বেগম খালেদা জিয়াকে ‘দোষী’ প্রমাণে এখনো মরিয়া দুদক
১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্টের কোনো অর্থই আত্মসাৎ হয়নি। সুপ্রিমকোর্টে দাঁড়িয়ে এখন এমনটি জানাচ্ছেন মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)র আইনজীবী। অ্যাডভোকেট আসিফ হোসেন মামলার রেকর্ডপত্রের ভিত্তিতেই আদালতে এ কথা বলেছেন-মর্মে জানিয়েছেন সাংবাদিকদের।
বাদীপক্ষের এ স্বীকারোক্তি থেকে প্রমাণিত হয় যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হাসিনা সরকার আমলে কিংবা তার আগে ভারত সমর্থিত মঈনউদ্দীন-ফখরুদ্দীন সরকার আমলে দুদকের দায়ের করা সবগুলো মামলাই ছিলো রাজনৈতিক। হয়রানিমূলক এবং অপমানজনক। জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতেই গাঁজাখুরি অভিযোগ এনে এসব মামলা দায়ের করে দুদক।
গত ৫ আগস্ট হাসিনা পালিয়ে ভারত চলে যাওয়ার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেয়া কারাদণ্ডের আদেশ বিনা আবেদনে মওকুফ হয়ে যায়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাও বিনা আবেদনে প্রত্যাহার করে নেয় দুদক। দুদক এবং বিচার বিভাগে ঘটতে থাকে এমন অনেক অভূতপূর্ব ঘটনা। এই যখন পরিস্থিতি-তখন কোনো মামলার ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হচ্ছে উল্টো চিত্র। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে সাক্ষ্য-প্রমাণ দ্বারা ‘দোষী’ সাব্যস্ত করতে প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দুদক। এ চেষ্টার অংশ হিসেবে গতকাল সংস্থাটি আদালতে হাজির করেছে আরো ৭ জন সাক্ষী। তারা বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। সাক্ষ্যদানকারীদের মধ্যে রয়েছেন, পেট্রোবাংলার তৎকালীন পরিচালক মো: মকবুল ই ইলাহী, পেট্রোবাংলার সিনিয়র ম্যানেজার মো: আবদুল খালেক, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব সৈয়দ সাজেদুল করিম, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা রওশন আক্তার সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সহকারী সচিব মো: মোতাহার হোসেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব, কোহিনূর নাহার এবং নুরুন আকতার। এসব তথ্য জানিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া ও হান্নান ভুইয়া।
ইনকিলাব কোর্ট রিপোর্টার জানান, বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা নাইকো মামলায় বাদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও ৭ জন। এ মামলায় ৬৮ জনের মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। গতকাল রোববার ঢাকার নয় নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুহম্মদ আলী আহসানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। পরে তাদের জেরা করেন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন ১ ডিসেম্বর। বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে তার এক আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম রাজধানীর তেজগাঁও থানায় বেগম খালেদা জিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে বেগম খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের অন্তত ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২৩ সালে ১৯ মার্চ কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রানআউট হজ,লুইসের ব্যাটে এগোচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
জমকালো 'কনটেনন্ডার সিরিজ',কে কার বিপক্ষে লড়বেন?
তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে মীর হেলাল
অবশেষে ২৬ মামলার আসামি কুমিল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী আল-আমিন গ্রেফতার
'জুলাই অনির্বাণ’ এ রক্তপিপাসু হাসিনার নির্মমতা দেখে কাঁদছেন নেটিজেনরা
দেশনেত্রীর প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা ও সম্মান
বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনসহ সরকারের কাজের পরিধি বিশাল
অদক্ষ ফার্মাসিস্ট দ্বারাই চলছে ফার্মেসি
নির্বাচন কমিশন গঠন : গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু
বেনাপোল দিয়ে যাত্রী পারাপার কমেছে অর্ধেক, রাজস্ব আয় ও ব্যবসা বাণিজ্যে ধস
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
মসজিদে পরে এসে ঘাড় ডিঙিয়ে সামনের কাতারে যাওয়া জায়েজ নেই
দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য সুন্দর জীবন এবং কৃতজ্ঞতাবোধ
যুগে যুগে জুলুম ও জালিমের পরিণতি
সালাম ইসলামী সম্ভাষণ রীতির এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ
করিমগঞ্জের নাম কি আদৌ শ্রীভূমি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
বিশাল স্বর্ণখনির সন্ধান পেলো চীন
মাছ ধরার নৌকার সঙ্গে ভারতীয় সাবমেরিনের সংঘর্ষ
যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠছে টোকিও : বাড়ছে ভিড়
‘হাই অ্যালার্টে’ লন্ডন, মার্কিন দূতাবাসের সামনে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ