‘আরাধনা’ই অর্থপাচার
০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০১ এএম
বিদেশে পাচার হচ্ছে অর্থ। কারা করছেন এই পাচার? নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যমের বদান্যতায় যতকিঞ্চিৎই জানা যাচ্ছে নাম-ধাম। যাদের বিষয়ে জানা যায়, তারা বিখ্যাত (নাকি কুখ্যাত?)। বড় বড় শিল্পপরিবারের নামও উচ্চারিত হচ্ছে অহরহ। কিন্তু সব টাকাই কি পাচার হচ্ছে তাদের হাত ধরে? অখ্যাত, অজ্ঞাত বহু প্রতিষ্ঠানও দেড় দশকের বেশি সময় ধরে আন্ডার ইনভয়েসের মাধ্যমে পাঠিয়েছে বিপুল অর্থ। কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য নয়, রপ্তানি বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচারই যেসব প্রতিষ্ঠানের মূল কাজ। আর এভাবে সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর অগোচরে, কখনওবা সহযোগিতায় দেশ থেকে অর্থপাচার করে আখের গুছিয়েছেন অনেকে। ‘মেসার্স আরাধনা ট্রেডিং অ্যান্ড এক্সপোর্ট’ এমনই এক প্রতিষ্ঠানের নাম। এটির মালিক মোহা. মঞ্জুরুল আলম স্বপন। ‘মেসার্স জী ফ্যাশন ট্রেডিং এক্সপোর্ট ও ইমপোর্ট’ নামে রয়েছে তার আরেকটি প্রতিষ্ঠান। রপ্তানিতে ক্ষেত্রে মিথ্যা ঘোষণা, পণ্য শিফটমেন্টের পর ডকুমেন্টের তথ্য সংশোধন, ওভার ইনভয়েস, আন্ডার ইনভয়েসের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, অর্থপাচারসহ বহুমুখি আর্থিক অপরাধের মাধ্যমে অর্থ লোপাটই প্রতিষ্ঠান ২ টির কাজ। ফলে আন্ডার ইনভয়েসের মাধ্যমে অর্থ পাচারের আরেক নাম হয়ে উঠেছে ‘মেসার্স আরাধনা ট্রেডিং’। ‘আরাধনা’ এবং ‘জী ফ্যাশন’ নামের দুটি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে এক সময়কার নিঃস্ব মঞ্জুরুল আলম স্বপন গত এক দশকে হয়েছেন শত কোটি টাকার মালিক। রাজধানীতেই নামে-বেনামে করেছেন ৬/৭টি বাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট, বাণিজ্যিক ফ্লোরের স্পেস, কারখানা, গোডাউন, দোকান ও বহু গাড়ির মালিক।
মেসার্স আরাধনা ট্রেডিং অ্যান্ড এক্সপোর্টে’র রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে তৈরি পোশাক রফতানি দেখাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে টি-শার্ট, প্যান্ট, নাইটি, বক্সার, শার্ট, ট্রাউজার, লেজেন্স, জ্যাকেট, সেট রয়েছে। যে পরিমাণ পণ্য তিনি রফতানি দেখান, পণ্য শিফটমেন্টের পর সংশোধন করে ডকুমেন্টে দেখান তার ১০ ভাগের এক ভাগ। রফতানির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে দিচ্ছেন কাস্টমসেরই দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তারাই। যে পণ্য রফতানি করছেন, দেশে ফেরত আসছে না আনুপাতিকহারে সেই অর্থ। নামমাত্র অর্থ ফেরত এনে ওই দেশেই রেখে দেয়া হচ্ছে। নিজেরই বেনামি প্রতিষ্ঠান কিংবা কোনো অ্যাকাউন্টে।
‘আরাধনা ট্রেডিং করপোরেশন’র নামে রফতানিকৃত পণ্যের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিপুল সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং অর্থপাচারে কাস্টমস কর্মকর্তাদের রয়েছে সংশ্লিষ্টতা।
২০২২ সালের ৩১ নভেম্বর থেকে চলতি বছর ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০৫টি চালানে বিভিন্ন দেশে পণ্য পাঠায় ‘মেসার্স আরাধনা’। তাতে দেখা যায় ২০২২ সালের ৩১ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটি রফতানি পণ্যের ইনভয়েস করেছে ৫,৩৫২ ডলারের (বিল অব এন্ট্রি নং-সি-৩৪১২২)। অথচ কাগজপত্র জালিয়াতি করে রফতানিকৃত পণ্যের পরিমাণ কম দেখিয়ে সৃষ্টি করে মাত্র ১০০১ ডলারের ভুয়া ডকুমেন্ট। গতবছর ২২ আগস্ট আরাধনা ৬,৫২৭.৭০ মার্কিন ডলারের একটি রফতানি এলসির ইনভয়েস করে। আন্ডার ইনভয়েসে সেটির মূল্য দেখায় (বিল অব এন্ট্রি নং-সি-২৬৭৫৭) ৪৪২১.৬৫ ডলার।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি রফতানির ইনভয়েস করা হয় ৬৪২৩.৭০ ডলারের। আন্ডার ইনভয়েস (বিল অব এন্ট্রি নং-সি-৫১৫২) করা হয়েছে মাত্র ৬৪২.৭০ ডলারের। গত ৬ এপ্রিল ইনভয়েস করা হয়েছে (বিল অব এন্ট্রি নং-সি-৯৩৮৮) ৭১০৩.৭০ ডলারের। আন্ডার ইনভয়েস করে রফতানির পণ্যের মূল্য দেখানো হয়েছে মাত্র ১০০৩ ডলারের।
চলতি বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি পণ্য রফতানির ইনভয়েস করা হয়েছে ৬,৪২৩ মার্কিন ডলারের। কিন্তু ডকুমেন্ট তৈরি করা হয়েছে (বিল অব এন্ট্রি নং-সি-৫৭১০) মাত্র ৬৩৩ ডলারের। এরকম ১০৫টি পণ্য চালানই হচ্ছে তার অর্থপাচারের একেকটি স্বতন্ত্র দলিল। এসব প্রমাণ কাস্টমস গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ছে প্রায়ই। কিন্তু বিশেষ বোঝাপড়ায় প্রতিবারই দায়মুক্তি পাচ্ছে আরাধনা। প্রতিষ্ঠান দু’টির মালিক কি কৌশল এবং কি পরিমাণে অর্থপাচার করছেন তার কিছুটা আন্দাজ করা যায় কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের নথিতে।
যেমন: কমলাপুর কাস্টমস হাউজ (আইসিডি)’র রাজস্ব কর্মকর্তা (রফতানি পরীক্ষণ) সুভাষ চন্দ্র মজুমদার ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো: আব্দুল হান্নান আরাধনা ট্রেডিং করপোরেশনের বহু ভুয়া এক্সামিনেশন রিপোর্ট ইস্যু করেছেন। দাখিলকৃত কাগজপত্র ভুয়া জেনেও আরাধনা ট্রেডিং অ্যান্ড এক্সপোর্টের প্রতিটি বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে এক্সামিনেশন রিপোর্ট দিয়েছেন কমলাপুর আইসিডিতে কর্মরত রেভিনিউ অফিসার মনিরুজ্জামান (ফারুকী), সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো: শাহাদাত হোসেন, মনজুরুল আমিন, রাজস্ব কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দা বুসরাত জাহান আরাধনা ট্রেডিংয়ের অর্থ আত্মসাৎ, জালিয়াতি এবং অর্থপাচারে সরাসরি যুক্ত।
রেকর্ডপত্র বলছে, চলতি বছর ৭ মে একটি এক্সামিনেশন রিপোর্ট দেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আমিন। একই তারিখে এতে স্বাক্ষর করেন রাজস্ব কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান ফারুকী। রিপোর্টে তারা উল্লেখ করেন, ‘(র: প: ) মহোদয়ের নির্দেশক্রমে অএ বি/ই নং- ই/ঊ ঘঙ: ঈ-১১৯৭৪, উধঃব: ০৬.০৫.২০২৩ মোতাবেক পণ্যের পরিমাণ ৬৭৬ ইঅএ=২৭২৭ উত=৩২৭২৪ চঈঝ, জ/এ-(ঞ-ঝঐওজঞ চঅঘঞ, খঙঘএ চঅঘঞ, ঝঐওজঞ, ঊঞঈ), ০৫% পরীক্ষা করিয়া ওঘঠঙওঈঊ ্ চঅঈকওঘএ খওঝঞ মোতাবেক মালামাল ওঈউ তে সঠিক পাওয়া যায়। যাহার ঈঙঘঞঅওঘঊজ ঘঙ: গঝকট-৯৬৫৭১৪১/৪০ তে মালামাল ভর্তি করিয়া ঝঊঅখ ঘঙ: গখ-ইউ-০০৫২৪৩৯ দ্বারা সিলবদ্ধ করিয়া আইসিডি কমলাপুর ঢাকা হাইতে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে জাহাজযোগে টঅঊ তে রফতানির অনুমতি দেয়া যেতে পারে।
একইভাবে গতবছর ২৩ মার্চ রাজস্ব কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র মজুমদার এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো: আব্দুল হান্নান আরাধনার বিষয়ে একটি এক্সামিনেশন রিপোর্ট ইস্যু করেন। তাতে বলা হয়, ‘আর. ও মহোদয়ের নির্দেশক্রমে অত্র বিল অব এক্সপোর্ট নং-সি-৯৩৩৪, তারিখ-২১.০৩.২০২২ মোতাবেক পণ্যের পরিমাণ ৪৪৫ কার্টন=৪৬০৭ ডজনের স্থলে ৬৫৫ কার্টন=৪৬০.৭ ডজন (জগএ-ঔটঞ ঙটঞ ্ ঞঅঘক-ঞঙচ) ০৫% পরীক্ষা করিয়া ওঘঠঙওঈঊ ্ চঅকওঘএ খওঝঞ মোতাবেক মালামাল ওঈউ তে সঠিক পাওয়া যায়। যাহার ঈঙঘঞঅওঘঊজ ঘঙ: ঈততট-৯৮৩৯৫৫৯/৪০ তে মালামাল ভর্তি করিয়া ঝঊঅখ ঘঙ: ইঝঈঐ-১১২৪ দ্বারা সিলবদ্ধ করিয়া আইসিডি কমলাপুর ঢাকা হইতে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে জাহাজযোগে ছঅঞঅজ তে রফতানির অনুমতি দেয়া যেতে পারে।
এরকম শত শত মিথ্যা এক্সামিশনেশন রিপোর্ট ইস্যু করা হয়েছে কমলাপুর আইসিডি’র কাস্টমস থেকে। বিনিময়ে মেসার্স আরাধনা এবং মেসার্স জী ফ্যাশন’র কাছ থেকে তারা নজরানা পেয়েছেন লাখ লাখ টাকা। একইভাবে চট্টগ্রাম কাস্টমসেও রয়েছে শত শত ভুয়া এক্সামিনেশন রিপোর্ট।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কমলাপুর আইসিডি’র রাজস্ব কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম বলেন, আমি লিভে আছি। বর্তমানে আমি ওই দায়িত্বে নেই। এখন যারা ওই চেয়ারে আছেন তারাই এর জবাব দিতে পারবেন। একই প্রশ্নের জবাবে রাজস্ব কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান ফারুকী বলেন, আমি অসুস্থ। রেস্টে আছি। কাগজপত্র না দেখে এ বিষয়ে কথা বলতে পারব না।
অবৈধ সম্পদের পাহাড় : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)’র একটি রেকর্ড থেকে জানা যায়, অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির মনজুরুল আলম স্বপন শুধুমাত্র রফতানির আড়ালে অর্থপাচারের মাধ্যমেই বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। সরকারি অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে হয়েছেন শত শত কোটি টাকার মালিক। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে একাধিক সংস্থা তার বিরুদ্ধে এখন তদন্ত পরিচালনা করছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, রাজধানীর আরামবাগ কনকর্ড টাওয়ার (৫ম তলা) কালভার্ট রোডে রয়েছে বিশাল অফিস। ‘লিয়াজো অফিস’ হিসেবে ব্যবহার করছেন ১০/১০, আরামবাগ, মতিঝিলের বাণিজ্যিক স্পেস। ২৯২, ইনার সার্কুলার রোড, ফকিরাপুল, ঢাকা হচ্ছে তার প্রধান কার্যালয়। আরাধনা ও জি ফ্যাশনের ফ্যাক্টরির অবস্থানÑ ‘আল্লাহ মঞ্জিল’, ২৪৫, মাতুয়াইল মেডিক্যাল রোড, শহীদনগর, ঢাকা। এর বাইরেও ঢাকায় করেছেন আরও ৬/৭টি বাড়ি। এসব থেকে তিনি মাসে ভাড়া তোলেন অন্তত ৫০ লাখ টাকা। স্ত্রী ও সন্তানদের নামে আল-ফালাহ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছে ২০ কোটি টাকার এফডিআর। রাজধানীর মানিকনগরে ১৬ কাঠার প্লট। যার বাজার মূল্য অন্তত ৪০ কোটি টাকা। মাতুয়াইল মেডিক্যাল রোডে ৫ তলা বাড়ি। এর মূল্য প্রায় ১৮ কোটি টাকা। এটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। তবে তার ব্যক্তিগত আয়কর নথিতে তার অধিকাংশ সম্পদের তথ্যই গোপন করা হয়েছে। আন্ডার ইনভয়েসের মাধ্যমে অর্থপাচার ও শূন্য থেকে শত কোটি টাকার মালিক হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মনজুরুল আলম স্বপন বলেন, আমি একটু দূরে আছি। আপনার সঙ্গে সাক্ষাতে কথা বলব।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইস্তাম্বুলে শুরু হলো ফিলিস্তিনি আন্তর্জাতিক মিডিয়া ফোরাম 'তাওয়াসুল'
বিএসএফ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে : লে. কর্নেল কিবরিয়া
যুদ্ধবিরতির প্রতীক্ষায় গাজার ফিলিস্তিনিরা, নিহত ৪৭ হাজার ছুঁই ছুঁই
এক সপ্তাহে মসজিদে নববীতে ৫৪ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
ধর্ম নিয়ে তাচ্ছিল্যকারীদের বিরুদ্ধে জিহাদের ডাক দিলেন আজহারী
‘মা’ দেশ স্বাধীন করেছি- মৃত্যু শয্যায় শহীদ সাব্বির
নাইজেরিয়ায় পেট্রোল ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ৭০
লাল সন্ত্রাসের ঘোষণা : মেঘমল্লার বসুর শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ
চুয়াডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহাবুল হককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম
বিএনপিতে কোন সন্ত্রাসীর ঠাঁই হবে না: শামসুজ্জামান দুদু
মধ্যরাতে জাবির ছাত্রী হলের রুম থেকে লালন ভক্ত যুবক আটক
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান
ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল
অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের
গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা
রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি
বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান