হেফাজত আমিরের সাম্প্রতিক মন্তব্যে জামায়াতের নেতৃত্বে জোট গঠনে ধাক্কা
০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম
সম্প্রতি (২৫ অক্টোবর) ফেনীর মিজান ময়দানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর দেয়া ‘জামায়াত মদিনার ইসলাম নয়; মওদুদির ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চায়’ শীর্ষক মন্তব্যে জামায়াতের নেতৃত্বে ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে জোট গঠনে প্রাথমিক ধাক্কা লেগেছে বলে প্রতিভাত হচ্ছে। হেফাজত আমিরের এ বিস্ফোরক মন্তব্যের পর গত ২৯ অক্টোবর জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমির শাহজাহান চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ফটিকছড়ির বাবুনগর মাদরাসায় হেফাজত আমিরের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়ে ‘এই মুহূর্তে এ ধরনের মন্তব্য না করতে ওনাকে অনুরোধ করায়’ বিষয়টি আরো প্রকাশ্যে চলে আসে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। ইসলামী অঙ্গনের অন্দর মহলে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ বৈঠক নিয়ে গত ৩০ অক্টোবর হেফাজত আমির পরিচালিত বাবুনগর মাদরাসা শিক্ষক ও নাতনি জামাই মাওলানা ফরিদুল আলম আমিনী কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া একটি স্ট্যাটাস আরো খোলাসা করে দিয়েছে বিষয়টি।
তার স্ট্যাটাসটি ছিল এ রকমÑ ‘একটি তিক্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী’ গতকাল ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার সময় জামিয়া বাবুনগরে একটি গুরুত্বপূর্ণ মজলিস বসে। কাকতালীয় সে বৈঠক সম্পর্কে কারো প্রস্তুতি ছিল না। মূলত গত ২৫ অক্টোবর ফেনীর মিজান ময়দানে হেফাজতের উদ্যোগে আয়োজিত মহাসম্মেলনে আমিরে হেফাজত মুজাহিদে মিল্লাত আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী হাফিজাহুল্লাহ সময়ের অতীব প্রয়োজনীয় যদিও তিক্ত একটি মহাসত্য অত্যন্ত সাহসিকতা ও বাস্তবতার নিরিখে ঘোষণা দেন যে, জামায়াতে ইসলামীকে ওলামায়ে দেওবন্দ ইসলামী দল মনে করে না। আমিরে হেফাজতের এই দুঃসাহসিক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সারা দেশের কিছু দেওবন্দী চেতনা তথা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের বিরোধী মানস্পটে মারাত্মকভাবে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রাম সাতকানিয়ার সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীর নেতৃত্বে আমিরে হেফাজতের সাক্ষাতে মিলিত হন।
তারা সম্প্রতি জামায়াতের সাথে ঐক্য প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত কিছু আলেমের নাম মেনশন করে তার বিপরীতে আমিরে হেফাজতের বক্তব্যের হাল হাকিকত, যথার্থতা জানতে চান। আমিরে হেফাজত বলেন, আমি আমার শায়খ ও মুরশিদ শায়খুল ইসলাম হজরত হুসাইন আহমদ মাদানী রাহিমাহুল্লাহর জবানে সরাসরি একাধিকবার উপরোক্ত কথাগুলো শুনেছি, যা আমরা সব দেওবন্দী ওলামায়ে কেরাম মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। এতে তারা জানতে চান যে, হজরত মাদানী রাহিমাহুল্লাহর আরো অনেক শাগরিদ ও খলিফা এমন রয়েছেন যারা জামায়াতে ইসলামী বা মাওলানা মওদুদী রাহিমাহুল্লাহর সাথে কাজ করেছেন, সহযোগিতা করেছেন।
তখন আমিরে হেফাজত বললেন, আমি যখন দেওবন্দ যাই তখন হজরত মাদানী রাহিমাহুল্লাহর প্রায় শেষ অবস্থা। মাওলানা মওদুদীর সাথে প্রথম দিকে হজরত মাদানী রাহিমাহুল্লাহর ভালো সম্পর্ক ছিল, সাথে আরো অনেক দেওবন্দী ওলামায়ে কেরামের সাথে সুসম্পন্ন ছিল। যেমন মাওলানা মনজুর নোমানী (রাহ.), মাওলানা সাইয়িদ আবুল হাসান আলী নদভী (রাহ.) প্রমুখ। তবে মাওলানা মওদুদীর সাথে ওলামায়ে দেওবন্দের সম্পর্কের গভীরতায় মাওলানা মওদুদীর অনেক হাকিকত ও দ্বীনী মুদাহানাত, গোমরাহি ধরা পড়ে। প্রায়জন শেষ পর্যন্ত মাওলানা মওদুদীর জামায়াত থেকে বেরিয়ে আসেন। সুতরাং হজরত মাদানী রাহিমাহুল্লাহর শুরুর দিকে অনেক খুলাফা, মুরিদান হয়তো সে সুবাদে তার সাথে সুসম্পর্ক রাখতেন। আর মানুষের শেষ অবস্থানই আসল।
আমিরে হেফাজত বরাবরের মতো তার দৃঢ়চেতা মনোবল ও আকিদার প্রশ্নে অটুট থাকেন। এতে তারা বিভিন্ন ছলচাতুরির আশ্রয় নেন। তারা বারবার এ কথা খুব দৃঢ়তার সাথে বুঝাতে থাকেন যে, সত্তর বছরের ইতিহাসে এভাবে কোনো দেওবন্দী আলেম জনসমক্ষে এ রকম কথা বলেননি, যা আপনি বলেছেন। তখন আমিরে হেফাজত বললেন, বিষয়টি আসলে তেমন নয়। যুগে যুগে হক্কানি ওলামায়ে দেওবন্দ তাদের বক্তব্য, লেখনী ও নানা মাধ্যমে মওদুদীর গোমরাহি সম্পর্কে জাতিকে সতর্ক করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমার এ অবস্থান। তখন উনারা এ কথা ঘুরেফিরে বলতে থাকেন যে, জামায়াতের সাথে অতীতে অনেক দেওবন্দী আলেমদের সাথে সুসম্পর্ক বা জোট গঠন হয়েছিল। যেমন শায়খুল হাদিস আজিজুল হক (রাহ.), মুফতি ফজলুল হক আমিনী (রাহ.), মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (রাহ.) প্রমুখ।
বিগত সময়ে আমিরে হেফাজত আল্লামা আহমদ শফী (রাহ.), আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী (রাহ.) ও হাল জমানার হেফাজত নেতাদের সাথে সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন। তখন আমিরে হেফাজত বলেন, এসব সম্পর্ক অতীতেও ছিল, এখনো আছে, হয়তো আগামীতেও থাকবে। কারণ এগুলো ভূ-রাজনৈতিক বা সময়ের সমীকরণে সম্পর্ক, আকিদাগত সম্পর্ক বা জোট নয়।
মেহমানবৃন্দ বারবার জানতে চান যে, আপনাদের সাথে আমাদের বিরোধ কোথায়? তখন জামিয়া বাবুনগরের সম্মানিত শায়খুল হাদিস ও প্রধান মুফতি আল্লামা মুফতি মাহমূদ হাসান হাফিজাহুল্লাহ বলেন, বিরোধ মূলত কিছু ঈমানকেন্দ্রিক আকিদাগত বিষয়ে। যেমনÑ ইসমতে আম্বিয়া, মিয়ারে হক ইত্যাদি। তখন উনারা বলেন, এগুলো সত্তর বছরের মীমাংসিত ইস্যু। তখন হজরত মুফতি সাহেব হুজুর, জামিয়ার নায়েবে মুহতামিম সাহেব হুজুর ও বিশিষ্ট মুহাদ্দিস হজরত মুফতি মীর হুসাইন রামগড়ি হুজর বললেন, যদি সত্যিকারে আপনারা ঘোষণা দেন, মাওলানা মওদুদীর গোমরাহি আকিদার সাথে জামায়াতে ইসলামী একমত নন, তাহলে তো আর কোনো বিরোধ থাকে না বা আপনাদের সাথে ঐক্য হওয়ার পথে কোনো বাধা, বিপত্তি থাকে না।
তখন তারা বলেন, আমরা আপনাদের সাথে মুনাযারা বা তর্ক করার জন্য আসিনি; বরং আমরা হুজুরের নিকট দোয়া নিতে এসেছি। যখন হুজুরদের পক্ষ থেকে বলা হলো, আপনারা মুখে মওদুদীর আকিদার কথা না মানার কথা বলেছেন, বাস্তবতা তার বিপরীত। কারণ মাওলানা মওদুদী জামায়াতের ফাউন্ডার ফাদার বা প্রতিষ্ঠাতা। তখন মেহমানবৃন্দ বলেন, জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা একজন নন বরং পঁচাত্তর জন। তাদের সবার চিন্তা, চেতনায় জামায়াতের উদ্ভব ঘটে। এক কথায় হুজুরদের পক্ষ থেকে যতবার উনাদের আকিদাগত ত্রুটি তুলে ধরা হয় উনারা বলেন, আমরা বাহাসের জন্য আসিনি। অথচ উনারা মাওলানা মরহুম কারি ইলিয়াছ সাহেবের লিখিত কিতাব মাওলানা মওদুদী ওলামায়ে দেওবন্দ কি নজর মে কিতাবটিসহ আরো বই সাথে নিয়ে আসেন।
এ প্রথম জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে সরাসরি কোনো মজলিস। যেখান থেকে বুঝলাম তারা রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট পরিপক্ব ও রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিতে ওস্তাদ। তবে আকিদাগতভাবে কাঙাল। তাদের একটি দিক আমার ভালো লেগেছ, সেটি হলো শাহজাহান চৌধুরী যখন কথা বলেন তখন তারা সবাই নিশ্চুপ থাকেন। সবচে কয়েকটি ভাবনার বিষয় হলো, তারা দীর্ঘ ইতিহাস ফিরিস্তি তুলে ধরেও আমিরে হেফাজতের দৃঢ় মনোবলের কাছে ধরাশায়ী হলেন। আরো অনেকের মতো তারাও ভাব দেখিয়ে আমিরে হেফাজতের আখলাকে হাসানাহর কাছে পরাজিত হন (তিনি যেহেতু কুরাইশি গোত্রের উত্তরাধিকারী, তাই উচ্চ আখলাকে হাসানাহ ও তাওহিদে খালেসের ব্যাপারে তিনি অটল থাকেন।
তারা হয়তো মনে করেছেন যে, আমিরে হেফাজত এরকম বক্তব্য কারো কানাঘুষা বা প্ররোচনায় প্ররোচিত হয়ে প্রদান করেছেন, আশা করি পরিশেষে তারা বুঝতে সক্ষম হন যে, তিনি কারো ফাঁদে পা দিয়ে নয়; বরং নিজের দৃঢ় অবস্থান থেকে এমন বক্তব্য দিয়েছেন। বাংলাদেশে বর্তমানে কওমি অঙ্গনে যে সব মুরুব্বি দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ, অধিক আকাবিরের দেওবন্দের সুহবতপ্রাপ্ত, সবচেয়ে আহলে ইলম ওয়াত তাকওয়া, বিজ্ঞ, প্রাজ্ঞ হচ্ছেন আমিরে হেফাজত। তিনি শুধু বয়সের দিকে সবার বড় নন, বরং ইলম, হিলম, আমল, তাকওয়া, তাহারাত, যুহদ, আখলাকে হাসানাহর, বিজ্ঞতা, প্রাজ্ঞতা ও অভিজ্ঞতার বিচারেও সবার শীর্ষে। সুতরাং এ সাক্ষাত সংক্রান্ত কোনো বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।’
স্ট্যাটাসটির সত্যতা নিশ্চিতে গত বুধবার বিকেলে ফরিদুল আলম আমিনীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন ‘আমি আমার দেয়া স্ট্যাটাসে অবিচল আছি। ওই বৈঠকে আমি মাঝ সময় থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত ছিলাম। তারই আলোকে আমি তা সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করেছি।’
‘জামায়াত মদিনার ইসলাম নয়; মওদুদীর ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চায়’ সাম্প্রতিক এ মন্তব্য নিয়ে হেফাজত আমিরের সাথে গত বুধবার বিকেলে এ প্রতিবেদক দেখা করলে তিনি একান্ত আলাপচারিতায় আরো ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, জামায়াতের সাথে আমার কোনো রাজনৈতিক বা অন্য কোনো বিরোধ নেই। আমি বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক দলেও নেই। এক সময় মুফতি ফজলুল হক আমিনীর নেতৃত্বে আমরা কওমি অঙ্গনে কাজ করা রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে ইসলামী ঐক্যজোট গঠন এবং বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটও গঠন করি। তা ছিল রাজনৈতিক কৌশলগত; আকিদাগতভাবে জামায়াতের সাথে আমাদের ঐক্য কখনোই ছিল না।
মূলত ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে উপমহাদেশে অগ্রভাগে নেতৃত্ব দেন মাওলানা হোসাইন আহমদ মাদানী। কিন্তু দেশ স্বাধীনের সময় জিন্নাহর দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান আলাদা হয়ে যায়। তারও ১৫-১৬ বছর পর আমি পাকিস্তান থেকে ভারতের দেওবন্দে পড়তে যাই। সেখানে মাওলানা হোসাইন আহমদ মাদানী আমার সরাসরি শিক্ষক ছিলেন। এক দিন আমার শায়খের কাছে নেজামে ইসলাম পার্টির প্রধান মাওলানা আতাহার আলী পরামর্শ নিতে যান যে, মওদুদীর নেতৃত্বাধীন জামায়াতের সঙ্গে আমরা নির্বাচনী জোট গঠন করতে পারি কিনা? এ সময় মাওলানা আতাহার আলীকে মাওলানা মাদানী পাল্টা প্রশ্ন করেন ‘জামায়াতে ইসলামী এবং নেজামে ইসলাম পাটি একি নীতিতে বিশ^াসী কিনা? তখন আতাহার আলী বললেন না।
মাদানী ছাহেব বললেন, তাহলে ঐক্য কিসের ভিত্তিতে? মওদুদী যেহেতু সাহাবি এবং ইজমা-কিয়াস মানে নাÑ সেহেতু তার সাথে ঐক্য হতে পারে না। তারই আলোকে আমি রেফারেন্স হিসেবে বলেছি ‘জামায়াত মদিনার ইসলাম চায় না; মওদুদীর ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চায়’।
ইনকিলাব সম্পাদক গত মঙ্গলবার তার এক সভায় আমার এ বক্তব্য সমর্থন করায় আমি তাকেও আন্তরিক মোবারকবাদ জানাই। জামায়াতের বর্তমান নেতৃত্বে কোনো আলেম নেই। আমির চিকিৎসক আর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক। এদের দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা বা ব্যাখ্যা প্রদান কেমনে সম্ভব? এরপর বলি, নেজামে ইসলাম পার্টি যুক্তফ্রন্টের সাথে নির্বাচনে গিয়ে প্রাদেশিক ৩৫টি এবং কেন্দ্রীয় ১৫টি আসনে জিতে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের ব্যাপার সেই নেজামে ইসলাম পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা ছিদ্দিক আহমদ নিষিদ্ধ জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুর রহিমের সাথে মিলে আইডিএল করে শেষ হয়ে গেছে।
বলতে গেলে, ‘জামায়াতের সাথে ঐক্যের কারণেই নেজামে ইসলাম পার্টি এখন বিলুপ্তপ্রায়’! তারা কিংবা কওমি অঙ্গনে কাজ করা অন্যান্য দলগুলো যদি জামায়াতের সাথে ঐক্য করে তবে একি দশা হবে তাদেরও। আমি স্পষ্টভাষী মানুষ। কেউ যদি হেফাজতকে ছায়া হিসেবে নিয়ে জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য করে হুকুমতে যেতে চায়Ñ তাতে আমি নেই। হেফাজত কারো ক্ষমতার সিঁড়ি হবে না। আমরা রাজনৈতিক দল না। কাউকে সমর্থনও করতে পারি না। হ্যাঁ; জামায়াত একটি ভালো রাজনৈতিক দল মনে করলে জনগণ তাদের ভোট দিতে পারে। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে হেফাজত আমির আল্লামা শাহ মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, আওয়ামী লীগের সাথে আমাদের কোনো বিরোধ ছিল না। তারা মানুষের উপর জুলুম-অত্যাচার করেছে। নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নির্বিচারে মানুষ মেরেছে। শাপলা চত্বরে আমাদের রক্ত রঞ্জিত করেছে। শত শত আলেম-তলাবা শহীদ করেছে। সব দখল করেছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাজারো মানুষ হত্যা করে অবশেষে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। আল্লাহ মহাপরিকল্পনাকারী। তার কাছে ছাড় পায়নি। এরকম জঘন্য শাসক আর ক্ষমতায় আসতে দেয়া উচিত না। তাদের থেকে সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে।
যেভাবে ষড়যন্ত্র চলছে; সতর্ক থাকতে হবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সুযোগ দিতে হবে। তাকেও খেয়াল রাখতে হবে অপশক্তি আবার যেন দেশে আসতে না পারে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহত আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি
কষ্টে ফলো-অন এড়ালো বাংলাদেশ
এবার তেল আবিবে হিজবুল্লাহর ২৫০ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
পিটিআইয়ের বিক্ষোভের ডাক,লকডাউন ইসলামাবাদে
জাবিতে অটোরিকশার ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সন্দেহভাজন রিকশা চালক আটক
আজ কিশোরগঞ্জের দানবীর, শিক্ষানুরাগী ওয়ালী নেওয়াজ খান এর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী
'দুর্বল' দলের বিপক্ষে পয়েন্ট হারাল ইউনাইটেড
সালাহর জোড়া গোলে লিভারপুলের জয়
গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত
কুরস্ক অঞ্চলের ৪০ ভাগ খোয়ানোর স্বীকারোক্তি ইউক্রেনের
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ চীনের সাথে কাজ করতে আগ্রহী: বাণিজ্য উপদেষ্টা
হাজীদের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ধর্ম উপদেষ্টা ড. খালিদ হোসেন
শরীয়তপুরে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ কর্মী সভা
মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় সিকিউরিটি গার্ড নিহত
পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল জিম্বাবুয়ে
১৫ দিন রিমান্ড শেষে কারাগারে আব্দুর রাজ্জাক
লক্ষ্মীপুরে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৫০ জন
নির্বাচিত সরকারই দেশকে পুনর্গঠন করতে পারে : তারেক রহমান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটিতে অচেনা ৭ জন
মৌলভীবাজারে কৃষি ও প্রযুক্তি মেলা শুরু