আশ্রয়

Daily Inqilab মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন

৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৭ এএম

বেগম চৌধুরী খুবই সহানুভূতিশীল মহিলা। তার কাছ থেকে কেউ খালিমুখে ফিরে না। তার এ বদন্যাতার কথা সবার মুখে মুখে। কোনো দিন কোনো অভাবীকে খেতে দিতে না পারলেও তিনি অন্তত দু-চার টাকা দিয়ে হলেও তাকে বিদায় করেন। শুধু তাই নয়, গরিব মানুষের আপদে-বিপদেও তিনি সমান ত্রাণকর্তা। এ জন্যে পাঁচ গ্রামের ফকির-মিসকিন ও বিপদাপন্ন মানুষেরা ঘুরেফিরে চৌধুরী বাড়িতে আসে কিছু-না কিছু সাহায্য ও সহায়তা পাওয়ার আশায়।

বয়সের ভারে ন্যুব্জ বুড়িটি লাঠিতে ভর দিয়ে ঠক ঠক শব্দ করতে করতে অন্ধের যষ্ঠি কিশোরী জরিনাকে নিয়ে সোজা চলে আসে চৌধুরী বাড়ির খিড়কি দুয়ারের কাছে। এসেই ধপাস করে বসে পড়ে মাটিতে। ভিটেবাড়ি, স্বামী সবকিছু হারিয়ে জোলেখা বানু এখন পাগলপ্রায়। শুধু একটি কবরের জায়গা খোঁজে সকলের কাছে। সে ঘন ঘন হাঁফিয়ে উঠে চেঁচাতে শুরু করে:

─আঁই এক্খান কবর’র জাগা চাই। আঁত্তে আর কিছু ন-লাগিবো। (আমি একটি কবরের জায়গা চাই। আমার আর কিছু লাগবে না)।
এ কথা বলতে বলতে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত বুড়ি মাটিতে বসে কান্না জুড়ে দেয়। চৌধুরী বাড়ির ছেলে-বুড়ো সবাই তাকে শান্তনা দিলে সে কিছুটা নীরব হয়ে তার অতীত স্মৃতি হাতড়ায়। তার স্মৃতিপটে ভেটে উঠে ফেলে আসা জীবনের অনেক সবাক চিত্র।
আশেক উল্লাহ্ চৌধুরীর বাড়িটি এ তল্লাটে বেশ নামযশ করা একটি পরিবার। চৌধুরী সাহেবের রয়েছে বেশ জমি-জমা। জমি বর্গা দেওয়ার পরও তার প্রচুর জমি খালি পড়ে থাকে। তাই চৌধুরী সাহেব তার পতিত জমিতে ধুমছে চাষবাস করেন। আমন আর বোরো মৌসুমে তার উঠান কাজের লোকে সরগরম থাকে। শীতকালীন ফল-মূল ও বিভিন্ন আনাজে তার ক্ষেত ভর্তি। কামলা ও কাজের লোক বেশি হওয়ায় রান্না-বান্নার জন্যও বেশ কিছু আলগা রাঁধুনীর প্রয়োজন হয়। চৌধুরী সাহেবের রসুই ঘরে তখন যুবতি রাধুনী ছিলো এই বুড়ি। ছোটরা তাকে আসল নামে না ডেকে “অ বু” (অ্যাই বুবু) বলেই ডাকতো। এই “অ বু” নামের আড়ালে তার আসল নাম জোলেখা বানু হারিয়ে যায়। ঘরকন্যার কাজে সে ছিলো খুবই করিতকর্মা। তাই বেগম চৌধুরী পাক ঘরের যাবতীয় কাজ তার ওপর ছেড়ে দিয়ে হাঁফছেড়ে বাঁচেন।
বাংলাদেশের নিকট প্রতিবেশী দেশ বার্মা─ বর্তমান মিয়ানমার। এদেশের সংখ্যাগুরু অধিবাসী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। কিন্তু ব্যতিক্রম সে দেশের আরাকান রাজ্য। আরাকানের সংখ্যাগুরু অধিবাসী মুসলিম। আরাকানকে “রোসাং” বা “রোয়াং”ও বলা হয়। তাই সে দেশের অধিবাসীরা রোহিঙ্গা নামে পরিচিত। খ্রিষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দী থেকে মুসলমানরা আরাকানে শান্তিতে বসবাস করলেও পরবর্তীতে তারা সেখানে উগ্রবৌদ্ধ কর্তৃক নির্যাতিত হতে শুরু করে। মোটাদাগে পাঁচ/সাত বার মুসলিমরা সাম্প্রদায়িক উচ্ছেদের শিকার হয়। বিগত পঞ্চাশ/ষাটের দশকে আরাকানের নির্যাতিত কিছু মুসলিম চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে পালিয়ে এসে আশ্রয় গ্রহণ করে। এ রকমই একজন আশ্রয় প্রার্থী বদিউজ্জমাল। সে আশ্রয় নেয় চৌধুরী সাহেবের এলাকার পার্বত্যাঞ্চলের সরকারি খাস জায়গায়। পিছিয়ে পড়া আরাকানি মুসলিম বদিউজ্জমাল কামলা খাটতে খাটতে চৌধুরী পরিবারে অনেকটা বিশ্বস্ত হয়ে উঠে। সবাই তাকে ‘বদি’ বলে ডাকে। সময়ের ব্যবধানে কিশোর বদি যৌবনপ্রাপ্ত হয়। বিশ্বস্ততাকে পুঁজি করে চৌধুরী সাহেব থেকে বিনা খাজনায় জমি চাষের সুযোগ পায় বদি। সেই থেকে চাষাবাদে মনোযোগী হয় সে। চৌধুরী সাহেবের একই মহলে কাজ করার সুবাদে বদির পরিচয় ঘটে ‘অ বু’র সাথে। তলে তলে তাদের মধ্যে জমে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। বদি ‘অ বু’কে ডাকে বানু বলে।
─“তরে দেখিলে আইয়ে চোগর পানি (তোকে দেখলে আসে চোখের পানি)
যাবিগই দূ-রে আগে ত ন-জানি (দূরে চলে যাবে আগে জানিনি)
অ ব-ই-ন, হড়ে গেইছ পুছার ন গরি। (ও বো-ন, কোথায় গ্যাছো আমারে না বলি)।
আশা আচ্ছিল্ দিল্লানত্ (দিলের মাঝে আশা ছিলো)
তরে লই বাইন্তাম এক্খান সুখ্খর ঘর (তোকে নিয়ে বাঁধবো একটি সুখের ঘর)
দিলের মাঝে আঁরে দুখ্খান দিলি (দিলের মাঝে আমাকে দুঃখটা দিলে)
ক্যানে র্যগই তুই শ্বাশুর ঘর। (ক্যামনে যাস্ চলি শ্বশুর ঘর)
র্ত পিছে পিছে যাইয়ম (তোর পিছে পিছে যাবো)
আঁই তরে ছারি ন-ইদ্দম (আমি তোকে ছেড়ে দেবো না)
আল্লারে বিচার দিয়ম (আল্লাহ্কে বিচার দেবো)
আশঅরত্ দাবি লইয়ম্ (হাশরে দাবি নেবো)
অ ব-ই-ন, হড়ে গিয়ছ পুছনার ন-গরি।” (ও বো-ন, কোথায় গ্যাছো আমারে না বলি)।

ভর দুপুরে পুকুর পাড়ে তেঁতুল তলে বসে গলা ছেড়ে গান করে বদি। গানটি রোহিঙ্গা শিল্পী মো. ইউসুফের ঢঙে গাইতে চেষ্টা করে সে। সে গান শুনে পুকুর ঘাটে অযথা দেরি করে “অ বু”। বদির গান গাওয়ার উদ্দেশ্য, পুকুরে গোসল করতে নামা তার মানস-প্রিয়াকে গোপন দুঃখের কথা জানানো। জীবনের শেষ বেলায় এসে সে রোমাঞ্চের কথাগুলো ভেবে ভেবে ‘অ বু’ এখন অস্থির। মনে পড়ে জলকেলি করতে করতে বদির চান মুখখানা বার বার দেখে লওয়ার কথা। বদি গানের সুরে আর অঙ্গভঙ্গি করে মনের কথা জানান দেয় তাকে।
প্রকৃতিতে চলছে হেমন্তকাল। কুয়াশা ঝরা ভোর। শীত পুরোপুরি জেঁকে বসেনি। গ্রামের বিলগুলোতে সোনালি ধান আলো চড়াচ্ছে। কৃষকের মনে মৃদু দোলনি। এ বছর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় সারা দেশে ফসল ফলেছে বেশ ভালো। আর কিছুদিন পরেই হবে গ্রামে গ্রামে নবান্ন উৎসব। প্রতি বছরের মত এ বছরও কৃষিমেলা হবে উপজেলা সদরে। গত বছর প্রান্তিক চাষি বদি ভালো সবজি ফলিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলো। এর সুবাদে মেলার প্রথম পুরস্কারটি বাগিয়ে নিয়েছিলো সে। মেলায় প্রধান অতিথির হাত থেকে বদির টেলিভিশন পুরস্কার নেওয়ার ছবি পত্রিকায় ছাপা হয়েছিলো বেশ ফলাও করে। সবার মুখে বদির প্রশংসা। তাই এ বছর দ্বিগুণ উৎসাহে সবজি চাষ করেছে সে। কপাল ভালো থাকলে এ বছরও পুরস্কার পেতে পারে।

ভালো ফসল ফলিয়ে বদির বেশ সুবিধা হয়েছিলো। কিছু নগদ টাকা হাতে আসায় দাদনের বকেয়াগুলো পরিশোধ করতে পেরেছে। এবার তার বড় আশা, হাতে প্রচুর টাকা এলে ময়নার বিয়েটা দিয়ে দেবে। সোমত্ত মেয়ে, পরের ঘরে গাধার খাটুনি খাটছে দুবেলা আহারের জন্যে। বদির ঘরে ময়না ছাড়া পুতুনি ও লুতুনি নামে আরও দুটি মেয়ে রয়েছে। তারা উভয়ই পিঠাপিঠি বোন। ওরাও বিবাহযোগ্যা। কিন্তু বদির কোনো ছেলে না থাকায় তার মনটা বড্ড খারাপ। ছেলে হলো বংশের চেরাগ। বদি মারা গেলে ভিটেবাড়িতে চেরাগ জ্বালানোর আর কেউ থাকবে না। ভিটে বলতে যদিও বুঝায় সরকারি রিজার্ভ ভূমির ঘরের তলাকে। প্রায় ৫০/৬০ বছর ধরে এ ভিটায় তাদের বসবাস। ভিটেটিকে বদির আর সরকারি জায়গা বলে মনে হয় না। মনে হয় তার পৈত্রিক ভিটা। জমিদারের ঘরে কামলা খাটলেও দিন শেষ মাথা গোঁজার ঠাঁই তো একটা রয়েছে; এতেই সে ভীষণ খুশি।

যৌতুক আর দৈন্যের কারণে আইবুড়ো হওয়ার পরও ময়নার বিয়েটা হয় না। বদি অমানুষিক পরিশ্রম করে পরিবারের সচ্ছলতার জন্য। তবু দুবেলা ভাত জোটাতে হিমশিম খায়। তাই উন্নত রোজগারের আশায় একদিন সে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে শহরে। দিন-পনেরো পর বাড়ি ফিরে আসে। এসে শুনতে পায়, দুদিন আগে ময়না পালিয়েছে প্রতিবেশী যুবক আক্কাসের হাত ধরে। একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বদি। পুতু আর লুতুকে নিয়ে এবার বদির বাড়তি সতর্কতা। তারাও যদি বড়টির অনুসরণ করে? ভেতরে ভেতরে একেবারে ভেঙ্গে পড়ে বদি দম্পতি। অনেক ধার-দেনা ও মানুষের কাছে যাচনা করে কোনো রকমে ছোট মেয়ে দুটিকে বিয়ে দেয় বদি। পুতুর স্বামী বয়স্ক এক রিকশাওয়ালা এবং লুতুর স্বামী একজন বাক-প্রতিবন্ধী যুবক। প্রতিবন্ধী বলে ছোট জামাই থাকে বদির ঘরেই। অভাবের সংসারে আবারো নেমে আসে ঝি-জামাই পালনের ভার। তবু ভালো, অন্তত ছেলের অভাব পূরণ হলো। লুতুর কিশোরী কন্যা জরিনা ‘অবু’র একমাত্র ভরসা। কিন্তু ‘অবু’র দুঃখ যেন ঘুচলই না। একদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা পড়ে তার স্বামী বদিউজ্জমাল ওরফে বদি।

বুড়ির মনের কোণে ভেসে উঠে অতীত দিনের স্মৃতি। কোনো এক অঘ্রানের পূর্ণিমার জোসনা রাত। চৌধুরীর বাড়ির ধানের খলায় ভারা ভারা ধান─ মাথা অবধি উঁচু ধানের ভারার স্তূপ। গোবরে লেপা খলায় গরু দিয়ে ধান মাড়াই হচ্ছে। ছড়ানো ধানের আঁটির উপর গরুর পেছনে পেছনে গরু বৈলায় বদি। পাশে ধানের খড় আঁচড়ায় বানু।
─হেই! ওগ্গা গান গঅনা। (্এ্যাই! একটি গান গাও না) বদিকে বলে বানু।
─কি গান গাইতাম? (কি গান গাবো?)

─ঐদিন্যা পইর্র পারত্ তেতৈ গাছের তলে গাইলাদে, হিবা গঅ। (সেদিন পুকুরপাড়ে তেঁতুল গাছের নিচে যে গান গেয়েছিলে, সেটি গাও)
─এড়ে ত তেতৈ গাছ নাই। ক্যানে গাইয়্ম? (এখানে তো তেঁতুল গাছ নেই, ক্যামনে গান গাবো) জবাবে বলে বদি।
─তইলে আইয়্যু না, ধানর পারার পিছদি। হেড়ে কী সুন্দর চাঁদর পঅর। (তাহলে এসো না, ধানের ভারার পেছনে। সেখানে কী সুন্দর চাঁদের আলো)
─কেউ দেইলে? (কেউ দেখলে?)
─হনিক্যা দেইখ্ত নয়। আঁই তোঁয়ারে শারির আঁচলত বেরাই রাইক্ষম। (কেউ দেখবে না। আমি তোমাকে আমার শাড়ির আঁচলে প্যাঁচিয়ে রাখবো)
─হাঁছা না? (সত্যি?)

বদি আর বানু ধানের ভারার আড়ালে থল থলে পূর্ণিমা জোসনায় বসে পড়ে। তাদের মধ্যে চলে অনেক রোমাঞ্চ। দুজনে সুখ-দুঃখের অনেক কথা বলে। বদি শোনায় তার জন্মভিটা মংডুর কথা, নিজের দেশে বড় হওয়ার কথা, পৈত্রিক প্রাচুর্যের কথা; সর্বশেষ বাংলাদেশে কেন তারা পালিয়ে এসেছে─ সে কথা। তার কথায় যোগ দেয় বানু। সেও তার এতিম জীবনের শোকগাথা ও অভাবী পরিবারের কথা শোনায়। আর কীভাবে চৌধুরী বাড়িতে এসে বাঁদি হলো তার সকরুণ কাহিনী শুনিয়ে বুক হালকা করে। এক পর্যায়ে উভয়ে আরো ঘনিষ্ট হয়। ততক্ষণে বদির হাত ঘুরাফিরা শুরু করেছে বানুর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর অংশে। ঘন কালো চুলে হাত বুলায়। কপোল ধরে আদর করে। আদরে আদরে অস্থির করে তোলে বানুকে। পরে দু’হাতে বানুর মুখখানা তুলে আনে তার মুখের কাছে। অতঃপর পাগলের মতো ঠোঁটে ঠোঁট ঘষতে থাকে একে অপরের। উভয়ের শ্বাস বেড়ে যায়। তখন বানু বলে,

─চলঅ, আঁরা ধাই যাই গৈ; চোগে-মুখে জিক্কা পথ দেখি, হিক্কা। (চলো, আমরা পালিয়ে যাই; চোখে-মুখে যেদিকে পথ দেখি, সেদিকে)। ─পথ হনঅমিক্কা চঅন্ পইত্ত নয়। তোঁয়ার জাগা আঁর বুকর ভিতর। (কোনো দিকে পথ দেখতে হবে না। তোমার জায়গা আমার বুকের ভেতর)
একথা বলে আচমকা বদি বানুকে নিজের বুকে টেনে নেয়। উত্তেজনায় কেঁপে উঠে উভয়ে। বদি সটান শুইয়ে দেয় বানুকে। নিচে শুকনো ওম্ধরা খড়ের বিছানা, মাথার উপরে পূর্ণিমার চাঁদ, জোনাকির টিমটিমে আলো ও ঝিরঝিরে হিমেল হাওয়ায় শুকনো খড়ের সোঁদা গন্ধ। বেশ কিছুক্ষণ হারিয়ে যায় তারা আদিম উল্লাসে। পরে তৃপ্তির ঘামে নেয়ে উঠে উভয়ে। তখন একটি রাতজাগা পাখি ডেকে উঠে গাছের ডালে─ ক্যা ক্যা ক্যা করে। এটি বড় বেদনার। ইউনিয়ন পরিষদের ‘গ্রাম পুলিশ’ ইউনুস চৌকিদার একদিন দু’জন সাহেব নিয়ে এসে ‘অবু’র ভিটাবাড়ি ফিতা দিয়ে মেপে নিয়ে যায়। ‘অবু’ কিছুই বুঝতে পারে না। সে মনে মনে ধারনা করে, হয়তো চেয়ারম্যান সাহেব সদয় হয়ে তাকে বয়স্ক ভাতার তালিকাভুক্ত করবেন। বদি রোহিঙ্গা বলে এতো দিন তাকে বয়স্ক ভাতার আওতায় আনা হয়নি। কিন্তু দু’দিন না যেতেই কপাল ভাঙে ‘অবু’র। উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিস থেকে তার নামে নোটিশ আসে ভিটেবাড়ি ছেড়ে দেওয়ার। অবু’র মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। অশিক্ষিত ‘অবু’ কিছুই বুঝতে পারে না। পরে স্থানীয় মেম্বার এসে সরকারি খাস জমি থেকে ‘অবু’কে উচ্ছেদ করে। আর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সেখানে দখল বুঝিয়ে দেয় পাশের হিন্দু পাড়ার সুবল দাশকে।


বিভাগ : সাহিত্য


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’
কবিতা
বাংলিশম্যান
২১ ফেব্রুয়ারি যেভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হলো
কবিতা
আরও
X

আরও পড়ুন

টঙ্গীতে নারী ঘটিত ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে মারামারি

টঙ্গীতে নারী ঘটিত ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে মারামারি

মালয়েশিয়ার ও আলজেরিয়া থেকে ফিরছে ৫০ বাংলাদেশি

মালয়েশিয়ার ও আলজেরিয়া থেকে ফিরছে ৫০ বাংলাদেশি

স্থানীয় নির্বাচন বিতর্কে জাতীয় নির্বাচন পেছানো যাবে না -রিজভী

স্থানীয় নির্বাচন বিতর্কে জাতীয় নির্বাচন পেছানো যাবে না -রিজভী

ধর্ম নিয়ে ব্যবসা নয়,মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ জীবনবৃত্তান্ত হলো কোরআন- কাজী শিপন

ধর্ম নিয়ে ব্যবসা নয়,মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ জীবনবৃত্তান্ত হলো কোরআন- কাজী শিপন

অস্ত্রবাজির আতঙ্কে ঢাকার মানুষ

অস্ত্রবাজির আতঙ্কে ঢাকার মানুষ

ওয়াক আউট করল বাংলাদেশ

ওয়াক আউট করল বাংলাদেশ

রাষ্ট্রে ইসলাম বিজয়ী হলে সর্বস্তরের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে -পীর ছাহেব চরমোনাই

রাষ্ট্রে ইসলাম বিজয়ী হলে সর্বস্তরের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে -পীর ছাহেব চরমোনাই

আগে কখনো আমি এত অপমানিত বোধ করিনি -মাহমুদুর রহমান মান্না

আগে কখনো আমি এত অপমানিত বোধ করিনি -মাহমুদুর রহমান মান্না

রোজার ৯ পণ্যের আমদানি বেড়েছে

রোজার ৯ পণ্যের আমদানি বেড়েছে

সাবেক ইউপি সদস্য ও যুবদল নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

সাবেক ইউপি সদস্য ও যুবদল নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

মাতৃভাষা আল্লাহর বড় নেয়ামত

মাতৃভাষা আল্লাহর বড় নেয়ামত

লামায় অপহরণ কারী চক্রের ৪ জন গ্রেপ্তার

লামায় অপহরণ কারী চক্রের ৪ জন গ্রেপ্তার

একুশ সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বীজমন্ত্র

একুশ সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বীজমন্ত্র

মুক্ত বাতাসে শহীদদের স্মরণ

মুক্ত বাতাসে শহীদদের স্মরণ

দুর্নীতিবাজ সেই নির্বাহী প্রকৌশলী ছামিউলের ফিরে আসার খবরে জনমনে তীব্র অসন্তোষ

দুর্নীতিবাজ সেই নির্বাহী প্রকৌশলী ছামিউলের ফিরে আসার খবরে জনমনে তীব্র অসন্তোষ

হাব নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তুমুল বাকবিতণ্ডা

হাব নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তুমুল বাকবিতণ্ডা

কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে বিজিবির গাড়ির ধাক্কায় শিশু নিহত

কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে বিজিবির গাড়ির ধাক্কায় শিশু নিহত

ভার্চুয়ালি করা যাবে না বিমা কোম্পানির পরিষদ সভা

ভার্চুয়ালি করা যাবে না বিমা কোম্পানির পরিষদ সভা

দু’ঘণ্টার চেষ্টায় খিলগাঁওয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে

দু’ঘণ্টার চেষ্টায় খিলগাঁওয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে

নাস্তিক রাখাল রাহার সমুচিত বিচার নিশ্চিত করতে হবে

নাস্তিক রাখাল রাহার সমুচিত বিচার নিশ্চিত করতে হবে