বাংলাদেশের ঋণমান ‘স্থিতিশীল’ থেকে ‘নেতিবাচক’
১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
মার্কিন রেটিং এজেন্সি মুডিস বাংলাদেশের ঋণমান ‘বি-ওয়ান’ থেকে কমিয়ে ‘বি-টু’তে এনে বলছে। এর ফলে পূর্বাভাসের অবনতি ঘটেছে। অর্থাৎ, এ পূর্বাভাস ‘স্থিতিশীল’ থেকে ‘নেতিবাচক’ অবস্থায় চলে গেছে।
গতকাল সোমবার মুডিস তাদের নতুন রেটিং প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের রেটিং কমানো প্রসঙ্গে সংস্থাটি বলছে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার পর সরকার পরিবর্তনের ফলে উচ্চ রাজনৈতিক ঝুঁকি, নিম্ন প্রবৃদ্ধি সরকারের তারল্যের ঝুঁকি, বৈশ্বিক ভঙ্গুরতা এবং ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি বাড়িয়েছে।
মুডিস আরো বলছে, চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং দুর্বল প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশকে ঘাটতি পূরণের জন্য স্বল্পমেয়াদী অভ্যন্তরীণ ঋণের ওপর ক্রমশ নির্ভরশীল করছে এবং এর ফলে তারল্য ঝুঁকি বাড়ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয় রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে পাওয়া ঋণের পরিমাণ বাড়লেও, গত কয়েক বছরে রিজার্ভের স্থিতিশীলতা কমায় বাহ্যিক কিছু আশঙ্কার ঝুঁকি রয়ে গেছে।
উচ্চ সামাজিক ঝুঁকির পাশাপাশি সুস্পষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ না থাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং সাম্প্রদায়িকতার উত্থানও রাজনৈতিক ঝুঁকি আরও বাড়িয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক বিক্ষোভ ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় দেশের ভেতরে চাহিদা-সরবরাহ চেইন বিঘ্নিত হওয়ায় এই ঝুঁকিগুলো তৈরি হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে রপ্তানিখাতে এবং এতে তৈরি পোশাক খাতে সম্ভাবনা কমে গেছে।
মুডি›স বলছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশদ সংস্কারের এজেন্ডা নিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যদিও তারা তা কার্যকর করতে পারবে কি না, তা অনিশ্চিত।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয় অন্তর্বর্তী সরকার যদি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও উচ্চ বেকারত্ব মোকাবিলাসহ দ্রুত কিছু কাজ না করতে পারে, তবে সংস্কারকাজে চ্যালেঞ্জ আরও বাড়তে পারে।
বিভাগ : জাতীয়