ঢাকা   শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ : মাঠ প্রশাসনে অস্থিরতা প্রতিরোধে পদোন্নতি ৩ মাসে ৮০ কর্মকর্তাকে ওএসডি, ১০১ জনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল

বিতর্কিত ভোটের আয়োজকদের বিচার হচ্ছে

Daily Inqilab পঞ্চায়েত হাবিব

১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম

ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের তিনটি নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত মাঠ প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করা বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, এডিসি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনা এবং জেলা-উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গত তিন মাসেও ব্যবস্থা নিতে পারেনি অন্তর্বকীলীন সরকার। এসব কর্মকর্তারা এখনো প্রশাসনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করে আছেন। আবার অনেকেই ভালো ভালো মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতি পেতে দায়িত্ব পালন করছেন।
মাঠ দায়িত্ব পালন করে আসা অনেক ডিসি সঠিকভাবে সরকারের নিদেশনা বাস্তবায়ন করতে পারছে না। এ কারণে মাঠ প্রশাসনে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। এ অস্থিরতা প্রতিরোধে নতুন পদোন্নতি দেয়া প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। মাঝেমধ্যে কোনো কোনো ঘটনায় সে অস্থিরতা সামনে চলে আসে। সময়ের ব্যবধানে আবার তলিয়ে যায়। তবে এবারের ঘটনাটি রীতিমতো বিস্ফোরণমূখ। বর্তমান অন্তর্বকালীন সরকার আমলে নিয়োগ পাওয়া অনেক ডিসিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের কাজ শেষ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। নতুন পদোন্নতি প্রক্রিয়া শুরু হলে তাদের প্রত্যাহার করা হবে বলে জনপ্রশাসন থেকে নিশ্চিত করেছে। গত তিন মাসে সহকারী সচিব থেকে সিনিয়র সচিব পর্যন্ত ৮০ জন কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। একই সঙ্গে ১০১ জন কর্মকর্তার চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। মাঠ প্রশাসনে এই নাজুক পরিস্থিতি একদিনে তৈরি হয়নি। এর বীজও অনেক গভীরে প্রোথিত। তৃণমূল পর্যায়ের আমলারা সেই ক্ষমতার ভারসাম্য রাখতে পারছেন না। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে কর্মরত আমলাদের মধ্যে এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতির প্রভাব বহমান। সব মিলিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাসে মোট ৫০১ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। যদিও গত ১৫ বছরে বঞ্চিত ব্যক্তিদের পাশাপাশি বঞ্চিত সেজে কিছু সুবিধাভোগী কর্মকর্তাও পদোন্নতি পেয়েছেন। এছাড়া প্রশাসনে বঞ্চিতদের পদোন্নতি দিতে গতকাল রোববার এসএসবির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল করে। যাতে প্রশাসনের কাজে স্থবিরতা দেখা না দেয়। কাজে গতি আসে। কিন্তু এবার অন্তর্বর্তীকলীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল করতে পারেনি।

গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গত তিন মাসের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়,অন্তর্বতীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত তিন মাসে সহকারী সচিব থেকে সিনিয়র সচিব পর্যন্ত ৮০ জন কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। একই সঙ্গে ১০১ জন কর্মকর্তার চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়। গত ৩ মাসে (আগস্ট-অক্টোবর) সিনিয়র সচিব/সচিব পদে ১২ জন, গ্রেড-১ পদে ৩ জন, অতিরিক্ত সচিব পদে ১৩৫ জন, যুগ্মসচিব পদে ২২৬ জন, উপসচিব পদে ১২৫ জন, অন্যান্য ক্যাডারে ২২১ জন, সিনিয়র সহকারী সচিব (নন-ক্যাডার) পদে ৯ জন এবং সহকারী সচিব (নন-ক্যাডার) পদে ৩৭ জনসহ সর্বমোট ৭৬৮ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এ সময়ে চারজন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত তিন মাসে সহকারী সচিব থেকে সিনিয়র সচিব/সচিব পর্যায় পর্যন্ত ৮০ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে। এ সময়ে ১০১ জন কর্মকর্তার চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। সাতজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গত আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে সর্বমোট এক হাজার ৮৭০ জনকে বদলি করা হয়েছে। ৬৫ জনকে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের তিনটি নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত থাকা মাঠ প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করা বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, এডিসি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনা এবং জেলা-উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা প্রতিবদনে বলা হয়নি। প্রশাসনে কর্মকর্তাদের কারণে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বিব্রত হতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস-উর-রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারের তিন মাসের অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এ গুলো দেখেন আমরা কি কি পদক্ষেপ নিয়েছি। আগামীতে আরো কিছু পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত সরকারের তিনটি নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, এডিসি,ইউএনও এবং সহকারি কমিশনার ও জেলা-উপজেলা নিবার্চন কর্মকর্তারদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে যারা এখনো চাকরিতে আছেন, তাদের পদোন্নতি পেতে বেগ পেতে হবে। স্থানীয় সরকার সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয় গত ৬ অক্টোবর। এক মাস পেরিয়ে গেলেও এ মন্ত্রণালয়ে সচিব নিয়োগ হয়নি। এ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম নিয়মিত (রুটিন) কাজ করে যাচ্ছেন। তিন মাস ধরে গ্রামীণ রাস্তা সংস্কারের কাজ প্রায় স্থবির। সারা দেশে এক হাজার ৪১৬ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পলাতক। দেশে ৪ হাজার ৫৮০ ইউনিয়ন পরিষদ চলবে কীভাবে, সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। এ ছাড়া সংস্কৃতি, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের পদ খালি। ইতোমধ্যে সাবেক সমাজকল্যাণ সচিব মো. ইসমাইল হোসেনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। গত ১৪ সালের নির্বাচনের সময় চাঁদপুরের ডিসি ছিলেন। সাবেক ডিসিদের মধ্যে অনেক কর্মকর্তাকেই ইসমাইল হোসেনের মতো ভাগ্যবরণ করতে হতে পারে। অনেককে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে রাখা হয়েছে, যারা ভোটের সময় ডিসির দায়িত্ব পালন করেছেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ তিন মাস পেরিয়ে গেলেও প্রশাসনে শৃঙ্খলা ও গতি আসেনি।ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে চুক্তিতে থাকা কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাতিল করলেও বর্তমান সরকার নিজেরাই একের পর এক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে চলেছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব পদ খালি। তিনটি মন্ত্রণালয়ের সচিব পদ শূন্য। প্রশাসনে বড় কোনো সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। যা হচ্ছে নিয়মিত (রুটিন) কাজ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে ঘোষণা দিয়েছিল, চুক্তিতে থাকা সব কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করা হবে। গত তিন মাসে ১০১ কর্মকর্তার চুক্তি বাতিল হয়েছে, যাঁরা শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তবে একই সময়ে ৬৫ জন কর্মকর্তাকে চুক্তিতে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ ১২ মন্ত্রণালয়ে দুই বছর মেয়াদে সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে চুক্তিভিত্তিক। এ ছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন পদে, কৃষি, বিটিআরসি, সিটি করপোরেশনেও চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ সময় সহকারী সচিব থেকে জ্যেষ্ঠ সচিব পর্যন্ত মোট ৮০ জন কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ছয় থেকে আট বছর আগে যেসব কর্মকর্তা সরকারি চাকরি থেকে অবসরে গেছেন, তাঁদের চুক্তিতে সচিব পদে বসানো হচ্ছে। বয়সের ভারে তাঁদের অনেকে শারীরিকভাবে অসুস্থ। আবার তাঁদের সঙ্গে বর্তমান কর্মকর্তাদের যোগাযোগ নেই। প্রশাসনের অনেক কিছু তাঁদের অজানা, অনেক কর্মকর্তাকে তাঁরা চেনেন না। এ কারণে সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ভোটের সময় জেলা প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব পালনকারীরা দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান লঙ্ঘন করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন। তারা ফ্যাসিবাদীদের সর্বাত্মক সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা স্বৈরাচারী সরকারে ক্ষমতা প্রলম্বিত করতে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছেন।এখনো প্রশাসনে তাদের সুদৃঢ় অবস্থান নিয়ে অনেক কর্মকর্তার মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম মনে করছে, স্বৈরাচার ও স্বৈরাচারের দোসর সাবেক ডিসিরা দেশদ্রোহিতার অপরাধ করেছেন। তাদের চাকরি থেকে অপসারণ করে সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। একই দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনেস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ)।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের আহ্বায়ক এবিএম আব্দুস সাত্তার ইনকিলাবকে বলেন, বিগত সরকারের জোরজবরদস্তির নির্বাচনে যারা জড়িত ছিলেন, তারা শুধু গণতন্ত্রকেই হত্যা করেননি বরং রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ করেছেন। বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম শুরু থেকে সরকারের কাছে তাদের চাকরি থেকে অপসারণসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, দু-একজন ছাড়া কারও বিরুদ্ধে সরকার উল্লেখ করার মতো তেমন কোনো ব্যবস্থা এখনো নেয়নি। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ছিল গণতন্ত্র হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হচ্ছে-তারা প্রশাসনে সুদৃঢ় অবস্থান নিয়ে সরকারকে বিব্রত করছে। এটা জাতির সঙ্গে একধরনের উপহাস করা হচ্ছে। আমরা আবারও দাবি করছি, তারা যেখানেই থাকুক, তাদের চাকরিচ্যুত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে আইনের আওতায় আনা হোক। সরকারের কাছে তাদের তালিকা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ) সভাপতি ড. আনোয়ার উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, যারা বিগত সরকারের আমলে নির্বাচনে জাল-জালিয়াতিতে সহায়তা করেছেন। তারা সরকারি কর্মকর্তা হয়েও অপরাধের প্রতিবাদ করেননি। বরং অন্যায়কে সমর্থন করেছেন। এসব অপকর্ম করে তারা স্বৈরাচারী সরকারের কাছে থেকে পুরস্কার নিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। জনগণও দেখবে ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে কেউ পার পায় না।

গত নির্বাচনের সময় লালমনিরহাটের ডিসি ছিলেন মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে কাউকে জিতিয়ে দেওয়ার কোনো নির্দেশনা সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশন থেকে পাইনি। নির্বাচনে বড় রাজনৈতিক দলগুলো অংশ না নেওয়ায় কোনো ধরনের অর্থপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না। সুতরাং যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই নেই, সেখানে কাউকে জেতানো কিংবা হারানোর কাজের কোনো দরকার হয় না। নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ অবান্তর ও ভিত্তিহীন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন দিয়ে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন এবং উল্লিখিত সময়ে পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন বা অন্য কোনো বঞ্চনার শিকার হয়েছেন এমন কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনাপূর্বক যথাযথ সুপারিশ প্রণয়নের জন্য সরকার কর্তৃক কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কমিটি ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে। বিভাগীয় কমিশনার পদে কর্মকর্তা নিয়োগ/বদলি ৪ জন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার পদে কর্মকর্তা নিয়োগ/বদলি ৩ জন, জেলা প্রশাসক পদে কর্মকর্তা নিয়োগ/বদলি ৫৯ জন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে কর্মকর্তা নিয়োগ/বদলি ১১৮ জন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে কর্মকর্তা নিয়োগ/বদলি ১৬৫ জন, জেলা প্রশাসক পদে কর্মকর্তা পদায়নের জন্য ফিটলিস্ট প্রণয়ন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে কর্মকর্তা পদায়নের জন্য ফিটলিস্ট প্রণয়ন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে কর্মকর্তা পদায়নের জন্য ফিটলিস্ট প্রণয়ন করা হয়েছে। সহকারী সচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব পদে ২০৯ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগে বদলি/পদায়ন করা হয়েছে; সহকারী সচিব পদের ৮ কর্মকর্তাকে সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।এ সরকারের আমলে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১০ অক্টোবর নির্বাহী আদেশে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে ছুটি ১ দিন থেকে ২ দিন করা হয়েছে। আগের ৩ দিনের সাধারণ ও নির্বাহী আদেশের ছুটিকে বৃদ্ধি করে ২০২৫ সালে ঈদুল ফিতরের ছুটি ৫ দিন করা হয়েছে এবং ঈদুল আজহার ছুটি ৬ দিন করা হয়েছে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ বছর করার লক্ষ্যে উপদেষ্টা পরিষদে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, যা উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দিয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য ২২ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। গত ১০০ দিনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ ১১ হাজার ৮০৭ পদ সৃজন, ৩৬ হাজার ১৩১ পদ সংরক্ষণ, ৩৫ পদ স্থায়ীকরণ, ৪ যানবাহন টিওঅ্যান্ডইভুক্তকরণ, ৮৩ পদ স্থানান্তর এবং ৩৬০ শূন্য পদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

'জুলাই অনির্বাণ’ এ রক্তপিপাসু হাসিনার নির্মমতা দেখে কাঁদছেন নেটিজেনরা
কপ২৯-এর এনসিকিউজি টেক্সট হতাশাজনক : সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
পর্তুগালে ইউএনএওসি গ্লোবাল ফোরামে অংশ নেবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভোগান্তিতে ৬ লাখের বেশি আবেদনকারী
পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-বেনাপোল ট্রেন চলাচল শুরু ২ ডিসেম্বর
আরও

আরও পড়ুন

রানআউট হজ,লুইসের ব্যাটে এগোচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

রানআউট হজ,লুইসের ব্যাটে এগোচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

জমকালো 'কনটেনন্ডার সিরিজ',কে কার বিপক্ষে লড়বেন?

জমকালো 'কনটেনন্ডার সিরিজ',কে কার বিপক্ষে লড়বেন?

তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে মীর হেলাল

তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে মীর হেলাল

অবশেষে ২৬ মামলার আসামি কুমিল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী আল-আমিন গ্রেফতার

অবশেষে ২৬ মামলার আসামি কুমিল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী আল-আমিন গ্রেফতার

'জুলাই অনির্বাণ’ এ রক্তপিপাসু হাসিনার নির্মমতা দেখে কাঁদছেন নেটিজেনরা

'জুলাই অনির্বাণ’ এ রক্তপিপাসু হাসিনার নির্মমতা দেখে কাঁদছেন নেটিজেনরা

দেশনেত্রীর প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা ও সম্মান

দেশনেত্রীর প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা ও সম্মান

বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনসহ সরকারের কাজের পরিধি বিশাল

বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনসহ সরকারের কাজের পরিধি বিশাল

অদক্ষ ফার্মাসিস্ট দ্বারাই চলছে ফার্মেসি

অদক্ষ ফার্মাসিস্ট দ্বারাই চলছে ফার্মেসি

নির্বাচন কমিশন গঠন : গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু

নির্বাচন কমিশন গঠন : গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু

বেনাপোল দিয়ে যাত্রী পারাপার কমেছে অর্ধেক, রাজস্ব আয় ও ব্যবসা বাণিজ্যে ধস

বেনাপোল দিয়ে যাত্রী পারাপার কমেছে অর্ধেক, রাজস্ব আয় ও ব্যবসা বাণিজ্যে ধস

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

মসজিদে পরে এসে ঘাড় ডিঙিয়ে সামনের কাতারে যাওয়া জায়েজ নেই

মসজিদে পরে এসে ঘাড় ডিঙিয়ে সামনের কাতারে যাওয়া জায়েজ নেই

দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য সুন্দর জীবন এবং কৃতজ্ঞতাবোধ

দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য সুন্দর জীবন এবং কৃতজ্ঞতাবোধ

যুগে যুগে জুলুম ও জালিমের পরিণতি

যুগে যুগে জুলুম ও জালিমের পরিণতি

সালাম ইসলামী সম্ভাষণ রীতির এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ

সালাম ইসলামী সম্ভাষণ রীতির এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ

করিমগঞ্জের নাম কি আদৌ শ্রীভূমি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ?

করিমগঞ্জের নাম কি আদৌ শ্রীভূমি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ?

বিশাল স্বর্ণখনির সন্ধান পেলো চীন

বিশাল স্বর্ণখনির সন্ধান পেলো চীন

মাছ ধরার নৌকার সঙ্গে ভারতীয় সাবমেরিনের সংঘর্ষ

মাছ ধরার নৌকার সঙ্গে ভারতীয় সাবমেরিনের সংঘর্ষ

যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠছে টোকিও : বাড়ছে ভিড়

যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠছে টোকিও : বাড়ছে ভিড়

‘হাই অ্যালার্টে’ লন্ডন, মার্কিন দূতাবাসের সামনে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ

‘হাই অ্যালার্টে’ লন্ডন, মার্কিন দূতাবাসের সামনে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ