মানুষ জবাই করা আর হাত-পা ভেঙে দেয়ার নাম তাবলিগ নয় :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৬ এএম


টংগী ইজতেমা ময়দানে মানুষ জবাই করে দেয়া আর মানুষের হাত পা ভেঙ্গে দেয়ার নাম তবলিগ না। এ ধরনের হত্যাযজ্ঞের নাম একরামুল মুসলেমিন না। তাবলিগ হচ্ছে ঈমান আমল শিক্ষা দেয়ার নাম। শরীয়তের খেলাপ এমন কোনো কাজ তাবলিগের নামে করা যাবে না। আক্রমণাত্মক কথা বার্তা বলা যাবে না। এক লোক গোমরাহির কথা বলে; নবী রাসূল (সা.)-এর সমালোচনা করে তাকে বাংলাদেশে আনতে এতো পাগল হতে হবে কেন? এটা গোমরাহির তাবলিগ। গোমরাহির তাবলিগ গ্রহণযোগ্য নয়। মসজিদ আল্লাহর ঘর। ইবাদতের ঘর। মসজিদ দখল করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হবে আর বলবেন আমরা বৈষম্যের শিকার। এটা হতে পারে না। আজ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ানে এসব কথা বলেন। খতিব বলেন, মসজিদ মাদরাসা তৈরির জন্য সরকারি খাস জমি হলেও সরকারের অনুমতি নিয়ে তৈরি করতে হবে। ছহি তরিকার ভিত্তিতেই আল্লাহর ঘর মসজিদ তৈরি করতে হবে। কেউ আল্লাহর ঘর মসজিদ তৈরিতে সামান্যতম অর্থ দিয়ে শরীক হলে আল্লাহ জান্নাতে তাকে একটি ঘর তৈরি করে দিবেন। মসজিদ মাদরাসায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, ইবাদত বন্দেগি ও কোরআন শিক্ষা দেয়া হয়। তাই মসজিদ মাদরাসায় আল্লাহর রহমন নাযিল হয়।

খতিব বলেন, আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করে সবাইকে লক্ষ্য করে বলেন, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় করো। রবের সব বিধান মেনে চলো। ওই দিনের ভয় করো যে দিন ছেলে বাপের কোনো কাজে আসবে না বাপ ছেলের কোনো কাজে আসবে না। দুনিয়াতে কোনো সমস্যা পড়লে ওপর থেকে ফোন আসে আর হাশরের দিনে যত বিপদই আসুক ওই দিন ওপর থেকে কোনো ফোন আসবে না। খতিব বলেন, সন্তানদের যদি নেক সন্তান বানাতে পারেন এবং সদকায়ে জারিয়া কিছু করে যেতে পারলে মৃত্যুর পরেও নেকি পাওয়া যাবে। খতিব বলেন, যে কোনো জনকল্যাণমূলক কাজের ছওয়াব মৃত্যুর পরেও জারি থাকবে। আল্লাহ সবাইকে হাশরের দিনের প্রস্তুতি নেয়ার তৌফিক দান করুন। (আমিন)

 


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

মেসির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সেই সাংবাদিক

মেসির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সেই সাংবাদিক

দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম

দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম

জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে

জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে

সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট

সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট

মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে

মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে

চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল

চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল

সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তুরস্ক

সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তুরস্ক

মুজিব কোট এখন ‘বাচ্চাদের পটি’

মুজিব কোট এখন ‘বাচ্চাদের পটি’

সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যূহ

সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যূহ

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরও ৬ জনের লাশ ঢামেক মর্গে

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরও ৬ জনের লাশ ঢামেক মর্গে

মালয়েশিয়ায় এনআইডি ও স্মার্ট কার্ড সেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে

মালয়েশিয়ায় এনআইডি ও স্মার্ট কার্ড সেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে

সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার

সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার

ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশাহ্

ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশাহ্

মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ২৫

মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ২৫

ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী মনে করে তালেবান

ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী মনে করে তালেবান

মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

গাজীপুর কারাগারে শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু

গাজীপুর কারাগারে শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু

ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের দূত পাঠাবে চীন

ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের দূত পাঠাবে চীন

কানাডা এবং গ্রিনল্যান্ডের বিষয়ে নজর রাখছে রাশিয়া

কানাডা এবং গ্রিনল্যান্ডের বিষয়ে নজর রাখছে রাশিয়া