ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১
রাজধানীতে এনডিএফ এর চিকিৎসক সম্মেলন

কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও পেশাগত সুরক্ষা আইন চান ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ পিএম | আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ পিএম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি।প্রশাসনের যেখানেই হাত দেওয়া যায় সেখানেই দুর্নীতি। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যখাতকে ধ্বংস করে গেছে। ন্যাশনাল ডক্টর'স ফোরামের সদস্যদেরকে সেবার মাধ্যমে, নিজেদের কাজ ও দক্ষতার মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন আনতে হবে। প্রফেশনাল দক্ষতার মাধ্যমেই এই পরিবর্তন আনা সম্ভব।

তিনি বলেন, এনডিএফ কে একটি ব্রান্ডে পরিনত করতে হবে, যাতে করে আপনাদের কাছে আগত রোগীরা বলতে বাধ্য হয় যে, এনডিএফ এর চিকিৎসকগণ সততা ও ইথিক্যাল প্রাকটিস করে। আমাদের পেশা মুল পরিচয় নয়, আমাদের সেবাই মুল পরিচয়। সরকারী অন্যান্য সেক্টরে নিরাপত্তার জন্য আলাদা পুলিশ বাহিনী থাকলেও চিকিৎসকদের জন্য আলাদা কোনো পুলিশ বাহিনী নেই, তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও চিকিৎসকদের জন্য পেশাগত সুরক্ষা আইন তৈরি করতে হবে।

আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর শাহবাগে ফজিলাতুন্নেছা কনভেনশন সেন্টারে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ কর্তৃক আয়োজিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আর্থিক অনুদান প্রদান ও চিকিৎসক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম বঙ্গবঙ্গু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ডা. মো. আতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে এবং ডা. মোহাম্মদ গোলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি নুরুল ইসলাম বুলবুল, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. নজরুল ইসলাম। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন এনডিএফ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি ডা. তোফাজ্জেল হোসাইন, এনডিএফ ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি ডা. আসাদুজ্জামান কাবুল, এনডিএফ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মহিলা শাখার সভাপতি ডা. সালমা বেগম, এনডিএফ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ মহিলা শাখার সহ-সভাপতি ডা. শাহানা পারভিন লাভলি, এনডিএফ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ডা. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব, প্রফেসর ডা. সাজিদ আব্দুল খালেক, প্রফেসর ডা. আমির হোসেন, প্রফেসর ডা.রুহুল আমিন, প্রফেসর ডা. মতিয়ার রহমান, ডা. হারুন অর রশিদ, ডা. মো. আলী আফতাব এবং ডা. মাহমুদুল হাসান নয়ন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রাজধানীর আজিমপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত ডা. সজিব সরকারের বাবা আব্দুল হালিম সরকার সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার একটি প্রত্যয় দ্বীপ্ত কাফেলা। দেশের জনগণ মনে করে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিটি কর্মী সৎ এবং দক্ষ। তারা দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও দখদারিত্ব করে না। দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ বিশ্বাস করে আগামীতে জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ উপহার দিতে পারবে। তাই জনগণের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নের জন্য জামায়াতের কর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। আমরা জনগণের যৌক্তিক দাবী দিয়ে মাঠে নামলে এই ফ্যাসিস্ট সরকার গুম, খুন এবং নির্যাতনের মাধ্যমে আন্দোলনকে দমন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমন করার জন্য রাষ্ট্রীয় সকল শক্তি প্রয়োগ করেছে। কিন্তুু তারা আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শ্রমিক, রিক্সাচালক, শিক্ষক এবং চাকুরিজীবীসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। এ আন্দোলনে আলাদা কোন নির্দেশনা ছিল না। আগামী দিনে দেশ ও জাতি গঠনে চিকিৎসক সহ সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমরা ৬ আগস্ট থেকেই দাবি করে আসছিলাম ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত এবং শহীদদের সুনির্দিষ্ট তালিকা করে রাষ্ট্রকে তাদের অভিভাবকত্বের দায়িত্ব নিতে হবে। যারা জীবন দিয়ে এদেশকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার হাত থেকে রক্ষা করলো তাদেরকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দিতে হবে। চিকিৎসকগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের সময় আাহতদের যে সেবা করেছেন, তা অতুলনীয়। এ কার্যক্রমকে অব্যাহত রাখতে হবে।


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দুইবার এগিয়ে গিয়েও জেতা হলো না মায়ামির

দুইবার এগিয়ে গিয়েও জেতা হলো না মায়ামির

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো