উত্তরপ্রদেশ সরকারকে কড়া জবাব দিলো সুপ্রিম কোর্ট
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গতকাল স্কুল প্রিন্সিপালের নির্দেশে তার সহপাঠীদের হাতে বারবার চড় মারা সাত বছরের এক মুসলিম শিশুর মামলার তদন্তের জন্য একজন সিনিয়র আইপিএস অফিসারকে নিয়োগ করেছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের নেহা পাবলিক স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি সামনে আসে, যেখানে দেখা যায়, অভিযুক্ত প্রিন্সিপাল তৃপ্ত ত্যাগীর (৬০) ‘নজরদারিতে’ তার শিশুটির সহপাঠীরা পালাক্রমে তাকে চড় মারছে। তাকে শিক্ষার্থীদের ‘আরো জোরে থাপ্পড় মারার’ নির্দেশ দিতেও শোনা যায়। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে শিশুটির বাবা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় তার সন্তান মর্মাহত হয়েছে। তিনি বলেন, আমার সাত বছরের শিশুটিকে এক বা দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন করা হয়েছিল। সে ভয় পেয়েছে। আমরা চাই, আইন তার নিজস্ব নিয়মমাফিক চলুক’।
শীর্ষ আদালত এ ঘটনাকে গুরুতর এবং উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন সরকারকে এ ঘটনায় জড়িত শিশু এবং তার সহপাঠীদের জন্য কাউন্সেলিং সেশন পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছে। আদালত সরকারকে একটি কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দেওয়ার এবং শিশুটির শিক্ষার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেয়ারও নির্দেশ দিয়েছে।
এ মামলায় সরকারের উদাসীন মনোভাবের কথা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলেছে, কেন নির্যাতিতার বাবার বক্তব্য যে ‘তার ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে তার সন্তানকে টার্গেট করা হয়েছিল’ তা এফআইআর কপিতে উল্লেখ করা হয়নি। আদালত আরো বলেছে, ‘এটি মানসম্মত শিক্ষার বিষয়, যার মধ্যে সংবেদনশীল শিক্ষাও অন্তর্ভুক্ত। এটি শিক্ষার অধিকার আইনের বিধানগুলো মেনে চলতে উত্তরপ্রদেশ সরকারের ব্যর্থতার একটি ঘটনা যা জাতি, ধর্ম বা লিঙ্গের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য ছাড়া ১৪ বছর পর্যন্ত শিশুদের মানসম্পন্ন, বিনামূল্যে এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রদানের সাথে সম্পর্কিত।’ মামলাটি ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত প্রিন্সিপাল বলেছিলেন যে, তিনি এ ঘটনায় লজ্জিত নন। কিন্তু এ ঘটনায় ক্রোধ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হওয়ায় তিনি হাত জোড় করে একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেন যে, কথিত ভিডিওটি ‘সাম্প্রদায়িকভাবে কারসাজি’ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি হাত জোড় করে স্বীকার করছি যে, আমি ভুল করেছি। কিন্তু আমার মনে হিন্দু-মুসলিম বিভাজন ছিল না। অনেক মুসলিম শিক্ষার্থীর বাবা-মা স্কুলের ফি বহন করতে পারেন না। আমি তাদের বিনামূল্যে শিক্ষা দিই। মুসলিম শিশুদের নির্যাতন করার কোনো ইচ্ছা আমার ছিল না।’ সূত্র : দ্য সিয়াসাত ডেইলি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
খুশদীলের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রংপুরের আটে আট
বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক দেশের ভিসা
মেডিকেল কলেজে শিক্ষক বাড়ানোর কথা ভাবছে সরকার
ছাত্রদলের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি আজ
গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠনে ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন
অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে তাকিয়ে ইইউ
ভারতের উদ্বেগের মধ্যে হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে পাকিস্তান
সান্ত¡না খুঁজে পাচ্ছেন না, দুই দেশে কলঙ্কিত টিউলিপ
দুর্নীতির মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির কারাদণ্ড
বিদেশে টাকা পাচারের রাজনীতি মানুষ চায় না : পীর সাহেব চরমোনাই
শেখ পরিবারের রক্তের জন্যই দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন টিউলিপ -রিজভী
নামাজ মু’মিনের জন্য মেরাজস্বরূপ
ক্রেডিট কার্ডে বিদেশে বাংলাদেশিদের লেনদেন কমেছে
স্বনির্ভর অর্থনীতির পথে দেশ
বগুড়ার বিমানবন্দর দ্রুত চালুর দাবি
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশকে মানবাধিকার লংঘন বন্ধ করতে হবে : হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
হাজারীবাগের ট্যানারির গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্র দেওয়া জরুরি : নুরুল হক নুর
গণঅভ্যুত্থানের ইশতেহারে বিএনপির ভূমিকা লিখতে হবে : জয়নুল আবদিন
নির্বাচনে রাজনৈতিক নেতাদের পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতি দিতে হবে