সিংড়ায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৯২ হাজার পশু
১৮ জুন ২০২৩, ১০:৫৫ পিএম | আপডেট: ১৯ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে নাটোরের সিংড়ায় ৯২ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন ৫ হাজার খামারিরা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন হাটে সরবরাহ হবে। এতে এবছর প্রায় ২০০ কোটি টাকার কেনা-বেচার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের তথ্যমতে, ছোট-বড় মিলে প্রায় ৫ হাজার খামার রয়েছে। এসব খামারে এবার ১২ হাজার ৪২২টি ষাঁড়, ২ হাজার ২১৫টি বলদ, ১ হাজার ৪০১টি গাভী, ২০৭টি মহিষ, ৬৯ হাজার ৯৫৭টি ছাগল ও ৬ হাজার ৩৬৪টি ভেড়া হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় পশুর সংখ্যা বেড়েছে। উপজেলার খামারগুলোতে শাহীওয়াল, ফ্রিজিয়ান ও দেশী গরু মোটাতাজা করা হয়।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন খামারে গিয়ে কথা হয় খামারি ও কৃষকদের সাথে। এবারও কোরবানির গরু প্রস্তুত রয়েছে উপজেলার তেমুখ নয়দাপাড়া গ্রামের অর্ক ডেইরি ফার্মে। এ ফার্মে প্রায় ৭০ থেকে ৮০টি গরু কুরাবানির জন্য মোটাতাজা করেছেন।
এ ফার্মের পরিচালক জাহিদ হাসান বলেন, আমরা দেশীয় পদ্ধতিতে গরু লালন-পালন করে থাকি। গম ও ভুট্টা ভাঙ্গা, খড়, ভূষি ও নিয়ম মাফিক নেফিয়ার ঘাস খাওয়ানো হয়। আমাদের গরুগুলোকে প্রাণঘাতী স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো হয় না। সারা বছর এই প্রতিষ্ঠানে গরু বিক্রি করা হয়। পৌরসভার উত্তর দমদমা এলাকার খামারি মোছা. ফাতেমা বেগম বলেন, আমি ২২ বছর যাবৎ গরু লালন-পালন করি। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গম ও ভুট্টা ভাঙ্গা, ভূষি খাইয়ে থাকি। কোনো মোটা তাজাকরণ ওষুধ বা ইঞ্জেকশন ব্যবহার করি না। খামারে ৩৫টি গরু প্রস্তুত করেছি। আশা করছি লাভবান হব।
উপজেলার বেশ কয়েকজন খামারির সাথে কথা হলে তারা জানান, ঈদ উল আযহা উপলক্ষে ভালো দামের আশায় তারা পশু লালন-পালন করছেন। খরচ বেশি হলেও ভালো দাম পাওয়া নিয়ে আশা করছেন খামারিরা।
পৌরসভার চকসিংড়া মহল্লার খামারি নাজেহাল শাহ্ বলেন, আমার খামারে ৪টি গরু রয়েছে। ১ বছর আগে এসব গরু কিনেছিলাম। ভালো দাম পাবার আশায় পরিচর্চা করে যাচ্ছি। গো-খাদ্যের দাম বেশি। ভারতীয় পশু দেশে না ঢুকতে দিলে, ভালো দাম পাবো বলে আশা করছি।
পৌরসভার দমদমা এলাকার খামারি বাবুল হাসান বকুল বলেন, ঈদ উপলক্ষে ১০টি ছাগল প্রস্তুত করেছি। যেকোনো পরামর্শ ও সহযোগিতার জন্য প্রাণীসম্পদ অধিদফতরকে পাশে পেয়েছি। খাদ্য খরচ বেশি, তবুও ন্যায্য দাম পেলে লাভবান হতে পারবো বলে আশা করছি।
সিংড়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কে এম ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলায় খামারিরা কুরবানির পশু প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পালন করছেন। পশুগুলোকে মোটাতাজা করার জন্য কোনো ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ বা ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে না। সেদিকে আমাদের নজরদারি রয়েছে। সবুজ ঘাস, ভূষি, খৈল, চালের গুড়া, ছোলা, গম ও ভুট্টা ভাঙ্গা খাওয়াচ্ছেন। পশুকে নিরাপদ ও সুস্থ রাখতে আমরা খামারিদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মির্জাপুর উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর মৃধার পদ স্থগিত
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে বিজিবি হেফাজতে ৩৬ মিয়ানমার নাগরিক
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কর্নেল অলির সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির মহাসচিব নেওয়াজ
আইনজীবীদের জুরিসপ্রুডেন্সের ওপর বই লেখার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
রোমানিয়ায় কূটনীতিক মহসিনকে শাস্তির দাবিতে ৭ দিনের আলটিমেটাম
লক্ষ্মীপুরে ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান, ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা
দক্ষিণ এশিয়ান টেনিস বল ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ানশীপে রানার্স-আপ সৈয়দপুর দলকে সংবর্ধনা
সাভার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত
ভাড়াটিয়াসহ মালিককে বের করে বসত বাড়ি দখল
যে মামলায় আটক লতিফ বিশ্বাস
নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষকদের প্রস্তুতি নিতে হবে
প্রশাসন সংস্কারে কঠোর হতে হবে
অসভ্য নগরীতে পরিণত ঢাকা
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা
সমুদ্রে ক্ষয়যোগ্য শক্ত প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে গাড়িতেও
উৎসবে আতশবাজি নিষিদ্ধে হাজারও মানুষের আবেদন
বাথরুমের নাম করে গয়না নিয়ে পালালেন কনে
অর্থ, রসিদ বই নিয়ে পালিয়ে গেল ইসকনের কর্মী
পণবন্দীর ভিডিও প্রকাশ হামাসের ইসরাইলে মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ