ঢাবিতে ঐতিহাসিক মাজার ভাঙচুর করলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে আগতরা
০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম
হযরত হাজী শাহবাজ (রহ.) মাজার ভাঙচুর করেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে তাবলীগ জামাত পন্থীদের সমাবেশে আগত সদস্যরা। এসময় মারধর করা হয় মাজারে দায়িত্বরত ব্যক্তিদেরও। পরে সেনাবাহিনী আসার খবর পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় থেকে ১২টা পর্যন্ত এ মাজারে ভাঙচুরের তান্ডব চালায় তারা। হাজী শাহবাজ মাজারটি দোয়েল চত্বর সংলগ্ন এবং বাংলা একাডেমির বিপরীত পার্শ্বে অবস্থিত।
মাজারের খাদেম মুহম্মদ জহিরুদ্দিন জানান, আজকে সকাল থেকে সোহরওয়ার্দী উদ্যোনে তাবলীগ জামাতের সদস্যরা উপস্থিত হতে থাকে। বেলা ১১টার দিকে আনুমানিক ৫শ’ সদস্য সোহরওয়ার্দী উদ্যোনের পার্শ্ববর্তী শাহবাজ মাজারে প্রবেশ করে এবং মাজারের ভেতরে ভাঙচুর চালায়। তারা মাজারের ভেতরে গিলাফ ছিড়ে ফেলে, মাজারে ইট ভাঙচুর করে। এবং মাজারের দেয়াল আঘাত করে ভেঙ্গে ফেলে। এছাড়া মাজার-মসজিদে যত্রতত্র প্রস্রাব করে। ভাঙচুরের সময় তারা মাজারের ২ জন খাদেম এবং ৪ জন দর্শনার্থীকে মারধর করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আমরা সেনাবাহিনীকে খবর দেই। সেনা সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
খাদেম মুহম্মদ জহিরুদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় তাদেরকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে, কিন্তু তাদেরকে কোন প্রচার ভাঙচুর করার অনুমতি দেয়া হয় হয়নি। তাহলে তারা এভাবে একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা ভাঙচুর করলো কেন ?
তিনি বলেন, হাজী শাহবাজ মাজারে কোন প্রকার সেজদা করা সম্পূর্ণ নিষেধ। আমরা আগত দর্শনার্থীদের এ ব্যাপারে সব সময় সতর্ক করি। কিন্তু সমাবেশে আগতরা কোন কথা না শুনেই ভাঙচুর করলো।
মাজারের খাদেম মুহম্মদ জহিরুদ্দিন বলেন, হাজী শাহবাজ মাজার মসজিদ একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত প্রত্নসম্পদ। ১৬৭৯ সালে সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র শাহজাদা মুহাম্মদ আজমের সুবেদারির সময় মসজিদটি নির্মিত হয়। হাজী শাহবাজ খান ছিলেন কাশ্মীর থেকে আগত একজন সূফী সাধক ও ব্যবসায়ী। তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় বাবরী মসজিদে আদলে এই ৩ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণ করেন এবং উনার ইন্তেকালের পর কবর দেয়ার স্থান নির্দ্দিষ্ট করেন। পরবর্তীকালে নবাব সলিমুল্লাহ মসজিদ-মাজারটি দেখা শোনার জন্য মাজারে পেছনে ১১ কাঠা জমি খাদেমদের জন্য নির্দ্দিষ্ট করে দেন। আমরা বংশ পরম্পরায় মসজিদ-মাজারের দেখাশোনা করে আসছি। এ ধরনের একটি ঐতিহাসিক ও প্রত্ন সম্পদকে যারা ধ্বংস করতে চায়, আমরা তাদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) খালেদ মুনসুর বলেন, এ ধরনের ভঙ্চুরের কোন খবর পাইনি। কেউ অভিযোগ দেয়নি।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না
দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু
দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা
পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ