কোরআনের অবমাননা বিরূপ প্রভাব ফেলবে
১৪ জুলাই ২০২৩, ১১:৪৩ পিএম | আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
বিশ্ব শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় পবিত্র কোরআনের অবমাননা বিরূপ প্রভাব ফেলবে। পবিত্র আল কোরআন মানব জাতির কল্যাণে অবতীর্ণ হয়েছে। যা একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এই প্রবিত্র গ্রন্থের অপমানে সমগ্র মুসলিম জাহানের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। গতকাল মাহাখালীস্থ মসজিদে গাউছুল আজমের খতিব প্রিন্সিপাল মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ্ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন সম্প্রতি সুইডেনে পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন অবমাননা করণের মতো ঘৃনিত ও জঘন্ন কাজ করেছে বিধর্মিরা। যা সমগ্র মুসলিম জাহানকে অশ্রুসিক্ত করেছে। ইতিমধ্যে জাতিসংঙ্ঘ কর্তৃক এহেন ন্যাক্কার জনক কাজের নিন্দা জানালেও যারা এ কাজ করেছে তারা কি অনুতপ্ত? নিজেদের ভুল কি তারা বুঝতে পারবে কখনই? এধরণের কর্মকান্ড নতুন কিছু নয়। পূর্বেও বিভিন্ন সময় পবিত্র গ্রন্থ আল-কোরআনকে অবমাননার মত ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। যা ধর্মীয় সম্প্রিতি বিনষ্ট ও দাঙ্গা সৃষ্টির একটি বৃহৎ মাধ্যম। খতিব উপস্থিত মুসল্লিদের নিয়ে এধরণের ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, মুসাল্লামাতুল কাজ্জাবের কথা সকলেরই জানা আছে। ভন্ড নবী দাবিদার ছিল পর্যায়ক্রমে সে নিজে নকল কোরআন রচনা করার চেষ্টাও করেছিল, যা কোরআনকে অপমান করার শামিল। পরবর্তীতে ইয়ামামর যুদ্ধে হযরত ওয়াহসি (রা.) এর হাতে নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছিল তাকে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় মুসলমানদের ধর্মীয়গ্রন্থ অবমাননায় অনেকেই লাঞ্চিত, অপমাণিত, অপদস্ত ও ধ্বংস হয়েছে, যার অসংখ্য নজির রয়েছে।
খতিব বলেন, ঐশীগ্রন্থ পবিত্র কোরআন কোন মানব রচিত বই-পুস্তক নয়। এটি স্বয়ং আল্লাহ প্রদত্ত কিতাব, যার রক্ষণাবেক্ষণ তিনি (আল্লাহ) নিজেই করবেন। বহু নাস্তিক, মুরতাদ, কাফের, ইসলাম বিদ্বেষী কোরআন গবেষণার মাধ্যমে সঠিক পথের দিশা পেয়েছে। ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে স্থান পেয়েছে। তবুও ওদের দৃষ্টিভ্রম কমেনি। এ গ্রন্থ সর্বযুগের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম। বিজ্ঞানের জয়জয়কার এই যুগেও কোরআনকে চ্যালেঞ্চ করার মত দুঃসাহস কেহ দেখাতে পারেনি। ভবিষ্যতেও পারবে না। আমাদের উচিৎ হবে কোরআনের সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তোলার জন্য বেশি বেশি কোরআন গবেষণা করা। কোরআন রিচার্স সেন্টার ও গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় দেশের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা অতিব জরুরি। যার দ্বারা বিরূপ ধারনা পোষণকারীগণ তাদের কুধারণা থেকে মুখ ফেরাবে। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে কোরআনকে জীবন ব্যবস্থা হিসেবে হৃদয়ে লালন করবে ।
খতিব বলেন, আমাদের দেশের হাফেজগণ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিযোগীতায় বরাবরই গৌরবের আসনে আসিন হয়ে বর্হিবশ্বের কাছে দেশের ভাবমর্যাদা উজ্জল করছে। জাতীয় পর্যায়ে সরকারের উদ্যোগে এসকল হাফেজে কোরআনদের যথাযথ সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে পবিত্র কোরআনের মান ও উজ্জত অক্ষুন্ন রাখারা ব্যাপারে সকলের উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুন। আমীন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিন গতকাল জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, দৃশ্যমান অদৃশ্যমান সকল সৃষ্টির মালিকই আল্লাহ। মানুষের জ্ঞান বিজ্ঞান সীমিত। এক সময়ে আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না। পৃথিবীতে কেউ চিরসুখী না। খতিব বলেন, আল্লাহর হুকুমের গোলাম আমরা। নবী (সা.) বিধর্মীরা জিজ্ঞেস করেছিল রূহ কি জিনিস ? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন রূহ হচ্ছে রবের নির্দেশ বা হুকুম। কিভাবে আমরা জীবন যাপন করবো তার নির্দেশনা দেয়ার জন্যই আল্লাহ দুনিয়ায় নবী পাঠিয়েছেন। আল্লাহপাক ওহীর মাধ্যমে নবীদের সকল জ্ঞান দিয়েছেন। আল্লাহর বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্যই নবী পাঠিয়েছেন। খতিব বলেন, সচেতনতার সাথে আল্লাহর হুকুম মানতে হবে। দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়ায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপরগুরুত্বারোপ করেন খতিব।
মিরপুরের ঐতিহ্যবাহী বাইতুল মামুর জামে মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, ডেঙ্গু জ্বর আজ সারাদেশে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে । রোগ ব্যাধি , বালা মুসিবত মানুষের কৃতকর্মের দরুন আল্লাহর পক্ষ থেকেই এসে থাকে । তাই ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে হলে আল্লাহর দেয়া পথ ও পন্থা অনুসরণের বিকল্প নেই । মদীনাতুল মুনাওয়ারার পার্শ্ববর্তী কোবা নামক এলাকার মানুষেরা অধিকতর পবিত্রতা ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করতেন বিধায় সাধারণত তারা রোগ ব্যাধি মুক্ত থাকতেন। আল্লাহ তায়ালা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে বিশ্ববাসীর কল্যাণে আয়াত নাজিল করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তওবাকারী ও পবিত্রতা অর্জনকারীকে ভালোবাসেন। (সুরা বাকারা, আয়াত নং ২২২)। অতএব ডেঙ্গু জ্বরসহ অন্যান্য রোগ থেকে বাঁচতে হলে ব্যক্তি পরিবার ঘর বাড়ি ও তার আশপাশের এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। টব, বালতি বোতল বা অন্য কিছুতে যেন দীর্ঘ সময়ে পানি জমে নোংরা না হতে পারে তার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে ।
খতিব বলেন, নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমরা তোমাদের ঘর ও তার আশপাশের এলাকা সমূহ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখো। ( তিরমিযি শরীফ )। তিনি অন্যত্র বর্ণনা করে বলেন, যে ব্যক্তি অজু (পবিত্র) অবস্থায় রাত্রি যাপন করে তার সাথে একজন ফেরেশতা রাত যাপন করেন এবং সকালে লোকটি নিদ্রা থেকে জাগ্রত হওয়ার পর ঐ ফেরেশতা দোয়া করে বলতে থাকেন, হে আল্লাহ, তুমি অমুক বান্দাকে ক্ষমা করে দাও । তুমি তাকে হিফাজাত করো। সে পবিত্র অবস্থায় রাত্রি যাপন করেছে। ( আল হাদিস )। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সর্বাবস্থায় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও পবিত্রতা অর্জন পূর্বক সর্বপ্রকার রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকার তৌফিক দান করেন। আমিন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কে হবেন বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার?
বোলারদের নৈপুণ্যে অল্প টার্গেটেও স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান
৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামোর বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে: আমিনুল হক
পিরোজপুর প্রেসক্লাব নির্বাচন শামীম সভাপতি ও তানভীর সম্পাদক
বিরক্তিকর সময়কে গুডবাই বলুন! এন্টি ডোট হিসেবে সেরা অ্যাপ (পর্ব-১)
দেশের বিরাজমান সংকট উত্তরণে জাতির আস্থা তারেক রহমান : মীর হেলাল
টোল প্লাজায় দুর্ঘটনা: বাসের ব্রেকে সমস্যা ছিল, চালক নেশা করতেন
পাবনার আমিনপুরে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে আগুন, শঙ্কিত পরিবার
দেশে এলো ভিভোর নতুন ফ্ল্যাগশিপ এক্স২০০
বিএনপির দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হলে কাউকে ছাড় নয়: শাহ সুলতান খোকন
সচিবালয়ে অস্থায়ী প্রবেশ পাসের জন্য বিশেষ সেল গঠন
যুদ্ধের দামামা, তালেবানের পাল্টা হামলায় ১৯ পাকিস্তানি সেনা নিহত
ফিরে দেখা ২০২৪: ফুটবলে ঘটনাবহুল বছর
বড় চমক অ্যাপলের, জ্বর ও হার্ট অ্যাটাকের আগেই সতর্ক করবে ইয়ারবাডস
রাস্তাটি সংস্কার করুন
থার্টি ফাস্ট নাইট এবং প্রাসঙ্গিক কথা
ইসলামী শক্তির সম্ভাবনা কতটা
কিশোরগঞ্জে দুই নারীর রহস্যজনক মৃত্যু, গ্রেফতার-১
সাধারণ মানুষের স্বস্তি নিশ্চিত করা জরুরি
দেশের পরিস্থিতি ঠিক না হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা