দেশটির বিরোধী দলের নেতা কেমাল কিলিকদারুগ্লুর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ মনোনয়ন নিয়ে দীর্ঘ বাদানুবাদের পর ছয় দলীয় জোটের পক্ষ থেকে ঘোষণাটি দেয়া হয়। আগামী ১৪ মে একই দিনে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তুরস্কের এবারের নির্বাচন দেশটির ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার রাজধানী আঙ্কারায় প্রায় দু’হাজার লোকের উপস্থিতিতে রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) চেয়ারম্যান কিলিকদারুগ্লু বলেন, ‘আমাদের টেবিল হলো শান্তির টেবিল। আমাদের লক্ষ্য হলো দেশকে সমৃদ্ধি, শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়া।’ বিরোধী জোট বলেছে, তারা জয়ী হলে অর্থনীতি, নাগরিক অধিকার, পররাষ্ট্রনীতিসহ এরদোগানের অনেক নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে। কিলিকদারুগ্লু (৭৪) তুরস্কের বর্তমান অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং মুদ্রাস্ফীতির সুযোগটি গ্রহণ করতে পারেন। তাছাড়া গত মাসের ভূমিকম্পের ফলে দুর্ভোগকেও পুঁজি করতে পারেন। ওই ভূমিকম্পে ৪৬ হাজার লোক নিহত হয়। কিন্তু তবুও এই সাবেক অর্থনীতিবিদ সত্যিই এরদোগানকে পরাজিত করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তুরস্কের সবচেয়ে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা এরদোগান তার ক্যারিশমা দেখিয়ে অনেক নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।
বিরোধী জোটের পাঁচটি দল শুক্রবার কিলিকদারুগ্লুর মনোনয়ন নিয়ে একমত হয়। তবে দেশটির ডানপন্থী আইওয়াইআই পার্টির নেতা মেরাল আকসেনার বলেন, এ প্রার্থী নির্বাচনে হেরে যাবেন। তিনি আঙ্কারা বা ইস্তাম্বুলের মেয়রকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী করার সুপারিশ করেন। তবে ৭২ ঘণ্টার উত্তেজনাকর আলোচনার পর সব দলের মধ্যে সমঝোতা হয় যে আঙ্কারা ও ইস্তাম্বুলের মেয়র দু’জনকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হবে। আল জাজিরার সিনেম কোসেওগ্ল আঙ্কারা থেকে বলেন, কিলিকদারুগ্লুর সবচেয়ে খারাপ বিষয় হলো, তিনি ‹যতগুলো নির্বাচনে লড়েছেন, প্রায় সবগুলোতেই হেরে গেছেন। তবে অভ্যুত্থানচেষ্টার পর সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদের ওপর দমননীতি চালানোর প্রতিবাদে ২০১৭ সালে আঙ্কারা থেকে ইস্তাম্বুল পর্যন্ত যে ‘জাস্টিজ মার্চ’ করেছিলেন, তাতে তার জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।
তুরস্কের বিরোধী দলগুলো এখন বেশ কাছাকাছি রয়েছে। তারা ২০১৯ সালের স্থানীয় নির্বাচনে তারা এরদোগানের একে পার্টির কাছ থেকে ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মিউনিসিপ্যালটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। সূত্র : বিবিসি নিউজ।
বিভাগ : ইসলামী বিশ্ব
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ইসকনের মিথ্যাচার ও ভারতীয় মিডিয়ার সিন্ডিকেট নিউজ
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু
ইসকন ভারতের হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নে দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত দেশব্যাপী তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়
বিএনপি জনগণের দল, 'ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিন' অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া
ডোমিনোজ পিৎজা এখন মহাখালীতে
ভারতের প্রেসক্রিপশনে ইসকন বাংলাদেশে অশান্তি করছে: হাসনাত
ফ্যাসিবাদের দোসর উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন’কে নিষিদ্ধ করা হোক আলহাজ হাফিজ সাব্বির আহমদ
আইনজীবী হত্যার অবিলম্বে বিচার চাই -ইসলামী আন্দোলন ঢাকা জেলা দক্ষিণ
আইনজীবী সাইফুল হত্যাকারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বহিষ্কার
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান ফখরুলের
মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে মহা জট, ফড়নবিশকে জরুরি তলব দিল্লিতে
নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের ১২ নেতাকর্মীর পদত্যাগ কমিটি বাতিলের দাবি
সাত কলেজ অনার্স প্রথম বর্ষের কালকের পরীক্ষা স্থগিত
আওয়ামী নেতাদের নির্দেশে চট্রগ্রামে নৈরাজ্য সৃষ্টির ব্যর্থ চেষ্টা
ইসকন দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে - বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন
বৃষ্টির কবলে দ. আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট
‘চিকিৎসা নিতে করাচি যান, ভারতে নয়’, বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের দাবি শুভেন্দুর
বিসিএস প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে বিজি প্রেসের দুই কর্মচারী গ্রেফতার
ভারতে বাইক ভাঙ্গার দৃশ্য ভাইরাল অনলাইন জুড়ে
পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক উসকানি সৃষ্টি করা হচ্ছে