নওগাঁয় খেজুর রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরিতে ব্যস্ত গাছিরা
২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
নওগাঁয় খেজুর রসের লালি ও গুড় তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। উত্তর জনপদে শীত আসলেই শুরু হয় খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ শেষে গুড় তৈরির প্রস্তুতি। শীতের আমেজের সাথে যেন খেজুরের লালি ও গুড়ের কদর বেড়ে যায়। তাই শীতের শুরু থেকেই গাছিরা প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন খেজুর রসের লালি ও গুড়।
নওগাঁ সদর উপজেলার খাস গোবিন্দোর দোকানের পাশে, মুক্তির মোড়ের পাশে সমবায় অফিস সংলগ্ন ও নওগাঁর আরো অনেক এলাকায় নওগাঁর অনেক গাছিরা আগুনের চুল্লি বসিয়ে খেজুরের রস থেকে গুড় ও লালি সংগ্রহ শুরু করেছেন। এক সময় এলাকার লোকজনই খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করলেও এখন এসব গাছ চুক্তি ভিত্তিতে দেয়া হয় অন্য এলাকার গাছিদের।
নওগাঁর আত্রাই, নাটোর, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন এলাকার অনেক গাছি শীত মৌসুমে এ এলাকায় খেজুর রস সংগ্রহের জন্য এসে থাকেন। এবারেও অনেকেই এসেছেন। তারা এলাকার বিভিন্ন গ্রামের খেজুর গাছ চুক্তি ভিত্তিক মালিকের কাছ থেকে নিয়েছেন। প্রতিদিন প্রায় দুইশত খেজুর গাছ থেকে ৪ থেকে ৭ মণ রস নামে। এ রস জাল করলে প্রায় দেড়মণ গুড় হয়। গুড়গুলো নওগাঁসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে বিক্রি করে যে অর্থ আসে তাতে তারা খুশি। শীত মৌসুমের শুরুর দিক নভেম্বর মাস থেকে মার্চ এপ্রিল ৫ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত রস সংগ্রহ করা যায়। আর এ রস জাল করে লালি বা গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রির অর্থ দিয়ে প্রায় সারা বছর পরিবার পরিজন নিয়ে জিবীকা নির্বাহ করেন তারা।
খাস নওগাঁ গ্রামের শ্যামল চন্দ্র সরকার বলেন, আমরা ছোট বেলায় দেখেছি আমাদের এলাকার গাছিরা খেজুর রস সংগ্রহ করে বাজারে রস বিক্রি করতো। এখন কালের বিবতর্নে এলাকার গাছিরা আর খেজুর রস সংগ্রহ করে না। গাছগুলো বছরের পর বছর পরিত্যক্ত থাকতো। অযন্তে অনেক গাছ মড়ে গেছে অথবা কেটে ফেলা হয়েছৈ। গত কয়েক বছর থেকে অন্য এলাকার গাছিদের কাছে আমরা চুক্তি ভিত্তিক গাছগুলো দিয়ে দিচ্ছি। এতে করে গাছগুলোরও পরিচর্যা হচ্ছে আবার বাড়তি অর্থও আমরা পাচ্ছি। তবে যেভাবে নতুন খেজুর গাছ না লাগিয়ে পুরাতন খেজুর গাছগুলো কাটা পড়ছে তাতে ভবিষ্যতে খেজুর গাছই পাওয়া দুষ্প্রাপ্য হয়ে যাবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফর নওগাঁ’র উপ পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, খেজুর গাছ একটি লাভজনক গাছ। এ গাছের পরিচর্যা করলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলেই খেজুর গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। গাছিদের খেজুর গাছ কাটার কাজটি শিল্প আর দক্ষতায় ভরা। ডাল কেটে গাছের শুভ্র বুক বের করার মধ্যে রয়েছে কৌশল, রয়েছে ধৈর্য ও অপেক্ষার পালা। এ জন্য মৌসুমে আসার সাথে সাথে দক্ষ গাছিদের কদর বাড়ে। এদিকে নওগাঁ জেলার সচেতন মহল মনে করেন, খেজুর গাছ আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, সাহিত্য তথা জীবনধারায় মিশে আছে। এই ঐতিহ্যকে যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করতে হবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত
কুরস্ক অঞ্চলের ৪০ ভাগ খোয়ানোর স্বীকারোক্তি ইউক্রেনের
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ চীনের সাথে কাজ করতে আগ্রহী: বাণিজ্য উপদেষ্টা
হাজীদের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ধর্ম উপদেষ্টা ড. খালিদ হোসেন
শরীয়তপুরে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ কর্মী সভা
মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় সিকিউরিটি গার্ড নিহত
পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল জিম্বাবুয়ে
১৫ দিন রিমান্ড শেষে কারাগারে আব্দুর রাজ্জাক
লক্ষ্মীপুরে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৫০ জন
নির্বাচিত সরকারই দেশকে পুনর্গঠন করতে পারে : তারেক রহমান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটিতে অচেনা ৭ জন
মৌলভীবাজারে কৃষি ও প্রযুক্তি মেলা শুরু
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেল উদ্ভাবন
ব্রহ্মপুত্রে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে চলছে বালু ব্যবসা
বাঘায় কৃষি শ্রমিককে গলা কেটে হত্যা
কেশবপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ
হামলার শিকার হয়েও মুখ খুলতে পারছে না বোয়ালমারীর বহু পরিবার
ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশে আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি
বিপিএলের প্রথম দিনই মাঠে নামছে বসুন্ধরা-মোহামেডান
সাগরে মিলছে না আশানুরূপ ইলিশ হতাশায় মীরসরাইয়ের জেলেরা